বিষয়বস্তুতে চলুন

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়
চিত্র:OHCHR logo.svg
সংক্ষেপে
  • ওএইচসিএইচআর
  • এইচসিডিএইচ
গঠিত২০ ডিসেম্বর ১৯৯৩[]
ধরনসংস্থা
আইনি অবস্থাসক্রিয়
সদরদপ্তরজেনেভা, সুইজারল্যান্ড
নিউ ইয়র্ক শহর, যুক্তরাষ্ট্র
প্রধান
ভলকার টুর্ক
(মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার)[]
ওয়েবসাইটohchr.org

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয়[] (ওএইচসিএইচআর) হলো জাতিসংঘ সচিবালয়ের অধীন একটি সংস্থা, যা আন্তর্জাতিক আইন ও ১৯৪৮ সালে ঘোষিত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে প্রতিশ্রুত মানবাধিকারের উন্নয়ন ও রক্ষণের উদ্দেশ্যে গঠিত হয়েছিল। ১৯৯৩ সালে বিশ্ব মানবাধিকার সম্মেলনের প্রেক্ষিতে ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর সংস্থাটি প্রতিষ্ঠিত হয়।[]

মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার এই সংস্থার প্রধান হিসেবে কাজ করেন, যিনি জাতিসংঘ পদ্ধতিতে সংস্থার মানবাধিকার কার্যক্রমকে সমন্বয় করেন। এই কার্যালয় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অবস্থিত মানবাধিকার পরিষদের সচিবালয় হিসেবে কাজ করে। সংস্থার ৮ম ও বর্তমান হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্বরত আছে অস্ট্রিয়ার ভলকার টুর্ক, যিনি ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর চিলির মিশেল বাশলের থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন।[]

২০১৮–২০১৯ সালে সংস্থার বার্ষিক বাজেট ছিল ২০১.৬ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা জাতিসংঘের নিয়মিত বাজেটের ৩.৭ শতাংশ।[] জেনেভা এবং নিউ ইয়র্কে সংস্থার প্রায় ১,৩০০ কর্মচারী রয়েছেন।[] এটি জাতিসংঘের উন্নয়ন গ্রুপ কমিটির পদাধিকারী সদস্য[]

কার্যক্রম ও অঙ্গসংগঠন

[সম্পাদনা]

ম্যান্ডেট

[সম্পাদনা]
কেনিয়ায় মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রের ৭০ বছর পূর্তিতে ওএইচসিএইচআরের উপস্থিতি

জাতিসংঘ সনদের ধারা ১, ১৩ ও ৫৫, ভিয়েনা ঘোষণাপত্র ও কর্মসূচি এবং ১৯৯৩ সালের ২০ ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রস্তাবনা ৪৮/১৪১ (যার মাধ্যমে সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের পদ সৃষ্টি করা হয়) অনুসারে ওএইচসিএইচআরের ম্যান্ডেট নির্ধারণ করা হয়েছে।[] জাতিসংঘের পুনর্গঠন কার্যক্রমের (এ/৫১/৯৫০, অনুচ্ছেদ ৭৯) অংশ হিসেবে ১৯৯৭ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর ওএইচসিএইচআরে মানবাধিকার কেন্দ্রকে একীভূত করা হয়।

উদ্দেশ্য

[সম্পাদনা]

ওএইচসিএইচআরের উদ্দেশ্য হলো:

  1. বিশ্ব সম্প্রদায়ের ইচ্ছা ও সংকল্পে বাস্তব রূপদানের মাধ্যমে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোষিত সকল মানবাধিকারের সার্বজনীন সুবিধাভোগের প্রসার
  2. মানবাধিকার ইস্যুতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা রাখা এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানবাধিকার চর্চার বিষয়ে গুরুত্বারোপ
  3. মানবাধিকার বিষয়ে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার প্রসার
  4. জাতিসংঘ পদ্ধতিতে মানবাধিকারের অনুপ্রাণন এবং সমন্বয়সাধন
  5. সার্বজনীন অনুমোদনের প্রচার এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের বাস্তবায়ন
  6. নতুন রীতি-নীতির স্বাভাবিকায়নে সহযোগিতা
  7. মানবাধিকার সংগঠন ও সন্ধি পর্যবেক্ষণ সংস্থাসমূহের সমর্থন
  8. মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনে প্রতিক্রিয়া জানানো
  9. মানবাধিকার লঙ্ঘনে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ
  10. জাতীয় মানবাধিকার সংস্থা প্রতিষ্ঠার প্রচার
  11. মাঠপর্যায়ে মানবাধিকার কার্যক্রম ও কর্ম‌সূচি গ্রহণ
  12. মানবাধিকারের ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শিক্ষা, তথ্য উপদেশমূলক সেবা ও কারিগরি শিক্ষা প্রদান

সংগঠন

[সম্পাদনা]

ওএইচসিএইচআর সাংগঠনিকভাবে নিম্নলিখিত সংস্থায় বিভক্ত। একজন হাইকমিশনার ওএইচসিএইচআরের প্রধান, যিনি জাতিসংঘের অধি-মহাসচিব পদমর্যাদার ব্যক্তি।

মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার (জাতিসংঘ মহাসচিবের অধীন)

[সম্পাদনা]

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মহাসচিবের নিকট দায়বদ্ধ। তিনি ওএইচসিএইচআরের সকল কার্যক্রম, প্রশাসন এবং ১৯৯৩ সালের ২০ ডিসেম্বর সাধারণ পরিষদে গৃহীত প্রস্তাবনা ৪৮/১৪১ এবং পরবর্তীতে অন্যান্য নীতিনির্ধারণী সংস্থা কর্তৃক অর্পিত দায়িত্ব নির্বাহ করেন। তিনি জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ে মহাসচিবের উপদেষ্টা হিসেবে বিভিন্ন মানবাধিকার কর্মসূচি, প্রকল্প ও সংস্থা-সংগঠনকে পর্যাপ্ত প্রশাসনিক সহায়তা নিশ্চিতে কাজ করেন, বিভিন্ন মানবাধিকার বিষয়ক সম্মেলনে মহাসচিবের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং মহাসচিব কর্তৃক নির্দেশিত বিশেষ কার্যক্রম পরিচালনা করেন। পাশাপাশি আইন পরিকাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত নয় এমন মানবাধিকার বিষয় আন্তর্জাতিক আইনে অন্তর্ভুক্তকরণে তিনি কাজ করেন; যেমন: অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার আন্তর্জাতিক আইন পরিকাঠামোতে সার্বজনীন স্বীকৃত নয়।[]

মানবাধিকার বিষয়ক ডেপুটি হাইকমিশনার (সহ-মহাসচিব)

[সম্পাদনা]

মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের ওপর অর্পিত দায়িত্ব সম্পাদনে একজন ডেপুটি হাইকমিশনার সহায়তা করেন, যিনি হাইকমিশনারের অনুপস্থিতিতে ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও, তিনি হাইকমিশনার কর্তৃক নিযুক্ত বিশেষ বিস্তৃত প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন। তিনি হাইকমিশনারের কাছে তার কাজের জন্য দায়বদ্ধ।

বর্তমান মানবাধিকার বিষয়ক ডেপুটি হাইকমিশনারের দায়িত্ব রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার কেট গিলমোর[]

মানবাধিকার বিষয়ক সহ-মহাসচিব (জাতিসংঘ সদর দপ্তর, নিউ ইয়র্ক)

[সম্পাদনা]

মানবাধিকার বিষয়ক সহ-মহাসচিব (ডেপুটি হাইকমিশনারের সাথে বিভ্রান্ত হবেন না, যিনি জাতিসংঘের সহ-মহাসচিব) নিউ ইয়র্কের প্রধান কর্মকর্তা এবং হাইকমিশনারের নিউ ইয়র্ক কার্যালয়ের প্রধান। তিনি জাতিসংঘ সদর দপ্তরে হাইকমিশনারের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং জাতিসংঘের আন্তঃসরকারি ও আন্তঃসাংগঠনিক নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়া ও কর্মসূচিতে মানবাধিকার বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণে ভূমিকা রাখেন।

২০১০ সালে মানবাধিকার বিষয়ক সহ-মহাসচিবের পদ সৃষ্টি করা হয় এবং ইভান শিমোনভিচকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।[১০] ২০১৬ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত অ্যান্ড্রু গিলমোর এই পদের দায়িত্ব পালন করেন।[১১] ২০২০ থেকে মানবাধিকার বিষয়ক সহ-মহাসচিবের দায়িত্বে রয়েছেন ইলৎসে ব্রাঞ্জ কেহরিস[১২]

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের স্টাফ কার্যালয়

[সম্পাদনা]

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক স্টাফ কার্যালয় একজন প্রধানের অধীনে পরিচালিত হয়, যিনি মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কাছে দায়বদ্ধ। এর মূল কার্যক্রম হলো:

  1. মানবাধিকার প্রোগ্রামের সকল কার্যাবলির তত্ত্বাবধান এবং সামগ্রিক দিকনির্দেশনায় হাইকমিশনারকে সহায়তা করা
  2. মানবাধিকার রক্ষা ও উন্নয়নের নীতি প্রণয়ন, অনুশীলন ও কর্মকাণ্ডের পরিকল্পনা, সংযোগ রক্ষা, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে হাইকমিশনারকে সহায়তা করা
  3. বিভিন্ন দেশের সরকার, জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থা ও সংগঠন, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংগঠন, আঞ্চলিক ও জাতীয় প্রতিষ্ঠানসূহ, বেসরকারি সংগঠন, বেসরকারি খাত ও একাডেমিয়ার সাথে যোগাযোগ রক্ষা
  4. মহাসচিবের নির্বাহী কার্যালয় ও জাতিসংঘ সদর দপ্তরের অন্যান্য কার্যালয় এবং একই সাথে নিউ ইয়র্ক ও জেনেভায় মহাসচিবের মুখপাত্র ও বিভিন্ন গণমাধ্যমের সাথে নীতিগত বিষয়ে লিয়াজোঁ হিসেবে কাজ করা
  5. তহবিল সংক্রান্ত কার্যাবলি সম্পাদন করা এবং হাইকমিশনার কর্তৃক নিযুক্ত অন্যান্য কার্যাবলি নির্বাহ করা
  6. হাইকমিশনারকে মানবাধিকার সংক্রান্ত প্রোগ্রামগুলোর একটি ফ্রেমওয়ার্ক দাঁড় করানো ও এর ব্যবস্থাপনা এবং পরিকল্পনায় সহায়তার মাধ্যমে সার্বিক কার্যক্রমকে সহজতর করা এবং কর্মসূচি ও অর্জনসমূহের বার্ষিক প্রতিবেদন তৈরি করা
  7. বিভিন্ন সম্মেলনে হাইকমিশনারের প্রতিনিধিত্ব করা এবং তার পক্ষে বিবৃতি প্রদান

প্রশাসনিক শাখা

[সম্পাদনা]

ওএইচসিএইচআরের প্রশাসনিক শাখা একজন প্রধানের অধীনে পরিচালিত হয়, যিনি ডেপুটি হাইকমিশনারের কাছে দায়বদ্ধ। ওএইচসিএইচআরের প্রশাসনিক শাখার বর্তমান প্রধান কাইল এফ ওয়ার্ড। মহাসচিবের বুলেটিন এসটি/এসজিবি/১৯৯৭/৫-এর ৭ নং ধারার পাশাপাশি এই শাখার মূল কাজগুলো হলো:

  1. মানবাধিকার বিষয়ক কর্মসূচিসমূহের বাজেট, অর্থসংস্থান ও কর্মী সংক্রান্ত বিষয়ে হাইকমিশনারকে পরামর্শ প্রদান
  2. আর্থিক, অধীনস্ত কর্মীসংক্রান্ত ও অন্যান্য সাধারণ প্রশাসনিক দায়িত্ব নির্বাহে হাইকমিশনার ও সংক্রান্ত ব্যক্তিবর্গকে সহায়তা করা এবং সহযোগী বিশেষজ্ঞ ও প্রশিক্ষণার্থীদের তত্ত্বাবধান

নিউ ইয়র্ক কার্যালয়

[সম্পাদনা]

সংস্থার নিউ ইয়র্ক কার্যালয় একজন সহ-মহাসচিবের অধীনে পরিচালিত হয়, যিনি হাইকমিশনারের নিকট দায়বদ্ধ। নিউ ইয়র্ক কার্যালয়ের মূল কাজ হলো:

  1. জাতিসংঘ সদর দপ্তর, নীতিনির্ধারণী সংস্থা, সদস্যরাষ্ট্রসমূহের স্থায়ী মিশন, আন্তঃসংস্থা ও আন্তঃবিভাগীয় বৈঠক, বেসরকারি সংস্থা ও পেশাদার সংগঠন, একাডেমিক সম্মেলন ও গণমাধ্যমে হাইকমিশনারের প্রতিনিধিত্ব করা
  2. হাইকমিশনারকে যেকোনো সম্ভাব্য ঘটনায় নীতিগত উপদেশ প্রদান ও সুপারিশ করা
  3. মানবাধিকার বিষয়ে মহাসচিবের নির্বাহী কার্যালয়ে তথ্য সরবরাহ ও উপদেশ প্রদান
  4. সাধারণ পরিষদ, অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ এবং নিউ ইয়র্কভিত্তিক অন্যান্য নীতিনির্ধারণী সংস্থায় মানবাধিকার বিষয়ে বিশদ সমর্থন প্রদান
  5. মানবাধিকার কর্মসূচি বিষয়ে স্থায়ী মিশন, জাতিসংঘের দপ্তরসমূহ, সংস্থা, প্রকল্প, বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম ও অন্যান্য সম্পর্কিত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে প্রয়োজনীয় আধেয় ও তথ্য সরবরাহ
  6. নিউ ইয়র্কে অবস্থানরত হাইকমিশনার ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ও বিশেষ প্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান
  7. হাইকমিশনার কর্তৃক নির্ধারিত অন্যান্য কার্যক্রম নির্বাহ করা

বিষয়ভিত্তিক সম্পৃক্ততা, বিশেষ প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন অধিকার বিভাগ

[সম্পাদনা]

বিষয়ভিত্তিক সম্পৃক্ততা, বিশেষ প্রক্রিয়া ও উন্নয়ন অধিকার বিভাগ একজন পরিচালকের অধীনে কার্য নির্বাহ করে, যিনি হাইকমিশনারের নিকট দায়বদ্ধ থাকেন। এই বিভাগের মূল কার্যক্রম হলো:

  1. উন্নয়ন অধিকারের বিকাশ ও সুরক্ষা, বিশেষ করে নিম্নবর্ণিত কার্যক্রমের মাধ্যমে:
    1. উন্নয়ন অধিকারের কৌশল নির্ধারণ সংক্রান্ত আন্তঃসরকারি বিশেষজ্ঞ দলের অনুসমর্থন
    2. সদস্যরাষ্ট্রসমূহের প্রতিবেদনে উন্নয়ন অধিকারের অগ্রগতি এবং উন্নয়ন অধিকার বাস্তবায়নে গৃহীত পদক্ষেপ ও সম্মুখীন হওয়া বাধা ইত্যাদি বিশ্লেষণে হাইকমিশনারকে সহায়তা
    3. উন্নয়ন অধিকার বিষয়ে গবেষণা প্রকল্প পরিচালনা এবং ফলাফল সম্পর্কে সাধারণ পরিষদ, মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশন ও চুক্তি সংস্থার সভায় উপস্থাপনের জন্য প্রতিবেদন নির্মাণ
    4. উন্নয়ন অধিকার বিষয়ে বৃহৎ পরিসরে পরামর্শ সেবা প্রকল্প ও শিখন উপাদান প্রস্তুতকরণে সহায়তা
    5. হাইকমিশনারের ম্যান্ডেটে উন্নয়ন অধিকারের গঠনতান্ত্রিক প্রবৃদ্ধির জন্য বিস্তৃত বিশ্লেষণ ও অনুসমর্থন
  2. ভিয়েনা ঘোষণা ও কর্মসূচি এবং অন্যান্য নীতিনির্ধারণী সংস্থার প্রস্তাবনা সাপেক্ষে নির্ধারিত অগ্রাধিকারভিত্তিতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক সংগঠনের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে বিস্তৃত গবেষণা পরিচালনা করা
  3. জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের বিশেষ প্রক্রিয়ায় ম্যান্ডেট-ধারকদের কাজে সহায়তা করা
  4. মানবাধিকারের মান নির্ধারণী কর্মকাণ্ডে জড়িত সংস্থাগুলোকে বিশদে সহায়তা প্রদান
  5. বিশেষ অনুরোধ সাপেক্ষে নথি, সংক্ষিপ্ত বিবরণী ও বিশ্লেষণ এবং অবস্থানপত্র তৈরি এবং তথ্য আধেয় ও প্রকাশনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখা
  6. বিস্তৃত প্রক্রিয়া সম্পর্কে নীতিগত বিশ্লেষণ, উপদেশ ও নির্দেশনা প্রদান
  7. তথ্যকেন্দ্র ও গ্রন্থাগার, জিজ্ঞাসাকেন্দ্র ও মানবাধিকার ডেটাবেজসহ মানবাধিকার কর্মসূচি সংক্রান্ত তথ্যসেবার ব্যবস্থাপনা
  8. জাতিসংঘের অঙ্গসংগঠনগুলোর রেপার্টরি অব প্র্যাকটিসের জন্য মানবাধিকার সনদের বিশেষ বিশেষ ধারার ওপর গবেষণা পরিচালনা

মানবাধিকার পরিষদ ও চুক্তি প্রক্রিয়া বিভাগ

[সম্পাদনা]

মানবাধিকার পরিষদ ও চুক্তি প্রক্রিয়া বিভাগ একজন পরিচালকের অধীনে কার্য নির্বাহ করে, যিনি তার কাজের জন্য হাইকমিশনারের নিকট দায়বদ্ধ। বিভাগের মূল কার্যক্রম হলো:

  1. মানবাধিকার পরিষদ, উপদেষ্টা কমিটি ও সম্পর্কিত কর্মসম্পাদক দল এবং বিভিন্ন মানবাধিকার চুক্তির ভিত্তিতে গঠিত কমিটি ও এর কর্মসম্পাদক দলের সভা/বৈঠকের পরিকল্পনা, আয়োজন ও সেবাপ্রদান
  2. মানবাধিকার কর্মসূচিতে প্রয়োজনীয় সংস্থানের মাধ্যমে সম্পর্কিত মানবাধিকার চুক্তি সংস্থায় সময়মতো বিশদ সমর্থন নিশ্চিতকরণ
  3. সম্পর্কিত চুক্তি সংস্থার পর্যালোচনার জন্য রাষ্ট্রপক্ষীয় প্রতিবেদন নির্মাণ ও সেই সাপেক্ষে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ পর্যবেক্ষণ
  4. সেবাপ্রাপ্ত চুক্তি সংস্থাগুলোর কার্যক্রম পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার অন্যান্য বিভাগসমূহের সমর্থন এবং দাখিলের জন্য বিশদ বিবরণীসহ অন্যান্য নথি প্রস্তুতকরণ বা প্রস্তুতকরণে সহায়তা প্রদান এবং সংস্থাসমূহের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত পর্যবেক্ষণ
  5. নির্যাতনের শিকার ব্যক্তিদের জন্য জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবী তহবিলের ট্রাস্টি বোর্ডের সভার পরিকল্পনা, প্রস্তুতি ও সেবাপ্রদান এবং সম্পর্কিত সিদ্ধান্তসমূহের বাস্তবায়ন
  6. ১৯৭০ সালের ২৭ মে অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের প্রস্তাবনা ১৫০৩ (৪৮) অনুসারে স্থাপিত প্রক্রিয়ায় যোগাযোগমাধ্যম ও ঐচ্ছিকভিত্তিকে চুক্তি সংস্থা কর্তৃক স্থাপিত যোগাযোগ প্রক্রিয়াকরণ এবং পর্যবেক্ষণ নিশ্চিতকরণ

মাঠ কর্মসূচি ও কারিগরি সহায়তা বিভাগ

[সম্পাদনা]

হাইকমিশনারের নিকট দায়বদ্ধ একজন পরিচালকের অধীনে মাঠ কর্মসূচি ও কারিগরি সহায়তা বিভাগ কাজ করে। এই বিভাগের মূল কার্যক্রম হলো:

  1. বিভিন্ন দেশের সরকারের অনুরোধক্রমে পরামর্শ সেবা ও কারিগরি সহায়তার প্রকল্পের উন্নয়ন, বাস্তবায়ন, পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন
  2. মানবাধিকারের ক্ষেত্রে কারিগরি সহায়তার জন্য স্বেচ্ছাসেবী তহবিলের ব্যবস্থাপনা
  3. তথ্য ও শিক্ষা উপকরণের উন্নয়নসহ জাতিসংঘের মানবাধিকার শিক্ষা দশকের কর্মসূচি বাস্তবায়ন
  4. মানবাধিকার তথ্যানুসন্ধান ও তদন্ত প্রক্রিয়া, যেমন বিশেষ প্রতিবেদক, প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞ এবং মানবাধিকার কমিশন এবং/অথবা অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদ কর্তৃক বিশ্বব্যাপী কতিপয় দেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা প্রতিরোধে নিযুক্ত কর্মসম্পাদক দল এবং পাশাপাশি সাধারণ পরিষদের দখলকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনি জাতি ও অন্যান্য আরবদের মানবাধিকারের ওপর ইসরায়েলি কার্যক্রমের প্রভাব অনুসন্ধানে বিশেষ কমিটিকে বিস্তৃত প্রশাসনিক সমর্থন প্রদান
  5. মাঠ পর্যায়ে সকল মানবাধিকার কার্যক্রমের উত্তম অনুশীলন, পদ্ধতিগত নিয়মাবলি ও মডেলসহ মানবাধিকার ক্ষেত্রে মাঠ পর্যায়ের উপস্থিতি ও মিশনের পরিকল্পনা, সমর্থন ও মূল্যায়ন
  6. মাঠ পর্যায়ের উপস্থিতির জন্য স্বেচ্ছাসেবী তহবিল ব্যবস্থাপনা
  7. জাতিসংঘের দাসত্বের সমসাময়িক রূপ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী তহবিল, আদিবাসী জনসংখ্যার জন্য স্বেচ্ছাসেবী তহবিল ও বিশ্বের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর জন্য আন্তর্জাতিক দশকের স্বেচ্ছাসেবী তহবিলের ব্যবস্থাপনা

(উৎস: ওএইচসিএইচআর ওয়েবসাইট)

মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারদের তালিকা

[সম্পাদনা]
নাভি পিল্লাই (মাঝে) ২০০৮ থেকে ২০১৪ সালে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার
চিত্র নাম দেশ কার্যকাল টীকা
হোসে আয়ালা লাসসো ইকুয়েডর ইকুয়েডর ১৯৯৪–১৯৯৭
মেরি রবিনসন প্রজাতন্ত্রী আয়ারল্যান্ড আয়ারল্যান্ড ১৯৯৭–২০০২ জাতিসংঘের মহাসচিব কফি আনান তার পদের মেয়াদ বর্ধিত করেননি[১৩]
সের্জিও ভিয়েইরা ডি মেলো ব্রাজিল ব্রাজিল ২০০২–২০০৩ ২০০৩ সালের ১৯ আগস্ট বাগদাদের ক্যানাল হোটেল বোমা হামলায় মারা যান[১৪]
বার্ট্রান্ড রামচরণ গায়ানা গায়ানা ২০০৩–২০০৪ ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার
লুইস আর্বর কানাডা কানাডা ২০০৪–২০০৮ দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য আবেদন করেননি[১৫]
নাভি পিল্লাই দক্ষিণ আফ্রিকা দক্ষিণ আফ্রিকা ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ – ৩১ আগস্ট ২০১৪ ২০১২ সালের ১ সেপ্টেম্বর তার সাধারণ পরিষদে তার দায়িত্বকাল অর্ধেক মেয়াদে (দুই বছর) বৃদ্ধি করা হয়[১৬]
প্রিন্স জায়েদ বিন রা’আদ বিন জায়েদ আল হুসাইন জর্ডান জর্ডান ১ সেপ্টেম্বর ২০১৪ – ৩১ আগস্ট ২০১৮
মিশেল বাশলে চিলি চিলি ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ – ৩১ আগস্ট ২০২২ ২০১৮ সালের ১০ আগস্ট সাধারণ পরিষদে নির্বাচিত হন[১৭]
ভলকার টুর্ক অস্ট্রিয়া অস্ট্রিয়া ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ – ৩১ আগস্ট ২০২৬ সাধারণ পরিষদের সম্মতিক্রমে ২০২২ সালের ৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস তাকে নিযুক্ত করেন[১৮][১৯]

সমালোচনা

[সম্পাদনা]

২০২০ ও ২০২১ সালে অনুরোধের ভিত্তিতে ওএইচসিএইচআর কর্তৃক প্রকাশিত চীনে জাতিসংঘের মানবাধিকার কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা চীনা ব্যক্তিদের তালিকা সাংবাদিক এমা রেইলি প্রকাশ করেন। ২০১২ সাল থেকে শুরু করে অন্তত ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকার পর, এর উপর সুনির্দিষ্ট নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে চীনা কমিউনিস্ট পার্টি আগে থেকে কর্মকর্তাদের নাম জেনে নিয়ে চীন থেকে জেনেভায় যাওয়া প্রতিহত করে তাদের যোগদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে।[২০][২১][২২]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]
  1. সাধারণভাবে মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় বা জাতিসংঘ মানবাধিকার কার্যালয় নামেও পরিচিত।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "High Commissioner for Human Rights - UN Documentation: Human Rights" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  2. "OHCHR | High Commissioner" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  3. "Brief history" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  4. "OHCHR | Funding and Budget" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  5. "OHCHR | Who we are" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  6. "UNDG Members" (ইংরেজি ভাষায়)। ইউএনডিজি। ১১ মে ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১২ 
  7. "General Assembly resolution 48/141 of 20 December 1993 (A/RES/48/141)" (ইংরেজি ভাষায়)। ইউএন ডকুমেন্ট। 
  8. An overview of the United Nations Human Rights system (ইংরেজি) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ৩ মে ২০১৪ তারিখে; হোগান লোভেলস ইন্টারন্যাশনাল এলএলপি; অ্যাডভোকেটস ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট; ২০১২; সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০১৩
  9. "Deputy High Commissioner" (ইংরেজি ভাষায়)। ওএইচসিএইচআর। সংগ্রহের তারিখ ৩ ডিসেম্বর ২০১৩ 
  10. "Ivan Šimonović Secretary-General for Human Rights" (ইংরেজি ভাষায়)। ওএইচসিএইচআর। ১৭ জুলাই ২০১০। ২৫ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১২ 
  11. "OHCHR | Andrew Gilmour"ওএইচসিএইচআর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ডিসেম্বর ২০১৮ 
  12. "OHCHR | Ilze Brands Kehris"ওএইচসিএইচআর (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৫ মার্চ ২০২১ 
  13. বার্কম্যান, অলিভার (৩১ জুলাই ২০০২)। "America forced me out, says Robinson"দ্য গার্ডিয়ান (ইংরেজি ভাষায়)। ২৬ আগস্ট ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০০৮ 
  14. পাওয়ার, সামান্থা (২০০৮)। চেজিং দ্য ফ্লেম: ওয়ান ম্যান’স ফাইট টু সেভ দ্য ওয়ার্ল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। পেঙ্গুইন বুকস। পৃষ্ঠা ৪৯২। আইএসবিএন 978-0-14-311485-7  অজানা প্যারামিটার |অবস্থা= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  15. "Louise Arbour will not be seeking a second term as High Commissioner"ওএইচসিএইচআর (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ মার্চ ২০০৮। ২৭ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ সেপ্টেম্বর ২০০৮ 
  16. "United Nations High Commissioner for Human Rights, Navi Pillay, to Serve Two More Years, by General Assembly Decision" (ইংরেজি ভাষায়)। জাতিসংঘ। ২৪ মে ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ১০ ডিসেম্বর ২০১২ 
  17. "'Pioneering' former Chilean President Michelle Bachelet officially appointed new UN human rights chief"জাতিসংঘ (ইংরেজি ভাষায়)। ১০ আগস্ট ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর ২০১৮ 
  18. "Secretary-General António Guterres on Thursday appointed Volker Türk of Austria as the next United Nations High Commissioner for Human Rights, following approval by the General Assembly" (ইংরেজি ভাষায়)। ইউএন নিউজ। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২২। সংগ্রহের তারিখ ১১ সেপ্টেম্বর ২০২২ 
  19. ফার্জ, এমা (৮ সেপ্টেম্বর ২০২২)। "Austria's Turk appointed U.N. human rights chief"রয়টার্স (ইংরেজি ভাষায়)। 
  20. "Leaked emails confirm UN passed info to China in name-sharing scandal"আন্দালু অ্যাজেন্সি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২১ 
  21. ইভানস্কি, বেন (১৪ ডিসেম্বর ২০১৯)। "UN Human Rights Office accused of helping China keep an eye on dissidents"ফক্স নিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২১ 
  22. "UN passed dissidents' info to China, says a UN employee"টিআরটি ওয়ার্ল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০২১ 

আরও পড়ুন

[সম্পাদনা]
  • রামচরণ, বার্ট্রান্ড জি (২০০৪)। "The United Nations High Commissioner for Human Rights – The Challenges of International Protection"। ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ ইন হিউম্যান রাইটস (ইংরেজি ভাষায়)। ক্লুয়ার পাবলিশার্স। ৭১ 
  • হবিনস, এ জে (২০০১)। "Humphrey and the High Commissioner: the Genesis of the Office of the UN High Commissioner for Human Rights"। জার্নাল অব দ্যা হিস্ট্রি অব ইন্টারন্যাশনাল ল (ইংরেজি ভাষায়) (৩): ৩৮–৭৪। ডিওআই:10.1163/15718050120956893 
  • ডি জায়াস, আলফ্রেড (২০০২)। "Human Rights, United Nations High Commissioner for"। হেলমুট ভলগার। কনসাইজ এনসাইক্লোপিডিয়া অব দি ইউনাইটেড ন্যাশনস (ইংরেজি ভাষায়)। ক্লুয়ার। পৃষ্ঠা ২১৭–২২৩। 
  • ডি জায়াস, আলফ্রেড (২০০০)। "United Nations High Commissioner for Human Rights"। রুডলফ বার্নহার্ট। এনসাইক্লোপিডিয়া অব পাবলিক ইন্টারন্যাশনাল ল (ইংরেজি ভাষায়)। । আমস্টারডাম: এলসাভিয়ের। পৃষ্ঠা ১১২৯–১১৩২। 
  • গায়ের, ফেলিস ডি; ব্রেকার, ক্রিস্টেন এল, সম্পাদকগণ (২০১৩)। দি ইউনাইটেড ন্যাশনস হাইকমিশন ফর হিউম্যান রাইটস: কনসায়েন্স ফর দ্য ওয়ার্ল্ড (ইংরেজি ভাষায়)। মার্টিনাস নিজহফ পাবলিশার্স। আইএসবিএন 978-90-04-25425-1 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]