চেরালেজ বাতাসী
চেরালেজ বাতাসী | |
---|---|
![]() | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | Animalia |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | Apodiformes |
পরিবার: | Apodidae |
গণ: | Apus |
প্রজাতি: | A. pacificus |
দ্বিপদী নাম | |
অপাস প্যাসিফিকাস (জন ল্যাথাম, ১৮০১) | |
![]() | |
Breeding visitor (সীমানা আনুমানিক)
সাবেক তিন উপপ্রজাতির বসবাস অঞ্চল বাস করে না |
চেরালেজ বাতাসী (বৈজ্ঞানিক নামঃ অপাস প্যাসিফিকাস) বা প্যাসিফিক সুইফট হচ্ছে পূর্ব এশিয়ায় বাসকারী পাখি। এরা অভিবাসী পাখি। শীত মৌসুম এরা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং অস্ট্রেলিয়ায় কাটায়। এরা এশিয়ান সুইফটসের নিকটাত্মীয়। একসময় এই দুই সুইফট পাখিকে এক প্রজাতির পাখি বিবেচনা করা হতো।
শ্রেণীবিন্যাস
[সম্পাদনা]চেরালেজ বাতাসী অপাস গোত্রের সদস্য যাদের লেজের পালক বিভক্ত। চেরালেজ বাতাসীর পাঁচটি উপপ্রজাতি ছিলো[২] কিন্তু বর্তমানে এর তিনটিকে একটি পূর্ণ প্রজাতি ফর্ক টেইলড সুইফট স্থান দেওয়া হয়েছে। পূর্বে ফর্ক টেইলড সুইফট প্যাসিফিক সুইফটেরই একটি প্রচলিত নাম ছিলো।
১৮০১ সালে জন লোথাম সর্বপ্রথম চেরালেজ বাতাসীকে হিরান্ডো প্যাসিফিকা নামে বর্ণনা করে[৩] । ১৭৭৭ সালে জিয়োভানি এন্টিনিও স্কোপোলি সকল সুইফ পাখিকে সোয়ালো থেকে স্থানান্তরিত করে অপাস গণে স্থান দেন[৪]। অপাস শব্দটি গ্রীক শব্দ অপোয়াস থেকে এসেছে যার অর্থ পা ছাড়া, এই গণের পাখিদের পা ছোট এবং দুর্বল[৫][৬]। প্রশান্ত মহাসাগর এর নাম থেকেই এদের নামের প্যাসিফিকা নেওয়া হয়েছে।
বর্ণনা
[সম্পাদনা]এরা লম্বায় ১৭-১৮ সেমি, অপাস পরিবারের সব থেকে বড় সুইফট পাখি। এদের ডানার বিস্তৃতি ৪৩-৫৪ সেমি। স্ত্রী পাখিরা পুরুষ পাখির তুলনায় কিছুটা ভারী, গড় ওজন ৪৪.৫ গ্রাম এবং ৪২.৫ গ্রাম।
বাসস্থান
[সম্পাদনা]এরা পূর্বএশিয়ার কামচাটকা, কুরিল দ্বীপ, শাখালিন, জাপানে বাস করে। শীত মৌসুমে দক্ষিণ ইন্দোনেশিয়া, মেলানেশিয়া এবং তাসমানিয়া সহ অস্ট্রেলিয়ায় অভিবাসী হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ BirdLife International (২০১২)। "Apus pacificus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা। সংস্করণ 2013.2। প্রকৃতি সংরক্ষণের জন্য আন্তর্জাতিক ইউনিয়ন। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ Chantler & Driessens (2000) pp. 235–237.
- ↑ Latham (1801) p. lviii.
- ↑ Scopoli (1777) p. 483.
- ↑ Jobling (2010) pp. 50–51.
- ↑ Kaufman (2001) p. 329.
বইয়ে
[সম্পাদনা]- ব্রাজিল, মার্ক (2009). পূর্ব এশিয়ার পাখি. লন্ডন: এ এন্ড সি ব্ল্যাক. আইএসবিএন 0-7136-7040-1.
- চ্যান্টলার, ফিলিপ (1999). "Family Apodidae (Swifts)"। ইন দেল হয়ো, জোসেপ; এলিয়ট, এন্ড্রু; সারগাটাল, জর্দি. হ্যান্ডবুক অভ দ্য বার্ডস ওয়ার্ল্ড, ভলিউম 5. গোলাবাড়ির পেঁচা থেকে হামিংবার্ড বার্সেলোনা, স্পেন: Lynx Edicions. আইএসবিএন 84-87334-25-3.