ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান
| ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান | |||
|---|---|---|---|
শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ঢাকার শাহবাগে বিজয় মিছিল | |||
| তারিখ | প্রথম ধাপ: ৬ জুন – ৩ আগস্ট ২০২৪ দ্বিতীয় ধাপ: ৪–৫ আগস্ট ২০২৪ | ||
| অবস্থান | |||
| কারণ |
| ||
| লক্ষ্য | প্রাথমিকভাবে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থার সংস্কার, কিন্তু চূড়ান্তভাবে শেখ হাসিনার পঞ্চম মন্ত্রিসভার পদত্যাগ | ||
| ফলাফল | সফল
| ||
| পক্ষ | |||
| |||
| নেতৃত্ব দানকারী | |||
সম্মিলিত নেতৃত্ব | |||
| ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান |
|---|
| বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |
| বাংলাদেশের ইতিহাস |
|---|
| বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান, বা জুলাই গণ-অভ্যুত্থান অথবা চব্বিশের গণঅভ্যুত্থান[১][২] বলতে বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ ও অসহযোগ আন্দোলন ২০২৪-এর সমন্বিত আন্দোলনকে বোঝানো হয়।[৩][৪] ২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর বাংলাদেশ সরকারের জারিকৃত পরিপত্রকে অবৈধ ঘোষণার পর কোটা সংস্কার আন্দোলন নতুন করে শুরু হয়, এই আন্দোলনে তৎকালীন শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকার দমন-পীড়ন শুরু করলে এটি অসহযোগ আন্দোলনে রূপ নেয়। এই গণঅভ্যুত্থানের কারণে ৫ই আগস্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে এবং দেশ ত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নেয়, ফলে বাংলাদেশ সাংবিধানিক সংকটে পড়ে এবং এর তিন দিন পরে ৮ই আগস্ট মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়।[৪]
নামকরণ
[সম্পাদনা]৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক মো. নাহিদ ইসলাম বলেন, "আমরা এখনও আগস্টে যাইনি। এই জুলাই হত্যার বিচার করেই আমরা আগস্টে যাব।"[৫] ফলে আন্দোলনটি "জুলাই বিপ্লব" বলে খ্যাতি পায়।[৬]
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই অভ্যুত্থানকে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস "জুলাই বিপ্লব" এবং ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে "ছাত্র–শ্রমিক–জনতার অভ্যুত্থান" বলে অভিহিত করেন।[১]
পটভূমি
[সম্পাদনা]২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নির্বাচিত হওয়ার পর, তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে।[৭] এরপর রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ পরপর আরও তিনটি জাতীয় নির্বাচনে জয় লাভ করে। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় নির্বাচনগুলোতে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগ উঠে। এরমাঝে ২০১৮ সালের নির্বাচন ব্যতীত বাকি দুটো নির্বাচন বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল বয়কট করেছিলো। এইসময় সরকার তাদের বিরোধীদের উপর ব্যাপক নির্যাতন ও ধর-পাকড় চালায়, বিরোধী দলের শীর্ষ নেতাদের বিভিন্ন মামলায় সাজা দেওয়ার মাধ্যমে তাদের নেতৃত্বশূন্য করে ফেলা হয়।[৮] এইসময়ে বাংলাদেশের সব গণমাধ্যমে তথ্য প্রচার কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হয় এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন, ২০১৮-এর মতো আইনের মাধ্যমে কঠোরভাবে জনসাধারণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়।[৯][১০]
এইসময়ে অরাজনৈতিক আন্দোলন সহ অধিকাংশ আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে সরকার পুলিশ বাহিনীর পাশাপাশি আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন বিশেষত ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগকে ব্যবহার করতো।[১১] ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ক্যাম্পাসে সহিংসতামূলক কর্মকাণ্ড ও দমন-নিপড়নের অভিযোগ ছিলো।[১২] গত তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগের ছোট থেকে কেন্দ্রের বেশিরভাগ নেতা ও সরকারি কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগ উঠেছিলো, বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থে কানাডায় বাংলাদেশিদের পরিবাবের সদস্যদের নিয়ে বেগমপাড়া তৈরি করা হয়েছে, গত দুই বছর ধরে বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতি রেকর্ড ছুঁয়েছে, পাশাপাশি রিজার্ভের ঘাটতি, দুর্নীতির ব্যাপক বিস্তার, দেশ থেকে বিপুল পরিমাণে অর্থ পাচার, ব্যাংকিংখাতে হাজার হাজার কোটি টাকার ঋণ অনিয়মের জন্য সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে দিনে দিনে জীবন-যাপন কঠিন হয়ে উঠেছিলো, যার কারণে তারা সরকারের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল[১৩]
প্রথম পর্যায়
[সম্পাদনা]কোটা সংস্কার আন্দোলন
[সম্পাদনা]২০১৮ সালে বাংলাদেশে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ব্যাপক আন্দোলন শুরু হয়, যা ছাত্রদের মধ্যে সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। এই আন্দোলনের প্রধান লক্ষ্য ছিল প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে চলমান কোটা ব্যবস্থা সংস্কার করা। আন্দোলনের ধারাবাহিকতা এবং শিক্ষার্থীদের চাপে, সরকার ৪৬ বছর ধরে চলা এই কোটাব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেয়।
তবে, ২০২১ সালে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, অহিদুল ইসলামসহ, হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। অবশেষে, ২০২৪ সালের ৫ জুন, হাইকোর্টের বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি খিজির হায়াতের বেঞ্চ কোটাব্যবস্থা বাতিলের সিদ্ধান্তকে অবৈধ ঘোষণা করে। রায় প্রকাশের পরপরই দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা এই রায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
জুলাই মাসে আন্দোলন আরও তীব্র রূপ নেয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা "বাংলা ব্লকেড" সহ অবরোধ কর্মসূচি চালায়। এই সময়ে আন্দোলন দমাতে পুলিশের অতিরিক্ত শক্তি প্রয়োগের ফলে সংঘর্ষ ঘটে, এবং রংপুরে আবু সাঈদ নামে একজন শিক্ষার্থী পুলিশের গুলিতে নিহত হন। এই ঘটনাটি আন্দোলনকে আরও জোরালো করে এবং দেশজুড়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পায়।[১৪]
এরপর ঢাকাসহ সারাদেশে আন্দোলন সহিংহ হয়ে উঠে ও বিভিন্ন জায়গায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, ছাত্রলীগ ও যুবলীগের মতো সংগঠনের হামলায় অনেক হতাহত হয়।[১৫] এইসময় সারাদেশে কারফিউ জারি ও ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। আন্দোলনের প্রক্ষিতে পরবর্তীতে আপিল বিভাগের শুনানির তারিখ এগিয়ে নিয়ে আসা হয়।[১৬]
মামলা নিয়ে আপিল বিভাগের রায়
[সম্পাদনা]৪ জুলাই আপিল বিভাগ, ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের ওপর শুনানি না করে সরকারি চাকরির প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা পদ্ধতি বাতিলের সরকারি সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় আপাতত বহাল রাখে। রাষ্ট্রপক্ষকে ‘লিভ টু আপিল’ দায়ের করার কথা বলা হয়। এ সময় তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন, আন্দোলন হচ্ছে, হোক। রাজপথে আন্দোলন করে কি হাইকোর্টের রায় পরিবর্তন করবেন?[১৭]
পরবর্তীতে ১০ জুলাই আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর করা আবেদনের প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহ স্থিতাবস্থা জারির আদেশের পাশাপাশি কিছু পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশনা জারি করে।[১৮] এইদিন ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য নির্ধারণ করা হয়।[১৯]
১৪ জুলাই হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুই শিক্ষার্থীর পক্ষ থেকে লিভ টু আপিল দায়ের করা হয়।[২০] ১৮ জুলাই এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনের আবেদনের ভিত্তিতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্ট বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম মামলার শুনানির তারিখ ২১ জুলাই রোববার নির্ধারণ করেন।[২১]
২১ জুলাই আপিল বিভাগ কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেয়া রায় বাতিল করে। একইসাথে সরকারের নীতি নির্ধারণী বিষয় হলেও সংবিধান অনুযায়ী সম্পূর্ণ ন্যায় বিচারের স্বার্থে আদালত সরকারি চাকরিতে ৯৩ শতাংশ মেধা-ভিত্তিক নিয়োগ দেয়ার নির্দেশ দেয়। এইদিন বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কারফিউর মধ্যেও সর্বোচ্চ আদালতের কার্যক্রম বসেছিলো।[২২]
গণহত্যা
[সম্পাদনা]জুলাই গণহত্যা বলতে ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার কর্তৃক পরিচালিত দমনপীড়ন ও ব্যাপক হত্যাকাণ্ডকে বোঝানো হয়। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে দমনের উদ্দেশ্যে সরকার, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী (যেমন পুলিশ ও র্যাব) এবং ক্ষমতাসীন দলের অঙ্গসংগঠনগুলো (যেমন ছাত্রলীগ ও যুবলীগ) সম্মিলিতভাবে এই অভিযান পরিচালনা করে।
আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আনতে সরকার দেশব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে এবং গুলি করে হত্যার নির্দেশ দিয়ে কারফিউ জারি করে। এই দমন অভিযানে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটে। জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই সময়ে ১৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হন, যাদের বেশিরভাগই ছিলেন ছাত্র, আন্দোলনকারী এবং সাধারণ বেসামরিক নাগরিক। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন ভিডিও এবং গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার ভয়াবহ চিত্র উঠে আসে।
পরবর্তীকালে, বিবিসির একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে একটি যাচাইকৃত অডিও রেকর্ডের মাধ্যমে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরাসরি গুলি করার নির্দেশের প্রমাণ প্রকাশিত হয়।[২৩] সরকারের পতনের পর, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এই হত্যাকাণ্ডের বিচার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে করার ঘোষণা দেয় এবং এই মামলায় সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন দায় স্বীকার করে রাজসাক্ষী হন।[২৪]
দ্বিতীয় পর্যায়
[সম্পাদনা]এক দফা দাবি
[সম্পাদনা]কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রথম পর্যায়ে সরকার কর্তৃক ব্যাপক দমন-পীড়ন, গণগ্রেফতার এবং বহু হতাহতের ঘটনার পর, যা পরবর্তীতে জুলাই গণহত্যা নামে পরিচিতি লাভ করে, আন্দোলনকারীরা আরও কঠোর অবস্থান গ্রহণ করে। সরকারের পক্ষ থেকে নয় দফা দাবি মেনে না নেওয়ায়, ৩ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কারীরা ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে সকল দাবি একত্রিত করে একটি চূড়ান্ত দাবি উত্থাপন করেন। এটি এক দফা দাবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করে, যার মূল লক্ষ্য ছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার মন্ত্রিসভার নিঃশর্ত পদত্যাগ। এই ঘোষণার মাধ্যমে কোটা সংস্কারের আন্দোলন দেশব্যাপী সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ নেয় এবং সর্বাত্মক অসহযোগ কর্মসূচির সূচনা হয়। সমন্বয়কদের পক্ষ থেকে বলা হয়, বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না, যা ছাত্র-জনতাকে চূড়ান্ত পর্যায়ের আন্দোলনের জন্য ঐক্যবদ্ধ করে।
মার্চ টু ঢাকা
[সম্পাদনা]এক দফা দাবি আদায়ের চূড়ান্ত পদক্ষেপ হিসেবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ প্রথমে ৬ আগস্ট, মঙ্গলবার, সারা দেশ থেকে ছাত্র-জনতাকে নিয়ে মার্চ টু ঢাকা কর্মসূচির ঘোষণা দেন।[২৫] এর উদ্দেশ্য ছিল সারাদেশ থেকে মানুষকে রাজধানীতে একত্রিত করে সরকারের ওপর চূড়ান্ত চাপ সৃষ্টি করা। তবে দেশজুড়ে পরিস্থিতি দ্রুত পরিবর্তন হতে থাকায় এবং আন্দোলন তীব্রতর হওয়ায়, ৪ আগস্ট রাতে এক জরুরি সিদ্ধান্তে এই কর্মসূচি এগিয়ে এনে সোমবার, ৫ আগস্ট পালনের আহ্বান জানানো হয়। এই আহ্বানে সাড়া দিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এবং ঢাকার বিভিন্ন এলাকা থেকে লাখো মানুষ সকল বাধা উপেক্ষা করে রাজধানীর কেন্দ্রস্থল, বিশেষ করে গণভবন অভিমুখে রওনা দেয়। এই গণজোয়ারই শেখ হাসিনা সরকারের পতনকে ত্বরান্বিত করে এবং ঐ দিনই তার পদত্যাগ ও দেশত্যাগের প্রেক্ষাপট তৈরি করে।
পরিণতি
[সম্পাদনা]সরকার পতন
[সম্পাদনা]সহিংসতা
[সম্পাদনা]অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
[সম্পাদনা]সাংবিধানিক সংকট
[সম্পাদনা]২০২৪ সালের ৫ই আগস্ট তারিখে ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের সময় বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অকস্মাৎ গোপনে দেশত্যাগ করলে বাংলাদেশ একটি সাংবিধানিক সংকটে পতিত হয়, কারণ বাংলাদেশের সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী পলায়ন কিংবা পদত্যাগ করলে নতুন সরকার গঠন নিয়ে কোন বিধান নেই।[২৬][২৭][২৮][২৯][৩০][৩১] ভারতে হাসিনার পলায়নের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সুপ্রিম কোর্টের পরামর্শে ডক্ট্রিন অব নেসেসিটির দোহাই দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনে সায় দেন।[৩২] তবে ডক্ট্রিন অব নেসেসিটির দোহাই দিয়ে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা নামকাওয়াস্তে রক্ষিত ধরা হলেও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ নিয়মিত অন্তর্বর্তী সরকারকে অসাংবিধানিক ও অবৈধ বলে দাবি করে আসছে।[৩৩]
তদন্ত ও বিচার
[সম্পাদনা]আন্দোলনে পুলিশের পোশাকে অন্য দেশের নাগরিকের উপস্থিতিতির প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার কথা জানান আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম।[৩৪]
বিতর্ক
[সম্পাদনা]রাজাকার স্লোগান
[সম্পাদনা]| ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান |
|---|
| বিষয়ক ধারাবাহিক নিবন্ধশ্রেণীর অংশ |



ইন্টারনেট বিভ্রাট
[সম্পাদনা]প্রথম পর্যায় (১৮–২৮ জুলাই)
[সম্পাদনা]
Cloudflare Radar @CloudflareRadar ইংরেজি: Bangladesh is experiencing a near complete #Internet outage after a government-ordered shutdown of mobile networks. Traffic and announced address space dropped to near-zero around 15:00 UTC (21:00 local).
সরকারের-নির্দেশে মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধের পর বাংলাদেশে পূর্ণ #ইন্টারনেট বিভ্রাট দেখা দিয়েছে। ট্র্যাফিক এবং ঘোষিত অ্যাড্রেস স্পেস ১৫:০০টা ইউটিসিতে (স্থানীয় ২১:০০টায়) প্রায় শূন্যের-কাছাকাছি নেমে আসে।
19 July 2024[৪৫]
১৮ জুলাই থেকে শুরু হওয়া দেশব্যাপী ইন্টারনেট সংযোগ বন্ধের প্রথম ধাপ ২৮ জুলাই পর্যন্ত অব্যাহত ছিল।[৪৬]
২২ জুলাই, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দুই দিনের জন্য আন্দোলন স্থগিতের ঘোষণা দেয় এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ইন্টারনেট সংযোগ চালুর দাবি জানায়।[৪৭] পরের দিন, ২৩ জুলাই, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক জানান যে, সরকার ইন্টারনেট সংযোগে বিঘ্ন ঘটার পর তা আংশিকভাবে আবার চালু করবে—ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, রপ্তানি খাত ও নির্দিষ্ট কিছু এলাকায়।[৪৮]
সেই অনুযায়ী, ২৪ জুলাই, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা হয়,[৪৯][৫০] এবং ২৮ জুলাই, মোবাইল ইন্টারনেট চালু করা হয়, যার ফলে বাংলাদেশে ১০ দিনের দীর্ঘ ইন্টারনেট বিভ্রাটের অবসান ঘটে। যদিও ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং টিকটকের মতো সামাজিক মাধ্যমগুলি তখনও ব্লক করা ছিল।[৫১] ৩১ জুলাই ১৩ দিন বন্ধ থাকার পর, বিকেল ৩টায়, ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলি আবার চালু করা হয়।[৫২]দ্বিতীয় পর্যায় (২–৫ আগস্ট)
[সম্পাদনা]২ আগস্ট আবারও অস্থিরতা শুরু হওয়ায়, ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারীরা ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ এবং টেলিগ্রাম বন্ধ করে দেয়।[৫৩] পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর ফেসবুক ও মেসেঞ্জার আবার চালু করা হয়, তবে টেলিগ্রামে তখনো বন্ধ থাকে।[৫৪]
৪ আগস্ট, অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন সবচেয়ে ভয়াবহ দিন ছিল। এদিন প্রায় ৯১ জন মারা যান, যার মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য ছিলেন। ফলে সরকার আবারও সারাদেশে ইন্টারনেট বন্ধ করে দেয়।[৫৫] যা ছিল দ্বিতীয় দফার ইন্টারনেট বন্ধ। ৫ আগস্ট, সরকারের পতনের পর দ্বিতীয় দিনে ইন্টারনেট পুনরায় চালু হয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, ৫ আগস্ট দুপুর ১টার দিকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু হয়[৫৬] এবং দুপুর ২টার পর মোবাইল ইন্টারনেট ফিরে আসে।[৫৭] তবে, সামাজিক মাধ্যমে প্রবেশাধিকার তখনও সীমিত ছিল।[৫৮][৫৯]দমনের পক্ষে ব্যক্তিবর্গ
[সম্পাদনা]২০২৪ সালে কোটা সংস্কার দাবিতে ছাত্র আন্দোলনের সময় সহিংসতা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন শেখ হাসিনা সরকার সমর্থিত সাংবাদিক নেতাদের একাংশ। ২৭ জুলাই ২০২৪ ঢাকায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে তারা শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় সরকারের দমন পীড়নের সমর্থন জানান এবং সহিংস ঘটনার তদন্ত ও দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।[৬০]
সমাবেশে বক্তব্য দেন ইকবাল সোবহান চৌধুরী, আবুল কালাম আজাদ, মনজুরুল আহসান বুলবুল, ওমর ফারুক, ফরিদা ইয়াসমিন, শ্যামল দত্ত, আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সোহেল হায়দার চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম রতন, সৈয়দ শুকুর আলী শুভ, নজরুল ইসলাম মিঠু ও মোহাম্মদ আবু সাঈদ। তারা সহিংসতার পেছনে রাজনৈতিক উসকানির অভিযোগ তুলে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরিয়ে আনার ওপর গুরুত্ব দেন।[৬১]
আন্দোলন কঠোরভাবে দমনের অভিযোগ
[সম্পাদনা]এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (জানুয়ারি ২০২৫) |
গুজব
[সম্পাদনা]ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে নিহতদের তালিকা
[সম্পাদনা]চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের তালিকা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। এ গেজেটে সারাদেশের ৮৩৪ জন শহীদের নাম উঠে এসেছে। ১৫ জানুয়ারি,২০২৫ এ গেজেট প্রকাশিত হয়েছে। গেজেটে মেডিকেল কেইস আইডি, নাম, বাবার নাম, বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সরকারের গণঅভ্যুত্থান সংক্রান্ত বিশেষ সেল ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ করেছিল গত ২১ ডিসেম্বর। সেখানে ৮৫৮ জন শহীদের নামের পাশাপাশি আহতদের তালিকায় ১১ হাজার ৫৫১ জনের নাম ছিল।
নারীদের ভূমিকা
[সম্পাদনা]

এই আন্দোলনে নারীদের অস্বাভাবিক সংখ্যায় অংশগ্রহণ করতে দেখা গিয়েছিল, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল। সাধারণত বাংলাদেশে নারীদের রাজনৈতিক বিক্ষোভে জড়াতে দেখা যায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, আন্দোলনটিতে নারীদের অংশগ্রহণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীদের গণ অংশগ্রহণের মাধ্যমে ত্বরান্বিত হয়েছিল।[৬২]
কিংবদন্তি
[সম্পাদনা]৩৬ জুলাই
[সম্পাদনা]চিত্রকর্ম ও দেয়াল লিখন
[সম্পাদনা]কোটা সংস্কার আন্দোলন ও এর ধারাবাহিকতায় অসহযোগ আন্দোলন ছিলো বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন। দল মত ধর্ম বর্ণ জাতি নারী পুরুষ সবাই মিলে আন্দোলনকে একটি নতুন মাত্রায় নিয়ে গিয়েছিলো। এই আন্দোলনে দেশ বিদেশ থেকে অনেক চিত্রশিল্পীরা বিভিন্ন চিত্রকর্ম একে আন্দোলনকারীদের সাহস যুগিয়েছিলো। তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন দেবাশীষ চক্রবর্তী। তার করা পোষ্টার থেকে উঠে এসেছে এই অভ্যুত্থানের ধারাবাহিক সময়ক্রম, সময়োপযোগী দাবিদাওয়া ও অভ্যুত্থানের গতিপথ নির্দেশক নানা ধরনের স্লোগান। লাল, কালো ও হলুদের গভীর প্রতীকী মিশ্রণে দেবাশিস এই অভ্যুত্থানের প্রতিটি পর্যায়কে মূর্ত করে তুলেছেন অসামান্য দরদ ও দক্ষতায়। ‘খুনি হাসিনা’, ‘হুকুমের আসামী’সহ বেশকিছু পোস্টারে দেবাশিস সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি তাঁর আক্রমণের লক্ষ্যবস্তু বানিয়েছেন। বাংলাদেশে শেখ হাসিনার যে প্রবল প্রতাপশালী সত্তাটি জনগণের মনে ও চৈতন্যে সদা বিরাজমান ছিল, দেবাশিসের এই পোস্টারগুলো তা ভেঙে টুকরা টুকরা করে ফেলেছে।[৬৩]
শিল্পী রীশাম শাহাব তীর্থর পোস্টারে ফুটে উঠেছে অভ্যুত্থান-পরবর্তী অরাজকতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সবার জন্য সমতার দেশ গড়ার অঙ্গীকার। পাশাপাশি অভ্যুত্থানে আহতদের সুচিকিৎসার মানবিক দাবিটিও উঠে এসেছে এই শিল্পীর ডিজিটাল তুলিতে।[৬৩]
অদ্রি রায় নামের এক শিল্পীর একটি পোস্টারে ফটোজার্নালিস্ট ও সাধারণ নাগরিকদের ব্যক্তিগত ডিভাইস তল্লাশির প্রতিবাদ উঠে এসেছে সোজাসাপটা ভাষায়, ‘ফোনটা তোর বাপের না,/ ক্যামেরা তোর নেতার না!’ আন্দোলন চলাকালে লাশের মিছিলে মুক্তির আশায় বুক বেঁধে হাঁটতে থাকা ছাত্র–জনতার যন্ত্রণাদগ্ধ অনুভূতি ব্যক্ত হয়েছে অদ্রির আরেকটা পোস্টারে, ‘লাশ গুনতে গুনতেই লাশ হয়ে যাব,/ তবু জানি ফিরবার সব পথ বন্ধ।’ আগস্টের শুরুতে প্রবল বর্ষণকে উপেক্ষা করেও রাস্তায় নেমে এসেছিল হাজার হাজার ছাত্র–জনতা। বৃষ্টিতে ভিজতে থাকা সেই গণমানুষের বেদনাদীপ্ত মনের অনুভূতিটি ভাষা পেয়েছে অদ্রির আরেকটি পোস্টারে, ‘সন্তানের রক্তে ভিজে আছি, ছাতার দরকার নেই!’ এ ছাড়া আন্দোলনের আরও বিভিন্ন দিককে কেন্দ্র করে শত শত পোস্টার বানিয়েছেন জানা-অজানা অনেক শিল্পী। প্রায় প্রতিটি সামাজিক গণমাধ্যমে হাজার হাজারবার প্রচারিত হয়েছে এসব পোস্টার। নানা কারণে যাঁরা মাঠে নামতে পারেননি, মোবাইল বা ল্যাপটপের স্ক্রিনে উদ্বিগ্ন মুখে যাঁরা তাকিয়ে ছিলেন ভবিষ্যতের দিকে, তাঁদের হাতেও প্রতি মুহূর্তে লড়াইয়ের অস্ত্র তুলে দিয়েছে এই পোস্টারগুলো।[৬৩]
আন্দোলনের জুলাই–আগস্টে মাত্র তিন সপ্তাহে আঁকা হয়েছে শত শত রম্য, উপহাস ও বিদ্রুপাত্মক কার্টুন ও চিত্রকর্ম। স্লোগানের মতো রাজনৈতিক কার্টুনও উৎসাহ দিয়েছে এ আন্দোলনে। বাংলাদেশের প্রথিতযশা কার্টুনিস্ট আহসান হাবীব ৩ আগস্ট ২০২৪-এ একটি কার্টুন প্রকাশ করেন। তাতে দেখা যায়, লালের ওপর আঁকা হয়েছে একটি বালুঘড়ি। ঘড়ির ওপরে আর তখন নামমাত্র বালু আছে নিচে নামতে। লেখা আছে ‘কাউন্ট ডাউন’। এছাড়াও এবারের আন্দালেন নাজমুস সাদাতের কার্টুনে নিজের দিকে বন্দুকের নল টেনে নেওয়া হাত, আসিফ মাহবুবের আঁকা রক্তাক্ত মুঠোফোন, রিশাম শাহাব তীর্থর আঁকা গণতন্ত্রকে নিরাপত্তা বাহিনী আর ছাত্রলীগের পেটোয়া বাহিনীর নির্যাতন অথবা পুলিশের বুটের তলা আটকে রাখা শিক্ষার্থীর দলের কার্টুনগুলো আন্দোলনের সময় ঘটনার বার্তা দিয়ে পরিস্থিতি স্পষ্ট করেছে।[৬৪]
গণঅভ্যুত্থান চলাকালে এক পর্যায়ে চারদিকে মরদেহের স্তূপের মাঝে একদল তরুণ রং-তুলি, পেইন্ট স্প্রে নিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশের বিভিন্ন দেয়াল গ্রাফিতি এঁকে রাঙিয়ে তুলে প্রাণ সংশয়ের ভয় নিয়ে। সেই গ্রাফিতিগুলোতে উঠে আসে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ থেকে শুরু করে গণহত্যার বিচারের দাবি।[৬৫]
ঢাকার ব্যস্ততম সড়ক বা এলাকার ছোট গলিতে মুখ ফেরালেই দেখা যেত স্প্রে, পেইন্টের রঙে রঙিন কাঁচাপাকা হাতের গ্রাফিতি। আবু সাঈদের মায়ের আহাজারি ‘হামার বেটাক মারলি কেনে?’, মুগ্ধর ‘এই পানি লাগবে পানি’, ‘রক্তাক্ত জুলাই’, ‘দেশটা কারও বাপের না’– এমন হাজারো প্রতিবাদী স্লোগান ও তরুণ প্রজন্মের দাবি উঠে আসে গ্রাফিতি আকারে। যেগুলো সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সময়ে ক্ষমতার জোরে মুছে ফেলার ব্যর্থ চেষ্টা করা হয়। গ্রাফিতি আঁকার সময় পুলিশ দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাধা দেওয়া হয়।[৬৫]
তবুও শিক্ষার্থীরা দমে যায়নি। তারা চুপিসারে গ্রাফিতি এঁকে প্রতিবাদ করে। ৫ আগস্ট সরকার পতন হয়। এরপর হঠাৎ করেই যেন আন্দোলনের সময়ে আঁকা গ্রাফিতি, পোস্টারে ভরে থাকা দেয়াল, মেট্রোরেলের পিলার, সড়ক বিভাজক, ঢাকার বিভিন্ন স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রধান সড়কের দেয়াল পাল্টে যেতে থাকে। বিভিন্ন রঙে রঙিন হতে থাকে। ছোট্ট শিশু থেকে শুরু করে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সহায়তায় প্রতিবাদী তরুণরা যা যা চায় এবং মনের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটায় দেয়ালে দেয়ালে রং-তুলি দিয়ে। শাহবাগ, টিএসসি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর, বেইলি রোড, খিলগাঁও, মালিবাগ, মিন্টো রোড, মিরপুর, সেগুনবাগিচা, রামপুরাসহ পুরো ঢাকায় দেয়ালচিত্র এঁকে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনের সময়ের বিভিন্ন স্মৃতি তুলে ধরে। সেই সঙ্গে দেশের প্রায় প্রতিটি শহরে তা ছড়িয়ে যায়।[৬৫]
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দেয়ালে অংকন
সঙ্গীত
[সম্পাদনা]কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আওয়াজ উডা শিরোনামের গানটি মুক্তি পায়। মুক্তির এক সপ্তাহ পর,গানটির সুরকার হান্নানকে ২৫ জুলাই নারায়ণগঞ্জ থেকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।[৬৬] নিউ ইয়র্কভিত্তিক অলাভজনক সংস্থা আর্টিস্ট অ্যাট রিস্ক কানেকশন (এআরসি) গ্রেপ্তারটির নিন্দা জানায়।[৬৭]
গানটি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় জনমহলে খুবই জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মাত্র ১৩ দিনে এটি ইউটিউবে ছয় মিলিয়নেরও বেশি বার দেখা হয়, যা সে সময় বাংলাদেশে ইউটিউবে পঞ্চম সর্বাধিক দেখা গান হিসেবে স্থান পায়।[৬৭]
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ভূমিকা
[সম্পাদনা]২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানে সরাসরি রাজনৈতিক দলের উপস্থিতি দৃশ্যমান না হলেও, আন্দোলনের সফলতার পর বিভিন্ন দল এ ঘটনার কৃতিত্ব দাবি করে। মাঠ পর্যায়ে রাজনৈতিক কর্মীদের অংশগ্রহণ থাকলেও, আন্দোলনের সময় তাদের দলীয় পরিচয় সামনে আসেনি। শিক্ষার্থীরা একে দলনিরপেক্ষ গণআন্দোলন হিসেবেই দেখেছেন।[৬৮]
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিরুদ্ধে সে সময় আওয়ামী লীগ সরকার অভিযোগ তোলে যে তারা আন্দোলনে সহিংসতা ছড়িয়েছে।[৬৯] তবে বিএনপি আন্দোলনের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করে ‘নৈতিক সমর্থনের’ কথা বলে।[৭০] জামায়াতও প্রাথমিকভাবে একাত্মতা জানালেও, পরে তাদের সংগঠিত সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। জামায়াত নেতা সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের জানান, তারা সচেতনভাবে নিজ সংগঠনের নাম গোপন রেখে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে যাতে তা সার্বজনীন রূপ পায়।[৬৮] বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও বলেন, তারা মাঠে উপস্থিত ছিলেন, যদিও দলীয়ভাবে নয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম দাবি করেন, আন্দোলনের সঙ্গে দলগুলোর কোনো আনুষ্ঠানিক সম্পর্ক ছিল না, তবে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা ব্যক্তি উদ্যোগে অংশ নিয়েছেন। বিশ্লেষকদের মতে, আন্দোলনের সময় রাজনৈতিক দলগুলো দ্বিধায় থাকলেও সফলতার পর কৃতিত্ব দাবি রাজনৈতিক সুবিধা অর্জনের কৌশল হতে পারে। সার্বিকভাবে, অভ্যুত্থানটি একটি স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলন হিসেবে শুরু হলেও, এর ফলাফল ও কৃতিত্ব ঘিরে রাজনৈতিক দলগুলো পরবর্তীতে সক্রিয় অবস্থান নেয়।[৬৮]
গণমাধ্যমে উল্লেখ
[সম্পাদনা]এই অনুচ্ছেদটি খালি। আপনি এখানে যোগ করে সাহায্য করতে পারেন। (জানুয়ারি ২০২৫) |
জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশন
[সম্পাদনা]জাদুঘর
[সম্পাদনা]জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস
[সম্পাদনা]জাতীয় বীর
[সম্পাদনা]৫ আগস্ট ২০২৫ সালে জুলাই ঘোষণাপত্রে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।[৭১]
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]- জুলাই বিপ্লবের সময় দেয়ালে ছাত্রদের আঁকা ইনকিলাব জিন্দাবাদ গ্রাফিতি, বেইলি রোড, ঢাকা
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- গণঅভ্যুত্থান
- ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ
- অসহযোগ আন্দোলন (২০২৪)
- তুমি কে? আমি কে? রাজাকার রাজাকার
- ২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন
- জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস
- শেখ হাসিনার পদত্যাগ
- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন
- ৩৬ জুলাই
- ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান পরবর্তী সহিংসতা
- জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর
- জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশন
- জুলাই শহীদ দিবস
- আবু সাঈদ
- নাহিদ ইসলাম
- অন্তর্বর্তীকালীন সরকার
- নব্বইয়ের গণঅভ্যুত্থান
- ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান
- জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ
- জুলাই ঘোষণাপত্র
- জুলাই সনদ
- বাংলাদেশের সাংবিধানিক গণভোট, ২০২৬
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- 1 2 "মন খুলে আমাদের সমালোচনা করুন: প্রধান উপদেষ্টা"। দ্য ডেইলি স্টার। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠান হবে"। প্রথম আলো। ২৪ জুন ২০২৫। ২৫ জুন ২০২৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০২৫।
- ↑ "ছাত্র–জনতার-গণঅভ্যুত্থানে-পুলিশে-সংস্কারের-প্রয়োজনীয়তা-দেখা-দিয়েছে"। thedailycampus.com। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- 1 2 "কোটা আন্দোলন থেকে অভ্যুত্থান: উত্থান-পতনে যেভাবে এসেছে সফলতা"। banglanews24.com। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ Ekattor TV (৩ আগস্ট ২০২৪)। "এক দফা নিয়ে যে বক্তব্য দিলেন সমন্বয়ক নাহিদ | News | Ekattor TV"।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য) - ↑ Jamuna TV (১৭ আগস্ট ২০২৪)। "কীভাবে কেটেছে জুলাই বিপ্লবের উত্তাল দিনগুলো? | July Revolution | BD Student Protest | Jamuna TV"।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য) - ↑ "তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল ঘোষণা"। বিবিসি বাংলা। ১০ মে ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "২১শে অগাস্ট গ্রেনেড হামলা সহ তারেক রহমানের বিরুদ্ধে যত মামলা রয়েছে"। বিবিসি বাংলা। ২১ আগস্ট ২০২৪। ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (১৮ আগস্ট ২০২৩)। "সরকার নানাভাবে গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে"। দৈনিক প্রথম আলো। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন: প্রয়োগ না অপপ্রয়োগ - তা নিয়ে উদ্বেগ ও বিতর্ক কেন?"। বিবিসি বাংলা। ৫ মার্চ ২০২১। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ সংবাদদাতা (৪ আগস্ট ২০২৪)। "কুড়িগ্রামে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-যুবলীগ ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ৩০"। দৈনিক প্রথম আলো। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}:|শেষাংশ=প্যারামিটারে সাধারণ নাম রয়েছে (সাহায্য) - ↑ আলোক, সাদী মুহাম্মাদ (১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩)। "কেন এত অভিযোগ ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "হাসিনার বিরুদ্ধে গণঅভ্যুত্থানে ভূমিকা রেখেছে যেসব কারণ"। বিবিসি বাংলা। ১১ আগস্ট ২০২৪। ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "আবু সাঈদ হত্যার বিচারের দাবিতে বেরোবিতে শহীদি মার্চ"। www.kalerkantho.com। ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "কোটা আন্দোলন: কোটা সংস্কারের আন্দোলনে সহিংসতায় সারা দেশে ছয় জন নিহত"। বিবিসি বাংলা। ১৬ জুলাই ২০২৪। ১৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা, কারফিউ, সেনা মোতায়েন, ইন্টারনেট বন্ধ-আরো যা যা ঘটেছে"। বিবিসি বাংলা। ২৩ জুলাই ২০২৪। ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা আপিল বিভাগের"।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (১০ জুলাই ২০২৪)। "কোটা বহালে হাইকোর্টের রায়ে ৪ সপ্তাহের স্থিতাবস্থা আপিল বিভাগের"। দ্য ডেইলি স্টার। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (১৮ জুলাই ২০২৪)। "কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি রোববার"। দৈনিক প্রথম আলো। ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ রিপোর্ট, স্টার অনলাইন (১৬ জুলাই ২০২৪)। "কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের লিভ-টু-আপিল আবেদন"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "কোটা নিয়ে আনা লিভ টু আপিলের ওপর শুনানি রোববার | শিরোনাম"। Noyashotabdi। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "কোটা আন্দোলন: কোটা নিয়ে আপিল বিভাগের শুনানিতে রোববার যা হয়েছে"। বিবিসি বাংলা। ২১ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম। "গুলির নির্দেশ 'শেখ হাসিনাই দিয়েছিলেন', অডিও যাচাই করে বলছে বিবিসি"। গুলির নির্দেশ ‘শেখ হাসিনাই দিয়েছিলেন’, অডিও যাচাই করে বলছে বিবিসি (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২৫।
- ↑ প্রতিবেদক, জ্যেষ্ঠ (১০ জুলাই ২০২৫)। "জুলাই গণহত্যার দায় স্বীকার, রাজসাক্ষী হলেন চৌধুরী মামুন"। dhakapost.com। সংগ্রহের তারিখ ১০ জুলাই ২০২৫।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের 'মার্চ টু ঢাকা' কর্মসূচি সোমবার"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জুলাই ২০২৫।
- ↑ Ahasan Raisa, Fatima Zahra; Tarannum Susan, Suriya (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪)। "Bangladesh Through the Prism of Doctrine"। ডিওআই:10.59704/3a2bb7c01da8225a। আইএসএসএন 2366-7044। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪।
{{সাময়িকী উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতি journal এর জন্য|journal=প্রয়োজন (সাহায্য) - ↑ "Post-Hasina Bangladesh's Multiple Challenges"। thediplomat.com (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ Levush, Ruth (২৯ আগস্ট ২০২৪)। "Interim Government and the Constitution of Bangladesh | In Custodia Legis"। The Library of Congress। ১০ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Bangladesh: The Long Road Ahead"। The International Crisis Group। ৭ আগস্ট ২০২৪। ৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৫ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "গোলকধাঁধার সংবিধান: কী করবেন প্রেসিডেন্ট"। Daily Inqilab। ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ Ahmed, Kamal (২৯ আগস্ট ২০২৪)। "What's the CEC's motive in wanting the constitution suspended?"। দৈনিক প্রথম আলো (ইংরেজি ভাষায়)। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Bangladesh at crossroads as it pursues sweeping constitutional reform"। Voice of America (ইংরেজি ভাষায়)। ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ৭ অক্টোবর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ প্রতিনিধি, বিশেষ (১৮ অক্টোবর ২০২৪)। "শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা কল্পনাপ্রসূত: আ.লীগ"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪)। "আন্দোলনে পুলিশের পোশাকে ভিনদেশীর প্রমাণ মিলেছে: তাজুল"। একাত্তর টিভি। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- ↑ "'তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে প্রকম্পিত ঢাবি"। Bangla Tribune। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "'তুমি কে আমি কে- রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে ছিল চূড়ান্ত বিপ্লবের ডাক"। মানবজমিন। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "'তুমি কে, আমি কে, রাজাকার রাজাকার' স্লোগানে ফের প্রকম্পিত ঢাবি"। The Daily Ittefaq। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "'তুমি কে? আমি কে? রাজাকার...' স্লোগান নিয়ে নাহিদ ইসলামের ব্যাখ্যা"। www.kalerkantho.com। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "پایان حسینه در بنگلادش"। www.khorasannews.com। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "در بنگلادش چه خبر است؟ دولت معترضان به سهمیهایها را «رضاکار» خطاب کرد"। euronews (ফার্সি ভাষায়)। ১৯ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "How 'tagging' silences critical voices in Bangladesh"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ২৪ নভেম্বর ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ Modak, Ruma (৩০ নভেম্বর ২০২৪)। "ট্যাগিং: রাজনৈতিক দমন-পীড়নে এক নির্মম ও প্রতারক অস্ত্র – DW – 30.11.2024"। DW। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ "ট্যাগিং রাজনীতি যে সর্বনাশ ডেকে আনবে"। দৈনিক প্রথম আলো। ১০ মার্চ ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ আকাশ, এম এম (১ আগস্ট ২০২৪)। "'কোটা আন্দোলন ২০২৪' কী শিক্ষা দিল"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- ↑ Cloudflare Radar [@CloudflareRadar] (১৯ জুলাই ২০২৪)। "Bangladesh is experiencing a near complete #Internet outage after a government-ordered shutdown of mobile networks. Traffic and announced address space dropped to near-zero around 15:00 UTC (21:00 local)." (টুইট) – টুইটার এর মাধ্যমে।
- ↑ দেশজুড়ে বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা, অগ্নিগর্ভ বাংলাদেশে বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা, বাড়ছে উদ্বেগ। Aajkaal (ইংরেজি ভাষায়)। ২০ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২০ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "Bangladesh Quota Row: Students Pause Protest For 48-Hour, Demand Govt To Lift Curfew"। The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ জুলাই ২০২৪। ২৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "Broadband internet is back in Bangladesh after quota protest disruption for 5 days"। Bdnews24.com। ২৩ জুলাই ২০২৪। ২৩ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ জুলাই ২০২৪।
- ↑ Paul, Ruma (২৪ জুলাই ২০২৪)। "Bangladesh factories, banks reopen as curfew is eased after protests taper off"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪।
- ↑ Alam, Julhas (২৪ জুলাই ২০২৪)। "Bangladesh crawls back to normalcy after violent clashes that killed nearly 200 people"। The Associated Press। ৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুলাই ২০২৪।
- ↑ "Mobile internet restored, decision on social media July 31"। The Daily Observer (Bangladesh)। ২৮ জুলাই ২০২৪। ২৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০২৪।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব (৩১ জুলাই ২০২৪)। ফেসবুক–হোয়াটসঅ্যাপ চালু। Prothom Alo। ১ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০২৪।
- ↑ "Facebook shut down again on mobile network, Telegram too"। Prothom Alo। ২ আগস্ট ২০২৪। ২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ মোবাইল ইন্টারনেটে ৫ ঘণ্টা পর ফেসবুক-মেসেঞ্জার আবার চালু। Prothom Alo। ২ আগস্ট ২০২৪। ২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "At least 91 killed in Bangladesh protests as curfew and internet blocks imposed"। CNN (ইংরেজি ভাষায়)। ৪ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Broadband internet restored"। Prothom Alo (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ আগস্ট ২০২৪। ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Mobile Internet restored"। Prothom Alo (ইংরেজি ভাষায়)। ৫ আগস্ট ২০২৪। ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Bangladesh PM Sheikh Hasina resigns and flees country as protesters storm palace"। BBC News। ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "Broadband, 4G internet services restored"। Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ৫ আগস্ট ২০২৪।
- ↑ "স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের প্রতি সাংবাদিক সমাজের সমর্থন | জাতীয়"। BSS। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
- ↑ "প্রধানমন্ত্রীর পদক্ষেপের প্রতি সাংবাদিক সমাজের সমর্থন"। দৈনিক সমকাল। ২৭ জুলাই ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুলাই ২০২৫।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|archive-url=এর জন্য|archive-date=প্রয়োজন (সাহায্য) - ↑ "নারীদের অংশগ্রহণ যেভাবে শেখ হাসিনার পতন ত্বরান্বিত করেছে"। ইউটিউব। বিবিসি বাংলা। ১৭ আগস্ট ২০২৪।
{{ওয়েব উদ্ধৃতি}}: উদ্ধৃতিতে খালি অজানা প্যারামিটার রয়েছে:|1=(সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - 1 2 3 "অভ্যুত্থানের অব্যর্থ হাতিয়ার"। প্রথম আলো। ২২ আগষ্ট ২০২৪।
{{সংবাদ উদ্ধৃতি}}:|তারিখ=এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য) - ↑ "'নাটক কম করো পিও!'—এমন সাড়া ফেলেছিল আরও যত কার্টুন"। প্রথম আলো। ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪। ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪।
- 1 2 3 "দেয়ালে প্রতিবাদের ভাষা"। সমকাল। ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪।
- ↑ "'Awaaz Utha' rapper Hannan arrested, gets 2-day remand"। দ্য ডেইলি স্টার (ইংরেজি ভাষায়)। ৩০ জুলাই ২০২৪। ২২ আগস্ট ২০২৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- 1 2 "'আওয়াজ উডা' র্যাপার হান্নানকে গ্রেপ্তারে আন্তর্জাতিক সংগঠনের নিন্দা"। প্রথমআলো। ১ আগস্ট ২০২৪। সংগ্রহের তারিখ ১২ ডিসেম্বর ২০২৪।
- 1 2 3 "জুলাই অভ্যুত্থানে রাজনৈতিক দলগুলোর ভূমিকা কী ছিল?"। BBC News বাংলা। ৩০ জুলাই ২০২৫। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২৫।
- ↑ Hossain, Mohammad Ponir; Paul, Ruma; Jahan, Sam (২২ জুলাই ২০২৪)। "Bangladesh PM Hasina blames opposition for violence, curfew to remain"। Reuters (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২৫।
- ↑ প্রতিনিধি, বিশেষ (১৭ জুলাই ২০২৪)। "আমরা আন্দোলনে সরাসরি জড়িত নই, নৈতিক সমর্থন রয়েছে: মির্জা ফখরুল"। দৈনিক প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুলাই ২০২৫।
- ↑ জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের শহীদদের ‘জাতীয় বীর’ ঘোষণা, ইত্তেফাক, ৫ আগস্ট ২০২৫
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]
উইকিমিডিয়া কমন্সে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।
উইকিউক্তিতে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান সম্পর্কিত উক্তি পড়ুন।
