বিষয়বস্তুতে চলুন

জাতিনিধন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(জাতিগত নিধন থেকে পুনর্নির্দেশিত)
আসল চিত্র-বিবরণীটিতে বলা হয়েছে: "খুনিদের করা গভীর ক্ষত খুলিগুলিতে দৃশ্যমান যা মুরাম্বি বিদ্যালয়ের একটি কক্ষ পূরণ করে।" রুয়ান্ডার গণহত্যার পরে।

জাতিনিধন (ইংরেজি Genocide) বলতে ইচ্ছাকৃতভাবে পরিকল্পিত পদ্ধতিতে প্রতিপক্ষ কোন ক্ষুদ্র গোষ্ঠী অথবা জাতির সদস্যদেরকে গোপনে বা প্রকাশ্যে সমূলে বিনাশ করার লক্ষ্যে গৃহীত হত্যা ও অন্যান্য অপরাধকর্মকে বোঝায়।

১৯৪৪ সালে রাপহেল লেমকিন এর লেখা অ্যাক্সিস রুল বইয়ে জাতিনিধনের বিভিন্ন শর্তাবলী উল্লেখ করা হয়। [][] ১৯৪৮ সালে প্রতিষ্ঠিত জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন' গণহত্যাকে সংজ্ঞায়িত করে বলে,"গণহত্যা হলো হত্যাকারী সদস্যদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ একটি জঘন্য কাজ, যার মূল লক্ষ হলো, সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে জাতিগত বা ধর্মীয় গোষ্ঠী ধ্বংস করা। আরো উল্লেখ করে বলা হয় যে, ইচ্ছাকৃতভাবে এমন অবস্থার সৃষ্টি করা, যা আংশিকভাবে জনগণের শারীরিক ধ্বংসও ঘটায়। ইতিহাসে গণহত্যার পাতায় নাম লিখিয়েছেন এমন অমানবিক গণহত্যাগুলো হল - ইহুদি গণহত্যা (শোওয়া বা দ্য হলোকস্ট), 'গ্রিক জাতিনিধন', 'সার্বীয় জাতিনিধন', 'হলোদোমার জাতিনিধন', 'ইন্দোনেশিয়ার জাতিনিধন' এবং '১৯৭১ সালের বাংলাদেশের জাতিনিধন'।

পলিটিক্যাল ইন্সাটাবিলিটি টাস্ক ফোর্সের দেয়া তথ্যমতে ১৯৫৬ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বিশ্বে মোট ৪৩টি জাতিনিধন সংঘটিত হয়, যেখানে শিশু-নারী-পুরুষ-বৃদ্ধ মিলিয়ে প্রাণ হারানো মানুষের পরিমাণ প্রায় ৫০ লক্ষ।[] বিশ্লেষকদের মতে এটি বিশ্বের জন্য অতীব ভয়াবহ এক চিত্র উপস্থাপন করেছে। জাতিনিধনের প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে "এমন দৃশ্য চোখে দেখার আগে মৃত্যুও উত্তম ছিল"। এমন ঘটনা যেন পরবর্তীতে আর না ঘটে এমন প্রত্যাশাই এখন বিশ্ববাসীর।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. William Schabas (২০০০)। Genocide in international law: the crimes of crimes। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 25। আইএসবিএন 9780521787901Lemkin's interest in the subject dates to his days as a student at Lvov University, when he intently followed attempts to prosecute the perpetration of the massacres of the Armenians. 
  2. Power 2003, পৃ. 22–29।
  3. Charles H. Anderton, Jurgen Brauer, সম্পাদক (২০১৬)। Economic Aspects of Genocides, Other Mass Atrocities, and Their Prevention। Oxford University Press। আইএসবিএন 978-0-19-937829-6 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

উৎসপঞ্জি

[সম্পাদনা]

গবেষণা প্রতিষ্ঠান, ওকালতি গোষ্ঠী এবং অন্যান্য সংস্থা

[সম্পাদনা]