জনসংখ্যা বৃদ্ধি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী মানব জনসংখ্যার মোট বৃদ্ধি

জনসংখ্যা বৃদ্ধি হল একটি অঞ্চল বা বিক্ষিপ্ত গোষ্ঠীতে মানুষের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়া। বিশ্বব্যাপী বার্ষিক মানব জনসংখ্যা বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৮৩ মিলিয়ন (প্রতি বছরে ১.১%)। [১] বিশ্ব জনসংখ্যা ১৮০০ সালে ১ বিলিয়ন ছিল,যা ২০২০ সালে ৭.৯ বিলিয়নে পৌছায়। [২] জাতিসংঘের অনুমান, জনসংখ্যা বৃদ্ধির এ হার থাকবে। অনুমান অনুযায়ী ২০৩০ সালের মাঝামাঝি সময়ে মোট জনসংখ্যা ৮.৬ বিলিয়ন, ২০৫০ সালের মাঝামাঝি ৯.৮ বিলিয়ন এবং ২১০০ সালের মধ্যে ১১.২ বিলিয়ন হতে পারে। [৩]

১৩৫০ সালের দিকে ব্ল্যাক ডেথের শেষ থেকে বিশ্বে মানব সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। [৪] প্রযুক্তি এবং চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নতির ফলে মৃত্যুহার হ্রাস পেয়েছে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কিছু ভৌগোলিক অঞ্চলে, এটি জনসংখ্যাগত রূপান্তর নামক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কমে গেছে। এগুলোর বেশিরভাগ হচ্ছে উন্নত জীবনযাত্রার মানসম্পন্ন দেশ। বিপরীতে,অনুন্নত বেশিরভাগ দেশেই এখন জনসংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। [৫] বিশ্বব্যাপী, বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির সর্বোচ্চ হার ছিল ১৯৬৩ সালে (প্রতি বছর ২.২% এর বেশি)। তবে এরপর থেকে বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার হ্রাস পেয়েছে। [৬] বিশ্বব্যাপী মানব জনসংখ্যা ২ শতকের মাঝামাঝি সময়ে শীর্ষে পৌঁছাবে এবং ২১০০ সালের আবার মধ্যে হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। [৭]

বর্ধিত ব্যবহারের পাশাপাশি মানব উন্নয়নের জন্য প্রাকৃতিক সম্পদের অত্যধিক ব্যবহারের কারণে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পরিবেশগত উদ্বেগের কারণ, যেমন জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি। [৮] [৯] [১০] মানব জনসংখ্যা বৃদ্ধির প্রভাব প্রশমিত করার ও মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত করার উদ্দেশ্যে আন্তর্জাতিক নীতি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় একটি লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে।

জনসংখ্যা [১১]
অতিবাহিত বছর বছর জনসংখ্যা (বিলিয়ন)
- ১৮০০
১২৭ ১৯২৭
৩৩ ১৯৬০
১৪ ১৯৭৪
১৩ ১৯৮৭
১২ ১৯৯৯
১২ ২০১১
১১ ২০২২
১৪ ২০৩৭ *
১৮ ২০৫৫ * ১০
৩৩ ২০৮৮ * ১১
*বিশ্ব জনসংখ্যা সম্ভাবনা ২০১৭ (জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগ)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "World Population Prospects 2017 – Data Booklet (ST/ESA/SER.A/401)" (পিডিএফ)United Nations Department of Economic and Social Affairs। ২০১৭। পৃষ্ঠা 3। মার্চ ৭, ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ১৩, ২০২২ 
  2. "World Population 2017"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-০১ 
  3. "World Population Prospects: The 2017 Revision: Key Findings and Advance Tables" (পিডিএফ)United Nations Department of Economic and Social Affairs, Population Division। পৃষ্ঠা 2। জুন ২৬, ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ৫, ২০১৯ 
  4. "Black death 'discriminated' between victims"Australian Broadcasting Corporation। ২৯ জানুয়ারি ২০০৮। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১১-০৩ 
  5. Population Reference Bureau। "2013 World Population Factsheet" (পিডিএফ)Population Reference Bureau। ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  6. Roser, Max; Ritchie, Hannah (২০১৩-০৫-০৯)। "World Population Growth" 
  7. Vollset, Stein Emil; Goren, Emily (জুলাই ১৪, ২০২০)। "Fertility, mortality, migration, and population scenarios for 195 countries and territories from 2017 to 2100: a forecasting analysis for the Global Burden of Disease Study" (pdf): 1285–1306। ডিওআই:10.1016/S0140-6736(20)30677-2অবাধে প্রবেশযোগ্যপিএমআইডি 32679112 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)পিএমসি 7561721অবাধে প্রবেশযোগ্য |pmc= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  8. Stokstad, Erik (৫ মে ২০১৯)। "Landmark analysis documents the alarming global decline of nature"Science (ইংরেজি ভাষায়)। AAAS। সংগ্রহের তারিখ ২০ অক্টোবর ২০২২Driving these threats are the growing human population, which has doubled since 1970 to 7.6 billion, and consumption. (Per capita of use of materials is up 15% over the past 5 decades.) 
  9. Crist, Eileen; Ripple, William J. (২০২২)। "Scientists' warning on population" (পিডিএফ): 157166। ডিওআই:10.1016/j.scitotenv.2022.157166পিএমআইডি 35803428 |pmid= এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) 
  10. United Nations Environment Programme (2021). Making Peace with Nature: A scientific blueprint to tackle the climate, biodiversity and pollution emergencies. Nairobi. https://www.unep.org/resources/making-peace-nature
  11. "United Nations - World Population Prospects 2017"। ২০১৮-০৩-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-০৭