চারুপ্রভা সেনগুপ্ত

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চারুপ্রভা সেনগুপ্ত
জন্ম২৯ মার্চ ১৮৯৭
কাঁঠালিয়া গ্রাম, ময়মনসিংহ, ব্রিটিশ ভারত, বর্তমান বাংলাদেশ বাংলাদেশ)
মৃত্যু২০ এপ্রিল ১৯৭৫
নাগরিকত্ব ব্রিটিশ ভারত (১৯৪৭ সাল পর্যন্ত)

 ভারত
বাংলাদেশ বাংলাদেশ)
পেশারাজনীতিবিদ, লেখক
পরিচিতির কারণব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিকন্যা
আন্দোলনব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলন
অপরাধের অভিযোগরাজদ্রোহমূলক বক্তৃতা করার অভিযােগে, আইন অমান্য, আন্দোলনে যােগদান
অপরাধের শাস্তি১৯৩০ জুলাই,১৯৩২ এবং ১৯৪২ সালে কারাবরণ
অপরাধীর অবস্থাপ্রেসিডেন্সি জেলেসহ অন্যান জেলে অবস্থান
দাম্পত্য সঙ্গীভারতবন্ধু সেনগুপ্ত
সন্তান২ কন্যা
পিতা-মাতা
  • মহেশ্চন্দ্র সেনগুপ্ত (পিতা)
  • কুসুমকুমারী দেবী (মাতা)
আত্মীয়হেমপ্রভা দাসগুপ্ত (দিদি)

চারুপ্রভা সেনগুপ্ত (২৯ মার্চ ১৮৯৭ - ২০ এপ্রিল ১৯৭৫) ছিলেন ভারতীয় উপমহাদেশের ব্রিটিশ বিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনের একজন ব্যক্তিত্ব ও অগ্নিকন্যা।

পরিবার[সম্পাদনা]

চারুপ্রভা সেনগুপ্ত ১৮৯৭ সালে ময়মনসিংহের কাঁঠালিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। কিন্তু পিতৃভূমি ছিল বংশী গ্রাম। তার পিতার নাম মহেশ্চন্দ্র সেনগুপ্ত ও মাতার নাম কুসুমকুমারী দেবী। তার দিদি ছিলেন হেমপ্রভা দাসগুপ্ত। ভারতবন্ধু সেনগুপ্তের সাথে বিবাহ হয়[১]

রাজনৈতিক জীবন[সম্পাদনা]

চারুপ্রভা সেনগুপ্ত নারীশিক্ষার জন্য অন্ত;পুর শিক্ষা সমিতি গঠন করেন। তিনি প্রিয়পুজা নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করেন। তিনি পিকেটিং, বে-আইনী সভা ও শােভাযাত্রায় যােগদান প্রভৃতি কাজ তিনি করে যেতে থাকেন। রাজবাড়ির অনেক মেয়ে এবং বউ ঘরের বাধা ভেঙে তখন সাহস করে। বেরিয়ে এলেন। ১৯৩০ সালের জুলাই মাসে তাঁকে রাজদ্রোহমূলক বক্তৃতা করার অভিযােগে গ্রেপ্তার ও জরিমানা করা হয়। তিনি লবণ আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেন। ১৯৩২ সালের আন্দোলনে আইন অমান্য করার অভিযােগে তাকে পুনরায় গ্রেপ্তার করে ১৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ১৯৩৩ সালে বেরিয়ে এসে তিনি হরিজন-বিদ্যালয়ের কাজে ও চরকা খদ্দর ইত্যাদি গঠনমূলক কাজে আত্মনিয়ােগ করেন।

১৯৩৫ সালে তার ছেলেদের টিটাগড় ষড়যন্ত্র মামলা সম্পর্কে গ্রেপ্তার করে এবং ঘন ঘন তার বাড়ি তল্লাসী করে। অথচ তাদের বাড়ির সঙ্গে বিপ্লবীদের কার্যকলাপের কোনাে সম্বন্ধই ছিল না। তারপর তার স্বাস্থ্যহানি ঘটে এবং ১৯৩৬ সালে তিনি কলিকাতা চলে আসেন। ১৯৪২ সালের আন্দোলনে যােগদান করেন এবং সেইসময় তার প্রায় সব ছেলেমেয়েরাই গ্রেপ্তার হন। তিনি নিরাপত্তা বন্দীরূপে প্রায় ১০ মাস প্রেসিডেন্সি জেলে ছিলেন। ১৯৪৬ সালে ফরিদপুরের রাজবাড়ির দাঙ্গা রদের জন্য শান্তি কমিটি গঠন করে দাঙ্গা রোধ করতে সমর্থ হন[১]

মৃত্যু[সম্পাদনা]

তিনি ১৯৭৫ সালে ২০এপ্রিলে মৃত্যুবরণ করেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. কমলা দাশগুপ্ত (জানুয়ারি ২০১৫)। স্বাধীনতা সংগ্রামে বাংলার নারী, অগ্নিযুগ গ্রন্থমালা ৯কলকাতা: র‍্যাডিক্যাল ইম্প্রেশন। পৃষ্ঠা ১৮১-৮৩। আইএসবিএন 978-81-85459-82-0