জন ম্যাগুইর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জন ম্যাগুইর
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন নরম্যান ম্যাগুইর
জন্ম১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬
মারউইলাম্বা, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩২১)
২৬ ডিসেম্বর ১৯৮৩ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২৮ এপ্রিল ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ৭২)
২৩ জানুয়ারি ১৯৮৩ বনাম ইংল্যান্ড
শেষ ওডিআই৬ অক্টোবর ১৯৮৪ বনাম ভারত
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ২৩
রানের সংখ্যা ২৮ ৪২
ব্যাটিং গড় ৭.০০ ৭.০০
১০০/৫০ -/- -/-
সর্বোচ্চ রান ১৫* ১৪*
বল করেছে ৬১৬ ১০০৯
উইকেট ১০ ১৯
বোলিং গড় ৩২.২৯ ৪০.৪৭
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ৪/৫৭ ৩/৬১
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ২/- ২/-
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০

জন নরম্যান ম্যাগুইর (ইংরেজি: John Maguire; জন্ম: ১৫ সেপ্টেম্বর, ১৯৫৬) নিউ সাউথ ওয়েলসের মারউইলাম্বা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৪ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটে কুইন্সল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে ইস্টার্ন প্রভিন্স ও ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ার দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতে ফাস্ট-মিডিয়াম বোলিং করতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন জন ম্যাগুইর

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার জন ম্যাগুইর ওয়ারহাউজ ক্রিকেটের পক্ষে খেলতেন। এরপর, ২০ বছর ৭৪ দিন বয়সে কুইন্সল্যান্ডভিত্তিক উইনাম ম্যানলির পক্ষে ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে। ১৯৭৭ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত আট মৌসুমের অধিক সময় উইনামের পক্ষে খেলেন। এ পর্যায়ে ১৯.১৮ গড়ে ৯৬ উইকেট পান।[১]

১৯৭৭-৭৮ মৌসুম থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত জন ম্যাগুইরের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী শশ্রুমণ্ডিত ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার ছিলেন জন ম্যাগুইর। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে তিনটি টেস্ট খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে রাজ্য দল কুইন্সল্যান্ডের পক্ষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। শেফিল্ড শিল্ডের খেলায় মাইকেল মারান্তা’র স্থলাভিষিক্ত হন। তবে, ১৯৮১-৮২ মৌসুমের পূর্ব-পর্যন্ত দলের নিয়মিত সদস্যের মর্যাদা লাভ করতে পারেননি। ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে ২৮ উইকেট লাভ করেন ও প্রথম ২৩টি একদিনের খেলায় অংশ নেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট ও তেইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন জন ম্যাগুইর। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৮৩ তারিখে মেলবোর্নে সফরকারী পাকিস্তান দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৮ এপ্রিল, ১৯৮৪ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৮২-৮৩ মৌসুমে প্রথমবারের মতো একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন। এপ্রিল, ১৯৮৩ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে শ্রীলঙ্কা গমন করেন। তবে, কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করার সুযোগ লাভ করেননি। টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ না পেলেও কয়েকটি একদিনের খেলায় মাঠে নেমেছিলেন।[২] ডিসেম্বরে, ১৯৮৩ সালে মেলবোর্নে সফরকারী পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে অভিষেক ঘটে জন ম্যাগুইরের। তিনি রডনি হগের স্থলাভিষিক্ত হয়েছিলেন।[৩]

১৯৮৪ সালে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্যরূপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ গমনার্থে তাকে দলে রাখা হয়। ১৯৮৩-৮৪ মৌসুমে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টেস্টে অংশ নেন। এ সফরে ২৪.৮০ গড়ে ২৬ উইকেট পান। ১৯৮৫ সালে ইংল্যান্ড গমনে তাকে দলে রাখা হয়।[৪][৫] এছাড়াও, ১৯৮৪ সালে ভারত গমন করেন। সেখানে তিনি একদিনের খেলায় অংশ নিয়েছিলেন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের সফর[সম্পাদনা]

১৯৮৪-৮৫ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে টেস্ট দলে জন ম্যাগুইরের ঠাঁই হয়নি। ১৯৮৫ সালে ইংল্যান্ড গমনার্থে অস্ট্রেলিয়া দলের সদস্য হবার দ্বারপ্রান্তে চলে এসেছিলেন। ১৯৮৫-৮৬ ও ১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের গ্রীষ্মকালে টেরি অল্ডারম্যানরড ম্যাককার্ডি দক্ষিণ আফ্রিকায় বিদ্রোহী দলের সদস্য হিসেবে তাদের খেলার কথা প্রকাশ করলে কার্ল রেকেম্যান ও জন ম্যাগুইরের পরিবর্তে তাদেরকে স্থলাভিষিক্ত করা হয়। তবে, উভয়ের চুক্তিবদ্ধতার ফলে পরবর্তীতে জেফ থমসনডেভ গিলবার্টকে দলে নেয়া হয়।[৬][৭][৮]

বিদ্রোহী দলের অন্যান্য সদস্যের ন্যায় তাকেও তিন বছরের জন্যে অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে ও দুই বছরের জন্যে প্রতিনিধিত্বমূলক খেলায় অংশগ্রহণের উপর নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। ঐ সময়ে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় খেলতেন।

অবসর[সম্পাদনা]

খেলোয়াড়ী জীবনের শেষ দুই বছর দক্ষিণ আফ্রিকায় অবস্থান করেন ও ইস্টার্ন প্রভিন্সের পক্ষে খেলাসহ ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেন। ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ইস্টার্ন প্রভিন্স এবং ১৯৯১ সালে লিচেস্টারশায়ারের প্রতিনিধিত্ব করতেন। ১৯৯০ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটার হিসেবে নামাঙ্কিত হন।

দক্ষিণ আফ্রিকায় চলে যাবার ফলে তাকে অতিরিক্ত দশ বছরের জন্যে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। তবে, বিশ্ব ক্রিকেট অঙ্গনে দক্ষিণ আফ্রিকার উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে তাকেও দায়মুক্তি দেয়া হয়।[৯]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "'Australian Representatives' Queensland Cricket" (পিডিএফ)। ২৭ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  2. "CRICKET Yardley set to return."The Canberra Times। ১৬ এপ্রিল ১৯৮৩। পৃষ্ঠা 44। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  3. http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63359.html
  4. http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63370.html
  5. http://www.espncricinfo.com/ci/engine/match/63371.html
  6. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০ 
  7. http://www.espncricinfo.com/blogs/content/story/638487.html
  8. "CRICKET Ashes party departs."The Canberra Times। ১ মে ১৯৮৫। পৃষ্ঠা 42। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 
  9. "S. Africa rebels ban off."The Canberra Times। ৭ আগস্ট ১৯৯১। পৃষ্ঠা 38। সংগ্রহের তারিখ ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ – National Library of Australia-এর মাধ্যমে। 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]