চূড়ান্ত সমাধান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চূড়ান্ত সমাধান
"চূড়ান্ত সমাধান" কার্যকরে প্রশাসনিক সাহায্য চেয়ে যথারীতি জার্মান কূটনীতিক মার্টিন লুথারের কাছে রাইনহার্ড হাইডরিশের পাঠানো একটি চিঠি, ২৬ ফেব্রুয়ারি ১৯৪২
তারিখ১৯৪১-১৯৪৫
অবস্থানজার্মানি অধিকৃত ইউরোপ
অন্য পরিচয়এন্ডলোসং ডের ইউডেনফ্রাগ

চূড়ান্ত সমাধান (জার্মান: die Endlösung, উচ্চারণ [dɪ ˈɛntˌløːzʊŋ] (শুনুন)) বা ইহুদি প্রশ্নের চূড়ান্ত সমাধান (জার্মান: Endlösung der Judenfrage, উচ্চারণ [ˈɛntˌløːzʊŋ deːɐ̯ ˈjuːdn̩ˌfʁaːɡə] (শুনুন)) ছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ইহুদীদের গণহত্যার উদ্দেশ্যে করা একটি নাৎসি পরিকল্পনা । " ইহুদি প্রশ্নের চূড়ান্ত সমাধান" ছিল নাগালের মধ্যে থাকা সমস্ত ইহুদিদের হত্যার জন্য একটি সরকারী সাংকেতিক নাম, যা কেবল ইউরোপীয় মহাদেশে সীমাবদ্ধ ছিল না। [১] জার্মান-দখলকৃত ইউরোপ জুড়ে শুরু হওয়া স্বেচ্ছাকৃত ও নিয়ন্ত্রিত গণহত্যার পরিকল্পনাটি ১৯৪২ সালের জানুয়ারি মাসে বার্লিনের কাছে অনুষ্ঠিত ওয়ানসি সম্মেলনে নাৎসি নেতৃত্বে একটি পদ্ধতিগত ও ভূ-রাজনৈতিক পরিভাষা গ্রহণ করেছিল এবং [২] হলোকাস্ট বা ইহুদি গণহত্যায় শেষ হয়েছিল, যাতে ৯০% পোলিশ ইহুদী,[৩] এবং ইউরোপের ইহুদি জনসংখ্যার দুই তৃতীয়াংশকে হত্যা করা হয়। [৪]

চূড়ান্ত সমাধানের দিকে পরিচালিত সিদ্ধান্তগুলির প্রকৃতি এবং সময় হচ্ছে হলোকাস্টের এমন কিছু বিষয় যা নিয়ে প্রচুর গবেষণা এবং বিতর্ক হয়েছে। এই কর্মসূচিটি যুদ্ধের প্রথম ২৫ মাসে বিস্তার লাভ করেছিল এবং "জার্মান সীমার সর্বশেষ ইহুদি পর্যন্ত হত্যা"র দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। [৫]ক্রিস্টোফার ব্রাউনিং লিখেছেন, বেশিরভাগ ঐতিহাসিক এই ব্যাপারে সম্মত হন যে, একটি নির্দিষ্ট সময়ে একক কোন সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত সমাধানের জন্য দায়ী করা যাবে না। [৫] "এটা হওয়াটাই স্বাভাবিক যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত এবং ক্রমবর্ধমান ছিল।" [৬] ১৯৪০ সালে ফ্রান্সের পতনের পর অ্যাডল্ফ আইখম্যান ইউরোপের ইহুদি জনগণকে ফরাসি উপনিবেশে স্থানান্তরিত করার জন্য মাদাগাস্কার পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছিলেন, কিন্তু পরিকল্পনাটি নৌপথ অবরোধের কারণে বাতিল করা হয়েছিল। [৭] ফিলিস্তিনসাইবেরিয়ার ইহুদীদের নির্বাসনের প্রাথমিক পরিকল্পনাও ছিল। [৮] রাউল হিলবার্গ লিখেছেন, ১৯৪১ সালে ইহুদীদের গণহত্যার প্রথম ধাপে, মোবাইল হত্যাকাণ্ড ইউনিটগুলি দখলকৃত পূর্বাঞ্চলীয় অঞ্চল জুড়ে তাদের শিকারকে অনুসরণ করতে শুরু করেছিল। দ্বিতীয় পর্যায়ে, জার্মান-দখলকৃত ইউরোপ জুড়ে বিস্তৃত ইহুদিদেরকে মৃত্যু-ট্রেনে করে চূড়ান্ত সমাধানের সঠিক বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে নির্মিত কেন্দ্রীভূত নির্মূল ক্যাম্পগুলিতে পাঠানো হয়েছিল। [৯]

জার্মান জাহাজ এম এস সেইন্ট লুই, ১৯৩৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে জাহাজটি জার্মানি থেকে কিছু ইহুদি শরণার্থী নিয়ে কিউবা, কানাডা এবং আমেরিকায় পাড়ি জমানোর চেষ্টা করে, কিন্তু এই দেশগুলোর কোনটিই তাদের সাহায্য করেনি।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Browning i, Christopher (২০০৭)। The Origins of the Final Solution: The Evolution of Nazi Jewish Policy, September 1939 – March 1942। U of Nebraska Press. "In a brief two years between the autumn of 1939 and the autumn of 1941, Nazi Jewish policy escalated rapidly from the pre-war policy of forced emigration to the Final Solution as it is now understood—the systematic attempt to murder every last Jew within the German grasp."। 
  2. "Wannsee Conference and the Final Solution"United States Holocaust Memorial Museum। সংগ্রহের তারিখ ৩০ মার্চ ২০১৫ 
  3. David S. Wyman; Charles H. Rosenzveig (১৯৯৬)। The World Reacts to the Holocaust। JHU Press। পৃষ্ঠা 99। আইএসবিএন 0801849691 
  4. Holocaust Encyclopedia। "'Final Solution': Overview"। United States Holocaust Memorial Museum। ২ মার্চ ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ 
  5. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Browning424 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  6. Browning (2004).
  7. Browning, Christopher R. (১৯৯৫)। The Path to Genocide: Essays on Launching the Final Solution। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 18–19, 127–128। আইএসবিএন 978-0-521-55878-5 – Google Books-এর মাধ্যমে। 
  8. Niewyk ও Nicosia 2000
  9. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Hilberg273 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি