চিত্রল জাতীয় উদ্যান
| চিত্রল জাতীয় উদ্যান چترال گول نیشنل پارک | |
|---|---|
আইইউসিএন বিষয়শ্রেণী II (জাতীয় উদ্যান) | |
উদ্যানটি বিভিন্ন সুউচ্চ তৃণভূমির বৈশিষ্ট্য দেখানো হয়েছে | |
| অবস্থান | চিত্রল, খাইবার পাখতুনখোয়া |
| স্থানাঙ্ক | ৩৫°৫৬′ উত্তর ৭১°৪০′ পূর্ব / ৩৫.৯৩৩° উত্তর ৭১.৬৬৭° পূর্ব |
| আয়তন | ৭৭৫০ হেক্টর |
| স্থাপিত | ১৯৮৪ |
| কর্তৃপক্ষ | পাকিস্তান সরকারের বন্যপ্রাণী ও উদ্যান বিভাগ |
চিত্রল জাতীয় উদ্যান হচ্ছে পাকিস্তানের জাতীয় উদ্যানগুলির মধ্যে অন্যতম একটি উদ্যান। এটি পাকিস্তানের চিত্রল নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা খাইবার-পাখুনখোয়া প্রদেশের চিত্রল জেলায় অবস্থিত এবং এটি চিত্রল শহর থেকে মাত্র দুই ঘণ্টার দূরত্ব লক্ষ্য করা যায়। উদ্যানটিকে চিত্রল গল জাতীয় উদ্যান নামেও পরিচিত রয়েছে।[১][২]
আইনগত বৈধতা
[সম্পাদনা]১৯৮৩ সালের আগ পর্যন্ত, চিত্রল গলকে চিত্রলের সাবেক মেহতার ব্যক্তিগত সম্পত্তি বলে মনে করা হত। উদ্যানটি নির্মানের পর থেকে এর সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে বিভিন্নভাবে বিতর্ক লক্ষ্য করা যায়। যার ফলে সাবেক মেহেরের উত্তরাধিকারী এবং পাকিস্তান সরকারের মধ্যে চলমান মামলার বিষয়টি হয়ে উঠে আসে।[৩][৪]
স্থিতিমাপ
[সম্পাদনা]উদ্যানটি দিকে অগ্রসর হওয়ার পথটি বেশ সংকীর্ণ এবং বিপজ্জনক এবং বর্ষার দিনগুলিতে এটি আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। এটি ১৪৫০ মিটার বিসৃত অঞ্চল এবং সমুদ্রপৃষ্ট থেকে প্রায় ৫০০০ মিটার উপরে অবস্থিত। উদ্যানটি মোট ৭৭৫০ হেক্টর এলাকার সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে।[৫]
প্রাণিকুল
[সম্পাদনা]উদ্যানটি তিনটি উপত্যকা সমন্বয়ে গঠিত হয়েছে। উদ্যানটির মধ্যে বেশ কয়েকটি হিমবাহ রয়েছে, যার মাধ্যমে এটি বসন্তকাল তাদের গতিপথ তৈরি করে এবং শেষ পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার পর্যন্ত ধাবিত হয়ে একটি প্রবাহ গঠন করে। এই প্রবাহের ঠান্ডা পানি পূর্ব দিকে থেকে এসে চিত্রল নদীর সামনের দিকে প্রবাহিত হয়। উদ্যানটি বৃক্ষারাজিতে সমৃদ্ধ এবং এখানকার বিশেষ বৃক্ষ হচ্ছে সিডার। এছাড়াও উদ্যানটি বিশাল জীববৈচিত্র্য অভয়ারন্য হিসেবে আশ্রয় প্রদান করে থাকে, বিশেষ করে একটি বিপন্ন প্রজাতির বন্য ছাগল দেখতে পাওয়া যায়।[৬] প্র্রজাতিদের মধ্যে উদ্যানটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে অ্যাস্তোর মার্কার। চিত্রল জাতীয় উদ্যান এখনও পর্যন্ত বিশ্বের বৃহত্তম জনসংখ্যাবহুল অ্যাস্তোর মার্কার রয়েছে।[৭] এছাড়াও বর্তমানে উদ্যানটিতে কিছু সংখ্যক সাইবেরিয়ান আইবিক্স, লাদাখ ইউরিয়াল এর পাশাপাশি এশিয়ান কালো ভাল্লুকও পাওয়া যায়। যদিও তুষার চিতাবাঘকে পার্কের স্থায়ী বাসিন্দা বলে মনে করা হয়না কিন্তু মাঝে মধ্যে সেখানেও দেখতে পাওয়া যায়। তিব্বতী নেকড়ে, লাল শেয়াল, হলুদগলা মার্টিন এবং হিমালয়ের ভোঁদড়গুলি সবসময় উদ্যানটিতে পাওয়া যায়। উদ্যানটি প্রচলিত পাখিগুলির মধ্য রয়েছে দাড়ি দোলা, হিমালিয়ার গহ্বর, সোনালী ঈগল, ডেমোসিলেল কপিকল, পেরেগ্রিন বাজ, হিমালয়ের তুষারকোকে, হিমালয়ের মোনাল। এছাড়াও তুষারপাত এবং শিলা অংশ পরিলক্ষিত হয়।[৮]
আবহাওয়া
[সম্পাদনা]অঞ্চলটির বার্ষিক বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ৬২ মিলিমিটার। সেপ্টেম্বর মাসে উদ্যানটির আশেপাশের দর্শনীয় শিলাগুলিতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। যাইহোক নভেম্বর মাসে উপত্যকায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়। এছাড়াও শীতকালেও তুষারপাত হয়ে থাকে। সাধারণত অঞ্চলটির আবহাওয়া ঠান্ডা এবং শুষ্ক। তাপমাত্রার পরিসীমা −১২.২ থেকে ৪৩.৩ °সে।[৯][১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Camerapix (১ জানুয়ারি ১৯৯৮)। Spectrum Guide to Pakistan (ইংরেজি ভাষায়)। Interlink Books। পৃ. ৩১৯। আইএসবিএন ৯৭৮১৫৬৬৫৬২৪০৯।
- ↑ Singh, Sarina (১ জানুয়ারি ২০০৮)। Pakistan & the Karakoram Highway (ইংরেজি ভাষায়)। Lonely Planet। আইএসবিএন ৯৭৮১৭৪১০৪৫৪২০।
- ↑ "Chitral National Park"। National Parks in Pakistan। ৯ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ "Wildlife of Pakistan: National Parks of Pakistan"। ২৭ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ "Chitral Gol National Park – Documentary"। ২০ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত।
- ↑ "Markhor"। ২০ ডিসেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ {{{assessors}}} (2008). Capra falconeri. 2008 IUCN Red List of Threatened Species. IUCN 2008. Retrieved on 5 April 2009.
- ↑ "Chitral Gol National Park"। Wildlife of Pakistan। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Hyder, Donald N. (১ জানুয়ারি ১৯৭৮)। Proceedings of the First International Rangeland Congress, Denver, Colorado, USA, August 14–18, 1978 (ইংরেজি ভাষায়)। Society for Range Management.।
- ↑ Green, Michael John Beverley (১ জানুয়ারি ১৯৯০)। IUCN Directory of South Asian Protected Areas (ইংরেজি ভাষায়)। IUCN। আইএসবিএন ৯৭৮২৮৩১৭০০৩০৪।