জয় ভট্টাচার্য (চিকিৎসক-বিজ্ঞানী)
জয় ভট্টাচার্য | |
|---|---|
অফিসিয়াল প্রতিকৃতি ২০২৫ | |
| জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ১৮তম পরিচালক | |
| দায়িত্ব গ্রহণ ১ এপ্রিল ২০২৫ | |
| রাষ্ট্রপতি | ডোনাল্ড ট্রাম্প |
| যার উত্তরসূরী | মনিকা বার্টাগনোলি |
| ব্যক্তিগত বিবরণ | |
| জন্ম | জয়ন্ত ভট্টাচার্য ১৯৬৮ (বয়স ৫৬–৫৭) কলকাতা, ভারত |
| শিক্ষা | স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় (বিএ, এমএ, এমডি, পিএইচডি) |
| যে জন্য পরিচিত | কোভিড-১৯ গ্রেট ব্যারিংটন ঘোষণা |
| বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন | |
| কর্মক্ষেত্র |
|
| প্রতিষ্ঠানসমূহ | স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় |
| ডক্টরাল উপদেষ্টা | টমাস ম্যাকার্ডি |
জয়ন্ত ভট্টাচার্য (জন্ম ১৯৬৮) একজন মার্কিন চিকিৎসক-বিজ্ঞানী এবং স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ। যিনি ২০২৫ সাল থেকে জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের ১৮তম পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। জয়ন্ত ২০২৫ সালের মার্চ পর্যন্ত স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসা, অর্থনীতি এবং স্বাস্থ্য গবেষণা নীতির অধ্যাপক ছিলেন। তিনি স্ট্যানফোর্ডের সেন্টার ফর ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড ইকোনমিক্স অব হেলথ অ্যান্ড এজিং-এর একজন গবেষক। তার গবেষণা স্বাস্থ্যসেবার অর্থনীতির উপর কেন্দ্রীভূত।[১][২][৩] ২০২৪ সালের নভেম্বরে, নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটস অব হেলথ-এর প্রধান হিসেবে মনোনীত করেন।[৪]
ভট্টাচার্য ২০২০ সালে কোভিড-১৯ মহামারির প্রতিক্রিয়ায় আরোপিত লকডাউন এবং মাস্ক পরিধানের আদেশের বিরোধিতা করেছিলেন।[৫][৬] মার্টিন কুলডর্ফ এবং সুনেত্রা গুপ্তার সঙ্গে তিনি ২০২০ সালে গ্রেট ব্যারিংটন ঘোষণাপত্রের সহ-লেখক ছিলেন। এই ঘোষণাপত্রে কম ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ব্যাপক সংক্রমণের মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের জন্য কোভিড-১৯ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, একইসঙ্গে প্রান্তিক ধারণা প্রচার করা হয়েছিল যে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিদের ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব।[৭][৮][৯] ঘোষণাপত্রটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রিয়েসুসের মতে অনৈতিক ও অবাস্তব বলে সমালোচিত হয়।[১০]
প্রাথমিক জীবন এবং শিক্ষা
[সম্পাদনা]জয়ন্ত ভট্টাচার্য ১৯৬৮ সালে ভারতের কলকাতায় একটি বাঙালি হিন্দু পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[১১] পরে তিনি মার্কিন নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন।[১২] তিনি স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতিতে ব্যাচেলর অফ আর্টস এবং মাস্টার অফ আর্টস ডিগ্রি ১৯৯০ সালে সম্মানের সাথে সম্পন্ন করেন এবং ফাই বেটা কাপা সোসাইটির সদস্যপদ অর্জন করেন। স্ট্যানফোর্ডেই তিনি একসঙ্গে চিকিৎসাশাস্ত্রে ডিগ্রি এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি করার জন্য পড়াশোনা চালিয়ে যান। তিনি ১৯৯৭ সালে ডাক্তারি ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ২০০০ সালে অর্থনীতিতে পিএইচডি সম্পন্ন করেন।[৩][১৩]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]ভট্টাচার্য তার কর্মজীবন শুরু করেন র্যান্ড কর্পোরেশনে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে (১৯৯৮-২০০১), একই সময়ে তিনি UCLA-র অর্থনীতি বিভাগের ভিজিটিং সহকারী অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[২][৫] পরে তিনি ২০০৬ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত হুভার ইনস্টিটিউশনে গবেষণা ফেলো হিসেবে কাজ করেন।
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভট্টাচার্য একাধিক একাডেমিক পদে রয়েছেন। তিনি মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এবং অর্থনীতি ও স্বাস্থ্য গবেষণা এবং নীতিতে সম্মানসূচক অধ্যাপকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি স্ট্যানফোর্ড ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক পলিসি রিসার্চের সিনিয়র ফেলো এবং স্ট্যানফোর্ডের সেন্টার ফর ডেমোগ্রাফি অ্যান্ড ইকোনমিক্স অফ হেলথ অ্যান্ড এজিং-এর পরিচালক। এছাড়াও, তিনি ফ্রিম্যান স্পোগলি ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের সিনিয়র ফেলো (সম্মানসূচক), এবং আকুমেন এলএলসি ও ন্যাশনাল ব্যুরো অফ ইকোনমিক রিসার্চে গবেষণা সহযোগী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।[২][১৩]
তার গবেষণা জনস্বাস্থ্য, সরকারি প্রকল্পের প্রভাব, এবং স্বাস্থ্য খাতে নতুন উদ্ভাবনের উপর ভিত্তি করে।[২][৩]
নির্বাচিত প্রকাশনা
[সম্পাদনা]- Bendavid, Eran; Oh, Christopher; Bhattacharya, Jay; Ioannidis, John P.A. (এপ্রিল ২০২১)। "Assessing Mandatory Stay-at-Home and Business Closure Effects on the Spread of COVID-19"। European Journal of Clinical Investigation। ৫১ (4): e১৩৪৮৪। ডিওআই:10.1111/eci.13484। আইএসএসএন 0014-2972। পিএমসি 7883103। পিএমআইডি 33400268।
- Alsan, Marcella; Atella, Vincenzo; Bhattacharya, Jay; এবং অন্যান্য (ফেব্রুয়ারি ২০১৯)। "Technological Progress and Health Convergence: The Case of Penicillin in Post-War Italy"। Working Paper। Working Paper Series (25541)। National Bureau of Economic Research। ডিওআই:10.3386/w25541। এস২সিআইডি 4903383। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২১।
- Goldhaber-Fiebert, Jeremy D.; Studdert, David M.; Farid, Monica S.; Bhattacharya, Jay (২০১৫)। "Will Divestment From Employment-Based Health Insurance Save Employers Money? The Case of State and Local Governments"। Journal of Empirical Legal Studies। ১২ (3): ৩৪৩–৩৯৪। ডিওআই:10.1111/jels.12076। এস২সিআইডি 154837009। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২১।
- Bhattacharya, Jay; Gathmann, Christina; Miller, Grant (২০১৩)। "The Gorbachev Anti-Alcohol Campaign and Russia's Mortality Crisis"। American Economic Journal: Applied Economics। ৫ (2): ২৩২–২৬০। ডিওআই:10.1257/app.5.2.232। পিএমসি 3818525। পিএমআইডি 24224067।
- Yoo, Byung-Kwang; Kasajima, Megumi; Bhattacharya, Jay (ফেব্রুয়ারি ২০১০)। "Public Avoidance and the Epidemiology of novel H1N1 Influenza A"। Working Paper। Working Paper Series (15752)। National Bureau of Economic Research। ডিওআই:10.3386/w15752। এস২সিআইডি 128860977। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২১।
- Bhattacharya, Jay; Bundorf, Kate; Pace, Noemi; Sood, Neeraj (এপ্রিল ২০০৯)। "Does Health Insurance Make You Fat?" (পিডিএফ)। Working Paper। Working Paper Series (15163)। National Bureau of Economic Research। ডিওআই:10.3386/w15163। এইচডিএল:10278/31283।
- Bhattacharya, Jay; Choudhry, Kavita; Lakdawalla, Darius (জানুয়ারি ২০০৮)। "Chronic disease and severe disability among working-age populations"। Medical Care। ৪৬ (1): ৯২–১০০। ডিওআই:10.1097/MLR.0b013e3181484335। পিএমআইডি 18162861। এস২সিআইডি 45230256। সংগ্রহের তারিখ ১৩ জুন ২০২১।
- Bhattacharya, Jay; Bundorf, M. Kate (মে ২০০৯)। "The Incidence of the Healthcare Costs of Obesity"। Journal of Health Economics। ২৮ (3): ৬৪৯–৬৫৮। ডিওআই:10.1016/j.jhealeco.2009.02.009। পিএমসি 4224588। পিএমআইডি 19433210।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Profile: Jayanta Bhattacharya"। Stanford University।
- 1 2 3 4 "Jay Bhattacharya, MD, PhD"। Stanford Health Policy। ২৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ নভেম্বর ২০২০।
- 1 2 3 Jones, Kara (১১ আগস্ট ২০২০)। "Jay Bhattacharya on Understanding the COVID-19 Virus"। Freopp। সংগ্রহের তারিখ ১৬ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ Stolberg, Sheryl Gay (২৬ নভেম্বর ২০২৪)। "Trump Picks Stanford Physician Who Opposed Lockdowns to Head N.I.H."। The New York Times। ২৭ নভেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০২৪।
- 1 2 D'Ambrosio, Amanda (১৯ অক্টোবর ২০২০)। "Who Are the Scientists Behind the Great Barrington Declaration?"। www.medpagetoday.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑ Maxouris, Christina (৩১ জুলাই ২০২১)। "As Covid-19 cases surge in Florida, governor says parents should decide whether their children wear masks to school"। CNN। সংগ্রহের তারিখ ২৫ আগস্ট ২০২১।
- ↑
- For "unethical", see Professor Sir Robert Lechler। "Navigating COVID-19 through the volume of competing voices | The Academy of Medical Sciences"। acmedsci.ac.uk। ১২ অক্টোবর ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০২০।;
- for the "impossible" nature of focused protection, see Gorski, David (১২ অক্টোবর ২০২০)। "The Great Barrington Declaration: COVID-19 deniers follow the path laid down by creationists, HIV/AIDS denialists, and climate science deniers"। Science-Based Medicine।;
- for "pseudoscience", see Reid Wilson (১৫ অক্টোবর ২০২০)। "Town of Great Barrington, Mass., comes out against Great Barrington Declaration"। The Hill।.
- ↑ D'Ambrosio, Amanda (১৯ অক্টোবর ২০২০)। "Who Are the Scientists Behind the Great Barrington Declaration?"। www.medpagetoday.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ Toy, Sarah; Hernandez, Daniela (১৮ অক্টোবর ২০২০)। "Scientists Push Back on Herd-Immunity Approach to Covid-19"। Wall Street Journal (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0099-9660। সংগ্রহের তারিখ ২৭ আগস্ট ২০২১।
A group of scientists is pushing back on renewed calls for a herd-immunity approach to Covid-19, calling the method of managing viral outbreaks dangerous and unsupported by scientific evidence. ... If immunity wanes after several months, as it does with the flu, patients could be susceptible to the virus after being infected, they said. That, they said, would result in recurrent and potentially large waves of infection, a common occurrence before vaccines were invented.
- ↑ Farzan, Antonia Noori; Berger, Miriam। "Trying to reach herd immunity is 'unethical' and unprecedented, WHO head says"। Washington Post (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২২।
- ↑ Nath, Sanstuti (২৪ নভেম্বর ২০২৪)। "Jay Bhattacharya, Born In Kolkata, Emerges As Trump's Top Pick To Head US Health Agency"। NDTV 24x7 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০২৪।
- ↑ Jay Bhattacharya [@DrJBhattacharya]। "I remember how proud I was when I became a naturalized American citizen" (টুইট)। সংগ্রহের তারিখ ২২ ডিসেম্বর ২০২২ – টুইটার এর মাধ্যমে।
- 1 2 "Jay Bhattacharya, M.D., Ph.D."। cap.stanford.edu। Stanford University। ১৪ এপ্রিল ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২১।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- গুগল স্কলার দ্বারা সূচীবদ্ধ জয় ভট্টাচার্যের প্রকাশনাসমূহ
- Curriculum Vitae
- ১৯৬৮-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ভারতীয় মহামারি বিশেষজ্ঞ
- ২১শ শতাব্দীর ভারতীয় অর্থনীতিবিদ
- স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় স্কুল অফ মেডিসিন প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- ভারতীয় চিকিৎসা শিক্ষায়তনিক
- কলকাতার চিকিৎসক
- মার্কিন হিন্দু
- স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অফ মেডিসিন ফ্যাকাল্টি
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় অভিবাসী
- ২১শ শতাব্দীর ভারতীয় চিকিৎসক
- মার্কিন স্বাস্থ্য অর্থনীতিবিদ
- কলকাতার শিক্ষায়তনিক
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভারতীয় প্রবাসী শিক্ষাবিদ
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাভাবিক নাগরিক
- দ্বিতীয় ট্রাম্প প্রশাসনের কর্মী
- ২১শ শতাব্দীর মার্কিন অর্থনীতিবিদ
- ২১শ শতাব্দীর মার্কিন চিকিৎসক
- মার্কিন মহামারি বিশেষজ্ঞ
- ক্যালিফোর্নিয়ার চিকিৎসক
- ক্যালিফোর্নিয়ার অর্থনীতিবিদ
- চিকিৎসক-বিজ্ঞানী
- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকীকৃত নাগরিক
- মার্কিন খ্রিস্টান