চেক প্রজাতন্ত্র-মঙ্গোলিয়া সম্পর্ক

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চেক প্রজাতন্ত্র-মঙ্গোলিয়া সম্পর্ক
মানচিত্র Czech Republic এবং Mongolia অবস্থান নির্দেশ করছে

চেক প্রজাতন্ত্র

মঙ্গোলিয়া
প্রাগে অবস্থিত মঙ্গোলিয়ার দূতাবাস

চেক প্রজাতন্ত্র-মঙ্গোলিয়া সম্পর্ক, চেক প্রজাতন্ত্র এবং মঙ্গোলিয়া এর মাঝে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নির্দেশ করে। তবে এই দুই দেশের মধ্যে যখন সম্পর্ক স্থাপিত হয় তখন চেক প্রজাতন্ত্র রাষ্ট্রটির অস্তিত্ব ছিল না। দেশটি তখন চেকোস্লোভাকিয়া হিসেবে ছিল। ১৯৫০ সালের ২৫ এপ্রিল, চেকোস্লোভাকিয়া এবং মঙ্গোলিয়ার মাঝে, আনুষ্ঠানিকভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। ১৯৮০ এর দশকে, চেকোস্লোভাকিয়া ছিল মঙ্গোলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার। সে সময় রাশিয়া (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) ছিল মঙ্গোলিয়ার বৃহত্তম ব্যবসায়িক অংশীদার।

১৯৯৩ সালের ১ জানুয়ারি, চেকোস্লোভাকিয়ার বিলুপ্তির পর চেক প্রজাতন্ত্র এবং স্লোভাকিয়া নামে দুটি পৃথক এবং স্বাধীন রাষ্ট্র গঠিত হয়। কিন্তু এই দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্কের কোন পরিবর্তন ঘটে নি। বরং চেকোস্লোভাকিয়ার বিলুপ্তির দিনই মঙ্গোলিয়া নতুন দেশ দুটির স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেয়। এর পাশাপাশি, মঙ্গোলিয়া সেই দিনই চেক প্রজাতন্ত্রের সাথে তাঁদের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অগ্রসরতার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করে।[১]

মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটর এ চেক প্রজাতন্ত্রের একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[২] একবার বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর, ১৯৯৯ সালে, চেক প্রজাতন্ত্র পুনরায় এই দূতাবাসটি চালু করে। অপরদিকে চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগ এ মঙ্গোলিয়ার একটি স্থায়ী দূতাবাস রয়েছে।[৩]

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৮০ এর দশকে চেক প্রজাতন্ত্র মঙ্গোলিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার থাকলেও, ১৯৯০ এর দশকে এই অবস্থার পরিবর্তন হয়। তখন এই দুই দেশের মধ্যকার বাণিজ্যের পরিমানের ব্যাপক অবনতি ঘটে। কিন্তু এর পরও মঙ্গোলিয়ার মোট আমদানির ১ শন্তাংশ হত চেক প্রজাতন্ত্র হতে। এর জেরে কিছুদিন দূতাবাস বন্ধ থাকলেও, ১৯৯৯ সালে আবার মঙ্গোলিয়ায় চেক প্রজাতন্ত্রের দূতাবাস চালু হয়।[৪] ২০০৫ সালে এই দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৫ মিলিয়ন (৫০ লক্ষ) মার্কিন ডলার[৫] এছাড়াও, চেক প্রজাতন্ত্র মঙ্গোলিয়ায় অবকাঠামোগত অনেক উন্নয়নে যুক্ত থেকে মঙ্গোলিয়াকে সাহায্য করেছে। ২০০২ সালে, চেক প্রজাতন্ত্রের শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মঙ্গোলিয়ার দুন্দগোভি আইমাগ অঞ্চলে, সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য, মান্দালগোভি অঞ্চলের একটি পানি শোধনাগার স্থাপনের পরিকল্পনা করে।[৬] ২০০৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে, পূর্ব এশিয়া বিষয়ক চেক প্রজাতন্ত্রের চেম্বার অব কমার্স, মঙ্গোলিয়ার রাজধানী উলানবাটর-এ নর্দমার ময়লা নিষ্কাশনের একটি প্ল্যান্ট স্থাপনের জন্য সমঝোতা স্মারকে সাক্ষর করে।[৭] ২০১২ সালে চেক প্রজাতন্ত্রে শিল্প এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, মঙ্গোলিয়ার অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে, প্রায় ৪ বিলিয়ন (৪০০ কোটি) চেক ক্রোনার একটি অংশীদারত্বের ঘোষণা দেয়।[৮]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Mongolian - Czech friendship grows with EU"। দ্যা মঙ্গল ম্যাসেঞ্জার। ২০০৯-০৬-২০। জুন ২০, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৩-০২ 
  2. "Facts about the Embassy"। এমব্যাসিপেজেস। 
  3. "Mongolia - Embassy of Mongolia"চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় 
  4. "Report on the Foreign Policy of the Czech Republic, 1998-1999" (পিডিএফ)চেক প্রজাতন্ত্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ১৯৯৯। পৃষ্ঠা ১৮৭–১৮৮। সংগ্রহের তারিখ ২৪ অক্টোবর ২০০৭ 
  5. "Bilateral trade turnover to be increased"। মন্টসেম। ২০০৫-১১-১০। ২০১৬-০৩-০৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৪ 
  6. "Technological Equipment for Drinking Water Supply in Mandalgobi, Mongolia"। জিওটেস্ট। ২০০৭-১১-২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৪ 
  7. "Czech Republic to contribute to water s"। মন্টসেম। ২০০৭-০৯-২৪। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-১০-২৪ [অকার্যকর সংযোগ]
  8. লাজারোভা, ড্যানিয়েলা (২৬ এপ্রিল ২০১২)। "Czechs secure lucrative contracts in Mongolia"রেডিও প্রাগ। সংগ্রহের তারিখ ২৮ নভেম্বর ২০১৪ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]