বিষয়বস্তুতে চলুন

জাদুঘরবিদ্যা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ইউবিসি-তে অবস্থিত নৃবিজ্ঞান জাদুঘর ।

জাদুঘরবিদ্যা (যাকে জাদুঘর অধ্যয়ন বা জাদুঘর বিজ্ঞানও বলা হয়)আসলে হল জাদুঘরগুলির অধ্যয়ন। এটি জাদুঘরের ইতিহাস এবং সমাজে তাদের ভূমিকা, সেইসাথে তারা যে সকল কার্যকলাপে জড়িত, যেমন কিউরেটিং, সংরক্ষণ, পাবলিক প্রোগ্রামিং এবং শিক্ষা, তা অন্বেষণ করে।

পরিভাষা

[সম্পাদনা]

সাংস্কৃতিক এবং ভৌগোলিক প্রেক্ষাপটে জাদুঘরবিদ্যার অধ্যয়নের জন্য ব্যবহৃত শব্দগুলির মধ্যে পার্থক্য লক্ষ্য করা যায়। উদাহরণস্বরূপ, ইংরেজি ভাষায় "মিউজিওলজি" শব্দটি ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও, এটি মূলত ফরাসি (muséologie), স্প্যানিশ (museología), জার্মান (Museologie), ইতালিয়ান (museologia), এবং পর্তুগিজ (museologia) ভাষায় জাদুঘরবিদ্যার অধ্যয়নের জন্য ব্যবহৃত হয়। অন্যদিকে, ইংরেজি ভাষার লোকেরা সাধারণত এই ক্ষেত্রের অধ্যয়নকে বোঝাতে "museum studies" শব্দটি বেশি ব্যবহার করে।[] অন্যদিকে, জাদুঘরের দৈনন্দিন কার্যক্রম বোঝাতে অন্যান্য ইউরোপীয় ভাষায় সাধারণত গ্রিক শব্দ “museographia”-এর বিভিন্ন রূপ ব্যবহার করা হয়—যেমন ফরাসিতে muséographie, স্প্যানিশে museografía, জার্মানে Museographie, ইতালিয়ানে museografia, এবং পর্তুগিজে museografia। ইংরেজিভাষীরা এই অর্থে সাধারণত মিউজিয়াম প্র্যাকটিস বা অপারেশনাল মিউজিওলজি শব্দগুলি ব্যবহার করে।[]

ক্ষেত্রের উন্নয়ন

[সম্পাদনা]

অপারেশনাল মিউজিওলজি

[সম্পাদনা]

অপারেশনাল মিউজিওলজি বা কার্যকরী জাদুঘরবিদ্যা বলতে একটি জাদুঘরের দৈনন্দিন কার্যপ্রণালী বোঝানো হয়। এর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে জাদুঘরের সাংগঠনিক ও নিয়ন্ত্রক কাঠামো, প্রতিষ্ঠানগত নীতি ও প্রোটোকল (যেমন প্রক্রিয়াগত, নৈতিক ইত্যাদি), সংগ্রহ পরিচালনা (রক্ষণাবেক্ষণ ও পুনরুদ্ধারসহ), এবং প্রদর্শনী ও কর্মসূচিগুলি।

গত ৩০ বছরে অপারেশনাল মিউজিওলজি নিয়ে উল্লেখযোগ্য গবেষণা হয়েছে, তবে কিছু গবেষকের মতে, এই ক্ষেত্রটি এখনও পর্যন্ত গভীর ও দীর্ঘমেয়াদী বিশ্লেষণের অভাব বোধ করে। অপারেশনাল মিউজিওলজি-সংক্রান্ত গবেষণা প্রায়ই সমালোচনামূলক মিউজিওলজি (critical museology) ও অন্যান্য আধুনিক জাদুঘরবিদ্যা চর্চার সঙ্গে মিলেমিশে যায়।

জাদুঘরের জনসাধারণের ভূমিকা

[সম্পাদনা]

বিংশ ও একবিংশ শতাব্দীতে অপারেশনাল মিউজিওলজির ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা গেছে, যেখানে জাদুঘরকে একটি কেন্দ্রীয় প্রতিষ্ঠান হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা সংস্কৃতি, ইতিহাস ও শিল্প সম্পর্কে জনসাধারণকে জানিয়ে তাদের সেবা প্রদান করে এবং জটিল আলোচনা ও বিতর্কের জন্য একটি ক্ষেত্র তৈরি করে। এই দৃষ্টিভঙ্গিতে, জাদুঘরকে একটি সাংস্কৃতিক বার্তাবাহক হিসেবে গণ্য করা হয়, যারা বস্তুগত সংস্কৃতি সংগ্রহ, সংরক্ষণ, প্রামাণিকীকরণ এবং ব্যাখ্যার মাধ্যমে সাংস্কৃতিক স্মৃতিকে পুনর্গঠন ও জনমানুষের সঙ্গে পুনঃসংযোগ ঘটাতে পারে।

উদাহরণস্বরূপ, অনেক ইতিহাসভিত্তিক জাদুঘর বহুস্বরধর্মী (multi-vocal) দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে জনস্মৃতির সঙ্গে যুক্ত থাকে এবং সমসাময়িক সামাজিক ও রাজনৈতিক ইস্যু নিয়ে সমালোচনামূলক বর্ণনা উপস্থাপন করে। তবে কিছু ইতিহাস জাদুঘর এখনো উনিশ শতকের জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি অনুসরণ করে চলে। কিছু জাদুঘর আত্মসমালোচনামূলক ও বিশ্লেষণধর্মী বর্ণনা উপস্থাপন করে, আবার কিছু জাদুঘর “গণমাধ্যমের” মতো কাজ করে, যা আন্তর্জাতিক পর্যটকদের দিকে লক্ষ্য রেখে গড়ে তোলা হয়।

এই ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলো সাধারণত চমকপ্রদ প্রদর্শনী ডিজাইন উপস্থাপন করে, তবে জটিল বর্ণনা ও সমালোচনামূলক বার্তার জন্য খুব কম জায়গা রেখে দেয়।

সমালোচনামূলক মিউজিওলজি

[সম্পাদনা]

নতুন পদ্ধতি

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Murphy, Oonagh (Spring ২০১৮)। "Museum Studies as Critical Praxis: Developing an Active Approach to Teaching, Research and Practice"Tate Papers29 
  2. International Council of Museums (২০০৯)। "Key Concepts of Museology" (পিডিএফ)icom.museum/fileadmin/user_upload/pdf/Key_Concepts_of_Museology/Museologie_Anglais_BD.pdf। ২০১৫-০৬-১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। 

{{বিষয়শ্রেণীহীন|date=মে ২০২৫}

বাহ্যিক সূত্র

[সম্পাদনা]