জাতীয় জলপথ ১
জাতীয় জলপথ ১ | |
---|---|
বিস্তারিত | |
চালু হয় | ১৯৮৬ |
দৈর্ঘ্য | ১৬২০ কিলোমিটার |
উত্তর প্রান্ত | প্রয়াগরাজ |
দক্ষিণ প্রান্ত | হলদিয়া |
টার্মিনালের সংখ্যা | ১৮ টি |
মালিকানা | ভারতীয় জলপথ নিগম |
পরিচালনাকারী | ভারতীয় অন্তর্দেশীয় জলপথ কর্তৃপক্ষ |
জাতীয় জলপথ ১ হল পণ্য ও যাত্রী পরিবহনের উদ্দেশ্যে ভারতের গঙ্গা নদী এবং তার শাখানদী ভাগীরথী ও হুগলি নদী নিয়ে গড়ে ওঠা একটি জলপথ। এটি হলদিয়া (সাগর) থেকে শুরু হয়ে প্রয়াগরাজ শহর পর্যন্ত বিস্তৃত। জাতীয় জলপথ ১ মোট ১৬০০ কিলোমিটার দীর্ঘ। [১] এই জলপথ ভারতের চারটি রাজ্যের মধ্যদিয়ে গেছে। এই রাজ্য গুলি হল পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খণ্ড, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ। জলপথটিতে মোট ১৮ টি টার্মিনাল রয়েছে। হলদিয়া থেকে পাটনা পর্যন্ত পন্যবাহি বার্জ চলাচল করে। এই জলপথের গভীরতা ৩ মিটার রাখা সম্ভব হলে হলদিয়া থেকে প্রয়াগরাজ পর্যন্ত ১,৫০০ থেকে ২,০০০ টন পন্যবাহি বার্জ চলাচল করা সম্ভব হবে।
বর্তমানে এই জাতীয় জলপথে বার্জের দ্বারা ইন্দোনেশিয়া থেকে ফারাক্কা তাপবিদুৎ কেন্দ্রে কয়লা পৌঁছানো হয়।
চলাচল[সম্পাদনা]
আজও এনডব্লিউ-১ হিসেবে চিহ্নিত গঙ্গা নদীর অংশটি মালামাল পরিবহনের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে - বেশীরভাগ স্থানীয় উৎপাদন এবং পর্যটক শিল্পের জন্য। নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প হিসাবে এনডব্লিউ-১ বা "জাতীয় জলপথ ১" বেশিরভাগ বাল্ক পণ্য বহন করবে। এই পণ্যগুলি হল সিমেন্ট, লোহা আকরিক, কয়লা এবং কয়লার জ্বলন পণ্য, খনিজ তেল এবং পেট্রোলিয়াম পণ্য, শিলা ফসফেট, কাঠ, পাথর চিপ, ম্যাঙ্গানিজ আকরিক এবং কৃষি থেকে উৎপাদিত পণ্য। [২] এই অঞ্চলে উপস্থিত ইস্পাত কারখানা থেকে পাপ্ত লোহার বা ইস্পাতের পণ্যগুলিও হবে এই রুট বা জলপথের একটি প্রধান পণ্যসম্ভার।
টার্মিনাল নোড (নদী বন্দর) | প্রস্তাবিত কার্গো (মিলিয়ন টন প্রতি বছর) | ||
---|---|---|---|
২০১৫ | ২০৩০ | ২০৪৫ | |
সাহেবগঞ্জ টার্মিনাল | ২.২৪ | ৪.৩৯ | ৯.০০ |
বারাণসী টার্মিনাল | ০.৫৪ | ১.২২ | ১.২২ |
হলদিয়া টার্মিনাল | ৪.০৭ | ৪.০৭ | ৪.০৭ |
বিতর্ক[সম্পাদনা]
"জাতীয় জলপথ ১" একটি বিতর্ক এবং বিক্ষোভের মধ্যে অবতরণ করে, যখন ২০১৪ সালের জুলাই মাসে কেন্দ্রীয় জাহাজ মন্ত্রালয়ের মন্ত্রী নিতিন গডকড়ী ঘোষণা করে যে, সরকার গঙ্গা নদীর উপর প্রতি ১০০ কিলোমিটার (৬২ মাইল) অন্তর বাঁধ নির্মাণ করবে এবং নদীর চিহ্নিত অংশে ড্রেজিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে গঙ্গা নদীর পথে বারাণসী ও হলদিয়ার মধ্যে যাত্রী এবং পণ্যগুলির পরিবহনের উন্নয়নের জন্য। প্রথম পর্যায়ে ড্রেজিং করে ৪৫ মিটার (১৪৮ ফুট) প্রস্থ এবং ৩ মিটার (৯.৮ ফুট) একটি গভীরতা প্রদান করা হবে জলপথটিকে। [৩][৪] প্রাথমিক প্রস্তাবটি ড্যানিশ জলবিদ্যুৎ ইনস্টিটিউটের একটি গবেষণার উপর ভিত্তি করে তৈরি করা হয়েছে, যা প্রয়াগরাজ ও বারাণসী এবং বারাণসী ও বক্সার মধ্যবর্তী দুটি অঞ্চলে রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। [৫] কোনও নাগরিক পরামর্শ ছাড়াই প্রযুক্তিগত সহায়তা সহ বিশ্বব্যাপী ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নে সম্মত হওয়ার পর ঘোষণাটি করা হয়। বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের নদী কর্মী ও অধ্যাপকেরা এই কর্মকান্ডের সমালোচনা করেছিলেন। [৬]
আরও দেখুন[সম্পাদনা]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "Union Government launched National Waterway-4 project in Tamil Nadu", JagranJosh, ২৫ জানুয়ারি ২০১৪
- ↑ ক খ "Consolidated Environmental Impact Assessment Report for National Waterways-1" (pdf)। report। Ministry of Shipping, Government of India। মে ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ১২ আগস্ট ২০১৬।
- ↑ "A Waterway from Varanasi to Kolkata?"। The Times of India। ২০১৪-০৬-০৭।
- ↑ "Centre Plans to Develop Ganga as a Major Water Corridor, Tourism Destination"। International Business Times। ২০১৪-০৭-০৯।
- ↑ "World Bank yet to decide on funding Clean Ganga"। Deccan Herald। ২০১৪-১১-০৪।
- ↑ "Inland waterways project will 'kill' the Ganga, warn activists"। The Hindu। ৭ আগস্ট ২০১৪।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]
official website CIWTC[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- Waterway from Varanasi to Kolkata? দি টাইমস অফ ইন্ডিয়া,২০১৪-০৬-০৭ ।
- opposes more the barrages in Ganga দি টাইমস অফ ইন্ডিয়া , ২০১৫-০৪-১২ ।