গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস
গ্রেভ অফ দ্য ফায়ারফ্লাইস | |
---|---|
পরিচালক | ইসাও তাকাহাতা |
প্রযোজক | তোরু হারা |
চিত্রনাট্যকার | ইসাও তাকাহাতা |
প্রযোজনা কোম্পানি | |
ভাষা | জাপানি |
গ্রেভ অব দ্য ফায়ারফ্লাইস (জাপানি: 火垂るの墓 হেপবার্ন: Hotaru no Haka) একটি জাপানি অ্যানিমেটেড ছবি যেখানে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে।[১][২] এই ছবিটি আকিয়ুকি নোসাকা রচিত একই নামের ১৯৬৭ সালের একটি আত্মজৈবনিক ছোটগল্পের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়েছে। ইসাও তাকাহাতা এই ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন ও পরিচালনা করেছন। গল্পটির প্রকাশক শিনচোশা পাবলিশিং’র জন্য ছবিটির অ্যনিমেশন স্টুডিও জিবলি পরিচালনা করেছে (টোকুমা শোটেনের মালিকানার অধীনে এটিই একমাত্র স্টুডিও জিবলি চলচ্চিত্র হিসাবে তৈরি হয়েছে যার সাথে তাদের কোনও সম্পৃক্ততা নেই)[৩] ছবিতে সুুতোমু তাতসুমি [জা], আয়ানো শিরাইশি [জা], ইয়োশিকো শিনোহারা [জা] এবং আকেমি ইয়ামাগুচি [জা] অভিনয় করেছেন। জাপানের কোবে শহরে দৃশ্যায়িত করা ছবিটিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষের দিকের মাসগুলিতে টিকে থাকার জন্য দুই ভাইবোন সেতা এবং সেতসুকোর মরিয়া লড়াইয়ের গল্প বলা হয়েছে।
পটভূমি
[সম্পাদনা]২১ শে সেপ্টেম্বর, ১৯৪৫ এ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসানের কিছু পরে, একটি কিশোর বালক সেতা কোবে ট্রেন স্টেশনে অনাহারে মারা যায়। একজন দ্বাররক্ষী বালকটির কাছে একটি চকোলেটের ক্যান খুঁজে পায়, যা সে স্টেশনের কাছের একটি জমিতে ফেলে দেয়। বেশ কয়েকটি ছোট ছোট হাড়ের পোড়া অংশ তখন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে এবং সেতার ছোট বোন সেতুসুকোর আত্মা টিনের তৈরি ক্যানটি থেকে বের হয়ে সেতার আত্মা এবং অসংখ্য জোনাকির সাথে মিলিত হয়। তারা একটি ট্রেনে চড়ে।
কয়েক মাস আগে, সেতা এবং সেতসুকোর বাড়ি বিমান হামলার ফলে ধ্বংস হয় এবং কোবে শহরের অধিকাংশ বাড়িই ধ্বংস হয়। তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয় তবে পালাতে পারে, তাদের মা গুরুতরভাবে পুড়ে যাওয়ার কারণে মারা যায়। সেতা এবং সেতসুকো তাদের একজন দূরসম্পর্কের চাচীর বাসায় যায়, যিনি তাদেরকে মোটামুটি ভালোবাসতেন এবং একসময় সেতাকে তার মায়ের রেশমের তৈরি কিমনোটি চাল কেনার জন্য বিক্রি করতে রাজি করেছিলেন। বোমা বর্ষণের আগে গর্ত খুড়ে নিচে সংরক্ষণ করে রাখা খাদ্যদ্রব্য উদ্ধার করে সেতা তার চাচিকে এনে দেয়, এক ক্যান সাকুমার ক্যান্ডি (একধরনের জাপানি চকোলেট) ছাড়া। রেশন সঙ্কুচিত হওয়ার সাথে সাথে এবং বাড়ির শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে চাচী তাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হয়ে তদেরকে বলেছিলেন যে, তিনি যে খাবার প্রস্তুত করেন তা উপার্জনের জন্য তারা (সেতা ও সেতসুকো) কিছুই করে না।
সেতা এবং সেতসুকো খালার বাড়ি ছেড়ে একটি পরিত্যক্ত বোম্ব সেল্টারে আশ্রয় নেয়। তারা রাতের বেলায় আলোর জন্য মশারির ভেতরে আলোর জন্য জোনাকী পোকা ছেড়ে দেয়। পরের দিন, পোকাগুলো মারা গেছে জানতে পেরে সেতসুকো আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। কেন জোনাকী পোকাগুলো এবং তার মাকে মারা যেতে হয়েছে তা তার ভাইকে জিজ্ঞাসা করে সে পোকাগুলোকে কবরে সমাধিস্থ করে। পরিত্যক্ত সেল্টারে থাকাকালীন সেতা ও সেতসুকো নিজেরাই রান্না করে খেতো॥ চাল শেষ হয়ে যাওয়ায়, সেতা কৃষকদের কাছ থেকে চুরি করে এবং বিমান হামলার সময় বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়া মানুষের বাড়িঘর লুট করে, যার জন্য তাকে মারধর করা হয়। সেতুসুকো অসুস্থ হয়ে পড়লে, সেতা সেতসুকোকে একজন চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়, যিনি ব্যাখ্যা করেন যে সেতসুকো অপুষ্টিতে ভুগছে।
নিজের ছোট বোনকে সুস্থ করার উদ্দেশ্যে সেতসুকো মরিয়া হয়ে তার মায়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সমস্ত টাকা ব্যংক থেকে উঠিয়ে নেয়। সেতসুকো ব্যাংক ত্যাগ করার সাথে সাথে জানতে পারে যে জাপান আত্মসমর্পণ করেছে। তখন সে আরও বুঝতে পারে যে জাপানের নৌবাহিনীর বেশিরভাগ অংশ ধ্বংস হয়ে যাওয়ার কারণে তাঁর পিতা, যিনি ইম্পেরিয়াল জাপানি নৌবাহিনীর একজন অধিনায়ক, সম্ভবত মারা গেছেন।
সেতা খাবার নিয়ে আশ্রয়স্থলে ফিরে আসে, তবে সেতসুকোকে প্রায় হুঁশহীন অবস্থায় খুঁজে পায়। সেতা তাকে তাড়াতাড়ি খাওয়ানোর জন্য তাড়াহুড়ো করে, তবে খাবার প্রস্তুত করতে করতেই সেতসুকো মারা যায়। সেতা সেতুসুকোর দেহ এবং তার পুতুলকে কবর দেয়। সেতা তার বাবার ছবি সহ ক্যান্ডি টিনে তার ছোট বোন সেতসুকোর ছাই বহন করে।
সিনেমাটির শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, সেতা এবং সেতসুকোর মৃত আত্মারা ঠিক গন্তব্যে পৌঁছেছে, স্বাস্থ্যকর এবং সুখী অবস্থায় তারা রয়েছে। চারপাশে জোনাকী পোকা উড়ছে, তারা বর্তমানের কোবে শহরের একটি পাহাড়ের উপরে বেঞ্চে বসে বিশ্রাম করছে এবং শহরটির নতুর রূপ দেখছে।
কুশীলব
[সম্পাদনা]চরিত্রের নাম | জাপানি কণ্ঠ অভিনেতা | ইংলিশ ডাবিং অভিনেতা (স্কাইপাইলট এন্টারটেইনমেন্ট/সিপিএম, ১৯৯৮) |
ইংলিশ ডাবিং অভিনেতা (তোহো/সেরফিম/সেন্টাই, ২০১২) |
---|---|---|---|
সেতা (清太) | সুতোমু তাতসুমি | জে রবার্ট স্পেন্সার | অ্যাডাম গিবস |
Setsuko (節子) | অয়নো শিরাইশি | করিন অর | এমিলি নেভেস |
Seita and Setsuko's mother (清太・節子の母 Seita, Setsuko no haha) | ইয়োশিকো শিনোহারা | ভেরোনিকা টেলর | শেলি ক্যালিন-ব্ল্যাক |
Seita and Setsuko's aunt (親戚の叔母さん Shinseki no obasan) | আকেমি ইয়ামাগুচি | অ্যামি জোন্স | মার্সি ব্যানোর |
নির্মাণ
[সম্পাদনা]দৃশ্যায়ন
[সম্পাদনা]আরও দেখুন
[সম্পাদনা]- আরও পড়ুন
- Hooks, Ed (২০০৫)। "Grave of the Fireflies"। Acting in Animation: A Look at 12 Films। Heinemann Drama। পৃষ্ঠা 67–83। আইএসবিএন 9780325007052।
- Goldberg, Wendy (২০০৯)। "Transcending the Victim's History: Takahata Isao's Grave of the Fireflies"। University of Minnesota Press: 39–52। আইএসবিএন 9780816667499। ডিওআই:10.1353/mec.0.0030 ।
- Rosser, Michael (২৩ নভেম্বর ২০১২)। "Dresden to produce live action Grave of the Fireflies"। Screen Daily। Screen International। সংগ্রহের তারিখ ২৪ নভেম্বর ২০১২।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Camp, Brian; Davis, Julie (আগস্ট ২০০৭)। Anime Classics Zettai!। আইএসবিএন 9781611725193।
- ↑ Steiff, Josef; Tamplin, Tristan (এপ্রিল ১০, ২০১০)। Anime and Philosophy। আইএসবিএন 9780812697131।
- ↑ "Hotaru no haka"। The Big Cartoon DataBase। সংগ্রহের তারিখ ১৩ মে ২০১২।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ইন্টারনেট মুভি ডেটাবেজে Grave of the Fireflies Hotaru no haka (Grave of the Fireflies) (ইংরেজি)
- রটেন টম্যাটোসে Hotaru no haka (Grave of the Fireflies) (ইংরেজি)
- অ্যানিমে নিউজ নেটওয়ার্ক বিশ্বকোষে Hotaru no haka (Grave of the Fireflies) (চলচ্চিত্র)
- Hotaru no haka (Grave of the Fireflies) at The Big Cartoon DataBase
- Grave of the Fireflies at Nausicaa.net
- Live-action version of Grave of the Fireflies (জাপনি ভাষায়)
- জাপানি ভাষার চলচ্চিত্র
- ১৯৪০-এর দশকের পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- ছোট কল্পকাহিনী অবলম্বনে চলচ্চিত্র
- জাপানি চলচ্চিত্র
- ১৯৮৮-এর চলচ্চিত্র
- জাপানি ঐতিহাসিক নাট্য চলচ্চিত্র
- জাপানি প্রাপ্তবয়স্ক অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র
- ১৯৪৫-এর পটভূমিতে চলচ্চিত্র
- নাট্য অ্যানিমে ও মাঙ্গা
- শিশু ও মৃত্যু
- ঐতিহাসিক অ্যানিমে ও মাঙ্গা
- প্রাপ্তবয়স্ক অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র