ঘূর্ণিঝড় আম্পান

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(ঘূর্ণিঝড় আমপান থেকে পুনর্নির্দেশিত)
সুপার ঘূর্ণিঝড় আম্ফান বা আমফান
সুপার ঘূর্ণিঝড় (আইএমডি স্কেল)
শ্রেণী ৫ (স্যাফির-সিম্পসন স্কেল)
১৮ মে বঙ্গোপসাগরের উপর সর্বাধিক তীব্রতার কাছাকাছি আম্পান
গঠন১৬ মে ২০২০
বিলুপ্তি২১ মে ২০২০
সর্বোচ্চ গতি৩-মিনিট স্থিতি: ২৪০ কিমি/ঘণ্টা (১৫০ mph)
১-মিনিট স্থিতি: ২৮০ কিমি/ঘণ্টা (১৭৫ mph)
Gusts: ৩৩৫ কিমি/ঘণ্টা (২০৫ mph)
সর্বনিম্ন চাপ৯২০ hPa (mbar); ২৭.১৭ inHg
হতাহত১২৮
ক্ষয়ক্ষতি≥ ১৩৩৫০কোটি টাকা
প্রভাবিত অঞ্চলশ্রীলঙ্কা, ভারত, (ওড়িশা, পশ্চিমবঙ্গ), বাংলাদেশ, ভুটান
২০২০ ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে ঘূর্ণিঝড় মরসুমের অংশ

সুপার সাইক্লোন আম্পান বা আমফান একটি ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, যা বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী ভারতের পূর্বাংশে এবং বাংলাদেশে আঘাত হানে।[১][২] বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চল, ভারতের ওড়িশাপশ্চিমবঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকির মধ্যে ছিল।[৩] এটি এমনি একটি বিরল ঘূর্ণিঝড় ছিল যা বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলের রাজশাহী থেকে রংপুর পর্যন্ত তীব্র ঝড়ো হাওয়ার সাথে বৃষ্টি ঝরিয়েছে ।

এ শতাব্দীতে বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এটিই প্রথম সুপার ঘূর্ণিঝড়।[৪][৫][৬] ২০০৭ মরসুমের সিডরের পর থেকে গঙ্গা বদ্বী্পে আঘাত হানার এটি সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় এবং ১৯৯৯ ওড়িশা ঘূর্ণিঝড়ের পর বঙ্গোপসাগরে এটি প্রথম সুপার ঘূর্ণিঝড়।[৭][৮] আম্পানে ১,৩০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি ক্ষতি হয়েছে। ২০০৮ সালের ঘূর্ণিঝড় নার্গিসের রেকর্ডকে ছাড়িয়ে ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে রেকর্ড করা সবচেয়ে ব্যয়বহুল ঘূর্ণিঝড়ও আম্পান।[৯]

২০২০ সালের প্রথম ভারত মহাসাগরের উত্তরভাগে ঘূর্ণিঝড় মরসুমের ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি ভারতীয় মহাসাগরে তৈরি গভীর নিম্নচাপ থেকে ঘটে। ঘূর্ণিঝড়টি সুপার সাইক্লোনে পরিণত হয়ে, তবে স্থলভাগে তা ধীরে ধীরে শক্তি হারায়।[১০] উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস হয়।[১১][১২]

এর আগে বঙ্গোপসাগরের দুইটি ঘূর্ণিঝড়[১৩][১৪] আম্পানের তীব্রতার কাছাকাছি যেতে পেরেছিল। তার মধ্যে একটি আঘাত হেনেছিল ওড়িশায়, অন্যটি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে[১৫]

নামকরণ[সম্পাদনা]

‘আম্পান’ কথার অর্থ আকাশ।[১৬] এটি একটি থাই শব্দ। আরব সাগরবঙ্গোপসাগর তীরবর্তী রাষ্ট্রগুলো নিয়ে গঠিত ইকোনমিক অ্যান্ড সোশ্যাল কাউন্সিল ফর এশিয়া অ্যান্ড প্যাসিফিক (এসক্যাপ) এর ৮ সদস্যের প্যানেল সকলের সম্মতির ভিত্তিতে নতুন ঘূর্ণিঝড়ের নাম নির্ধারণ করে থাকে। পুরাতন তালিকার সর্বশেষ নাম ছিল ‘আম্পান’।[১৭] ২০০৪ সালে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের নামকরণ প্রস্তাব করে থাইল্যান্ড[১৮][১৯]

আবহাওয়ার ঘটনা-বিবরণ[সম্পাদনা]

সাফির-সিম্পসন স্কেল অনুযায়ী, মানচিত্রে ঝড়টির পথ ও তীব্রতা দেখানো হয়েছে।
মানচিত্রের ব্যাখ্যা
     গ্রীষ্মমন্ডলীয় নিম্নচাপ (≤৩৮ মা/ঘ, ≤৬২ কিমি/ঘ)
     গ্রীষ্মমন্ডলীয় ঝড় (৩৯–৭৩ মা/ঘ, ৬৩–১১৮ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ১ (৭৪–৯৫ মা/ঘ, ১১৯–১৫৩ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ২ (৯৬–১১০ মা/ঘ, ১৫৪–১৭৭ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ৩ (১১১–১২৯ মা/ঘ, ১৭৮–২০৮ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ৪ (১৩০–১৫৬ মা/ঘ, ২০৯–২৫১ কিমি/ঘ)
     শ্রেণি ৫ (≥১৫৭ মা/ঘ, ≥২৫২ কিমি/ঘ)
     অজানা
ঝড়ের ধরন
ত্রিভুজ অক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়, ছোট নিম্নচাপ, গ্রীষ্মমন্ডলীয় গোলযোগ বা মৌসুমী নিম্নচাপ

২০২০ সালের ১৩ মে এর সময়, ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ রাজ্যের বিশাখাপত্তনমের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে প্রায় ১০২০ কিমি (৬৩৫ মা) দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হয়েছিল। নিম্নচাপটি নিরক্ষরেখা-ওয়ার্ড বহিঃপ্রবাহের সাথে আরও অগ্রগতির জন্য একটি অনুকূল পরিবেশের মধ্যে অবস্থান করছিল, ব্যতিক্রমীভাবে অববাহিকা ও নিম্ন উল্লম্ব বায়ু বৈষম্যে উষ্ণ সমুদ্র পৃষ্ঠের তাপমাত্রা ৩২ এবং ৩৪°সে এর মধ্যে রেকর্ড করা হয়েছিল।[২০] পরবর্তী কয়েক দিনের মধ্যে, প্রক্রিয়াটি আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে কারণ এটি ক্রমান্বয়ে প্রক্রিয়ার নিম্ন-স্তরের কেন্দ্রে গভীর বায়ুমণ্ডলীয় পরিচলনের ব্যান্ডগুলিতে আরও ঘনীভূত হয়। ১৬ মে, ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) জানায় যে, নিম্নচাপটি একটি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে এবং এটিকে বিওবি ০১ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যখন এটি ভারতের ওড়িশা রাজ্যের পারাদ্বীপের দক্ষিণে প্রায় ১,১০০ কিমি (৬৮৫ মা) দূরে অবস্থান করছিল।

সবচেয়ে তীব্র উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়
ক্রম ঘূর্ণিঝড় বছর সর্বনিম্ন চাপ
১৯৯৯ ওড়িশা ১৯৯৯

৯১২ হেPa (২৬.৯৩ inHg)

বিওবি ০১ ১৯৮২

৯১৪ হেPa (২৬.৯৯ inHg)

১৯৯১ বাংলাদেশ ১৯৯১

৯১৮ হেPa (২৭.১১ inHg)

থ্রি ১৯৬৩ ৯২০ হেPa (২৭.১৭ inHg)
১৯৯০ অন্ধ্রপ্রদেশ ১৯৯০ ৯২০ হেPa (২৭.১৭ inHg)
গণু ২০০৭ ৯২০ হেPa (২৭.১৭ inHg)
আম্পান ২০২০ ৯২০ হেPa (২৭.১৭ inHg)
কিয়ার ২০১৯ ৯২২ হেPa (২৭.২৩ inHg)
গে ১৯৮৯ ৯৩০ হেPa (২৭.৪৬ inHg)
২০০১ ভারত ২০০১ ৯৩২ হেPa (২৭.৫২ inHg)
ফণী ২০১৯ ৯৩২ হেPa (২৭.৫২ inHg)

নিম্নচাপটি ক্রমাগতভাবে উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে এবং কয়েক ঘন্টা পরে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়, যার নাম দেওয়া হয় আম্পান। তীব্রতা সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছিল কারণ মাঝারি পূর্বদিকের বায়ু বৈষম্য প্রক্রিয়ার মেঘের বিন্যাসকে ব্যাহত করেছিল।[২১] ১৭ মে, উচ্চ স্তরের বাতাসের উন্নতি হওয়ায় উল্লেখযোগ্য তীব্রতার জন্য পরিস্থিতি আরও অনুকূল হয়ে ওঠে। ফলস্বরূপ, জেটিডব্লিউসি ১২:০০ (ইউটিসি)-তে ১৪০ কিমি/ঘ (৮৫ মা/ঘ) থেকে ২১৫ কিমি/ঘ (১৩৫ মা/ঘ) বাতাসের বৃদ্ধি মূল্যায়ন করে জানায় আম্পান একটি প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়েছে, মাত্র ছয় ঘন্টা পরে সাফির-সিম্পসন স্কেলে (এসএসএইচডব্লিউএস) দেখা যায় এটি একটি ক্যাটাগরি-৪ হারিকেনের সমতুল্য।[২২] তদুপরি, আইএমডি তাদের ঘূর্ণিঝড়ের তীব্রতার স্কেলে আম্পানকে একটি অত্যন্ত প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে উন্নীত করেছিল।[২৩] বিস্তৃত ঝড়টিকে ১,১১০ কিমি (৬৯০ মা) এর বেশি প্রসারিত একটি মেঘের ঢাল এবং একটি তীক্ষ্ণভাবে রূপরেখাযুক্ত ১০ নটিক্যাল মাইল-প্রশস্ত দৃষ্টি দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছিল।[২৪]

Infrared satellite animation of Amphan rapidly intensifying, an eye has formed over the center
১৭ মে আম্ফানের স্যাটেলাইট অ্যানিমেশন দ্রুত তীব্রতর হচ্ছে।

১৮ মে এর প্রথম দিকে, মাইক্রোওয়েভ চিত্রে দুটি স্বতন্ত্র ঘনকেন্দ্রিক আইওয়ালকে চিত্রিত করা হয়েছিল, এটি একটি আইওয়াল প্রতিস্থাপন চক্রের একটি বিবৃতি চিহ্ন যা খুব তীব্র ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সাধারণ।[২৫] দিনের বেলায়, বায়ু বৈষম্য এবং শুষ্ক বাতাসের প্রভাব এই অভ্যন্তরীণ মূল পরিবর্তনকে বাধাগ্রস্ত করে, যার ফলে ১৮ মে এর শেষের দিকে আইওয়ালটি[২৬]] আইএসটি সময়ানুযায়ী (১২:০০ ইউটিসি) প্রায় বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে, , আম্ফান পশ্চিমবঙ্গের বকখালির কাছে ১৫৫ কিমি/ঘ (৯৫ মা/ঘ) বেগে ঝোড়ো হাওয়া নিয়ে আছড়ে পড়েছিল।[২৭] এটি আরও স্থলভাগে অগ্রসর হওয়ার সাথে সাথে আম্পান দ্রুত দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আছড়ে পড়ার মাত্র ছয় ঘন্টা পরে, জেটিডব্লিউসি ঝড়টিকে একটি ক্যাটাগরি-১ সমতুল্য ঘূর্ণিঝড়ে নামিয়ে এনেছিল এবং প্রক্রিয়াতে এর সর্বশেষ সতর্কতা জারি করেছিল কারণ এটি অগোছালো হয়ে পড়ে।[২৮] ২১ মে, আম্পান একটি নিম্নচাপে পরিণত হয়েছিল।

প্রস্তুতি[সম্পাদনা]

নব্যসৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় আম্পানের স্যাটেলাইট ছবি
মে ১৬ তারিখে ক্রান্তীয় নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার কিছুক্ষণ পর।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০২০ সালের ১৮ মে নয়াদিল্লিতে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের মোকাবিলায় প্রতিক্রিয়া ব্যবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্যাসিফিক ডিজাস্টার সেন্টারের মতে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ৩.৮৯ কোটি মানুষকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে।[২৯] নিম্নচাপের ক্রমশ ঘনীভূতকরণের ফলে ভারত আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি) ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চল জুড়ে, বিশেষত বাংলাদেশ ও ভারতের সামুদ্রিক অঞ্চল বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় সতর্কতা জারি করে। নির্দিষ্ট স্থানে মে ১৫–১৮ পর্যন্ত মৎসজীবীদেরকে না যেতে বলা হয়।[৩০] শ্রীলঙ্কার মৎসজীবীদেরকেও সরকার নিজ দেশে থাকার আদেশ দেয়।[৩১] ওড়িশাপশ্চিমবঙ্গের প্রশাসনের সাথে তাল মিলিয়ে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের জাহাজ ও বিমান সকল মৎসজীবীদের নৌকাকে বন্দরে ফেরত পাঠায়।[৩২] বঙ্গোপসাগরের তীরবর্তী সকল বন্দরের কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।[৩৩] চেন্নাইয়ের মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টার বঙ্গোপসাগরের জন্য আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা জাল তৈরি করে।[৩৪] বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন ফেরি চলাচল বন্ধ ঘোষণা করে।[৩৩][৩৫] গমনোপযোগী জাহাজে পণ্য ওঠানো বন্ধ করে বাংলাদেশ।[৩৬] চট্টগ্রাম থেকে ছোট নৌপরিবহনের যানগুলো কর্ণফুলী নদীতে নিরাপদ দূরত্বে রাখা হয়।[৩৭]

পারাদিপসহ কিছু বন্দর থেকে ক্ষতি কমাতে জাহাজ সরিয়ে নেওয়া হয়।[৩৮] ওড়িশা সরকার অবকাঠামোগত ক্ষতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের উদ্দেশ্যে[৩৯] বিদ্যুৎ ও টেলিযোগাযোগ খাতে কর্মীদের প্রস্তুত রাখা হয়।[৪০] হেল্পলাইনগুলো জরুরী অবস্থার জন্য তৈরি রাখা হয়।[৪১] ওড়িশা ও পশ্চিমবঙ্গের ট্রেন ও অন্যান্য যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থগিত বা অন্য রুটের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়।[৪২] উভয় রাজ্যেই শ্রমিক ট্রেনব্যবস্থা চারদিনের জন্য স্থগিত করা হয়।[৪৩][৪৪][৪৫][৪৬] নিউ দিল্লি ও ভুবনেশ্বরের মধ্যে চলমান এসি এক্সপ্রেস ট্রেনগুলো অন্য পথে চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, ক্ষতিপূরণের জন্য।[৪৭] নেতাজী সুভাষচন্দ্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ২১ মে পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়। বিমানবন্দর টার্মিনের ছাদে প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয় ক্ষতি কমানোর উদ্দেশ্যে।[৪৮][৪৯]

বাংলাদেশ ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচী এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবেলা সমন্বয়ক দল ১৮ মে আম্পানের প্রস্তুতির জন্য বৈঠক করে।[৫০] একাধিক বেসরকারি এজেন্সি দুর্যোগ প্রস্তুতি প্রোগ্রামের সাথে মিলে কক্সবাজারে রোহিঙ্গাদের জন্য সহায়তার কাজ করে।[৫১] জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ ১৫ দিনের পানি পরিশোধন কেন্দ্র এবং স্যানিটারি সামগ্রী প্রস্তুত রাখে।[৫২] ঝড় চলাকালীন ১৯৩৩টি স্বাস্থ্যকর্মীদের দল প্রস্তুত রাখা হয় সারা বাংলাদেশে।[৫৩] পনেরো হাজার স্বেচ্ছাসেবক এবং ২৮৪টি মেডিকেল দল চট্টগ্রামে সহায়তা প্রদানের জন্য পাঠানো হয়।[৩৭] আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর অনুযায়ী বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর ১৪৫টি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা দল বিশেষ সামগ্রীসহ প্রস্তুত রাখা হয়। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী আম্পান-পরবরতী সেবাদানের জন্য ৭১টি মেডিকেল দল এবং ১৮,৪০০ প্যাকেট ত্রাণসামগ্রী প্রস্তুত রাখে। বাংলাদেশ নৌবাহিনী ২৫টি জাহাজকে জরুরী অবস্থা নিরসন, উদ্ধার ও ত্রাণকাজে নিয়োজিত রাখে। বাংলাদেশ বিমানবাহিনীকে প্রস্তুত রাখা হয়।[৫৪] কৃষি মন্ত্রণালয় পরিপক্ব ধানকে উঠিয়ে ফেলার পরামর্শ দেয়।[৫৫] মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় সাত হাজার গৃহপালিত পশুকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়।[৫৬]

কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের মধ্যেই ঘূর্ণিঝড় আম্পান আঘাত হানতে যাচ্ছে।[৫৭][৫৮] এবারে তাই ঘূর্ণিঝড়ের আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুতির পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হয় বলে বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় জানায়।[৫৯] উপকূলীয় এলাকার স্কুল-কলেজগুলো জনসাধারণের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে খুলে দেওয়ার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর[৬০] আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকে প্রস্তুত রাখা হয় একারণে। প্রায় ৫৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবী রয়েছেন এবং তারা মানুষের মধ্যে সচেতনতা ছড়ানোর জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করছেন।[৬১]

প্রভাব[সম্পাদনা]

দেশ অনুসারে মৃত্যু
দেশ মৃত্যু তথ্যসূত্র
বাংলাদেশ ২৬ [৬২]
ভারত ৯৮ [৬৩][৬৪]
শ্রীলঙ্কা [৬৫][৬৬]
মোট ১২৮

ভারত[সম্পাদনা]

২০ মে পশ্চিমবঙ্গের উপর দিয়ে আম্পান তটবর্তী এলাকায় আছরে পড়ার প্রস্তুতির স্যাটেলাইট অ্যানিমেশন

পূর্ব ভারত[সম্পাদনা]

পশ্চিমবঙ্গ[সম্পাদনা]
কলকাতায় ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ক্ষতি

ঘূর্ণিঝড়ের উপকূলে আছড়ে পড়ার কেন্দ্রস্থল পশ্চিমবঙ্গে, আমফানের সবচেয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে এই অঞ্চলে আঘাত হানা, ঝড়গুলির মধ্যে এই ঝড়টি সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ছিল।[৬৪] আনুমানিক ৫ মিটার (১৬ ফুট) উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড়ে উপকূলীয় সম্প্রদায়ের বিস্তৃত অংশ ডুবে গেছে এবং সেখানকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। সুন্দরবনে সর্বাধিক জলোচ্ছাস আশা করা হয়েছিল, যেখানে অভ্যন্তরীণভাবে বন্যা ১৫ কিলোমিটার (৯.৩ মাইল) প্রসারিত হতে পারে।[৬৭] উপকূলীয় অঞ্চলগুলিতে বাতাসের বেগ ১৫০–১৬০ কিমি/ঘ (৯৩–৯৯ মা/ঘ) পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়েছিল।[৬৪] কলকাতায়, ১৩৩ কিমি/ঘ (৮৩ মা/ঘ) বয়ে যাওয়া ক্ষতিকারক ঝড়ে বহু গাড়ি উল্টে যায় এবং গাছ পড়ে ভেঙ্গে যায়।[৬৪][৬৭] হুগলি জেলায় হাজার হাজার মাটির ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।[৬৭] পশ্চিমবঙ্গে কমপক্ষে ৭২ জন মারা গিয়েছিল, কলকাতাতে ১৫ জন;[৬৩] বেশিরভাগ হতাহতের ঘটনা ঘটে তড়িতাহত হয়ে বা বাড়িঘর ভেঙে পড়ার কারণে।[৬৮] দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ১০০ র বেশি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে এবং বাঁধগুলি ভাঙ্গার ফলে গ্রাম ও ফসলি জমিতে বন্যার সৃষ্টি হয়। ২০০৯ সালের ঘূর্ণিঝড় আইলার চেয়ে এই প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি অনেক বেশি। পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে ৮৮,০০০ হেক্টর (২১৭,০০০ একর) ধান এবং ২,০০,০০০ হেক্টর (৫০০,০০০ একর) শাকসবজি এবং তিলের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।[৬৮] কেবলমাত্র কলকাতায় ঘূর্ণিঝড়ে ৫০০০ গাছ নষ্ট হয়েছে।[৬৯] সরকার রাজ্যজুড়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান ১ ট্রিলিয়ন ডলার (১৩.২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) বলে অনুমান করেছে।[৭০] আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু ভারতীয় উদ্ভিদ উদ্যানে বহু দেশি বিদেশি দুস্প্রাপ্য গাছ,ফুল, পাখির বাসা সমেত ২৭০ বছরের পুরানো গিনেস বুক খ্যাত দ্য গ্রেট ব্যানিয়ন ট্রি বা বিশাল বটবৃক্ষ এই ঝড়ে মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।[৭১]

ওড়িশা[সম্পাদনা]

প্রতিবেশী ওড়িশায় উল্লেখযোগ্য প্রভাব দেখা গিয়েছিল, বাতাসের বেগ ছিল ১০৬ কিমি/ঘ (৬৬ মা/ঘ) এবং পারাদিপে ১৯৭.১ মিমি (৭.৭৬ ইঞ্চি) পর্যন্ত বৃষ্টি হয়েছিল।[৭২] ৬৫টি বৈদ্যুতিক সাবস্টেশনগুলি প্রভাবিত হয়েছিল, ১৯ লাখ মানুষ বিদ্যুতবিহীন হয়েছিল। ওডিশায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, একজন ডুবে যাওয়ার কারণে এবং অন্যজন দেয়াল ধসে পড়ে।[৬৪][৭৩]

সবচেয়ে ব্যয়বহুল পরিচিত উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড়
ক্রম ঘূর্ণিঝড় মৌসুম ক্ষয়ক্ষতি
(2021 মার্কিন ডলার)
আম্পান ২০২০ $১৩.৯ বিলিয়ন
নার্গিস ২০০৮ $১২.৯ বিলিয়ন
ফণী ২০১৯ $৮.১ বিলিয়ন
বিওবি ০৬ ১৯৯৯ $৪.৪৪ বিলিয়ন
গনু ২০০৭ $৪.৪ বিলিয়ন
পাইলিন ২০১৩ $৪.২৬ বিলিয়ন
হুদহুদ ২০১৪ $৩.৫৮ বিলিয়ন
ভারদাহ ২০১৬ $৩.৩৮ বিলিয়ন
এআরবি ০২ ১৯৯৮ $৩ বিলিয়ন
১০ সিডর ২০০৭ $২.৩৮ বিলিয়ন

দক্ষিণ ভারত[সম্পাদনা]

১৬ মে থেকে কেরালার অনেক জেলায় আম্ফানের প্রভাবে বৃষ্টি এবং শক্তিশালী বাতাস বইতে শুরু করেছিল।[৭৪] আম্ফানের সাথে যুক্ত বজ্রঝড় তিরুবনন্তপুরমের ভ্যালিয়াথুরা শহরতলিতে তীব্র উপকূলীয় ক্ষয়, রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং ঘরবাড়ি ধ্বংস করেছিল ও শতাধিক পরিবারকে তাদের বাড়িঘর থেকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।[৭৫] কোট্টায়াম জেলায়, বিশেষ করে বৈককোম তালুকে প্রচণ্ড বাতাসে মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে, যেখানে বাড়িঘর ও মন্দিরগুলি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে এবং গাছ ও বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলি ভেঙে পড়েছিল।[৭৬] বৈকোম মহাদেব মন্দিরের টালির ছাদ এই বাতাসে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। ১৬টি বাড়ি ধ্বংস এবং ৩১৩ বাড়ির আংশিক ক্ষতির ফলে ১.৪৭ বিলিয়ন রুপি (১৯.৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ক্ষতি হয়েছে।[৭৭] গৃহহীনদের আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহৃত একটি উচ্চ বিদ্যালয় ধসে পড়লে কিছু লোক সামান্য আহত হয়েছিল।[৭৬]

তামিলনাড়ু ঘূর্ণিঝড়ের কিছুটা প্রভাবের সম্মুখীন হয়েছিল। প্রবল বাতাসে রামানাথপুরম জেলায় নোঙর করা অন্তত ১০০টি নৌকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।[৭৮] আম্পানের কারণে উত্তাল সমুদ্র থেকে উপকূলীয় ক্ষয়জনিত কারণে ভিলুপুরম জেলার বোমামায়ারপালায়মে তিনটি বাড়ি ধসে পড়েছিল।[৭৯] গান্ডারভাকোট্টাই ও অরনথাঙ্গীর আশেপাশে প্রায় ৩৫ একর কলা ফসল নষ্ট হয়েছিল।[৮০] রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে এক সপ্তাহ ধরে তাপপ্রবাহের মতো অবস্থা বিরাজ করেছিল কারণ আম্ফান এলাকার সমস্ত আর্দ্রতা গ্রহণ করেয়ছিল।[৮১]

অন্ধ্র প্রদেশের কাকিনাডার কাছে সোরাদাপেটাতে উত্তাল সমুদ্র ৩৫টি বাড়ি ধ্বংস করেছিল এবং আরও বেশ কয়েকটিও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।[৮২]

বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

উপকূলীয় জলের স্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় আম্পানের স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আগে বাংলাদেশে ক্ষয়ক্ষতির প্রভাব শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের মূলত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলাগুলোতেই আম্পানের আঘাত তীব্র ছিল।[৮৩] বাঁধগুলির ভাঙ্গার ফলে পটুয়াখালী জেলার অন্তর্গত গলাচিপা, কলাপাড়া, এবং রাঙ্গাবালী সহ ১০টি গ্রাম ডুবে গেছে।[৬২] নোয়াখালী জেলার একটি দ্বীপে ঝড়ের বর্ষণে কমপক্ষে ৫০০ টি ঘর নষ্ট হয়েছে।[৬৭]

ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির নেতা শাহ আলম সহ ঝড়-সংক্রান্ত ঘটনায় কমপক্ষে ২০ জন মারা গিয়েছিলেন, যিনি তাঁর নৌকোটি উল্টে ডুবে মারা যান।[৬২] দেশজুড়ে প্রাথমিক ক্ষতি ১১০০ কোটি (মার্কিন ১৩ কোটি ডলার) পৌঁছেছে।[৮৪] বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে ১ কোটিরও বেশি লোক বিদ্যুৎবিহীন হয়েছিল।[৮৫] প্রায় ৩,০০০ টি চিংড়ি এবং কাঁকড়া খামারগুলি বন্যায় মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। সাতক্ষীরা জেলার, পূর্ব দুর্গাবতীতে, একটি বাধের কিছু অংশ ৪ মিটার (১৩ ফুট) উঁচু বন্যার জলে ভেসে যায়, যার ফলে ৬০০ টি বাড়িঘর ডুবে গেছে।[৮৬] কর্মকর্তারা আশঙ্কা করেছিলেন যে ২০০৭ সালে ঘূর্ণিঝড় সিডর যার ফলে প্রায় ৩,৫০০ লোক মারা গিয়েছিল, তারপর থেকে আম্পান সবচেয়ে মারাত্মক ঝড় ছিল। ভারতের আবহাওয়া দফতর ১০ থেকে ১৬ফুট (৩-৫ মিটার) উচ্চতর ঝড় বয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল। সুন্দরবনের উত্তরে খুলনা শহরে কমপক্ষে ৮৩,০০০ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়েছে। সরকার প্রায় ১৫০ কোটি মার্কিন ডলার ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছে।[৮৭]

শ্রীলঙ্কা[সম্পাদনা]

ঘূর্ণিঝড়টি শ্রীলঙ্কায় ভারী বৃষ্টিপাত ও শক্তিশালী বাতাস তৈরি করেছিল ও দ্বীপের পূর্ব দিকে তীব্রতর হয়েছিল, প্রায় ২,০০০ লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল এবং বন্যা ও ভূমিধ্বসের সৃষ্টি করেছিল।[৮৮][৮৯] কালু গঙ্গার তীরে ছোটখাটো বন্যা হয়েছিল।[৬৫] রত্নাপুরা জেলায় এই বৃষ্টির ফলে দুইজন নিহত হয়েছিল, একজন ভূমিধসে এবং অন্যজন গাছ পড়ে মারা যায়। ভূমিধসের কারণে এলাকার আহত অন্যান্য বাসিন্দাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।[৯০] কেগালে দুইজন নিহত হয়, যেখানে ২৪ ঘণ্টায় ২১৪ মিমি (৮.৪ ইঞ্চি) বৃষ্টিপাত হয়েছিল।[৬৬] কোট্টাম্পিটিয়া এবং পেলমাদুল্লায় আকস্মিক বন্যার কারণে সম্ভাব্য ভূমিধসের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বাড়িগুলি থেকে ৬০ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।[৯০] আম্ফানে ৫০০ টিরও বেশি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল,[৮৯] যার মধ্যে ১৪৫ টি পোলোন্নারুওয়াতে ছিল।[৯১]

ভুটান[সম্পাদনা]

অস্থির আবহাওয়া ভুটান পর্যন্ত প্রসারিত হওয়ায় আম্ফান বাংলাদেশের উপর দুর্বল হয়ে পড়েছে

আম্ফানের বাকি অংশ ভুটান জুড়ে বেশ কয়েক দিনের অস্থির আবহাওয়া তৈরি করেছিল, বিশেষ করে সিরাং জেলায় তিন দিনের ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছিল। দেশজুড়ে ভূমিধস এবং পাথরের ধাক্কায় রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে এবং ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। থ্রেনায় আকস্মিক বন্যা ফসলের ক্ষতি করেছিল এবং পাঁচটি পরিবারকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। লিংঝি, নারো এবং সোয়ে গেওগস জুড়ে সতেরোটি ইয়াক এবং ঘোড়া মারা যায়।[৯২] কলকাতায় ফাইবার-অপটিক ক্যাবলের ক্ষতির কারণে, ভুটান টেলিকম ২০-২১ মে ১৭ ঘন্টার জন্য পরিষেবার মোট ক্ষতি দেখা গিয়েছিল এবং তাশিসেলে ৬০ শতাংশ বিভ্রাট হয়েছিল।[৯৩] ড্রেপং, গংদু, জুরমে, কেংখার এবং সিলম্বি গেওগসে বিদ্যুৎ বিভ্রাট ঘটেছে। মাংদেচু জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র ৭৯১.৩৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের মাধ্যমে দেশের জলবিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য বৃষ্টিপাত উপকারী তা প্রমাণিত হয়েছে, যা তার ৭২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার চেয়ে বেশি।[৯৪]

প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]

ভারত[সম্পাদনা]

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ২০২০ সালের ২২ মে পশ্চিমবঙ্গে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলির একটি বিমান থেকে পর্যবেক্ষণ করছেন।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাথে ২০২০ সালের ২২ মে পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটে ঘূর্ণিঝড় আম্ফানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা বিমান থেকে পর্যবেক্ষণের পর একটি পর্যালোচনা বৈঠক করছেন।

২২ মে ২০২০ পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে আম্পানকে বিপর্যয় হিসাবে গণ্য করা উচিত।[৯৫] ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী সহ, প্রভাবিত অঞ্চলগুলির একটি বিমান সমীক্ষার পরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানে প্রভাবিত পশ্চিমবঙ্গের জন্য তাৎক্ষণিক সহায়তা হিসাবে ১,০০০ কোটি টাকা ঘোষণা করেছিলেন।[৯৫] তিনি এই ঘূর্ণিঝড়ে মৃত ব্যক্তির, নিকট আত্মীয়ের জন্য ২ লক্ষ এবং গুরুতর আহত ব্যক্তির জন্য ৫০,০০০ টাকা ঘোষণা করেছিলেন।[৯৫] তিনি আরও ঘোষণা করেছিলেন যে কেন্দ্রীয় সরকার প্রেরিত দল কর্তৃক বিশদ জরিপের পর ঘূর্ণিঝড় আমফানে ক্ষতিগ্রস্ত যথাক্রমে এলাকা ও মানুষদের পুনর্নির্মাণ এবং পুনর্বাসনের জন্য সমস্ত সহায়তা দেওয়া হবে।[৯৫]

ইউরোপীয় ইউনিয়ন জানিয়েছে, তারা ভারতে প্রাথমিকভাবে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ৫০০,০০০ ইউরো (৫,৪৫,০০০ মার্কিন ডলার) প্রদান করবে।[৯৬]

বাংলাদেশ[সম্পাদনা]

বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় আম্ফানের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধ মেরামতের জন্য ২৫০-৩০০ কোটি টাকা (২৯-৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বাজেট অনুমোদন করেছিল। ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিটি জেলায় ৫০০ বান্ডিল ঢেউতোলা টিনের শীট সহ আরও ১৫০ কোটি টাকা (১৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার) বিতরণ করা হয়েছিল। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ব্র্যাক পরিবার প্রতি ৫,০০০ টাকা (৬০ মার্কিন ডলার) দিয়ে ১০টি উপজেলায় নিম্ন আয়ের পরিবারকে ৩ কোটি টাকা বিতরণ করেছিল।[৯৭] সংগঠনটি বাগেরহাট, খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলায় গ্লাভস, মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করেছিল।[৯৮]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Freedman, Andrew; Slater, Joanna (১৯ মে ২০২০)। "Cyclone Amphan poses extreme storm surge danger for eastern India, Bangladesh"Washington Post (ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0190-8286। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  2. "India and Bangladesh brace for the strongest storm ever recorded in the Bay of Bengal"CNN। মে ১৯, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ মে ১৯, ২০২০ 
  3. "ঘূর্ণিঝড় 'আমফান' আরও শক্তিশালী, ৪ নম্বর সংকেত"প্রথম আলো। ১৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০ 
  4. OdAdmin (১৯ মে ২০২০)। "Super Cyclonic Storm #Amphan is the 1st SUCS in the Bay of Bengal since the 1999 Odisha Super Cyclone"OdishaDiary (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  5. "Amphan transforming into super cyclone, first after deadly 1999 super cyclone in Bay of Bengal"Hindustan Times (ইংরেজি ভাষায়)। ১৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  6. "ধেয়ে আসছে 'সুপার ঘূর্ণিঝড়' আম্পান, সিডরের চেয়েও শক্তিশালী"প্রথম আলো। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  7. "Amphan: Cyclone wreaks deadly havoc in India and Bangladesh"। BBC News। ২০ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  8. *Nandi, Jayashree; Thakur, Joydeep (১৮ মে ২০২০)। "Super Cyclonic Storm #Amphan is the 1st SUCS in the Bay of Bengal since the 1999 Odisha Super Cyclone"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  9. Sud, Vedika; Rajaram, Prema (২২ মে ২০২০)। "Cyclone Amphan caused an estimated $13.2 billion in damage in India's West Bengal: government source"। CNN। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০ 
  10. "আম্পান সুপার সাইক্লোন কোথা থেকে এল, বাংলার কতটা ক্ষতি করতে পারে?"ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। ১৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  11. "উপকূলীয় জেলাগুলোতে ৫ থেকে ১০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা"বিবিসি বাংলা। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  12. "ঘূর্ণিঝড় আম্পান ১০ ফুট উঁচু জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা"প্রথম আলো। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  13. "বাতাসের তীব্রতা মাপতে ব্যর্থ যন্ত্র, গত শতকের বিধ্বংসীতম ঘূর্ণিঝড়ে ছিন্নভিন্ন হয় ওড়িশা"আনন্দবাজার। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  14. "স্মৃতিতে সাইক্লোন সিডর"বিবিসি বাংলা। ১৫ নভেম্বর ২০১৭। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  15. "ভাঙল সব পুরনো রেকর্ড, বঙ্গোপসাগরে সব থেকে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ের খেতাব পেল আম্পান"হিন্দুস্তান টাইমস। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  16. "Amphan - How Cyclone Was Named"NDTV.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  17. "ঘূর্ণিঝড় বুলবুল: শক্তিশালী হয়ে ধেয়ে আসছে বাংলাদেশের দিকে"বিবিসি বাংলা। ঢাকা। ৮ নভেম্বর ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৯ নভেম্বর ২০১৯ 
  18. Tropical Cyclone Operational Plan for the Bay of Bengal and the Arabian Sea: 2019 (পিডিএফ) (প্রতিবেদন) (2019 সংস্করণ)। World Meteorological Organization। সংগ্রহের তারিখ এপ্রিল ২৯, ২০২০ 
  19. "Thailand had given this name to the cyclone way back in 2004"টাইমসনাউনিউজ (ইংরেজি ভাষায়)। ১৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০ 
  20. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; STWA 13/05/20 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  21. "RSMC TROPICAL CYCLONE ADVISORY BULLETIN" (পিডিএফ)। Regional Specialised Metrological Center। ৬ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০২০ 
  22. "Indias Super Cyclone – Amphan"Severe weather.eu। ৮ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  23. "BULLETIN NO.: 19 (BAY OF BENGAL 01/2020)" (পিডিএফ)rsmcnewdelhi.imd.gov.in। ১৮ মে ২০২০। ৮ অক্টোবর ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০ 
  24. "Tropical cyclone Amphan threatens India and Bangladesh"World Meteorological Organization। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  25. "Life threatening storm surge – Cyclone Amphan"The Washington Post। ২৭ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০ 
  26. "Amphan continues to weaken as it bears down on the Bengal coast"Reddit। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  27. "In pictures: Cyclone Amphan hits India and Bangladesh"। CNN। ২০ মে ২০২০। ২০ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  28. "Tropical cyclone 01B (Amphan) Warning Nr 018"Joint Typhoon Warning Center। ২০ মে ২০২০। ২৭ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  29. Westcott, Ben; Sud, Vedika; Suri, Manveena (১৯ মে ২০২০)। "India and Bangladesh brace for the strongest storm ever recorded in the Bay of Bengal"CNN। Cable News Network। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  30. "Cyclone Amphan: Low pressure over Bay of Bengal, likely to intensify into cyclonic storm by May 16"The Indian Express। The Indian Express Ltd.। Express Web Desk। মে ১৪, ২০২০। 
  31. "Sri Lanka fishermen asked to stay ashore as cyclone Amphan intensifies"EconomyNext। Echelon Media। মে ১৭, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ মে ১৮, ২০২০ 
  32. "Cyclone Amphan likely to bring heavy rain in coastal Bengal districts from May 19"Hindustan Times। HT Media। Press Trust of India। মে ১৭, ২০২০। মে ১৮, ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ মে ১৮, ২০২০ 
  33. "'Extremely severe' cyclonic storm Amphan forces evacuations in India, Bangladesh"The Sydney Morning Herald। Kolkata, India। মে ১৯, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ মে ১৮, ২০২০ 
  34. Loiwal, Manogya (১৯ মে ২০২০)। "Alert sounded, preparations underway to safeguard districts in West Bengal from cyclone Amphan"India Today। Digha, India: Living Media India। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  35. "Cyclone Amphan: Ferry services shut on major routes across Bangladesh"Newsroom Post। Dhaka, Bangladesh: Headlong Newsroom Post India। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  36. "Bangladesh, India evacuating millions as super cyclone bears down on coast"bdnews24.com। bdnews24.com। ২০ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  37. Hussain, Anwar (১৯ মে ২০২০)। "Cyclone Amphan triggers rain in Chittagong"Dhaka Tribune। 2A Media। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  38. "Super cyclone Amphan hurtling towards Bangladesh"bdnews24.com। bdnews24.com। ১৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  39. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ZeroCasualtyTarget নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  40. "Odisha deploys NDRF, ODRAF teams as cyclonic storm Amphan intensifies into very severe cyclonic storm"United News of India। Bhubaneswar, India: United News of India। ১৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০ 
  41. "Cyclone Amphan: Govt releases helpline numbers, sets up round-the-clock control rooms"TimesNowNews.com। Bennett Coleman & Company। Times Now Digital। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  42. Dwyer, Colin (১৯ মে ২০২০)। "'Cyclone In The Time Of COVID-19': Amphan Bears Down On Bangladesh And India"NPR। National Public Radio। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  43. "Odisha suspends 'Shramik Specials' in view of cyclone Amphan"The New Indian Express। Bhubaneswar, India: Newindianexpress.com। Express News Service। ১৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০ 
  44. "Bhubaneswar-New Delhi AC special train to run on diverted route"Update Odisha। Bhubaneswar, India: Update Odisha। ১৭ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০ 
  45. Singh, Harshita (১৯ মে ২০১৯)। "Cyclone Amphan: 3 lakh people evacuated, moved to relief shelters, says West Bengal CM Mamata Banerjee"Hindustan Times। HT Media। Press Trust of India। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০১৯ 
  46. Khanna, Rohit; Gupta, Jayanta (২০ মে ২০২০)। "Cyclone Amphan alters Shramik Special roster, 2 trains cancel"The Times of India। Kolkata, India: Bennett, Coleman & Company। Times News Network। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  47. "Cyclone 'Amphan' intensifies into severe cyclonic storm"The Times of India। Bennett, Coleman & Company। ১৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  48. Srinivasan, Chandrasekar (২০ মে ২০২০)। "Airport, Markets Shut, People To Stay Inside As Kolkata Preps For Amphan"NDTV। Kolkata, India: NDTV Convergence। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  49. "Kolkata: Planes flown out, terminal roof bolstered ahead of Cyclone Amphan strike"The Times of India। Kolkata, India: Bennett, Coleman & Company। Times News Network। ২০ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  50. "Danger signal 7 for coast as Cyclone Amphan intensifies"Dhaka Tribune। 2A Media। ১৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  51. "Warning flag raised at Rohingya camps over cyclone 'Amphan'"The Financial Express। The Financial Express। ১৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  52. "Cyclone Amphan: Local Government Division opens control room"United News of Bangladesh। Dhaka, Bangladesh: United News of Bangladesh। ২০ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  53. "1,933 medical teams ready: Media cell"United News of Bangladesh। Dhaka, Bangladesh: United News of Bangladesh। ২১ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  54. "Bangladesh armed forces ready to tackle aftermath of super cyclone Amphan"bdnews24.com। bdnews24.com। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  55. "Harvest all paddy now"The Daily Star। Dhaka, Bangladesh: Thedailystar.net। ১৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০২০ 
  56. "Fisheries Ministry opens control room over super cyclone 'Amphan'"United News of Bangladesh। Dhaka, Bangladesh: United News of Bangladesh। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  57. "India and Bangladesh are already suffering with coronavirus. Now a super cyclone is heading their way"CNN। মে ১৮, ২০২০। সংগ্রহের তারিখ মে ১৯, ২০২০ 
  58. "করোনা মাথায় রেখে আম্পান মোকাবিলার প্রস্তুতি"প্রথম আলো। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  59. "অতিমারির মধ্যেই ঝড় বাংলাদেশে"আনন্দবাজার। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  60. "ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় স্কুল–কলেজগুলো আশ্রয়কেন্দ্র করার নির্দেশ"প্রথম আলো। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  61. "ঘণ্টায় প্রায় আড়াইশো কিলোমিটার গতি নিয়ে ধেয়ে আসছে সুপার সাইক্লোনটি"বিবিসি বাংলা। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ১৯ মে ২০২০ 
  62. Zaman, Tauhid; Jessore; Mostafa, Arif; Pirojpur; Sardar, Asaduzzaman; Satkhira; Nasim, Nazmul; Bogra; Dhar, Bijoy; Rangamati (২১ মে ২০২০)। "Cyclone Amphan weakens as death toll rises to 20"Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  63. "72 killed in Cyclone Amphan fury, 15 dead in Kolkata alone"। [Cyclone Amphan Live Updates]। THE HINDU। ২০ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  64. "72 people dead in West Bengal, Mamata urges PM Modi to visit state"। The Economic Times। ২১ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  65. "Ratnapura affected the most by inclement weather; 2 deaths reported"। Ada Derana। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  66. Borham, Maneshka (১৭ মে ২০২০)। "Adverse weather claims two lives"Sunday Observer। The Associated Newspapers of Ceylon। ১৮ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  67. Nagchoudhary; Paul, Ruma (২০ মে ২০২০)। "Cyclone kills 14 in India, Bangladesh leaving trail of destruction"। Reuters। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০  অজানা প্যারামিটার |fist1= উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)
  68. "72 killed in Amphan's march through Bengal, PM Modi to visit today"The Times of India। Bennett, Coleman & Company। Times News Network। ২২ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  69. Niyogi, Subhro; May 22, Saikat Ray | TNN | Updated:; 2020; Ist, 08:37। "Kolkata loses 5,000 trees, experts want shift in plantation pattern | Kolkata News - Times of India"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৫-২২ 
  70. Sabarwal, Harshit (২২ মে ২০২০)। "West Bengal suffered losses of Rs 1 lakh crore due to Cyclone Amphan, says CM Mamata Banerjee"। Hindustan Times। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০ 
  71. "আয়লা-ফণী পারেনি, উম্পুনে হার মানল বোটানিক্যাল গার্ডেনের ২৭০ বছরের বৃদ্ধ বটগাছ!"এই সময়। ২২ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২০ 
  72. Barik, Satyasundar (২০ মে ২০২০)। "Amphan: Heavy rain, wind hit coastal districts of Odisha"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  73. Mohanty, Debabrata (২১ মে ২০২০)। "3 dead as Cyclone Amphan crosses Odisha before making landfall in Bengal"hindustantimes। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  74. N., Smitha (১৮ মে ২০২০)। "Cyclone Amphan intensifies, heavy rains in Kerala"Deccan Chronicle। Kochi, India। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  75. Mohan, Shainu (২০ মে ২০২০)। "Super Cyclone Amphan ravages coast"The New Indian Express। Express News Service। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  76. "Strong winds wreak havoc in Kottayam; Vaikom badly hit"The New Indian Express। Express News Service। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  77. "Temples, houses suffer damage in storm in Kerala"Deccan Herald। Thiruvananthapuram, India: The Printers। Deccan Herald News Service। ১৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  78. "100 boats damaged in heavy winds"The Hindu। Rameswarm, India: THG Publishing। ১৮ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  79. Marx, Karal (১৯ মে ২০২০)। "Cyclone Amphan: Three houses collapse in TN due to coastal erosion"The Times of India। Bennett, Coleman & Company। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  80. "Tamil Nadu reports widespread destruction of Banana crops after strong winds and rain hit coastal districts"All India Radio। ১৯ মে ২০২০। ১৯ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  81. "Chennai braces for heatwave due to super cyclone Amphan, mercury breaches 40-degree mark"The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  82. "Fishermen hamlet reels under Amphan impact"The Hindu। ২০ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  83. "এপার বাংলাকে তছনছ করে ওপার বাংলায়, ফের ধ্বংসলীলা শুরু আমফানের"Asianet News Network Pvt Ltd। ২১ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০ 
  84. "Cyclone Amphan caused damage worth Tk 1,100cr: Enamur"। United News of Bangladesh। ২১ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  85. Shetu, Sanchita (২১ মে ২০২০)। "Cyclone Amphan: 10m people suffer from power outage across Bangladesh"Dhaka Tribune। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  86. "'Everything is gone': Cyclone Amphan destroys Bangladesh villages"Deccan Herald। Agence France-Presse। ২১ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২১ মে ২০২০ 
  87. https://www.bbc.co.uk/news/world-asia-india-52749935
  88. "Heavy rains in South-west Sri Lanka due to 'AMPHAN'"TNLRN News Radio। News Radio। ১৮ মে ২০২০। ৭ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  89. "2 killed, over 2,000 affected by heavy rains in Sri Lanka"। Colombo, Sri Lanka। Xinhua News Agency। ১৮ মে ২০২০। ৩ জুন ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  90. Fernando, Asiri (১৮ মে ২০২০)। "Rains wreak havoc, claim two lives"Daily FT। Wijeya Newspapers। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  91. "Amphan 900km away from Sri Lanka, now Super Cyclonic Storm"EconomyNext। ১৯ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২০ মে ২০২০ 
  92. Dema, Chimi (২৩ মে ২০২০)। "Incessant rainfall cause damage in Tsirang"Kuensel। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০ 
  93. Tshedup, Younten (২২ মে ২০২০)। "Cyclone Amphan disrupts internet connectivity"Kuensel। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০ 
  94. "Amphan spares Bhutan"Kuensel। ২২ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৬ মে ২০২০ 
  95. "Cyclone Amphan live updates: PM Modi announces Rs 1,000 crore relief for West Bengal"The Times of India (ইংরেজি ভাষায়)। ২২ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০ 
  96. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; ProtestsEruptAsBengalReels নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  97. "Cyclone Amphan wipes Tk 11bn off Bangladesh, government says"bdnews24.com। ২১ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২০ 
  98. "Brac allocates Tk3 crore for 6,000 households affected by cyclone Amphan"Dhaka Tribune। ২৩ মে ২০২০। সংগ্রহের তারিখ ২৩ মে ২০২০ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]