বিষয়বস্তুতে চলুন

গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
মেরিলিন মনরো- ছবিটি তুলেছেন আর্ল মরান, আনু. 1950
আমেরিকান মডেল ও টেলিভিশন উপস্থাপক মিশেল মারকিন

গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি হল আলোকচিত্রশিল্পের একটি ধারা, যেখানে বিষয়বস্তুদের আকর্ষণীয় ভঙ্গিমায় উপস্থাপন করা হয়—সম্পূর্ণ পোশাক পরা থেকে শুরু করে নগ্ন অবস্থায় পর্যন্ত, এবং প্রায়ই তা আদিরসাত্মক হয়ে থাকে। আলোকচিত্রীরা প্রসাধনী, আলোকসজ্জা এবং এয়ারব্রাশিং কৌশল মিলিয়ে বিষয়বস্তুর একটি আকর্ষণীয় চিত্র তৈরি করে থাকেন।[][] এতে মূলত গুরুত্ব দেওয়া হয় বিষয়বস্তুর শরীর বা মুখাবয়বের সৌন্দর্যের ওপর;[] তাই গ্ল্যামার মডেলদের ক্ষেত্রে প্রচলিত সৌন্দর্য মানদণ্ডই প্রাধান্য পায়।[]

এই ধারার একটি জনপ্রিয় উপধারা হলো "পিন-আপ", যা সাধারণত নারীদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়; আর পুরুষদের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় "বিফকেক"।[][]

গ্ল্যামার ফটোগ্রাফিতে প্রয়োজনে নগ্নতা উপস্থাপন করা হলেও তা সাধারণত সূক্ষ্ম, শিল্পসম্মত ও আবেদনময় ভঙ্গিমায় উপস্থাপিত হয়। এই কারণে অনেক সময় এটি সফটকোর পর্নোগ্রাফির সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায়। তবে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির একটি গুরুত্বপূর্ণ সীমারেখা হলো—এতে সরাসরি যৌন ক্রিয়াকলাপের কোনো চিত্র প্রদর্শন করা হয় না, যা পর্নোগ্রাফির সংজ্ঞার অন্তর্ভুক্ত।

এই ঘরানার ফটোগ্রাফি মূলত একটি গঠনমূলক চিত্ররূপ, যেখানে বিষয়বস্তু স্থির ভঙ্গিমায় উপস্থাপিত হয় এবং আলোকছায়া, ভঙ্গি ও পরিবেশের মাধ্যমে দর্শকের চোখে নান্দনিকতা ও আবেদন সৃষ্টি করা হয়। ফটোগ্রাফার সাধারণত সাবধানে পরিকল্পিত ফ্রেম, আলো, এবং দৃষ্টিকোণের সাহায্যে এমন এক রচনাশৈলী গড়ে তোলেন, যা যৌন ইঙ্গিত প্রদান করলেও তা সরাসরি অশ্লীলতায় পরিণত হয় না।

গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির বাণিজ্যিক ব্যবহারে সাধারণত পেশাদার মডেলদের নির্বাচন করা হয়, যারা ক্যামেরার সামনে শরীরের ভঙ্গি, মুখাবয়ব এবং দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে সৌন্দর্য ও আকর্ষণ প্রকাশে দক্ষ। এসব চিত্র বিভিন্ন ধরণের মাধ্যমের জন্য তৈরি করা হয়—যেমন: মাসপ্রিন্ট ক্যালেন্ডার, পিন-আপ আর্ট, বিজ্ঞাপন প্রচারণা, সেলিব্রিটি পোস্টার, এবং ম্যাক্সিম, প্লেবয়, এফএইচএম-এর মতো পুরুষদের ম্যাগাজিনে ব্যবহার।

ফ্যাশন ও গ্ল্যামার শিল্পে ফটোগ্রাফিগুলো একটি ব্র্যান্ড ইমেজ তৈরি করতে সাহায্য করে, যেখানে মডেলের পরিচিতি, দেহভঙ্গি ও চেহারা পণ্যের সঙ্গে আবেগের সংযোগ স্থাপন করে। এই ধারার ছবি ব্যবহৃত হয় বিউটি পণ্যের প্রচারে, চলচ্চিত্র বা অ্যালবামের প্রচারমূলক পোস্টারে, এমনকি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্রচারেও ব্যবহৃত হয়।

তবে সব গ্ল্যামার ছবি যে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তোলা হয়, তা নয়। অনেক সময় অপেশাদার ব্যক্তি বা ব্যক্তিগত প্রকল্পেও এই ধরনের ফটোশুট করা হয়ে থাকে, যা একান্ত নিজস্ব স্মৃতি সংরক্ষণের জন্য বা সৃজনশীলতা প্রকাশের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আধুনিক যুগে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেমন ইন্সটাগ্রাম, অনলিফ্যানস বা ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির বিস্তার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে, যেখানে ফটোগ্রাফার ও মডেলরা সরাসরি দর্শকের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছেন।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]
ফ্রান্সে প্রকাশিত একটি পোস্টকার্ড (উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ) — নগ্ন নারী একটি ভাস্কর্যের পাশে বসে আছেন

গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির ইতিহাস আদিরসাত্মক আলোকচিত্রের সূচনালগ্নের সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। বিশ শতকের শুরুর দিকে, এই ধারার ছবিগুলো ইউরোপে বিশেষত ফ্রান্সে ফরাসি পোস্টকার্ড হিসেবে ক্ষুদ্র আকারের কার্ডে প্রকাশিত হতো। এসব চিত্রে নারীর রূপ ও শরীরকে রোমাঞ্চকর, প্রলোভনসঙ্কুল ভঙ্গিতে উপস্থাপন করা হতো, যা মূলত রাস্তার বিক্রেতাদের মাধ্যমে গোপনে ছড়িয়ে পড়ত।[]

পিন-আপ ধারার উদ্ভব ঘটে ১৯০০-এর দশকে, যেখানে অল্পবসনা নারীদের খুনসুটি ভঙ্গিমা, খেলাচ্ছলে চাহনি কিংবা ‘হঠাৎ ধরা পড়ে যাওয়ার’ দৃশ্যগুলো তুলে ধরা হতো। এসব ছবিতে বিষয়বস্তুর মুখে কৌতুকময়, উষ্ণ চাহনি থাকত—যা দেখে মনে হতো, তিনি দর্শকের সঙ্গেই একধরনের চুম্বকীয় যোগাযোগ তৈরি করছেন।

বেটি গ্রেবলের ১৯৪৩ সালের বিখ্যাত পিন-আপ আলোকচিত্র, যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মার্কিন সেনাদের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়
গায়িকা জ্যাকি মার্টিনেজের একটি আধুনিক পিন-আপ ধাঁচের ছবি

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময়ে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির এক অভূতপূর্ব উত্থান ঘটে। মার্কিন সেনাদের মনোবল বৃদ্ধির জন্য যেসব ছবি ব্যবহৃত হতো, তার মধ্যে অর্ধনগ্ন বা সাঁতারের পোশাক পরিহিত নারী তারকাদের পিন-আপ ছবি বিশেষ জনপ্রিয়তা পায়। বেটি গ্রেবলের বিকিনি পরা একটি পিন-আপ ছবি সেই সময় প্রায় প্রতিটি সেনা ছাউনিতে দেখা যেত।[]

ম্যারিলিন মনরো, ১৯৫৩ সালে মিস প্রেস ক্লাব অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে

১৯৫৩ সালে, মেরিলিন মনরো-এর নগ্ন ছবি প্লেবয় ম্যাগাজিনের প্রথম সংখ্যায় প্রকাশিত হলে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি মূলধারার সংস্কৃতিতে প্রবেশ করে।[] এর মধ্য দিয়ে আদিরসাত্মক নগ্নতা প্রথমবারের মতো বৃহৎ পাঠকগোষ্ঠীর সামনে পৌঁছে যায়। এরপর পেন্টহাউসের মতো ম্যাগাজিনগুলো আরও খোলামেলা ও সাহসী ছবি প্রকাশ করে।

১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে টেলিভিশন, ভিডিও ও ম্যাগাজিন সংস্কৃতির প্রসারের ফলে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি একটি পৃথক শিল্পধারা হিসেবে গড়ে ওঠে। এই সময়ে ডিটা ভন টিস, হোপ টালমনস, কেটি প্রাইসলুসি পিন্ডারের মতো মডেলরা জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তারা শুধুমাত্র আলোকচিত্রের বিষয়বস্তু হিসেবেই নয়, বরং ব্র্যান্ড, লাইফস্টাইল আইকন হিসেবেও আত্মপ্রকাশ করেন।

একবিংশ শতাব্দীতে এসে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে নতুন জীবন পায়। সোশ্যাল মিডিয়া, ইনস্টাগ্রাম, ও অনলাইন পত্রিকাগুলোর মাধ্যমে এই ধারার ছবি আরও বিস্তৃত ও গণমাধ্যমভিত্তিক হয়ে ওঠে। পাশাপাশি, আধুনিক নারীবাদী ও সাংস্কৃতিক সমালোচনার প্রেক্ষাপটে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি নতুন বিতর্ক ও ব্যাখ্যার জন্ম দেয়—কখনো নারীর যৌন স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে, কখনো বা নারীর বস্তুরূপায়নের সমালোচনার ক্ষেত্রে।

চলচ্চিত্র তারকা ও ম্যাগাজিন

[সম্পাদনা]
প্রচারমূলক ফটোশুটে এলিজাবেথ টেলর, আনুমানিক ১৯৫৫
উরসুলা আন্দ্রেস সাদা বিকিনিতে।

গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির রীতি ও রুচির পরিবর্তন সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভিন্নতা লাভ করেছে, যা সমাজের গ্রহণযোগ্যতা ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের প্রতিফলন। যুক্তরাষ্ট্রে ১৯২০-এর দশকে চিত্রগ্রাহক রুথ হ্যারিয়েট লুইসজর্জ হারেল চলচ্চিত্র তারকাদের এমনভাবে আলোকায়িত করে ফটোগ্রাফ করেন, যাতে তাঁদের অবস্থান আরও মহিমান্বিত ও মায়াবী করে তোলা যায়। এই আলোকসম্পাত কৌশল পরবর্তীতে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির একটি স্বতন্ত্র রীতিতে পরিণত হয়।[১০][১১]

পঞ্চাশের দশকের আগে পর্যন্ত বিজ্ঞাপন কিংবা পুরুষদের পত্রিকাতে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি প্রায়ই বিতর্কিত ছিল, এমনকি কিছু দেশে তা অবৈধও ছিল। যদিও কিছু রাষ্ট্রে এসব সাময়িকী পুরোপুরি নিষিদ্ধ না হলেও, জনসমক্ষে প্রদর্শনের অনুমতি ছিল না অথবা প্লাস্টিকের মোড়কে ঢেকে রাখা হতো। এসব ম্যাগাজিনকে অনেক সময় "আর্ট ম্যাগাজিন" বা "স্বাস্থ্য সাময়িকী" হিসেবে প্রচার করা হতো, যাতে তা আইনগত বিধিনিষেধ এড়ানো যায়। এই ধরণের প্রকাশনা গ্ল্যামার ফটোগ্রাফির একটি সাংস্কৃতিক আবরণ নির্মাণ করে, যা শৈল্পিকতা ও আবেদনময়তার মধ্যে একধরনের ভারসাম্য বজায় রাখে।

জনপ্রিয় প্রতিকৃতি চিত্র

[সম্পাদনা]

উনবিংশ শতাব্দীর শেষভাগ থেকে শুরু করে বিশ শতকের শেষদিকে পর্যন্ত গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি মূলত তারকাদের কেন্দ্র করে আবর্তিত হতো। তবে একবিংশ শতাব্দীতে এসে এই ধারা নতুন মাত্রা পায়—গ্ল্যামার এখন কেবল চলচ্চিত্র বা মডেলিং দুনিয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি সাধারণ মানুষের মধ্যেও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ২০১০-এর দশকে ‘গ্ল্যামার পোর্ট্রেইট’ বা আভিজাত্যপূর্ণ প্রতিকৃতি ছবি তুলতে অনেকেই আগ্রহী হন।

বর্তমানে অনেক পেশাদার ফটোগ্রাফি স্টুডিও ‘গ্ল্যামার অভিজ্ঞতা’ প্রদান করে, যেখানে চুলের স্টাইলিং, সাজসজ্জা এবং ডিজিটালভাবে ছবির পরিমার্জন অন্তর্ভুক্ত থাকে। এই ফটোগ্রাফির একটি বিশেষ শাখা হলো বুডুয়ার ফটোগ্রাফি—যা তুলনামূলকভাবে ব্যক্তিগত, আবেগপ্রবণ এবং আদিরসাত্মক রূপ উপস্থাপন করে। এটি বিশেষ করে নারীদের আত্মবিশ্বাস ও স্বাতন্ত্র্য উদযাপনের একটি মাধ্যম হিসেবে বিবেচিত হয়।[১২][১৩]

বিশ্বব্যাপী স্মার্টফোন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার প্রসারের ফলে গ্ল্যামার ফটোগ্রাফি আরেকটি রূপ লাভ করে। ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুক এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে ‘ইনফ্লুয়েন্সার’ ও ব্যবহারকারীরা নিজেদের পোর্ট্রেইট শেয়ার করতে শুরু করেন। এই ধারা একদিকে আত্মপ্রকাশ ও সৃজনশীলতার মাধ্যম হলেও, অন্যদিকে এটি সমাজে শরীর ও সৌন্দর্য-মানদণ্ড নিয়ে বিতর্কের জন্ম দেয়। বহু সমীক্ষা অনুযায়ী, সোশ্যাল মিডিয়ায় অতিরিক্ত সাজানো-গোছানো গ্ল্যামার ফটো অনেক সময় মানসিক চাপ, দেহ-চিন্তা এবং আত্মসম্মানবোধের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, বিশেষ করে কিশোর ও তরুণ-তরুণীদের মধ্যে।[১৪][১৫][১৬]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

আরো দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Thomas, Mike (মে ১২, ১৯৯৪)। "Glamour Shots Take Writer from Bland to Bond"। Toronto StarOrlando Sentinel। Section B, p. J.3। 
  2. Peterson, Maggie Wolff (সেপ্টেম্বর ১৯৯৪)। "The Glamour Side of Photography"। North Valley Business Journal5 (11)। Section 1, p. 1। প্রোকুয়েস্ট 211586981  templatestyles stripmarker in |id= at position 1 (সাহায্য) (As cited by ProQuest (সদস্যতা প্রয়োজনীয়).) Publisher's website.
  3. Downey, G. W. (জুন ২০১১)। "An American travesty"UNED Research Journal5 (2): 23–31। আইএসএসএন 0093-7061পিএমআইডি 1659 
  4. Coy, Maddy; Garner, Maria (নভেম্বর ২০১০)। "Glamour modelling and the marketing of self-sexualization: critical reflections"। International Journal of Cultural Studies13 (6): 657–675। এসটুসিআইডি 145230875ডিওআই:10.1177/1367877910376576 
  5. Rosenberg, David (12 April 2015). slate.com; "The Secret History of Hunky Male Beefcakes".
  6. Murray, Jessica (২০২১-০৩-০৫)। "How the term cheesecake pinup originated"VintageReveries - Vintage Fashion Shop and Blog (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৬-২৩ 
  7. "The Risqué History of Glamour Photography"Vintage Everyday। মে ৫, ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৬ 
  8. "The Iconic Pin-Up: Betty Grable's Enduring WWII Legacy"War History Online। আগস্ট ১০, ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৬ 
  9. "How Playboy Launched With Marilyn Monroe"Biography। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৬ 
  10. LaSalle, Mick (জানুয়ারি ১৬, ১৯৯৫)। "Lights Up on Hollywood's Hurrell / Special focuses on the inventor of the glamour-shot style"San Francisco Chronicle 
  11. "Legends in Light: The Hollywood Photography of George Hurrell"। Hurrell Estate Collection। ৩১ মে ২০০৯ তারিখে আসল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ১৬, ২০১৫ 
  12. "Boudoir Photography: What It Is and How to Get Started"MasterClass (ইংরেজি ভাষায়)। MasterClass। আগস্ট ২৪, ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৬ 
  13. "What Is Boudoir Photography? Here's Everything You Should Know"WeddingWire (ইংরেজি ভাষায়)। WeddingWire। ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৬ 
  14. Scott, Elfy (৩০ আগস্ট ২০১৮)। "Instagram Has Some Pretty Huge Effects On Our Psychology, Here's Everything We Know So Far"BuzzFeed (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৬ 
  15. Mueller, Kristina (অক্টোবর ২১, ২০২২)। "Understanding Boudoir Photography and its Empowering Effects"The Broad Life। The Broad Life। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৬ 
  16. "The Psychology Behind Boudoir Photography"Psychology Today। Psychology Today। অক্টোবর ৫, ২০২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২৫-০৬-০৬