চাকচান মসজিদ

স্থানাঙ্ক: ৩৫°০৯′২২″ উত্তর ৭৬°১৯′৫০″ পূর্ব / ৩৫.১৫৬০৬২° উত্তর ৭৬.৩৩০৫৮২° পূর্ব / 35.156062; 76.330582
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
চাকচান মসজিদ
مسجد چقچن
ধর্ম
অন্তর্ভুক্তিনুরবকশিয়া ইসলাম
অবস্থান
অবস্থানখাপলু, পাকিস্তান
স্থানাঙ্ক৩৫°০৯′২২″ উত্তর ৭৬°১৯′৫০″ পূর্ব / ৩৫.১৫৬০৬২° উত্তর ৭৬.৩৩০৫৮২° পূর্ব / 35.156062; 76.330582
স্থাপত্য
ধরনমসজিদ
স্থাপত্য শৈলীতিব্বতের স্থাপত্য, মুঘাল স্থাপত্য এবং ইরানি স্থাপত্য
প্রতিষ্ঠার তারিখ১৩৭০
ধারণক্ষমতা৫০০ (পাশের বারান্দা সহ)

চাকচান মসজিদ (উর্দু: مسجد چقچن; অর্থ "অলৌকিক মসজিদ"[১]) হল উত্তর পাকিস্তানের গিলগিট-বালতিস্তান অঞ্চলের খাপলু শহরের একটি মসজিদ। ১৩৭০ সাল থেকে মসজিদটি এই অঞ্চলের প্রাচীনতম মসজিদগুলির মধ্যে একটি। আর এটি সেই সময় থেকে বিদ্যমান যখন এলাকার জনগণ বৌদ্ধধর্ম থেকে ইসলামে ধর্মান্তরিত হয়েছিল।[২][৩] মসজিদটি কাশ্মীর উপত্যকায় নির্মিত স্থাপত্যের অনুরূপ। এটি তিব্বতি, মুঘল এবং ফার্সি স্থাপত্যশৈলীর একটি নিখুঁত মিশ্রণ।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

কিছু সূত্রের মতে মসজিদটি মীর সাইয়্যেদ আলী হামাদানী[৪] নির্মাণ করেছিলেন। কেউ কেউ বলে যে,কাশ্মীর থেকে বাল্টিস্তানে সুফি সাধক সৈয়দ নুরবখশের আগমনের পর স্থানীয় শাসক রাজা ইসলাম গ্রহণ করেন এবং ১৩৭০ খ্রিস্টাব্দে মসজিদটি নির্মাণের দায়িত্ব দেন।[৫] যাইহোক, পরবর্তী তত্ত্বের তারিখটি ঐতিহাসিক উৎসের বিপরীত অবস্থান ব্যক্ত করে যা থেকে বোঝা যায় যে মসজিদটি আসলে সৈয়দ নুরবখশ-এর জন্মের দুই দশকেরও বেশি আগে নির্মিত হয়েছিল।

সংরক্ষণ[সম্পাদনা]

পাকিস্তান সরকার চাকচান মসজিদকে পাকিস্তানের ঐতিহ্যবাহী স্থান হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। ব্যাপক সংরক্ষণ কাজের পর মসজিদটি বর্তমানে ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্থাপত্য[সম্পাদনা]

স্থাপত্যগতভাবে মসজিদটি তিব্বতি,মুঘল এবং পারস্য শৈলীর একটি নিখুঁত মিশ্রণ,[৬][৭] এবং একটি দ্বিতল কিউবিক কমপ্লেক্স নিয়ে গঠিত: আধা-বেসমেন্ট, উপরে একটি বুরুজ সহ এর নিচতলাটি বিদ্যমান। কিউবিক কাঠামোর পেরিমেট্রাল দেয়ালগুলি কাঠের স্ল্যাব দিয়ে তৈরি করা হয়। যাতে একটি ফ্রেম তৈরি করা হয়। যার ফাঁকা জায়গাগুলি কাদামাটি বা কাদা দিয়ে ডব করা হয়। আসলে এই প্রযুক্তিটি রোমান অপাস ক্র্যাটিকাম টেকনিকের মতো। নির্মাণের এই পদ্ধতিটি আবহাওয়ারোধী কাঠামো তৈরির জন্য পরিচিত প্রাচীনতম এবং এটি কঠোর শীতের অবস্থার জন্যও উপযুক্ত।[৮][৯]

চিত্রশালা[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Shahzad Bashir (২০০৩)। Messianic Hopes and Mystical Visions: The Nåurbakhshåiya Between Medievalআইএসবিএন 9781570034954 
  2. Shahzad Bashir (২০০৩)। Messianic Hopes and Mystical Visions: The Nåurbakhshåiya Between Medievalআইএসবিএন 9781570034954 
  3. History of baltistan ,Hassan nurbakshi
  4. History and Culture of Baltistan,Hassan Hasrat
  5. Afridi, Banat Gul (১৯৮৮)। baltistan in history 
  6. Khan, Omar Mukhtar (১০ মে ২০১৮)। "With a historic fort and Unesco-protected mosque, Shigar is an ideal short escape in Gilgit-Baltistan"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। 
  7. Jajja, Sumaira (২৭ জুলাই ২০১৪)। "Khaplu — off the beaten path"DAWN.COM (ইংরেজি ভাষায়)। 
  8. Two Oldest Mosques of Sub-continent
  9. Ghanche is one of the most beautiful and culturally rich valleys of Gilgit-Baltistan