ছোট দিনেমারদের পরীক্ষা
ছোট দিনেমারদের পরীক্ষা বা লিটল ড্যানিস পরীক্ষা (ডেনীয়: eksperimentet) ছিল ১৯৫১ সালের একটি দিনেমার অভিযান, যেখানে ২২ জন গ্রিনল্যান্ডীয় ইনুইট শিশু (যাদের বলা হতো 'পরীক্ষার শিশু'; ডেনীয়: eksperimentbørn)–কে 'লিটল ড্যানিস' হিসেবে পুনঃশিক্ষিত করার প্রচেষ্টায় ডেনীয় পালক পরিবারের কাছে পাঠানো হয়েছিল।[১] যদিও শিশুদের সকলের অনাথ হওয়ার কথা থাকলেও বাস্তবে বেশিরভাগই অনাথ ছিল না। ছয়জন শিশু ডেনমার্কে অবস্থানকালে দত্তক নেওয়া হয়েছিল আর ১৬ জন গ্রিনল্যান্ডে ফিরে আসে তবে তাদের ডেনীয়ভাষী অনাথাশ্রমে পাঠানো হয় এবং তারা আর কখনো নিজেদের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেনি। শিশুদের অর্ধেকের মানসিক স্বাস্থ্যে সমস্যা দেখা দেয় এবং তাদের অর্ধেক তরুণ বয়সে মারা যায়। কয়েক বছর ধরে গ্রিনল্যান্ডীয় কর্মকর্তাদের দাবির পর ২০২০ সালে ডেনমার্ক সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করে।
পটভূমি
[সম্পাদনা]দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময়ে ডেনীয় সরকারি কর্মকর্তারা এবং বেসরকারি সংস্থাগুলো বিশ্বাস করত যে গ্রিনল্যান্ডীয় সমাজ অনুন্নত। এইজন্য তারা একে পুনর্গঠনের চেষ্টা চালায়।[২] রেড ক্রস এবং সেভ দ্য চিলড্রেনের সাথে মিলে তারা একটি পরীক্ষা পরিকল্পনা করে। যাতে গ্রিনল্যান্ডীয় শিশুদের ডেনীয় মূল ভূখণ্ডে নিয়ে গিয়ে ডেনীয় ভাষা শেখানো, ডেনীয় পরিবারে লালন-পালন করানো এবং পরে 'লিটল ড্যানিস' হিসেবে গ্রিনল্যান্ডে ফিরিয়ে আনা। একটি জনগোষ্ঠী যা ঔপনিবেশিক গবেষক ক্লেয়ার লুইস ম্যাকলিস্কির মতে গ্রিনল্যান্ডীয়দের নতুন শাসক শ্রেণি হয়ে উঠবে।[৩] শিশুদের নির্বাচন করার কথা ছিল গ্রিনল্যান্ডীয় পুরোহিতদের নির্দিষ্ট কিছু মানদণ্ড মেনে, প্রায় ছয় বছর বয়সী, মানসিক বা শারীরিক প্রতিবন্ধকতাহীন এবং অনাথ।
পরীক্ষা
[সম্পাদনা]
যদিও অংশগ্রহণকারীদের নির্বাচন করার সময় সবারই পিতামাতাহীন ও প্রায় ছয় বছর বয়সী হওয়ার কথা ছিল। পুরোহিতরা যথেষ্ট যোগ্য শিশু খুঁজে পাননি।[৪] এর ফলে মাত্র ছয়জন ছিল অনাথ এবং একজন শিশু পরীক্ষার শুরুতে নয় বছর বয়সী ছিল।[৪] নির্বাচনের পর এমএস ডিস্কো ১৯৫১ সালের মে মাসে নুক থেকে ২২ জন গ্রিনল্যান্ডীয় ইনুইট শিশুকে নিয়ে যাত্রা করে।[৫] ১৩ জন ছেলে ও ৯ জন মেয়ে।[৬] তারা শিগগিরই ডেনমার্কের রাজধানী কোপেনহেগেনে পৌঁছায়। শিশুদের একজন নাম হেলেন থিজেন যে আগে কখনো এই দেশের নাম শোনেনি।[ক][৮] পরে তাদের সেভ দ্য চিলড্রেন পরিচালিত ফেডগার্ডেনের একটি তথাকথিত হলিডে ক্যাম্পে (ছুটির শিবির) নিয়ে যাওয়া হয়।[খ][৪] যেখানে তাদের সংক্রামক রোগ বহনের আশঙ্কা হাওয়ায় সঙ্গে সঙ্গেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়।[৯] এই কোয়ারেন্টাইন পুরো গ্রীষ্মকাল ধরে চলে। সেখানেই থিজেনের একজিমা দেখা দেয়।[১০] ডেনমার্কের রানি ইঙ্গ্রিড শিবিরটি পরিদর্শন করেন এবং শিশুদের সঙ্গে ছবি তোলেন।[১১] থিজেন বলেছিল যে রানির সফর সম্পর্কে সে কিছুই বুঝতে পারেনি এবং পরীক্ষাটি নিয়ে তার অস্বস্তি ছবিতেও ফুটে উঠেছিল যেখানে তাদের কেউই হাসছে না।[১১]
এরপর শিশুদের এক বছরেরও বেশি সময়ের জন্য ডেনীয় পালক পরিবারের কাছে রাখা হয়।[৪] সেখানে তারা ডেনীয় ভাষা শিখে ফেলে এবং গ্রিনল্যান্ডীয় ভাষা ভুলে যায়।[৪] প্রায় ছয় মাস পর তাদের নুকে ফেরত পাঠানোর কথা ছিল কিন্তু অনাথাশ্রম নির্মাণের কাজ বিলম্বিত হয় এবং ডেনমার্কে তাদের এক বছরের অবস্থানকালে তাদের মধ্যে ছয়জনকে ডেনীয় পরিবার দত্তক নেয়।[১২]
পরিণতি ও ক্ষমা প্রার্থনা
[সম্পাদনা]
ষোলজন শিশু গ্রিনল্যান্ডে ফিরে আসে আর ছয়জনকে ডেনীয় পরিবার দত্তক নেয়।[৪] আর্কাইভ নথি অনুসারে যারা গ্রিনল্যান্ডে ফিরে এসেছিল তারা ছিল 'শ্রেষ্ঠ শ্রেণির'।[১৩] তাদের কেউই আর পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেনি এবং করলেও তারা আর একই ভাষায় কথা বলতে পারত না।[১৪] তাদের অনাথাশ্রমে রাখা হয় যেখানে (গ্রিনল্যান্ডীয় ইনুইট কর্মীদের সঙ্গেও) কেবল ডেনীয় ভাষায় কথা বলার অনুমতি ছিল। এই নীতি ছিল শিশুদের মধ্যে ডেনীয় জীবনের সুবিধা প্রোথিত করার জন্য।[১৪] ১৯৬০ সালের মধ্যে সব শিশু অনাথাশ্রম ছেড়ে যায় এবং ২২ জনের মধ্যে ১৬ জন জীবনের বেশিরভাগ সময় গ্রিনল্যান্ডের বাইরে কাটায়।[৪] প্রায় অর্ধেক শিশু জীবনের পথে মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা, মাদকাসক্তি ও আত্মহত্যার প্রচেষ্টার মুখোমুখি হয়[১৫] এবং অর্ধেক তরুণ বয়সে মারা যায়।[১৬] তারা চরম সাংস্কৃতিক বিচ্ছিন্নতা ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ভোগ করে এবং থিজেন বলেন তারা জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলেছিল।[১৪] ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে এই পরীক্ষার পরিবর্তিত রূপ হয়েছিল যেখানে শিশুদের স্বল্প সময়ের জন্য ডেনমার্কে পাঠানো হতো এবং পরে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হতো। এই পরীক্ষাগুলোও শিশুদের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।[১৭]
১৯৯৬ সালে এক ডেনীয় আর্কাইভিস্ট প্রথমবারের মতো থিজেনকে জানান যে সে একটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ছিল এবং ১৯৯৮ সালে ডেনীয় রেড ক্রস এ নিয়ে তাদের দুঃখ প্রকাশ করে।[১৪] ২০০৯ সালে গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কুুপিক ক্লেইস্ট পরীক্ষাটিকে একটি 'ধ্রুপদি ঔপনিবেশিক উদাহরণ' বলে আখ্যায়িত করে ডেনীয় সরকারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করেন।[১৬] একই দাবি জানায় সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস দল যারা একে জাতির জন্য একটি 'কালো অধ্যায়' বলে অভিহিত করে এবং পরীক্ষার বিষয়ে তদন্ত কমিশন গঠনের আহ্বান জানায়।[গ][১৬] এই দাবিগুলোর পরও ডেনমার্কের প্রধানমন্ত্রী লার্স লোকে রাসমুসেন ক্ষমা চাননি বরং তিনি বলেন, "ইতিহাস পরিবর্তন করা যায় না। সরকার ঔপনিবেশিক সময়কে আমাদের যৌথ ইতিহাসের একটি সমাপ্ত অধ্যায় হিসেবে দেখে। আমাদের খুশি হওয়া উচিত যে সময় বদলেছে।"[১৮] অন্যদিকে সেভ দ্য চিলড্রেন পরীক্ষাটির জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে যদিও তারা স্বীকার করে যে তারা হয়তো এ-সংক্রান্ত নথি ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করেছে।[১৪] ২০১৫ সালে তারা আবার ক্ষমা চায়। সাধারণ সম্পাদক বলেন যে তারা কখনোই এ ধরনের প্রকল্পে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যুক্ত হবে না।[১৯] রাসমুসেনের মতোই পরবর্তী ডেনীয় প্রধানমন্ত্রীদের কেউই ক্ষমা চাননি[২০] এবং হেলে থর্নিং-শ্মিট তদন্তে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানান।[২১] ২০১৯ সালে ফোকেটিং–এর দুই গ্রিনল্যান্ডীয় সদস্য দাবি জানান: আয়া কেমনিজ লার্সেন (ইনুইট আটাাকাটিগিত) ক্ষমা প্রার্থনা দাবি করেন এবং ইনেকি কিয়েলসেন (সিউমুত) তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি জানান।[২২] কিয়েলসেনের দাবির পর রাসমুসেন গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী কিম কিয়েলসেনের সঙ্গে কমিশন গঠনে সম্মত হন যদিও তিনি আবারও ক্ষমা চাননি।[২৩]
পরের বছর কমিশনের প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করার পর ডেনমার্ক সরকার ও প্রধানমন্ত্রী মেতে ফ্রেডেরিকসেন আনুষ্ঠানিকভাবে 'লিটল ডেনস পরীক্ষা'র জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন।[২৪] তখন পরীক্ষার মাত্র ছয়জন জীবিত অংশগ্রহণকারী ছিলেন যাদের মধ্যে ৭৬ বছর বয়সী হেলেন থিজেনও ছিলেন যিনি দীর্ঘদিন ধরে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়ার পক্ষপাতী ছিলেন।[ঘ][২৬] ডিসেম্বর ২০২১ সালে জীবিত অংশগ্রহণকারীরা ডেনমার্ক সরকারের বিরুদ্ধে ২,৫০,০০০ ক্রোন (মার্কিন ডলার $৩৮,০০০) ক্ষতিপূরণের মামলা দায়ের করে অভিযোগ করে যে এটি বর্তমান ডেনীয় আইন ও মানবাধিকারের লঙ্ঘন। অ্যাস্ট্রিড ক্রাগ ডেনীয় সমাজকল্যাণ মন্ত্রী বলেন সরকার তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় রয়েছে। যদিও তিনি জোর দিয়ে বলেন যে ডেনমার্কের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিকটি ছিল আনুষ্ঠানিক ক্ষমা।[২৭] ২০২২ সালের মার্চে সরকার ঘোষণা করে যে, প্রধানমন্ত্রী মুখোমুখি পরীক্ষার ছয়জন জীবিত সদস্যের কাছে ক্ষমা চাইবেন এবং তাদের দাবি করা ২,৫০,০০০ ক্রোন ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।[২৮] প্রধানমন্ত্রী ফ্রেডেরিকসেন ক্ষমা প্রার্থনার ভাষণ দেওয়ার জন্য নুকে সফর করেন।[২৯]
পাদটীকা
[সম্পাদনা]- ↑ থিজেন গাছ-ভরা দৃশ্যকে অচেনা মনে করেছিল। সে ২০২২ সালে স্মরণ করে বলেছিল: "আমাদের গ্রিনল্যান্ডে কোনো গাছ নেই, তাই আমি মনে করি এগুলো কত উঁচু ও বড় ছিল"।[৭]
- ↑ ফেডেট উপদ্বীপ–এর দক্ষিণ দিকে অবস্থিত।[৭]
- ↑ সোশ্যাল ডেমোক্র্যাটস এই দাবি করে যখন তারা সরকারের বিরোধী দলে ছিল। সরকারে যোগ দেওয়ার পর ২০১১ সালে তারা আর এটি চাপ দেয়নি।[১৪]
- ↑ ২০১১ সালে থিজেন একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করেন, For flid og god opførsel (For diligence and good behavior), যা মূলত পরীক্ষায় তার অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে। এটি প্রকাশ করে মিলিক, ২০১০ সালের Eksperimentet চলচ্চিত্র মুক্তির কিছু পরেই।[২৫]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Larsen 2022; Nonbo Andersen 2020, pp. 232, 244; Sørensen 2022.
- ↑ McLisky 2017, p. 539; Mørck 2020.
- ↑ McLisky 2017, p. 539; Minton & Thiesen 2020, p. 103; Mørck 2020.
- 1 2 3 4 5 6 7 Mørck 2020।
- ↑ Minton ও Thiesen 2020, পৃ. 103।
- ↑ Otzen 2015; Poulsen 2021.
- 1 2 John 2022।
- ↑ Minton & Thiesen 2020, p. 103; Mørck 2020.
- ↑ Otzen 2015।
- ↑ Minton ও Thiesen 2020, পৃ. 103–104।
- 1 2 Minton & Thiesen 2020, p. 103; Otzen 2015.
- ↑ Mørck 2020; Poulsen 2021.
- ↑ Mørck 2020: "i topklasse".
- 1 2 3 4 5 6 Minton ও Thiesen 2020, পৃ. 104।
- ↑ Poulsen 2021।
- 1 2 3 Finnsson 2009।
- ↑ Nonbo Andersen 2020, পৃ. 233।
- ↑ Finnsson 2009; Rud 2017, p. 131.
- ↑ Rud 2017, পৃ. 130।
- ↑ Minton ও Thiesen 2020, পৃ. 105।
- ↑ Nonbo Andersen 2021।
- ↑ Minton & Thiesen 2020, p. 105; Nonbo Andersen 2020, p. 243.
- ↑ Nonbo Andersen 2020, পৃ. 243।
- ↑ BBC 2020; Betak & Broberg 2020; Nonbo Andersen 2020, p. 244.
- ↑ Sermitsiaq 2011।
- ↑ Betak ও Broberg 2020।
- ↑ John 2022; Poulsen 2021.
- ↑ Murray 2022।
- ↑ Kristensen 2022।
গ্রন্থপঞ্জি
[সম্পাদনা]- Betak, Jens; Broberg, Hansigne (৮ ডিসেম্বর ২০২০)। "Eksperimentbarn: Undskyldning skal fejres med mattak og tørfisk" [Experiment child: Apology should be celebrated with muktuk and trout]। KNR (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২১।
- Finnsson, Luna (১৪ আগস্ট ২০০৯)। "Greenland demands apology for Danish child experiments"। Ice News। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২২।
- John, Tara (১৪ জানুয়ারি ২০২২)। "How a failed social experiment in Denmark separated Inuit children from their families"। CNN। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জানুয়ারি ২০২২।
- Kristensen, Kassaaluk (১৫ মার্চ ২০২২)। "Helene Thiesen: Forløsende undskyldning" [Helene Thiesen: Redemptive apology]। Sermitsiaq (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুন ২০২২।
- Larsen, Knud Fl. (১৮ মার্চ ২০২২)। "Sådan var livet for Gabriel Schmidt efter eksperimentet" [Such was life for Gabriel Schmidt after the experiment]। Sermitsiaq (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২৩।
- McLisky, Claire Louise (২০১৭)। "The history and legacy of popular narratives about early colonial missions to Greenland and Australia"। Journal of Social History। ৫০ (3): ৫৩৪–৫৫৪। ডিওআই:10.1093/jsh/shw043। আইএসএসএন 1527-1897।
- Minton, Stephen James; Thiesen, Helene (২০২০)। "Greenland"। Minton, Stephen James (সম্পাদক)। Residential schools and indigenous peoples: From genocide via education to the possibilities for process of truth, restitution, reconciliation, and reclamation। Routledge। ডিওআই:10.4324/9780429463044-5। আইএসবিএন ৯৭৮১১৩৮৬১৫৫৮৮। এস২সিআইডি 241922631।
- Mørck, Astrid Helmer (৮ ডিসেম্বর ২০২০)। "Derfor gik eksperimentet med de grønlandske børn galt" [Then, the experiment with the Greenlandic children went wrong]। TV2 (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২১।
- Murray, Adrienne (৯ মার্চ ২০২২)। "Lost lives of Greenland's Inuit children uprooted by Denmark"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ৯ মার্চ ২০২২।
- Nonbo Andersen, Astrid (২০২০)। "The Greenland Reconciliation Commission: Moving away from a legal framework"। Alfredsson, Gudmundur; Koivurova, Timo (সম্পাদকগণ)। The yearbook of polar law। Leiden: Koninklijke Brill NV। আইএসবিএন ৯৭৮৯০০৪৪১৮৭৪৫।
- Nonbo Andersen, Astrid (২৫ মে ২০২১)। "Et ambivalent opgør"। Dansk Institut for Internationale Studier (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২২।
- Otzen, Ellen (৯ জুন ২০১৫)। "The children taken from home for a social experiment"। BBC News। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০২১।
- Poulsen, Regin Winther (২০ ডিসেম্বর ২০২১)। "Greenlanders shipped to Denmark as children seek compensation"। Al Jazeera (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ ডিসেম্বর ২০২১।
- Sørensen, Helle Nørrelund (২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২২)। "Eksperimentbørn får 250.000 kroner i erstatning fra staten" [Experiment children receive DKK 250,000 in compensation from the state]। KNR (ডেনীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৬ অক্টোবর ২০২৩।
- Rud, Søren (২০১৭)। Colonialism in Greenland: Tradition, governance, and legacy। Palgrave Macmillan। আইএসবিএন ৯৭৮৩৩১৯৪৬১৫৭১।
- "Denmark apologises to children taken from Greenland in a 1950s social experiment"। BBC News। ৮ ডিসেম্বর ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ জানুয়ারি ২০২২।
- "En personlig beretning af 'eksperimentet'" [A personal account of 'the experiment']। Sermitsiaq (ডেনীয় ভাষায়)। ২৫ মার্চ ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জানুয়ারি ২০২২।