চিত্রা আইয়ার
চিত্রা আইয়ার | |
---|---|
প্রাথমিক তথ্য | |
জন্ম | করুনাগাপল্লী, কেরালা, ভারত |
ধরন | প্লেব্যাক গায়িকা |
পেশা | সংগীতশিল্পী, টিভি উপস্থাপিকা, অভিনেত্রী |
কার্যকাল | ২০০০–বর্তমান |
চিত্রা আইয়ার ( চিত্রা শিবরমন নামেও পরিচিত) একজন ভারতীয় প্লেব্যাক গায়িকা যিনি মূলত মালায়ালাম বিনোদন জগতের সাথে ক্সুক্ত। তিনি ভারতীয় এবং ইতালীয় চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন।
ব্যাঙ্গালোরের বাসিন্দা চিত্রা ২০০০ সালের গোড়ার দিকে এ আর রহমানের সহকারী হিসাবে তামিল ছবিতে ব্যাপকভাবে কাজ করেছিলেন। একই সাথে মালায়ালাম টেলিভিশনে টেলিভিশন উপস্থাপক এবং অভিনেত্রী হিসেবেও কাজ করেছেন। [১][২]
কর্মজীবন
[সম্পাদনা]কর্মজীবনের শুরুতে, চিত্রা আইয়ার সুরকার এ আর রহমানের সাথে কাজ করার জন্য তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যাঙ্গালোরের বাইরে থাকার কারণে তিনি তা করতে অক্ষম ছিলেন। ২০০০ সালে রহমান চিত্রার সাথে যোগাযোগ শুরু করেন এবং তাকে তার কাজের একটি নমুনা নিয়ে চেন্নাইতে আসার জন্য আমন্ত্রণ জানান, যেখানে চিত্রা কিছু তামিল এবং মালায়ালাম গান রেকর্ড করেন। [৩] চেন্নাই সফরের দিন, রহমান তাৎক্ষণিকভাবে গানগুলি শুনেছিলেন এবং একই দিনে সন্ধ্যায় তিনি থেনালি (২০০০) চলচ্চিত্রের অথিনী সিথিনী গানটি গাওয়ার জন্য চিত্রাকে নির্বাচিত করেছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কার্তিক রাজা, যুবন শঙ্কর রাজা, ভরদ্বাজ, বিদ্যাসাগর ইত্যাদি তামিল সিনেমার অন্যান্য সুরকারদের জন্যও গান গেয়েছেন। বিবাহের পর তিনি চিত্রা শিবরমন নামে পরিচিত হন। তামিল ভাষার পাশাপাশি, চিত্রা তেলুগু, কন্নড়, মালায়ালাম এবং হিন্দি চলচ্চিত্রের জন্যো গান গেয়েছিলেন। [৩]
মালায়লাম বিনোদন জগতে, তিনি মালায়লাম গানের অনুষ্ঠান, জীব'স সপ্ত স্বরঙ্গলের উপস্থাপিক হিসেবে ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে তার বিবাহ পূর্ববর্তী নাম চিত্রা আইয়ার ব্যবহৃত হয়। কেরালায় পড়াশোনা করার পর, মালায়ালাম ভাষায় তার ভালো দখল তৈরি হয়ে যায়। অনুষ্ঠানে তার কাজের ফলে চিত্রার চলচ্চিত্রে গান গাওয়ার আরও সুযোগ তৈরি হয়েছিল। [৩]
ব্যক্তিগত জীবন
[সম্পাদনা]চিত্রা আইয়ার ১৯৮৯ সালের ১২ জুলাই বিমান বাহিনীর প্রাক্তন পাইলট বিনোদ শিবরমনের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮৯ সালের গোড়ার দিকে চেন্নাই জিমখানা ক্লাবে তাদের বাবা-মায়ের সুপারিশে এই দম্পতির দেখা হয়। এই দম্পতির দুটি রয়েছে কন্যা অদিতি এবং অঞ্জলি।[৪] অঞ্জলি ২০২৩ সালের নেটফ্লিক্স সিরিজ ক্লাস -এ তার অভিনয়ের জন্য পরিচিত।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে, টেলিভিশনের কাজের পাশাপাশি চিত্রা কেরালায় এলিফ্যান্ট ওয়েলফেয়ার সোসাইটি প্রতিষ্ঠা ও তত্ত্বাবধায়কের দায়িত্ব পালন করছেন।[৫] তিনি তার মা রোহিনী আইয়ারের উদ্যোগে শুরু হওয়া একটি কৃষি প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের কৃষি উন্নয়নেও অবদান রেখেছেন।[৬] একইভাবে, ২০১৩ সালে তিনি তার দুই কন্যা আদিতি এবং অঞ্জলি শিবরামনের সঙ্গে যৌথভাবে একটি সফটওয়্যার সংস্থা ডার্কহর্স প্রোডাকশনস প্রতিষ্ঠা করেন।[৭]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Find a track - Asian Network - BBC Music"। BBC। ১ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "The Tribune, Chandigarh, India - Chandigarh Stories"। The Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ ক খ গ "When fortune met talent..."। The Hindu। ২ জানুয়ারি ২০০৪। ২০ নভেম্বর ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "cs" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ "shevlin's world: July 2013"। shevlinsebastian.blogspot.co.uk। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Society for Elephant Welfare"। sew-india.org। ৮ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "Mathrubhumi: ReadMore -'Rohini Iyer earns income through varied farming'"। mathrubhumi.com। ৭ নভেম্বর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ "DARKHORSE PRODUCTIONS PRIVATE LIMITED"। Indian Company Info। ২০ মে ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০১৭।