বিষয়বস্তুতে চলুন

জননী ও গর্বিত বর্ণমালা

স্থানাঙ্ক: ২৩°৪৪′৩৪″ উত্তর ৯০°২৩′৪৫″ পূর্ব / ২৩.৭৪২৭২৩° উত্তর ৯০.৩৯৫৯০১° পূর্ব / 23.742723; 90.395901
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
শিল্পীমৃণাল হক
বছর২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬
বিষয়ভাষা আন্দোলন
অবস্থানঢাকা
স্থানাঙ্ক২৩°৪৪′৩৪″ উত্তর ৯০°২৩′৪৫″ পূর্ব / ২৩.৭৪২৭২৩° উত্তর ৯০.৩৯৫৯০১° পূর্ব / 23.742723; 90.395901
মালিকঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন

জননী ও গর্বিত বর্ণমালা মৃণাল হক নির্মিত একটি ভাস্কর্য। বাংলাদেশ রাজধানীর পরীবাগের মাথায় বিটিসিএলের প্রধান কার্যালয়ের সামনে ভাস্কর্যটির অবস্থিত।[] ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন ভাস্কর্যটির মূল উপজীব্য।[]

পটভূমি ও বর্ণনা

[সম্পাদনা]

ভাস্কর্যেটিতে গুলিবিদ্ধ সন্তানের মৃতদেহ কোলে নিয়ে একজন মা তার হাসিমুখে প্রতিবাদ প্রতীকী ফুটে উঠেছে। ভাস্কর্যটি মা ও ছেলেকে ঘিরে আছে লাল ও সবুজ রঙের দুটি বৃত্ত। এর মাধ্যমে লাল-সবুজের বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার বিজীব্যষয়টি প্রতীকী অর্থে বোঝানো হয়েছে। ভাস্কর্যটির প্রতীকী ব্যঞ্জনায় মা ও সন্তানের ত্যাগ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সংগ্রাম ফুটে উঠেছে। লাল রঙটি ত্যাগ ও রক্তের প্রতীক আর সবুজ রঙটি শান্তি ও জীবনের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ভাস্কর্যটি সামনে সবুজ বৃত্তে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে কয়েকটি বাংলা বর্ণ। পেছনে লাল বৃত্তে রয়েছে ‘২১’ এবং ‘ব ও ‘ক’। ভাস্কর্যটি ১৬ ফুট উচ্চতার ও বাংলা বর্ণমালা এবং সংখ্যা রয়েছে।[] একুশ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের মানুষ অহংকার, গৌরবের বাংলার ইতিহাসে একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিবস। ২১শে ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। ভাস্কর্যটি একুশের চেতনা জাগ্রত করতে এবং তরুণ প্রজন্মকে দিনটির তাৎপর্য সম্পর্কে সচেতন করতে নির্মাণ করা হয়।[] ভাস্কর্যটি নকশা করেছেন শিল্পী মৃণাল হক। ২০১৬ সালে ২০ ফেব্রুয়ারি ভাস্কর্যটি উদ্বোধন করা হয়।[] ভাস্কর্যটি মৃণাল হকের স্বঅর্থায়নে নির্মিত হয়েছিল।[]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "জননী ও গর্বিত বর্ণমালা' ভাস্কর্যের উদ্বোধন"কালের কন্ঠ। ২০২৪-০৮-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৩ 
  2. "ভাষা শহীদদের স্মরণে নির্মিত যত স্মৃতিস্তম্ভ"জাগো নিউজ ২৪। ২০২১-০২-০১। ২০২১-০২-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৩ 
  3. "'জননী ও গর্বিত বর্ণমালা' ভাস্কর্যের সংস্কার চাই | খবরের কাগজ"Khaborer Kagoj-খবরের কাগজ। ২০২৪-০৮-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৩ 
  4. "একুশের ভাস্কর্য: জননী ও গর্বিত বর্ণমালা"banglanews24.com। ২০১৬-০২-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৩ 
  5. শহিদ, সারাহ নাফিসা (২০১৮-০৫-১৮)। "What do public sculptures speak of?"দ্য ডেইলি স্টার (বাংলাদেশ) (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০১-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৮-১৭