জাগীর কৌর
জাগির কাউর | |
---|---|
জন্ম | ১৫ অক্টোবর ১৯৫৪ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ |
রাজনৈতিক দল | শিরোমণি অকালী দল |
দাম্পত্য সঙ্গী | প্রয়াত এস. চরণজিত সিং |
সন্তান | দুটি সন্তান |
পুরস্কার | ভগীরথ পুরস্কার |
ওয়েবসাইট | http://bibijagirkaur.co.in |
বিবি জাগির কাউর প্রথম নারী যিনি দ্বিতীয়বারের মত শিরোমণি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন। শিরোমণি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটি হল এমন একটি সংগঠন, যেটি শিখদের ঐতিহাসিক ধর্মীয় স্থাপনাগুলো সংরক্ষণের পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও পরিচালনা করে থাকে। সংস্থাটির কার্যক্রম ভারতের ভারতের রাজ্যসমূহ ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলসমূহ, যেমন পাঞ্জাব, হরিয়াণা, হিমাচল প্রদেশ, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড় জুড়ে বিস্তৃত।
জন্ম
[সম্পাদনা]১৯৫৪ সালের অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখে পাঞ্জাব প্রদেশের জলন্ধর জেলার ভাতনুরা লুবনা গ্রামে তিনি জন্মগ্রহণ করেন।[১]
রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]তিনি রাজনীতিতে আসার পূর্বে স্থানীয় একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গণিতের শিক্ষক ছিলেন।[২] ১৯৯৫ সালে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের শিখ ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল শিরোমণি অকালী দলে যোগদান করেন। দলটির পাঞ্জাব প্রদেশে শক্ত ভিত্তি রয়েছে। রাজনীতিতে খুব দ্রুতই উপরের দিকে উঠতে থাকেন তিনি। অল্পদিনের মাঝেই দলের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ১৯৯৭ সালে পাঞ্জাব বিধানসভার কাপুরথালা জেলার ভোলাথ আসন থেকে তিনি নির্বাচিত হন। সে বছর পাঞ্জাব প্রদেশে শিরোমণি অকালী দল সরকার গঠন করেন, প্রাদেশিক সরকারের মন্ত্রিসভাতে তিনি যুক্ত হন। তিনি পাঞ্জাবের পর্যটন ও সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী ছিলেন। এছাড়াও ২০০৭ সালে পাঞ্জাবে গঠিত প্রকাশ সিং বাদলের মন্ত্রিসভাতেও তিনি যুক্ত ছিলেন। ২০১৯ সালে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনি খাদুর সাহিব আসন থেকে শিরোমণি অকালী দলের প্রার্থী মনোনীত হয়েছেন।[৩]
শিরোমণি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটিতে জাগির কাউর
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৯৯ সালের মার্চ মাস থেকে ২০০০ সালের নভেম্বর মাস পর্যন্ত প্রথমবারের মত শিরোমণি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছিলেন। প্রথমবার সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করার আগে তিনি মন্ত্রীত্বে ইস্তফা দিয়েছিলেন। ২০০৪ সালে গুরুচরণ সিং তোহরা মারা গেলে সংগঠনটির সভাপতির পদ খালি হয়।[৪] এরপর শিরোমণি আকালি দলের নেতা সুখদেব সিং ভাউর এবং হর্ষবিন্দর সিং কর্তৃক তার নাম প্রস্তাব করা হয়। আর কোন প্রার্থী না থাকায় তিনি দ্বিতীয়বারের মত শিরোমণি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হন।
সমালোচনা
[সম্পাদনা]২০০০ সালের এপ্রিল মাসের ২০ তারিখে তার কন্যা হরপ্রীত কাউরের রহস্যজনক মৃত্যু হয়।[৫] এরপর বিষয়টি সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন তদন্ত করে। তদন্তে বেরিয়ে আসে যে, ব্যাপারটা সম্মান রক্ষার্থে হত্যা ছিল। এতে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাকে শিরোমণি গুরুদুয়ারা প্রবন্ধক কমিটির সভাপতির পদ ছাড়তে হয়।[৬] এই ঘটনার জন্য তার বিরুদ্ধে ইন্ডিয়ান পেনাল কোডের ১২০-বি, ২০১, ৩০২, ৩১৩, ৩৪৪ ও ৩৬৫ ধারায় অভিযোগ গঠন হয়।[৭][৮] তিনি দোষী প্রমাণিত হন। তবে, তার বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় অভিযোগ গঠন নামঞ্জুর করে আদালত। তিনি পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন।[৯]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ https://m.hindustantimes.com/punjab/from-a-school-teacher-to-first-woman-sgpc-chief/story-UdpNjoKKT9RYCqN1s4sKVJ.html
- ↑ From a maths teacher to SGPC chief Singh, Bajinder Pal, 17 March 1999, The Indian Express
- ↑ https://www.business-standard.com/article/pti-stories/sad-fields-ex-sgpc-chief-bibi-jagir-kaur-from-khadoor-sahib-119031200645_1.html
- ↑ "The Hindu : National : Jagir Kaur is SGPC chief again"। ১ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ Bibi’s teenaged daughter dead Mystery shrouds circumstances Singh, Varinder, 21 April 1999, The Tribune
- ↑ "The case of a mother and daughter"। ৬ অক্টোবর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৬ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ মার্চ ২০১৯।
- ↑ http://myneta.info/pb2012/candidate.php?candidate_id=55
- ↑ Bibi Jagir Kaur jailed for role in daughter's kidnapping; murder charges dropped Angre, Keti, 31 March 2002, NDTV