জয়নুল আবিদিন (রাজনীতিবিদ)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জয়নুল আবিদিন
زاينول عابدين
কুয়েতে নিয়োজিত সিঙ্গাপুর এর রাষ্ট্রদূত
(ভারপ্রাপ্ত)
দায়িত্বাধীন
অধিকৃত কার্যালয়
২৭ অক্টোবর ২০১১
পূর্বসূরীঅং কুয়ক পুন [১]
মেয়র উত্তর পূর্ব জেলা
কাজের মেয়াদ
২৪ নভেম্বর ২০০১ – ৩০ মে ২০০৯
উত্তরসূরীতিও সার লাক
রাজ্যের সিনিয়র মন্ত্রী,
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
কাজের মেয়াদ
৩০ মে ২০০৬ – ৭ মে ২০১১
আলজুনাইড জিআরসি
(য়ুনুস) আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২৫ অক্টোবর ২০০১ – ১৮ এপ্রিল ২০১১
চেঙ সান জি.আর.সি
(পুঙ্গল পূর্ব) আসনের
সংসদ সদস্য
কাজের মেয়াদ
২ জানুয়ারি ১৯৯৭ – ১৮ অক্টোবর ২০০১
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্ম (1948-03-17) ১৭ মার্চ ১৯৪৮ (বয়স ৭৬)
সিঙ্গাপুর
জাতীয়তাসিঙ্গাপুরিয়ান
রাজনৈতিক দলপিপলস অ্যাকশন পার্টি
সন্তান
প্রাক্তন শিক্ষার্থীসিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
পেশাকূটনীতিবিদ
ধর্মইসলাম

জয়নুল আবিদিন বিন মোহাম্মাদ রাশিদ (জন্ম: ১৭ মার্চ ১৯৪৮)[২] তিনি সিঙ্গাপুরের একজন কূটনীতিক, ব্যবসায় নির্বাহী এবং অবসরপ্রাপ্ত রাজনীতিবিদ।[৩] তিনি বর্তমানে কুয়েতে সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োজিত আছেন এবং মধ্যপ্রাচ্যে, সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ দূত।

জয়নুল আবিদিন রাশিদ টেম্যাসেক ইন্টারন্যাশনালের কর্পোরেট উপদেষ্টা এবং সিঙ্গাপুরসহ বিদেশে বেশ কয়েকটি কর্পোরেট বোর্ডের পদাধিকারী।

রাজনীতি থেকে অবসর নেয়ার আগে, ২০০১ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত তিনি এলজুয়েড গ্রুপ প্রতিনিধিত্ব অঞ্চলের (আলজুনাইড জিআরসি) সংসদ সদস্য (এমপি) হিসেবে কাজ করেছেন।

শিক্ষা[সম্পাদনা]

জয়নুল আবিদিন রাশিদ, জালান দাউদ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা গ্রহণ করেন, এরপর রাফেলস ইনস্টিটিউশন উচ্চ মাধ্যমিক এবং তারপরে সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি অর্থনীতি বিষয়ে পড়েন। ১৯৭৪ সালে তিনি সিঙ্গাপুরের বিস্ময়কর তরুণ হিসেবে স্বর্ণপদক লাভ করেন।

পেশা[সম্পাদনা]

সাংবাদিকতা পেশা[সম্পাদনা]

১৯৭৬ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের প্রেস হোল্ডিংসসহ এশিয়া নিউজ বুলেটিন, বেরিতা হরিয়ান এবং দ্য সানডে টাইমস এবং তারপরে স্ট্রেইট টাইমসের সহযোগী সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।

তিনি মেন্ডাকি (১৯৯০-১৯৯৩) এবং মজলিস উগামা ইসলাম সিঙ্গাপুর (এমআইআইএস) (১৯৯১-১৯৯৬) পর্যন্ত পরিচালকের দায়িত্বে ছিলেন।

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

তিনি প্রথম ১৯৯৭ সিঙ্গাপুর সাধারণ নির্বাচনের চেং সান গ্রুপের প্রতিনিধিত্বমূলক অঞ্চল পিএইচপি অ্যাকশন পার্টির অধীনে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন। বিরোধী দল ছিল চেং সান জিআরসি ওয়ার্কার্স পার্টি (ডাব্লুপি), যাদের উল্লেখযোগ্য প্রার্থী ছিল জে। বি। জেয়ারতনাম এবং টাং লিয়াং হং। পিএপি ঐ নির্বাচনে জয়লাভ করেছিল।

পরবর্তীতে ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচনে জয়নুল আবিদিন (আলজুনিয়েড জিআরসি) তে চলে যান। ২০০৬ সালের সাধারণ নির্বাচনে পিএইচপি জিআরসির বিরুদ্ধে পিআরপি জিআরসি ৫৬.০৯% ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছিলেন।

তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সংসদ সচিব ছিলেন। ২০০১ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত উত্তর-পূর্ব কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের মেয়র, এরপর ২০০৪ সালে তিনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ২০০৬ সালে সিঙ্গাপুরের একজন সিনিয়র মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

২০১১ সালে সিঙ্গাপুরের সাধারণ নির্বাচনে, জয়নুল আবিদিন পিএপি দলের হয়ে অংশ নিয়েছিলেন, যা আলজুনিয়েড জিআরসির কাছে পরাজিত হয়, ফলে তিনি তার সংসদীয় আসন হারিয়েছেন।[৪]

বিভিন্ন সেবামূলক কাজে অবদান ও পদবী[সম্পাদনা]

তিনি বিভিন্ন সেবা ও উন্নয়ন মূলক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। যেমন:

  • সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এর সদস্য,
  • এনটিইউসি হেলথ কেয়ার কো-অপারেটিভ লিমিটেড ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য,
  • ম্যান্ডাকি হোল্ডিংস এর পরিচালক বোর্ডের সদস্য,
  • রিয়ার বোর্ড অফ গভর্নরস এর সদস্য,
  • সিঙ্গাপুর পোর্ট ওয়ার্কার্স ইউনিয়নের উপদেষ্টা,
  • মালয়েশিয়ান হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রাক্তন ডেপুটি চেয়ারম্যান,
  • জাতীয় মেডিকেল কমিটির সদস্য।

২০১১ সালের সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠিত সিঙ্গাপুরের সাধারণ নির্বাচনের পরে জয়নুল আবিদিন রাশিদ সিঙ্গাপুর প্রেস হোল্ডিংসগুলোর মালিকানাধীন এসপিএইচ ইউনিয়ন ওয়ার্কার্সের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন।[৫] যার মাধ্যমে সিঙ্গাপুরের দুটি রেডিও স্টেশন পরিচালিত হয় ৯১.৩ এফএম এবং ১০০.৩ এফএম[৬]

তিনি এসপিএইচ এর প্রকাশনী সংস্থা আর্ম প্রকাশক ও স্ট্রাইটস টাইমস প্রেসের (এসটিপি) পরামর্শক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।[৭]

তিনি কুয়েতে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূতের (অস্থায়ী) দায়িত্ব পালন করেছেন[৮] এবং মধ্যপ্রাচ্যে পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর বিশেষ দূত ছিলেন।[৯][১০]

জয়নুল আবিদিন রাশিদ, স্থানীয় ও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার বোর্ডে দায়িত্ব পালন করেছেন। যেমন: ডায়মন্ড এনার্জি কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, অস্ট্রেলিয়ার তালিকাভুক্ত ওএম হোল্ডিংসসের স্বাধীন পরিচালক, মিডিয়াকপের পরিচালক, জাতীয় ভলান্টিয়ার ফিল্যানথ্রোপি সেন্টারের ডেপুটি চেয়ারম্যান এবং ডেমেক্টর অফ টেমেসেক কেরেসসহ বিভিন্ন স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংস্থার বোর্ডেও কাজ করেন।[১১][১২]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

জয়নুল আবদিন বিবাহিত এবং তার চারজন সন্তান আছে।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "MFA Press Statement : Appointment of Singapore's Ambassador to The State of Israel, Singapore's Ambassador to The State of Kuwait and Singapore's Ambassador to The State of Qatar" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Singapore: Ministry of Foreign Affairs। ২৮ ডিসেম্বর ২০০৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৬ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  2. Curriculum Vitae.[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] www.parliament.gov.sg, 1 June 2009. Retrieved 27 June 2011.
  3. Teo, Wan Gek (১০ সেপ্টেম্বর ২০১১)। "Possible second advisers for Aljunied grassroots"। The Straits Times। Singapore Press Holdings। 
  4. "Many remain hurt by MM Lee's remarks"www.pressreader.com। ১৩ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৮ 
  5. "SPH acquires NTUC's remaining 7.1% stake in SPH UnionWorks"AsiaOne। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৮ 
  6. "Zainul Abidin Bin Mohamed Rasheed: Executive Profile & Biography - Bloomberg"www.bloomberg.com। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৮ 
  7. "News - Singapore Press Holdings"sph.listedcompany.com (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৭-০৯-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৮ 
  8. "MFA Press Statement: Appointment of Singapore's Non-Resident Ambassador to the State of Kuwait" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Singapore: Ministry of Foreign Affairs। ২৭ অক্টোবর ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  9. "MFA Press Statement: Singapore's Representation at the Inauguration Ceremony Marking the Opening of the New Expanded Suez Canal, Egypt, 6 August 2015" (সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)। Singapore: Ministry of Foreign Affairs। ৬ আগস্ট ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ৫ জানুয়ারি ২০১৬ 
  10. "'New' Suez Canal opens for business"The Straits Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৫-০৮-০৭। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৮ 
  11. "Temasek Foundation Cares - Board of Directors & Management Team"www.temasekcares.org.sg। ২০১৭-০৯-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৮ 
  12. "LCD Global Investments appoints Zainul Abidin Bin Mohamed Rasheed as director"Singapore Business Review। ২০১৭-০৯-১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৯-১৮