চার্লস গাল্টন ডারউইন

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

Charles Galton Darwin

জন্ম
Charles Galton Darwin

(১৮৮৭-১২-১৮)১৮ ডিসেম্বর ১৮৮৭
Cambridge, England
মৃত্যু৩১ ডিসেম্বর ১৯৬২(1962-12-31) (বয়স ৭৫)
Cambridge, England
জাতীয়তাBritish
মাতৃশিক্ষায়তনTrinity College, Cambridge
পরিচিতির কারণDarwin term
Darwin Lagrangian
Darwin drift
Darwin–Radau equation
Darwin–Fowler method
পুরস্কারRoyal Medal (1935)
Fellow of the Royal Society[১]
বৈজ্ঞানিক কর্মজীবন
কর্মক্ষেত্রPhysicist
প্রতিষ্ঠানসমূহNational Physical Laboratory
Victoria University of Manchester
Royal Engineers
Christ's College, Cambridge
California Institute of Technology
University of Edinburgh
Manhattan Project
উচ্চশিক্ষায়তনিক উপদেষ্টাErnest Rutherford
Niels Bohr
টীকা
He was the grandson of Charles Darwin, the son of George Howard Darwin, the brother of Gwen Raverat and brother-in-law of Geoffrey Keynes.

স্যার চার্লস গাল্টন ডারউইন কেবিই এমসি এফআরএস[১] (১৮ ডিসেম্বর ১৮৮৭ – ৩১ ডিসেম্বর ১৯৬২) ছিলেন একজন ইংরেজ পদার্থবিজ্ঞানী যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির (এনপিএল) পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। [২] তিনি গণিতবিদ জর্জ হাওয়ার্ড ডারউইনের পুত্র এবং চার্লস ডারউইনের নাতি ছিলেন।

প্রথম জীবন[সম্পাদনা]

ডারউইন কেমব্রিজের নিউনহাম গ্রেঞ্জে ইংল্যান্ডের একটি বৈজ্ঞানিক রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেন। [৩] গণিতবিদ স্যার জর্জ হাওয়ার্ড ডারউইন ছিলেন তাঁর পিতা এবং লেডি ডারউইন ছিলেন তাঁর মাতা। চার্লস ডারউইন ছিলেন তার দাদা। ডারউইনের বড় বোন ছিলেন শিল্পী গুয়েন রাভেরাত এবং তার ছোট বোন মার্গারেট, অর্থনীতিবিদ জন মেনার্ড কেইন্সের ভাই জিওফ্রে কেইন্সকে বিয়ে করেন। তার ছোট ভাই উইলিয়াম রবার্ট ডারউইন লন্ডনের একজন স্টকব্রোকার ছিলেন। ডারউইন মার্লবোরো কলেজে (১৯০১-৬) পড়াশোনা করেন এবং তারপর ১৯৪৯ সালে কেমব্রিজের ট্রিনিটি কলেজে গণিত অধ্যয়ন করেন।

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

তিনি ম্যানচেস্টারের ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন, রাদারফোর্ডের পরমাণু মডেলের জন্য আর্নেস্ট রাদারফোর্ড এবং নীলস বোরের অধীনে কাজ করেন। ১৯২২ সালের একটি গবেষণাপত্রে, তিনি মোজাইক স্ফটিক মডেল এর প্রবর্তন করেন।

প্রথম বিশ্বযুদ্ধের প্রাদুর্ভাবের পর তাকে কমিশনার বানানো হয় এবং সেন্সর হিসেবে ফ্রান্সে পাঠানো হয়। ১৯১৯ থেকে ১৯২২ সাল পর্যন্ত তিনি কেমব্রিজের ক্রাইস্টস কলেজের প্রভাষক ও ফেলো ছিলেন যেখানে তিনি পরিসংখ্যানগত বলবিদ্যা নিয়ে আর এইচ ফোলারের সাথে কাজ করতেন এবং তাদের এই কাজ ডারউইন-ফোলার পদ্ধতি নামে পরিচিত লাভ করে। এরপর তিনি ১৯২৪ সালে এডিনবার্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক দর্শনের টেইট অধ্যাপক হওয়ার আগে ক্যালিফোর্নিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে এক বছর কাজ করেন এবং কোয়ান্টাম অপটিক্স এবং ম্যাগনেটো-অপটিক এর প্রভাব নিয়ে কাজ করেন। তিনি ১৯২৮ সালে, ইলেকট্রনের আপেক্ষিকতাত্ত্বিক তত্ত্বের অধীনে হাইড্রোজেন পরমাণুর সূক্ষ্ম গঠন গণনা করেন।

১৯৩৬ সালে ডারউইন এডিনবার্গে পদত্যাগ করেন ও একজন সক্রিয় এবং সক্ষম প্রশাসক হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৩৮ সালে তিনি ন্যাশনাল ফিজিক্যাল ল্যাবরেটরির পরিচালক হন। তিনি যুদ্ধোত্তর সময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৯২৫ সালে তিনি ফ্রান্সিস উইলিয়াম পেম্বারের গণিতবিদ কন্যা ক্যাথারিন পেম্বারকে বিয়ে করেন। তাদের চারজন ছেলে ও একজন মেয়ে ছিল। ডারউইন এর সন্তানদের নাম নিম্মরূপ:

১.সেসিলি ডারউইন (জন্ম ১৯২৬),তিনি ছিলেন একজন এক্স-রে স্ফটিকবিদ। তিনি ১৯৫১ সালে ফিলাডেলফিয়ার জন লিটলটনকে বিয়ে করেন।

২.জর্জ পেম্বার ডারউইন (১৯২৮-২০০১) তিনি কম্পিউটার এর উন্নয়নের জন্য কাজ করেন এবং তারপর ১৯৬৪ সালে ডেভিড ব্রুস হাক্সলির কন্যা অ্যাঞ্জেলা হাক্সলিকে বিয়ে করেন;তিনি লেখক লিওনার্ড হাক্সলি এবং টমাস হাক্সলির নাতনী ছিলেন।

৩.হেনরি গাল্টন ডারউইন (১৯২৯-১৯৯২) ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দপ্তরে কাজ করতেন এবং জেন ক্রিস্টিকে বিয়ে করেছিলেন।

৪.ফ্রান্সিস উইলিয়াম ডারউইন (1932-1999) তিনি একজন প্রাণীবিদ এবং লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন।

প্রকাশনা[সম্পাদনা]

তার প্রকাশিত পুস্তক সমূহের মধ্যে রয়েছে: ১.দ্যা নিউ কনসেপশন্স অফ ম্যাটার (১৯৩১) ২.দ্যা নেক্সট মিলিয়ন ইয়ার্স (১৯৫২)

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Thomson, G. P. (১৯৬৩)। "Charles Galton Darwin. 1887-1962"। Biographical Memoirs of Fellows of the Royal Society9: 69–85। ডিওআই:10.1098/rsbm.1963.0004অবাধে প্রবেশযোগ্য 
  2. ও'কনর, জন জে.; রবার্টসন, এডমুন্ড এফ., "চার্লস গাল্টন ডারউইন", ম্যাকটিউটর গণিতের ইতিহাস আর্কাইভ, সেন্ট অ্যান্ড্রুজ বিশ্ববিদ্যালয় 
  3. "Microsoft Word - oldfells_list_jun06.doc" (পিডিএফ)। ২০১৩-০১-২৪ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৪-২৬