চাগাই-১
চাগাই-১ | |
---|---|
![]() | |
তথ্য | |
রাষ্ট্র | পাকিস্তান |
পরীক্ষার স্থান | রস কোহ পাহাড় (Ras Koh Hills), চাগাই জেলা (Chagai District), বেলুচিস্তান প্রদেশ (Balochistan), পাকিস্তান |
Period | ২৮ মে ১৯৯৮ |
Number of tests | ৫ |
পরীক্ষার ধরন | ভূগর্ভস্থ পরীক্ষা |
ডিভাইসের ধরন | বর্ধিত বিভাজন/ফিউশন |
সর্বোচ্চ শক্তি | ৪০ kilotons of TNT (১৭০ টেরাজুল) [১]:২৮১–২৮২দ্রষ্টব্য[২] |
পরীক্ষার কালানুক্রম | |
চাগাই-১ (Chagai-I) ছিল পাঁচটি একযোগে পরিচালিত ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা (underground nuclear test), যা পাকিস্তান ২৮ মে ১৯৯৮ খ্রিস্টাব্দে পিএসটি অনুযায়ী বিকাল ৩:১৫-এ সম্পাদন করে।[১]:২৮১[৩][৪] এই পরীক্ষাগুলি রস কোহ পাহাড় (Ras Koh Hills)-এ, চাগাই জেলা (Chagai District), বেলুচিস্তান প্রদেশ (Balochistan)-এ অনুষ্ঠিত হয়।[৫]
চাগাই-১ ছিল পাকিস্তানের প্রথম প্রকাশ্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা। এর সময় নির্বাচন ছিল ভারতের দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা পোখরান-২ (Pokhran-II), যা ১১ ও ১৩ মে ১৯৯৮-এ সংঘটিত হয়েছিল, তার সরাসরি প্রতিক্রিয়া। পাকিস্তান ও ভারতের এই পরীক্ষাগুলি জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ১১৭২ (United Nations Security Council Resolution 1172) এবং উভয় রাষ্ট্রের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আনয়ন করে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্র ও জাপানের পক্ষ থেকে। এই পরীক্ষার মাধ্যমে পাকিস্তান প্রকাশ্যভাবে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষাকারী সপ্তম দেশ হয়ে ওঠে।[৬]:১৪–১৫[৭] পাকিস্তানের দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা চাগাই-২ (Chagai-II) ৩০ মে ১৯৯৮-এ অনুষ্ঠিত হয়।
পটভূমি
[সম্পাদনা]১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকের একাধিক ঐতিহাসিক ও রাজনৈতিক ঘটনা এবং ব্যক্তিত্বের প্রভাবে পাকিস্তান ধীরে ধীরে পারমাণবিক অস্ত্র উন্নয়ন কর্মসূচির দিকে অগ্রসর হয়। এই কর্মসূচির সূচনা হয় ১৯৭২ সালে।[৮] পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার পরিকল্পনা শুরু হয় ১৯৭৪ সালে।[১]:১৮২–১৮৩[৭][৯]:৪৭০–৪৭৬ চাগাই-১ ছিল দীর্ঘ দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে পরিকল্পনা ও প্রস্তুতির ফল। এই পরীক্ষার মাধ্যমে পাকিস্তান হয়ে ওঠে পাবলিকভাবে পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করা অষ্টম রাষ্ট্রের মধ্যে সপ্তম।[৬]:১৪–১৫[৭]
চাগাই-১ পরীক্ষার সময় ছিল ভারতের দ্বিতীয় পারমাণবিক পরীক্ষা পোখরান-২ (Pokhran-II)—যা অপারেশন শক্তি (Operation Shakti) নামেও পরিচিত—এর সরাসরি প্রতিক্রিয়া। এই ভারতীয় পরীক্ষাগুলি হয় ১১ ও ১৩ মে ১৯৯৮-এ।[৬]:১–১৫[১০][১১]:১৯১–১৯৮ চাগাই-১ ছিল পাকিস্তানের দুটি প্রকাশ্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রথমটি। পাকিস্তানের দ্বিতীয় পরীক্ষা, চাগাই-২ (Chagai-II), ৩০ মে ১৯৯৮-এ অনুষ্ঠিত হয়।
২০০৫ সালে বেনজির ভুট্টো (Benazir Bhutto) সাক্ষ্য দেন যে, "পাকিস্তানের কাছে অনেক আগেই একটি পারমাণবিক ডিভাইস (atomic device) থাকতে পারে এবং তাঁর পিতা আদিয়ালা জেল (Adiala Jail) থেকে তাঁকে জানিয়েছিলেন যে ১৯৭৭ সালেই একটি পারমাণবিক পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছিল এবং তিনি আশা করেছিলেন, ১৯৭৭ সালের আগস্ট মাসে পাকিস্তান একটি পারমাণবিক ডিভাইসের পরীক্ষা চালাবে।"[১২] তবে এই পরিকল্পনা ডিসেম্বর ১৯৭৭ পর্যন্ত পিছিয়ে দেওয়া হয় এবং পরে আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া এড়াতে তা অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করা হয়; এর মাধ্যমে পাকিস্তান ইচ্ছাকৃত অনিশ্চয়তা (deliberate ambiguity) বজায় রাখে।[১২]
২০০৫ সালে জিও নিউজ-এ প্রচারিত ক্যাপিটাল টক (Capital Talk) অনুষ্ঠানে হামিদ মীরকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. সামার মুবারকমান্দ (Samar Mubarakmand) ভুট্টোর বক্তব্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং জানান, পাকিস্তান পারমাণবিক অস্ত্রের নকশা ১৯৭৮ সালেই তৈরি করে এবং ১৯৮৩ সালে প্রথম সফল শীতল পরীক্ষা (cold test) সম্পন্ন করে।[১২]
অবস্থান
[সম্পাদনা]
নিরাপত্তা ও গোপনীয়তা নিশ্চিত করতে একটি দুর্গম, বিচ্ছিন্ন এবং জনবসতিহীন পার্বত্য এলাকা প্রয়োজন ছিল।[৭][৯]:৪৭০–৪৭৬ পাকিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ (Geological Survey of Pakistan) একটি পরীক্ষা পরিচালনা করে[১]:১৮২ এমন একটি “সম্পূর্ণ শুষ্ক” পর্বত নির্ধারণের জন্য, যা ভেতর থেকে ২০–৪০ কিলোটন বিস্ফোরণ সহ্য করতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা চেয়েছিলেন এমন আবহাওয়া যেখানে বৃষ্টিপাত না থাকে এবং বাতাসও খুব কম থাকে, যেন তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়া (radioactive fallout) কম হয়।[৭]
রস কোহ পাহাড় (Ras Koh Hills) অঞ্চলে অবস্থিত কোহ কাঁবারান (Koh Kambaran) স্থানটি ১৯৭৮ সালে নির্বাচিত হয়। তবে বিস্ফোরণের আগপর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিবেদনে ভুলভাবে চাগাই পাহাড় (Chagai Hills) অঞ্চল উল্লেখ করা হওয়ায় ভৌগোলিক বিভ্রান্তি দেখা দেয়। চাগাই পাহাড় ও রস কোহ পাহাড় উভয়ই চাগাই জেলা (Chagai District)তে অবস্থিত, তবে রস কোহ পাহাড় চাগাই পাহাড়ের দক্ষিণে অবস্থিত এবং এই দুটি পাহাড়ের মাঝখানে একটি বড় উপত্যকা রয়েছে।[১৩][১৪]
১৯৮০-এর দশজুড়ে বেলুচিস্তানের গভর্নর (Governor of Balochistan, Pakistan), জেনারেল রহিমুদ্দিন খান (Rahimuddin Khan) এই অঞ্চলে নগর প্রকৌশল (civil engineering) কার্যক্রমের নেতৃত্ব দেন।[৭]
সিদ্ধান্ত গ্রহণ
[সম্পাদনা]১১–১৩ মে ১৯৯৮ সালে ভারতের পোখরান-২ (Pokhran-II) পরীক্ষার পর ভারতীয় রাজনীতিবিদদের বিভিন্ন বক্তব্য পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।[১৫] পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ (Nawaz Sharif) কাজাখস্তান সফর সংক্ষিপ্ত করে রাষ্ট্রপতি নূরসুলতান নজরবায়েভ-এর সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে দেশে ফিরে আসেন।[১৬]
পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত হয় একটি বৈঠকে, যেখানে শরিফ যৌথ প্রধানদের চেয়ারম্যান (Chairman Joint Chiefs of Staff Committee), জেনারেল জাহাঙ্গীর করামত, ড. আব্দুল কাদির খান, ইশফাক আহমদ, মুনীর আহমদ খান এবং মন্ত্রিসভার সদস্যদের নিয়ে আলোচনায় বসেন।[১৭]:১০১–১০২ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন পাকিস্তানকে পারমাণবিক পরীক্ষা থেকে বিরত রাখতে একটি বড় অঙ্কের সাহায্য প্যাকেজ প্রস্তাব করেন এবং স্ট্রোব টালবট ও জেনারেল অ্যান্থনি জিনি-র নেতৃত্বে উচ্চপর্যায়ের বেসামরিক ও সামরিক প্রতিনিধিদল পাকিস্তানে পাঠান।[১৭]:১০৩–১১০[১৮] তবে জনমত ছিল পারমাণবিক বিস্ফোরণের পক্ষে। তথ্যমন্ত্রী মুশাহিদ হুসেন ভারতীয় পরীক্ষার জবাবে প্রথম এর পক্ষে মত দেন।[১৯] বিরোধী দলীয় নেতা (Leader of the Opposition) বেনজির ভুট্টো জোরালোভাবে পাকিস্তানি পারমাণবিক পরীক্ষার পক্ষে বক্তব্য রাখেন।[৫]
জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদ (National Security Council)-এর জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি (Cabinet Committee on National Security)-এর এক বৈঠকে সরকার, সামরিক বাহিনী, বৈজ্ঞানিক এবং বেসামরিক কর্মকর্তারা অংশ নেন। এতে সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া আরও ব্যাপক ও জটিল হয়।[১৭]:১০৩ যৌথ প্রধানদের চেয়ারম্যান, জেনারেল জাহাঙ্গীর করামত এবং বিমান বাহিনী প্রধান (Chief of Air Staff), এয়ার চিফ মার্শাল পরভেজ মেহদি কুরেশি বিষয়টির পক্ষে মত দেন এবং সিদ্ধান্তটি সরকারের উপর ছেড়ে দেন।[১]:২৬৯–২৭০ নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল ফাসিহ বোখারী এবং অর্থমন্ত্রী সরতাজ আজিজ আর্থিক দিক বিবেচনা করে পরীক্ষার বিপক্ষে মত দেন; যদিও পরে আজিজ এটিকে "সঠিক সিদ্ধান্ত" বলে জোরালোভাবে সমর্থন করেন।[১১]:৩০০–৩২৫ ড. আব্দুল কাদির খান পরীক্ষার পক্ষে যুক্তি দেন এবং তাকে সমর্থন করেন সামার মুবারকমান্দ ও মুনীর আহমদ খান। অন্যদিকে, ড. ইশফাক আহমদ মত দেন যে, “পরীক্ষা চালানো হবে কি হবে না—এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার সরকারের, বৈজ্ঞানিক সমাজের নয়।”[১]:২৭১–২৭৫ চূড়ান্ত বক্তব্যে ইশফাক আহমদ বলেন: “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, সিদ্ধান্ত নিন এবং ইনশাআল্লাহ, আমি আপনাকে সফলতার নিশ্চয়তা দিচ্ছি।”[১]:২৭৬–২৭৭
জি৮ (G8+5) গোষ্ঠীর নিষেধাজ্ঞাগুলোর ভারতীয় কার্যক্রমে তেমন প্রভাব না পড়ায় এবং মার্কিন প্রতিশ্রুতি নিয়ে সংশয় থাকায়, পাকিস্তানি অর্থনীতিবিদরা মত দেন যে “জাতীয় নিরাপত্তা (National security)র বিনিময়ে আর্থিক মূল্য বিবেচনার কোনো জায়গা নেই।”[১১]:{{{১}}}[১৭]:১০৪–১০৫ মার্কিন রাষ্ট্রপতি বিল ক্লিনটন-এর চাপ সত্ত্বেও, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশন (PAEC)-কে উর্দুতে আদেশ দেন: “ধমাকা করে দিন” (অর্থাৎ, বিস্ফোরণ সম্পন্ন করুন!)।[১]:২৭৭
১৯৯৮ সালের মে মাসে একটি সি-১৩০ বিমান (C-130 aircraft) চারটি এফ-১৬ ফ্যালকন (F-16 Falcon) যুদ্ধবিমানের সহায়তায় রাওয়ালপিন্ডি থেকে চাগাই জেলাতে গোপনে সম্পূর্ণভাবে খণ্ডিত (completely knocked down) পারমাণবিক ডিভাইস পরিবহন করে।[৭]
১৯৯৯ সালে ইসলামাবাদে পাকিস্তানি ও ভারতীয় সাংবাদিকদের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নওয়াজ শরিফ বলেন: “যদি ভারত বিস্ফোরণ না ঘটাত, তাহলে পাকিস্তানও তা করত না। কিন্তু যখন দিল্লি বিস্ফোরণ ঘটায়, তখন জনমতের চাপে আমাদের আর কোনো বিকল্প ছিল না।”[১০]
বিস্ফোরণ ক্ষমতা
[সম্পাদনা]পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশন (PAEC) ১৯৯৮ সালের ২৮ মে বিকাল ৩:১৫টায় (স্থানীয় সময়ানুযায়ী) চাগাই পরীক্ষাকেন্দ্রে পাঁচটি ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা সম্পন্ন করে।[৫][৭]
পরীক্ষা এলাকা থেকে আনুমানিক ১০ কিমি (প্রায় ৬.২১ মাইল) দূরে একটি পর্যবেক্ষণ পোস্ট স্থাপন করা হয়। সেখানে ড. মাসুদ আহমদ এবং আসগর কাদির-এর নেতৃত্বে গণিত বিভাগ ও তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান দল (Theoretical Physics Group - TPG) বিস্ফোরণ ক্ষমতা নির্ধারণের কাজ করেন।[৫] নির্ভুল বিস্ফোরণ শক্তি ও আঘাত তরঙ্গ (shock wave) পরিমাপ করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং, কারণ তা নির্ধারণের একাধিক পদ্ধতি রয়েছে।[২০]
TPG অনুমান করে যে মোট সর্বাধিক বিস্ফোরণ শক্তি ছিল প্রায় ৪০ কিলোটন টিএনটি (TNT equivalent)-এর সমতুল্য, যেখানে সবচেয়ে বড় (বুস্টেড) ডিভাইসটি ৩০–৩৬ কিলোটন শক্তি প্রদান করে।[২১] অন্য বিজ্ঞানীদের মতে এই শক্তি ৬–১৩ কিলোটন,[২২][২৩] অথবা ভূকম্পন তরঙ্গ (seismic wave) বিশ্লেষণে দেখা যায় ১২–২০ কিলোটন পর্যন্ত হতে পারে।[৫] তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান দল এবং ড. আব্দুল কাদির খান তাদের নিজস্ব অনুমানেই অনড় ছিলেন।[১]:২০০–২০২[২৪] পিএইসি-র গণিত বিভাগ তাদের বৈজ্ঞানিক তথ্য পাবলিক ডোমেইনে প্রকাশ করে, যার মধ্যে ছিল ভূকম্পনীয় তথ্য, গাণিতিক গ্রাফ ও বিস্ফোরণ ক্ষমতা নিরূপণে ব্যবহৃত সূত্র। তবে কিছু তথ্য এখনও শ্রেণিবদ্ধ রয়ে গেছে।[২৫]
পিএইসি প্রাপ্ত বৈজ্ঞানিক তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান থার্মোনিউক্লিয়ার ডিভাইস (thermonuclear device) পরীক্ষা চালায়নি, যা ভারতের সঙ্গে একটি উল্লেখযোগ্য পার্থক্য।[৬] ড. ইশফাক আহমদের মতে, ১৯৭৪ সালে রিয়াজউদ্দিন এ ধরনের একটি পরিকল্পনা আবদুস সালামকে দিলেও, অর্থনৈতিক কারণে পিএইসি কখনও হাইড্রোজেন বোমা তৈরি করার উদ্যোগ নেয়নি।[৬] শুরু থেকেই পিএইসি পাকিস্তান বিমান বাহিনী, পাকিস্তান নৌবাহিনী এবং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থায় সহজে বসানো যায় এমন ছোট আকারের ট্যাকটিক্যাল পারমাণবিক অস্ত্র (tactical nuclear weapons) তৈরিতে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করে।[২৬]
পরীক্ষার পরপরই সাবেক চেয়ারম্যান ও কারিগরি পরিচালক মুনীর আহমদ খান বলেন: “এই বুস্টেড বিভাজন ডিভাইস (Boosted fission weapon) গুলি একটি থার্মোনিউক্লিয়ার বোমার মধ্যবর্তী ধাপ। এগুলো তাপীয় সংযোজন (thermonuclear fusion) প্রক্রিয়ার উপাদান ব্যবহার করে এবং কার্যত শক্তিশালী পারমাণবিক বোমা হিসেবে কাজ করে... পাকিস্তান ১৯৮৪ সাল থেকেই পারমাণবিক সক্ষমতা অর্জন করেছে এবং সব ডিভাইসেই সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম (enriched uranium) ব্যবহৃত হয়েছে।”[৫]
অন্যদিকে, এ. কিউ. খান স্থানীয় গণমাধ্যমে বলেন: “২৮ মে পরিচালিত সব বুস্টেড বিভাজন ডিভাইসে ইউরেনিয়াম-২৩৫ (Uranium 235) ব্যবহার করা হয়েছে। এর কোনোটিই থার্মোনিউক্লিয়ার ছিল না, তবে আমরা গবেষণা করছি এবং প্রয়োজনে ফিউশন বোমা (fusion bomb) পরীক্ষা করতে পারব। তবে তা নির্ভর করবে রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও সরকারের সিদ্ধান্তের উপর।”[৫] ভারতের থার্মোনিউক্লিয়ার কৌশলের বিপরীতে, জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ড. এন. এম. বাট বলেন, “পিএইসি উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নিউট্রন বোমা তৈরি করেছে— যা মূলত একটি নিম্ন ক্ষমতার যুদ্ধক্ষেত্র-উপযোগী অস্ত্র।”[২৬]
প্রতিক্রিয়া
[সম্পাদনা]পাকিস্তানে পারমাণবিক বিস্ফোরণের খবর ছড়িয়ে পড়তেই রাস্তায় আনন্দোৎসব শুরু হয়।[২৭] প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ পাকিস্তান টেলিভিশন (PTV)-এ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন, জনগণকে অভিনন্দন জানান এবং দেশের সর্বত্র উৎসবের পরিবেশ বিরাজ করে।[৫][২৮] চাগাই পরীক্ষাগুলি পরিচালনাকারী পিএইসি-র প্রযুক্তি উন্নয়ন অধিদপ্তর (Directorate of Technical Development) বিস্ফোরণের পর একটি বিবৃতি প্রকাশ করে:
“ | এই মিশন একদিকে যেমন পাকিস্তানি জাতির মনোবল বাড়িয়েছে এবং পারমাণবিক বিশ্বে একটি সম্মানজনক অবস্থান এনে দিয়েছে, অন্যদিকে বৈজ্ঞানিক তত্ত্ব, নকশা এবং পূর্ববর্তী শীতল পরীক্ষার ফলাফলকে সফলভাবে নিশ্চিত করেছে। দুই দশকেরও বেশি সময় আগে এই অধিদপ্তর গঠনের যৌক্তিকতা এতে প্রমাণিত হয়েছে।
পারমাণবিক ডিভাইস উন্নয়নের এই গুরুত্বপূর্ণ বছরগুলোতে নেতৃত্ব পর্যায়ক্রমে মুনীর আহমদ খান থেকে ইশফাক আহমদ, এবং অবশেষে সামার মুবারকমান্দ-এর হাতে আসে। এই প্রতিভাবান বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা একটি নিবেদিতপ্রাণ দলের সঙ্গে যৌক্তিক ও অর্থনৈতিক উপায়ে এমন একটি সুদৃঢ় ডিভাইস নকশা, উৎপাদন ও পরীক্ষা করেন, যা ইসলামী প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের শক্তিকে আরও দৃঢ় করে তোলে।[২৯] |
” |
পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি রফিক তারার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন, যাতে দেশের অর্থনীতি ও মুদ্রা রক্ষার ব্যবস্থা নেওয়া হয়।[২৭]
পরীক্ষার পর, জাতীয় গণমাধ্যমে সংশ্লিষ্ট বিজ্ঞানীদের জীবনী প্রকাশিত হয়। জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বক্তৃতার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়, যেখানে তাঁরা গাণিতিক পদার্থবিজ্ঞান, তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞান, পারমাণবিক পদার্থবিজ্ঞান এবং কণাপদার্থবিজ্ঞান বিষয়ে বক্তব্য দেন। ১৯৯৮ সালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো শত শত রৌপ্য পদক, সোনার পদক এবং সম্মানসূচক ডক্টরেট প্রদান করে।[৪]
আন্তর্জাতিক
[সম্পাদনা]
চাগাই-১ পরীক্ষাগুলিকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ইরাক[৩০] এবং অনেক অ-ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা (OIC) সদস্য রাষ্ট্র নিন্দা জানায়।[৩১][৩২] জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব ১১৭২ (United Nations Security Council Resolution 1172) গ্রহণ করে, যা ভারত ও পাকিস্তান উভয়ের পরীক্ষার নিন্দা জানায়।
১৯৯৮ থেকে ১৯৯৯ সালের মধ্যে, যুক্তরাষ্ট্র পাকিস্তানের সঙ্গে বেশ কয়েকটি আলোচনায় বসে যাতে তারা পরমাণু পরীক্ষানিষেধ চুক্তি (CTBT) এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি (NPT)তে যোগ দেয়। কিন্তু নিরাপত্তা প্রতিশ্রুতি নিয়ে আশঙ্কা এবং ভারত-যুক্তরাষ্ট্র ঘনিষ্ঠতার কারণে পাকিস্তান তাতে রাজি হয়নি।[৩৩][৩৪]
যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, সুইডেন, কানাডা এবং আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) পাকিস্তানের উপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। অন্যদিকে, সৌদি আরব, তুরস্ক, আজারবাইজান এবং ইরান পাকিস্তানকে অভিনন্দন জানায় এবং এসব দেশে বড় পরিসরে উদযাপন হয়।[১]:২৯০ মে ১৯৯৮-এ পাকিস্তানের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সাহায্য (Foreign aid to Pakistan) বন্ধ করে দেওয়া হয়, তবে মানবিক সহায়তা (humanitarian aid) অব্যাহত ছিল।[৩৫] সাহায্যের ধরন আর্থিক অনুদান থেকে সরিয়ে বিদেশি মুদ্রায় ঋণ (loans repayable in foreign exchange)-এ রূপান্তর করা হয়।[৩৫] দীর্ঘমেয়াদে, পাকিস্তান যখন সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ মিত্র হয়, তখন ২০০১ সালে নিষেধাজ্ঞাগুলি স্থায়িভাবে প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।[৩৫] আর্থিক অবস্থার উন্নতির পর পাকিস্তান সরকার ২০০৪ সালে আইএমএফ কর্মসূচি সমাপ্ত করে।[৩৫]
উন্নয়নকারী দলসমূহ
[সম্পাদনা]তিনটি প্রধান দল চাগাই-১ প্রকল্পের উন্নয়নকাজে সম্পৃক্ত ছিল:
- পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশন (PAEC) – এই দলে ছিলেন চেয়ারম্যান ইশফাক আহমদ, সামার মুবারকমান্দ, ইরফান বার্নি, আনোয়ার আলী, হাফিজ কুরেশি এবং মাসুদ আহমদ।
- কাহুটা গবেষণাগার (KRL) – এই দলের নেতৃত্বে ছিলেন মহাপরিচালক আব্দুল কাদির খান, এবং এতে ছিলেন তাসনিম এম. শাহ।
- পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রকৌশল কোর (PACE) – এই দলে অন্তর্ভুক্ত ছিলেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল জুলফিকার আলী খান।
স্মরণ ও সম্মাননা
[সম্পাদনা]প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ আইন স্বাক্ষরের মাধ্যমে ২৮ মে তারিখকে আনুষ্ঠানিকভাবে ইয়াওম-ই-তাকবীর (Youm-e-Takbir) — অর্থাৎ মহত্ত্বের দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে এটি জাতীয় বিজ্ঞান দিবস হিসেবেও পালিত হয়। এই দিনটি প্রথম পাঁচটি পারমাণবিক পরীক্ষার স্মরণে এবং কর্মসূচির পেছনে থাকা বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টার সম্মানে উৎসর্গ করা হয়।[৩৬]
চাগাই পদক (Chagai Medal)-সহ বিভিন্ন পুরস্কার বিজ্ঞান ক্ষেত্রে অবদান রাখা ব্যক্তি ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রদান করা হয়।[৩৭] পাকিস্তান সরকার ‘‘চাগাই-১ পদক’’ প্রবর্তন করে, যা প্রথমবার ১৯৯৮ সালে সেই বিজ্ঞানীদের প্রদান করা হয়, যারা পরীক্ষাগুলোর প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন।[৩৮] এই স্বর্ণপদকে গ্রানাইট পাহাড়ের প্রতিকৃতি এবং হলুদ, লাল ও সাদা রঙের সমান ফিতার স্ট্রাইপ ব্যবহার করা হয়েছে।[৩৮]
আবদুস সালাম (১৯২৬–১৯৯৬) ১৯৭৯ সালে ইলেকট্রোউইক ইন্টারঅ্যাকশন (electroweak interaction) আবিষ্কারের জন্য পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন।[৪] ১৯৯৮ সালে পাকিস্তান সরকার তাঁর সম্মানে একটি স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করে। ১৯৯৯ সালে ন্যাশনাল সেন্টার ফর ফিজিক্স-এ একটি জাদুঘর প্রতিষ্ঠিত হয়, যেখানে সালামের বৈজ্ঞানিক অবদান সংরক্ষিত ও প্রচারিত হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ ঝ ঞ Khan, Feroz Hassan (২০১২)। Eating Grass: The Making of the Pakistan Atomic Bomb। Palo Alto, Calif, U.S.: Stanford University Press। পৃষ্ঠা 521। আইএসবিএন 978-0804784801। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৫।
- ↑ নির্ভুল, সঠিক ও প্রকৃত বিস্ফোরণ ক্ষমতা নির্ধারণ করা কঠিন। অত্যন্ত নিয়ন্ত্রিত পরিবেশেও সুনির্দিষ্ট ক্ষমতা নির্ধারণ কঠিন হতে পারে, এবং কম নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ভুলের সীমা আরও বেশি হতে পারে। বিস্ফোরণ ক্ষমতা নির্ধারণের বিভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে, যেমন বিস্ফোরণের আকার, উজ্জ্বলতা, ভূকম্পন তথ্য, এবং আঘাত তরঙ্গের শক্তির উপর ভিত্তি করে হিসাব। পাকিস্তান সরকার বিস্ফোরণ ক্ষমতা ৩৬-৪০ কিলোটন-এর মধ্যে হিসাব করেছে, যা তাদের গাণিতিক মডেল অনুযায়ী। অন্যদিকে, স্বাধীন ও সরকার-অনুমোদিত নয় এমন সংস্থাগুলি এই মান ১৫–২০ কিলোটনের মধ্যে বলে মনে করে। বিস্ফোরণটি রিখটার স্কেলে ৫.৫৪ মাত্রা প্রদর্শন করে, এবং পিএইসি (PAEC) এই তথ্য কে-পাবলিক ডোমেইনে প্রকাশ করে KNET উৎসে।
- ↑ The Preparatory Commission for the Comprehensive Nuclear-Test-Ban Treaty Organization (CTBTO). 28 May 1998 – Pakistan Nuclear Tests. https://www.ctbto.org/specials/testing-times/28-may-1998-pakistan-nuclear-tests
- ↑ ক খ গ ঘ "A Science Oddyssey: Pakistan's Nuclear Emergence"। Khwarizmi Science Society, Nuclear Conference, Alhamra Cultural Complex, Qaddafi Stadium, Lahore। Khwarizmi Science Society। ১৯ অক্টোবর ১৯৯৮। ৫ ডিসেম্বর ২০১৯ তারিখে মূল (video) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১১।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;nuc-wep-archive-98
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ ক খ গ ঘ ঙ Rehman, Shahid-ur (১৯৯৯), "Chapter 5§The Theoretical Physics Group: A Cue to Manhattan Project?", Long Road to Chagai, 1 (1 সংস্করণ), Islamabad, Islamabad Capital Territory: Printwise Publications, পৃষ্ঠা 55–101, আইএসবিএন 969-8500-00-6
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ Azam, Rai Muhammad Saleh (২০০০)। "When Mountains Move – The Story of Chagai: The Road to Chagai"। The Nation। The Nation and Pakistan Defence Journal। ১ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Ahmed S. Pakistan's Nuclear Weapons Program: Turning Points and Nuclear Choices. International Security 32, no. 4 (1999): 178–204
- ↑ ক খ Burrows, WE; Windrem, R (১৯৯৪)। Critical Mass। New York u.a.: Simon & Schuster। পৃষ্ঠা 576। আইএসবিএন 9780671748951।
- ↑ ক খ "Sweeping India off its feet"। The Indian Express। Indian Express Group: Indian Express Group। ৩ আগস্ট ২০০৫। পৃষ্ঠা 1।
- ↑ ক খ গ Aziz, S (২০০৯)। Between Dreams and Realities: Some Milestones in Pakistan's history (1 সংস্করণ)। Karachi: Oxford University Press। পৃষ্ঠা 408। আইএসবিএন 978-0195477184। 2009
- ↑ ক খ গ Unknown (২৮ মে ২০০৫)। "Weapons of Mass Destruction (WMD): Pakistan Nuclear Weapons"। Global Security। globalsecurity.org।
- ↑ "Chagai"। ৪ জুলাই ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Chagai Hills - Pakistan Special Weapons Facilities"।
- ↑ Hoodbhoy, Pervez (১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "Herald exclusive: Pakistan's nuclear bayonet"। Islamabad: Dawn News। পৃষ্ঠা 1। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুন ২০১৫।
- ↑ "America Offered $5Billion against the Atomic Tests", Geo News, Jang Group of Newspapers, পৃষ্ঠা 1, ২৮ মে ২০১০, ৩১ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা, সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০১০
- ↑ ক খ গ ঘ Schaffer HB, Schaffer TC. How Pakistan Negotiates with the United States: Riding the Roller Coaster. Washington, D.C.: United States Institute of Peace. (2011). আইএসবিএন ১৬০১২৭০৭৫৫
- ↑ "US offered $5b against nuclear blasts: Nawaz", The News International, ২৮ মে ২০১০, ৩১ মে ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা
- ↑ Geo News (২৮ মে ২০১০)। "GEO Pakistan:US offered $5b against nuclear blasts: Nawaz"। geo.tv। ২৬ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জুন ২০১৫।
- ↑ Teller, Edward; Talley, Wilson K.; Higgins, Gary H.; Johnson, Gerald W. (১৯৬৮)। The Constructive Uses of Nuclear Explosives (1st সংস্করণ)। United States: McGraw-Hill। পৃষ্ঠা 150, 167। আইএসবিএন 0070634823।
- ↑ FAS.org (১১ ডিসেম্বর ২০০২)। "Pakistan Nuclear Weapons"। fas.org।
- ↑ Diehl, Sarah J.; James Clay Moltz (২০০২)। Nuclear Weapons and Nonproliferation: A Reference Book। ABC-CLIO। পৃষ্ঠা 143। আইএসবিএন 978-1576073612।
- ↑ Albright, David (জুলাই ১৯৯৮)। "Pakistan: The Other Shoe Drops"। Bulletin of the Atomic Scientists। Educational Foundation for Nuclear Science, Inc.। 54 (4): 24–25। আইএসএসএন 0096-3402।
- ↑ Khan, Kamran (৩০ মে ১৯৯৮)। "Interview with Abdul Qadeer Khan"। The News International। Islamabad: The News International। পৃষ্ঠা 1। সংগ্রহের তারিখ ১৪ জুন ২০১৫ – nuclearweaponarchive.org-এর মাধ্যমে।
- ↑ "Broadband recording of first blasts"। Broadband Seismic Data Collection Center। PAEC Mathematics Research Division। ২১ মার্চ ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১২।
- ↑ ক খ Raja Zulfikar (২৮ মে ১৯৯৮)। "Pakistan builds a neutron bomb"। nuclnet। ৫ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুন ২০১১।
- ↑ ক খ "Kingman Daily Miner - Google News Archive Search"।
- ↑ BBC (২৮ মে ১৯৯৮)। "BBC on This Day May 28, 1998"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১০।
- ↑ M. A. Chaudhri,"Pakistan's Nuclear History: Separating Myth from Reality," Defence Journal (Karachi), May 2006.
- ↑ US-Iraq War: India's Middle East policy ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে
- ↑ "1998: World fury at Pakistan's nuclear tests"। BBC News। ২৮ মে ১৯৯৮।
- ↑ Directorate-Group of Press Release of the Center for Nonproliferation Studies। "World Reaction to Pakistan's nuclear tests"। May 30, 1998। Center for Nonproliferation Studies, 1998। ৯ এপ্রিল ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১২।
- ↑ Malik, Zaman (২৩ মে ২০০০)। "CTBT and Pakistan"। www.defencejournal.com/। Islamabad, Pakistan: CTBT, Defence Journal। ৩০ মার্চ ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৫।
- ↑ Ahmar, Moonis, সম্পাদক (২০০১)। The CTBT debate in Pakistan। New Delhi: Har Anand। আইএসবিএন 8124108188।
- ↑ ক খ গ ঘ Pakistan ends 15-year ties with IMF. Daily Times, 7 September 2004 Pakistan ends 15-year ties with IMF ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৬ জুন ২০১৫ তারিখে Retrieved 25 June 2015
- ↑ Hali, S.M (২৮ মে ২০১২)। "Youm-e-Takbeer"। The Nation। The Nation। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুন ২০১৫।
- ↑ "Youm-e-Takbeer being marked today"। ২৮ মে ২০১১। ৮ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১১।
- ↑ ক খ "Republic of Pakistan: Chagai-I Medal"। ২৬ এপ্রিল ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২৮ জুলাই ২০১১।