চৌগ্রাম জমিদার বাড়ি
চৌগ্রাম জমিদার বাড়ি | |
---|---|
সাধারণ তথ্যাবলী | |
ধরন | বাসস্থান |
অবস্থান | সিংড়া উপজেলা |
ঠিকানা | চৌগ্রাম গ্রাম |
শহর | সিংড়া উপজেলা, নাটোর জেলা |
দেশ | বাংলাদেশ |
উন্মুক্ত হয়েছে | ১৭২০ |
স্বত্বাধিকারী | রসিক রায় |
কারিগরি বিবরণ | |
উপাদান | ইট, সুরকি ও রড |
চৌগ্রাম জমিদার বাড়ি বাংলাদেশ এর নাটোর জেলার সিংড়া উপজেলার চৌগ্রাম গ্রামে অবস্থিত এক ঐতিহাসিক জমিদার বাড়ি। [১]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৭২০ সালের দিকে জমিদার রসিক রায়ের হাত ধরে এই জমিদার বংশ ও বাড়ির গোড়াপত্তন। মূলত এটি নাটোর জমিদার বাড়ির অধীনস্থ একটি জমিদার বাড়ি ছিল। নাটোরের জমিদার রামজীবন রসিক রায়কে উক্ত জমিদারী দান করেন। কারণ রামজীবন নিঃসন্তান ছিলেন। তাই তিনি রসিক রায়ের দুই ছেলে সন্তান থেকে একজনকে দত্তক নেন। যার কৃতজ্ঞতা স্বরূপ তিনি রসিক রায়কে এই জমিদারী দান করেন। আর এই থেকে এই জমিদারীর পথচলা শুরু হয়। এরপর বংশানুক্রমে একের পর এক জমিদার বংশধররা এই জমিদারী পরিচালনা করতে থাকেন। রসিক রায়ের পরে জমিদাররা হলেন কৃষ্ণকান্ত রায়, রুদ্রকান্ত রায়, রোহিনীকান্ত রায়, রমণীকান্ত রায় ও জমিদার বংশের শেষ জমিদার রাজেশকান্ত রায় ও রমেন্দ্রকান্ত রায়। পরবর্তীতে ভারতবর্ষ ভাগ হলে জমিদার বাড়ির শেষ বংশধররা ভারতে চলে যান।
অবকাঠামো
[সম্পাদনা]এই জমিদার বাড়িটির আয়তন ছিল প্রায় ২৯,৪৮৭ একর জায়গাজুড়ে। বাড়িটির প্রবেশমুখে একটি প্রবেশদ্বার ছিল। বাড়ির ভিতরে বসবাসের জন্য মূল ভবন, তহশিল ভবন, বৈঠকখানা, মঠ ও শাহ ইয়েমিনি নামের এক পীর আউলিয়ার মাজার ছিল।
বর্তমান অবস্থা
[সম্পাদনা]অযত্ন ও অবহেলাতে পড়ে থাকায় বাড়িটির প্রতিটি স্থাপনা এখন প্রায় ধ্বংসের মুখে। এছাড়াও লতাপাতা ও জঙ্গলে পুরো বাড়িটিকে এখন ঘিরে ফেলেছে।