জন জেমসন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
জন জেমসন
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামজন আলেকজান্ডার জেমসন
জন্ম (1941-06-30) ৩০ জুন ১৯৪১ (বয়স ৮২)
বোম্বে, বোম্বে প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনঅফ ব্রেক, ডানহাতি মিডিয়াম
সম্পর্কটমাস জেমসন (ভাই)
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ২১৪ ৬০
ব্যাটিং গড় ২৬.৭৫ ২০.০০
১০০/৫০ –/১ –/–
সর্বোচ্চ রান ৮২ ২৮
বল করেছে ৪২ ১২
উইকেট
বোলিং গড় ১৭.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/১৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং –/– –/–
উৎস: ক্রিকইনফো, ১ আগস্ট ২০১৫

জন আলেকজান্ডার জেমসন, এমবিই (জন্ম: ৩০ জুন, ১৯৪১)[১] ব্রিটিশ ভারতের বোম্বেতে জন্মগ্রহণকারী ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। জন জেমসন কাউন্টি ক্রিকেটে ওয়ারউইকশায়ার দলে প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ শীর্ষ সারির ব্যাটসম্যান ছিলেন। এছাড়াও দলের প্রয়োজনে কার্যকরী অফ স্পিন কিংবা মিডিয়াম-পেস বোলিং করতেন।

খেলোয়াড়ী জীবন[সম্পাদনা]

১৯৭১ থেকে ১৯৭৫ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেছেন। পাশাপাশি উইকেট-রক্ষণেও মাঝে-মধ্যে ভূমিকা রাখতেন। ডেরেক মারে আহত হলে রোহন কানহাই উইকেট-কিপার হন। অধিনায়ক এ.সি. স্মিথ তাকে বোলিংয়ের জন্য ডেকে পাঠান।[২]

ক্রিকেট সংবাদদাতা কলিন ব্যাটম্যান উল্লেখ করেছেন যে, বয়কট, এডরিচঅ্যামিসের যুগে জন জেমসন টেস্ট ক্রিকেটে কমই সুযোগ লাভ করেছেন। ফাস্ট বোলারদের বিপক্ষে লড়াকু দৃষ্টিভঙ্গীতে তিনি তার সেরা খেলা উপহার দিতে চেয়েছিলেন। দূর্ভাগ্যবশতঃ তার প্রথম চার ইনিংসের তিনটিতে রান-আউটের কবলে পড়েন।[১] ইংল্যান্ডের একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টের উভয় ইনিংসে রান-আউট হন। এছাড়াও, একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে জেমসন ধারাবাহিকভাবে টেস্টের তিন ইনিংসে এ ধরনের আউটের শিকার হন।[৩]

১৯৭১ সালে ভারতের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে।[৪] তন্মধ্যে দ্বিতীয় টেস্টে ৮২ রান করেছিলেন।[৫] ১৯৭৩-৭৪ মৌসুমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তিনি আরও একটি তিন টেস্টের সিরিজসহ একটি ওডিআইয়ে খেলেছিলেন। কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে তিনি তেমন সফলতা পাননি।[১] ১৯৭৫ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপের দুইটি খেলায় অংশগ্রহণ করেন।

কাউন্টি ক্রিকেট[সম্পাদনা]

১৯৭৪ সালে এজবাস্টনে গ্লুচেস্টারশায়ার দলের বিপক্ষে তিনি প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার সর্বোচ্চ অপরাজিত ২৪০* রান সংগ্রহ করেন। রোহন কানহাইয়ের সাথে (২১৩*) দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে অপরাজিত ৪৬৫ রান তোলেন। তাদের এ সংগ্রহ কাউন্টি ক্রিকেটে অদ্যাবধি অক্ষত রয়েছে।[৬]

তার ভাই টমাস জেমসন ১৯৭০ সালে ওয়ারউইকশায়ার এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয় দলের পক্ষে খেলেন।

কোচিং[সম্পাদনা]

ভারত উপমহাদেশে জন্মগ্রহণ করায় তিনি সর্বদাই দক্ষিণ এশিয়ার ক্রিকেট সম্প্রসারণের দিকে মনোনিবেশ ঘটাতেন। এমসিসি দলের পক্ষে ১৯৭৮-৭৯ ও ১৯৮০-৮১ মৌসুমে দুইবার বাংলাদেশ সফর করেন। পরবর্তীকালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলে কোচের দায়িত্ব পালন করেন ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের শুরুরদিকে উন্নয়নে সহায়তা করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 99আইএসবিএন 1-869833-21-X। সংগ্রহের তারিখ ২০ এপ্রিল ২০১১ 
  2. Australia v England, Champions Trophy SF 2009, Commentary
  3. Frindall, Bill (২০০৯)। Ask BeardersBBC Books। পৃষ্ঠা 35–36। আইএসবিএন 978-1-84607-880-4। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুন ২০১১ 
  4. England v India, 2nd Test, 1971
  5. England v India, 3rd Test, 1971
  6. Warwickshire v Gloucestershire, 1974

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]