জর্জ হার্ন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জর্জ হার্ন
আনুমানিক ১৮৯৫ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে জর্জ হার্ন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজর্জ গিবন্স হার্ন
জন্ম(১৮৫৬-০৭-০৭)৭ জুলাই ১৮৫৬
ইলিং, মিডলসেক্স, ইংল্যান্ড
মৃত্যু১৩ ফেব্রুয়ারি ১৯৩২(1932-02-13) (বয়স ৭৫)
ডেনমার্ক হিল, লন্ডন, ইংল্যান্ড
ডাকনামজিজি
ব্যাটিংয়ের ধরনবামহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি রাউন্ড-আর্ম মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
সম্পর্কজর্জ হার্ন (পিতা)
ফ্রাঙ্ক হার্ন (ভ্রাতা)
অ্যালেক হার্ন (ভ্রাতা)
পরিবারের অন্যান্য
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
একমাত্র টেস্ট
(ক্যাপ ৭৭)
১৯ মার্চ ১৮৯২ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৮৭৫ - ১৮৯৫কেন্ট
১৮৭৭ - ১৯০৩এমসিসি
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা ৩২৮
রানের সংখ্যা ৯,০২২
ব্যাটিং গড় ০.০০ ১৭.৫১
১০০/৫০ ০/০ ৫/৪০
সর্বোচ্চ রান ১২৬
বল করেছে ৩২,৮১৮
উইকেট ৬৮৬
বোলিং গড় ১৬.৭৬
ইনিংসে ৫ উইকেট ৪১
ম্যাচে ১০ উইকেট ১২
সেরা বোলিং ৮/২১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ২১৫/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২০ মার্চ ২০২০

জর্জ গিবন্স হার্ন (ইংরেজি: George Gibbons Hearne; জন্ম: ৭ জুলাই, ১৮৫৬ - মৃত্যু: ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২) মিডলসেক্সের ইলিং এলাকায় জন্মগ্রহণকারী পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৯২ সালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে কেন্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি রাউন্ড-আর্ম মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, নিচেরসারিতে বামহাতে ব্যাটিং করতেন ‘জিজি’ ডাকনামে পরিচিত জর্জ হার্ন

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

সুপরিচিত ক্রিকেটপ্রিয় হার্ন পরিবারের সদস্য ছিলেন জর্জ হার্ন। অ্যালেক ও ফ্রাঙ্ক নামীয় অপর দুই ভ্রাতা টেস্ট খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। ৭ জুলাই, ১৮৫৬ তারিখে তৎকালীন মিডলসেক্সের ইলিং এলাকায় জর্জ গিবন্স হার্নের জন্ম। তার বাবা জর্জ হার্ন মিডলসেক্সের পক্ষে খেলেছেন ও পরবর্তীতে ১৮৭২ সালে ক্যাটফোর্ডভিত্তিক প্রাইভেট ব্যাংক স্পোর্টস গ্রাউন্ডের মাঠকর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন।[১][২] তার অপর দুই ভাই - ফ্রাঙ্ক ও অ্যালেক উভয়েই কেন্টের পক্ষে খেলেছেন।[১]

১৮৭৫ সালে ক্যাটফোর্ডে ১৯ বছর বয়সে কেন্টের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে জর্জ হার্নের অভিষেক ঘটে।[৩] ১৮৭৬ সালে প্রিন্সেস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের মাঠকর্মী হিসেবে নিযুক্ত হন ও ১৮৭৭ সালে লর্ডসের মাঠকর্মী হন। ১৯০১ সাল পর্যন্ত তিনি এ দায়িত্বে বহাল ছিলেন।[২] শীতকালে পিতার সাথে ক্রিকেট মাঠ পরিচর্যায় নিজেকে সম্পৃক্ত রাখতেন। পাশাপাশি লুইসহামে খেলাধূলার সরঞ্জাম বিক্রয় প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করতেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৮৭৫ সাল থেকে ১৯০৩ সাল পর্যন্ত জর্জ হার্নের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। ১৮৭৫ সালে লর্ড হ্যারিসের নেতৃত্বে প্রথম বছরে কেন্টের নিজেদের খেলাগুলো ক্যাটফোর্ড ব্রিজে অনুষ্ঠিত হতো। ঐ গ্রীষ্মে উনিশ বছর পূর্তির অল্প কিছুদিন পূর্বে কেন্ট একাদশে খেলার সুযোগ লাভ করেন। এরপর থেকে পরবর্তী একুশ বছর এ ধারা অব্যাহত ছিল তার।[৩] ২৫০-এর অধিক খেলায় কেন্টের পক্ষে অংশগ্রহণের পাশাপাশি এমসিসি’র সদস্যরূপে ৪৯টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়েছেন তিনি।[২][৪]

১৮৮৫ সালে কাউন্টি ক্যাপ পরিধানের সুযোগ পান। ১৮৯০ সালে আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলার জন্যে মনোনীত হন। ১৮৯৫ সালে কেন্টের পক্ষে সর্বশেষ খেলায় অংশ নেন। ১৯০৩ সাল পর্যন্ত এমসিসি’র পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ধারাবাহিকভাবে অংশ নিলেও ঐ ক্লাবের পক্ষে ১৯১৫ সাল পর্যন্ত সর্বশেষ রেকর্ড দেখানো হয়েছে।[৪]

খেলোয়াড়ী জীবনের শুরুতে মূলতঃ বোলার হিসেবে খেলতেন জর্জ হার্ন।[৩] কেন্টের পক্ষে উইকেট প্রতি ১৭ রান খরচায় ৬৮৬ উইকেট লাভ করেছেন।[৫] রাউন্ড-আর্ম ভঙ্গীমা নিয়ে বামহাতি ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং করতেন। এরফলে, বলটি লেগ সাইড থেকে অফ সাইডে চলে যেতো। ফলশ্রুতিতে, অনেকগুলো ডিসমিসালই স্লিপ অঞ্চলে কটের মাধ্যমে লাভ করতেন। খেলোয়াড়ী জীবনের শেষদিকে ব্যাটিংয়ের দিকে মনোনিবেশ ঘটান ও প্রকৃতমানের অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।[৬]

কেন্টের পক্ষে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে সাড়ে ষোল রান গড়ে ৫৭৭ উইকেট পান। এছাড়াও, ব্যাট হাতে নিয়ে ১৮ গড়ে ৭,৩৪৪ রান তুলেন। ১৮৭৭ ও ১৮৭৮ সালে বোলিং কর্মে মনোনিবেশ ঘটানোয় উইকেট প্রতি ১২ রান খরচ ২০১ উইকেট সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ১৮৮৬ সালে ব্যাটসম্যান হিসেবে সর্বাধিক সফলতার স্বাক্ষর রাখেন। সহস্রাধিক রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন। তন্মধ্যে, কেন্টের পক্ষে ৪১ গড়ে ৯৮৭ রান তুলেন।[৩] সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নিয়ে ঐ মৌসুমে ১১২৫ রান তুলেন।

গ্রেভসেন্ডে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ১২৬ রানের ইনিংস খেলেন। মিডলসেক্সের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ঐ খেলায় স্বীয় ভ্রাতা ফ্রাঙ্ক হার্নের সাথে ২২৬ রানের জুটি গড়েছিলেন।[৩] ক্যান্টারবারিতে ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে ১১৭ রান তুলেন। এ পর্যায়ে সেসিল উইলসনের সাথে ২১৫ রানের জুটি গড়েন। তিন বছর পর গ্রেভসেন্ডে সাসেক্সের বিপক্ষে ১০৩ রান করেন। ফ্রাঙ্ক মার্চেন্টের সাথে ২৪৯ রানের জুটিতে মার্চেন্টের অবদান ছিল ১৭৬।

বেশ কয়েকবার ইনিংসে আট উইকেট পেয়েছেন তিনি।[৩] ওল্ড ট্রাফোর্ডে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে হ্যাট্রিকসহ ৮/৪৬ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করান। উইনচেস্টারে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ৪/৯, ডার্বিতে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ১৩০ রান খরচায় চৌদ্দ উইকেট, সাউদাম্পটনে হ্যাম্পশায়ারের বিপক্ষে ৭৫ রান খরচায় তেরো উইকেট, লর্ডসে এমসিসি’র বিপক্ষে ৪৫ রান খরচায় চৌদ্দ উইকেট ও ক্যান্টারবারিতে ল্যাঙ্কাশায়ারের বিপক্ষে ৮/৫৩ বোলিং পরিসংখ্যান সত্তরের দশকে করেছিলেন।

স্মরণীয় ভূমিকা[সম্পাদনা]

মে, ১৮৭৮ সালে লর্ডসে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় অংশ নিয়েছিলেন। এ সফরে সফরকারীরা শক্তিশালী এমসিসি দলকে ৩৩ ও ১৯ রানে গুটিয়ে দেয়। তারা ৪১ ও ১২/১ করে খেলায় একদিনেই জয় তুলে নেয়।

১৮৮৪ সালে অস্ট্রেলিয়া দল ইংল্যান্ড গমন করে। সফররত দলের বিপক্ষে কেন্ট দলের সদস্যরূপে অংশ নেন ও তার দল আট উইকেটে জয় পায়। দলটিতে লর্ড হ্যারিস, এফ. এ. ম্যাককিনন, ডব্লিউ. এইচ. প্যাটারসন, সেসিল উইলসন, এম. সি. কেম্প, স্ট্যানলি ক্রিস্টোফারসন, এফ. লিপসকম্ব, জর্জ হার্ন, ফ্রাঙ্ক হার্ন, অ্যালেক হার্ন ও জেমস উটন অংশ নিয়েছিলেন। তন্মধ্যে, জর্জ হার্ন এ স্মরণীয় জয়ের ৪৭ বছর পর সর্বাগ্রে দেহত্যাগ করেন।

১৮৮৯ সালে নটস, ল্যাঙ্কাশায়ার ও সারে দল চ্যাম্পিয়নশীপের দৌঁড়ে একযোগে এগিয়ে যায়। বেকেনহামে নটস দল প্রথমবারের মতো সম্মাননা লাভে শেষ খেলায় অংশ নেয়। কিন্তু, দ্বিতীয় ইনিংসে দলটি মাত্র ৩৫ রানে গুটিয়ে যায়। কেন্ট দল ৫২ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় ব্যাটিংয়ে নেমে ২৫/৬ অবস্থায় নিপতিত হয়। তবে, আর কোন উইকেট না হারিয়ে জয় তুলে নেয়। পৌনে দুই ঘণ্টা মাঠে অবস্থান করে তিনি ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন জর্জ হার্ন। ১৯ মার্চ, ১৮৯২ তারিখে কেপ টাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।

১৮৯১-৯২ মৌসুমে ওয়াল্টার রিড একাদশের নেতৃত্বাধীন ইংরেজ দলের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা গমনের জন্যে মনোনীত হন। একই সময়ে ডব্লিউ. জি. গ্রেসের নেতৃত্বে আরেকটি দল অস্ট্রেলিয়া গমন করেছিল। ঐ সফরের একমাত্র প্রথম-শ্রেণীর খেলাটি পরবর্তীতে স্মারকসূচক টেস্ট খেলার মর্যাদা লাভ করে। খেলায় তিনি মাত্র নয় রান তুলেছিলেন। তাসত্ত্বে এ সফরে সাধারণের কাছে নিজেকে তুলে ধরেছিলেন।[৭]

কেপ টাউনের নিউল্যান্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত ঐ টেস্টে তার ভাই অ্যালেক হার্ন ও কাকাতো ভাই জন টমাস হার্নসহ তিনি খেলেন। ইংল্যান্ডের পক্ষে খেলা তার আরেক ভাই ফ্রাঙ্ক হার্ন দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে খেলতে নামেন।[৮][৯]

খেলার ধরন[সম্পাদনা]

সকল ক্রিকেটারের কাছে ‘জিজি’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন। খেলোয়াড়ী জীবনের মাঝামাঝি সময় থেকে কার্যকরী বামহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেন। খুব কম সময়ই সি. এ. অ্যাবসলম এ সুযোগ গ্রহণ করা থেকে নিজেকে বঞ্চিত করতেন। সর্বদাই সঠিকভাবে ব্যাট চালনায় অগ্রসর হতেন। উত্তরোত্তর শক্তিমত্তা বৃদ্ধি করে অনেকগুলো চমৎকার ইনিংস খেলেছেন।

লর্ড হ্যারিস উল্লেখ করেছেন যে, তার ইনিংসগুলো আরও বড় হতে পারতো তবে অধিনায়কের পরামর্শে দ্রুত রান তুলতে গিয়ে তাকে প্যাভিলিয়নে ফেরৎ আসতে হয়েছে। তবে, ফিল্ডিংয়ে তেমন দক্ষ ছিলেন না। পয়েন্ট কিংবা মিড উইকেট অঞ্চলে অবস্থান করতেন। কেন্টের পক্ষে প্রথম মৌসুম অতিবাহিত করার পর প্রিন্সেসের সাথে যুক্ত হন ও ১৮৭৭ সাল থেকে এমসিসি’র সাথে যোগাযোগ রক্ষা করতে থাকেন। এমসিসি’র সাথে পরবর্তীতে প্রায় অর্ধ-শতাব্দী সংযুক্ত ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন জর্জ হার্ন। যোসেফ শ্যারন নামীয় কোচম্যানের কন্যা মেরি শ্যারনকে ১২ মার্চ, ১৮৮১ তারিখে বিয়ে করেন। ১৯১৬ সালে মেরি’র মৃত্যুর পর অ্যালেক তার অবিবাহিতা কন্যা মাবেলকে বিয়ে করেন।[২]

১৯৩২ সালে লন্ডনের ডেনমার্ক হিল এলাকার কিংস কলেজ হাসপাতালে ব্রোঙ্কাইটিস ও ইনফ্লুয়েঞ্জায় আক্রান্ত হন। সেখানেই ১৩ ফেব্রুয়ারি, ১৯৩২ তারিখে ৭৫ বছর বয়সে লন্ডনের ডেনমার্ক হিল এলাকায় জর্জ হার্নের দেহাবসান ঘটে।[২][১০]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Hearne, Alec, Obituaries in 1952, Wisden Cricketers' Almanack, 1953. Retrieved 2016-04-06.
  2. Ambrose D (2003) Brief profile of GG Hearne, CricketArchive. Retrieved 2017-10-29.
  3. Hearne, George Gibbons, Obituaries in 1932, Wisden Cricketers' Almanack, 1933. Retrieved 2017-10-28.
  4. George Hearne, CricketArchive. Retrieved 2017-10-28.
  5. Got him!, CricInfo, 2003-07-07. Retrieved 2017-10-28.
  6. Liverman D A profile of GG Hearne, CricketArchive. Retrieved 2017-10-29.
  7. The English team in South Africa 1891–92, Wisden Cricketers' Almanack, 1893. Retrieved 2016-04-06.
  8. Williamson M, Miller A (2006) Identity crisis, CricInfo, 2006-10-10. Retrieved 2016-04-05.
  9. Findall B (2010) The Wisden Book of Test Cricket, 1877–1977. (Available online, retrieved 2016-04-06).
  10. George Hearne, CricInfo. Retrieved 2017-10-28.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]