গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকাণ্ড
গ্রেনফেল টাওয়ার অগ্নিকাণ্ড | |
---|---|
জুন ১৩, ২০১৭, মঙ্গলবার বিএসটি অনুযায়ী |
পশ্চিম লন্ডনের বহুতল ভবন গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড সংগঠিত হয় ২০১৭ সালের ১৩ জুন (মঙ্গলবার) স্থানীয় সময় দিবাগত রাত সোয়া ১টার দিকে। ৪৮ ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আগুণ নেভাতে সক্ষম হয় ফায়ার সার্ভিস। এই অগ্নিকাণ্ডে ৭৯ জন মানুষ নিহত হন।
কারণ[সম্পাদনা]
লন্ডন পুলিশের তথ্যমতে, গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল হটপয়েন্ট এফএফ১৭৫বিপি মডেলের একটি রেফ্রিজারেটর থেকে। পরে ওই আগুণ দ্রুত পুরো ভবনে ছড়িয়ে পড়ে।[১]
ক্ষয়ক্ষতি[সম্পাদনা]
২৪ তলা গ্রিনফেল টাওয়ারটিতে ১২৭টি ফ্লাট ছিল। ৭৯ জন মানুষ নিহত ছাড়াও ওই ভবনে বসবাসকারী প্রতিটি পরিবার ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।[২]
তদন্ত[সম্পাদনা]
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার তদন্তে ২৫০ জনের একটি বিশেষজ্ঞ দল কাজ করে যাচ্ছেন। পুরো ফরেনসিক রিপোর্ট শেষ করতে এক বছর লাগবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।[৩]
প্রতিক্রিয়া[সম্পাদনা]
গ্রেনফেল টাওয়ারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। এসময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সমবেদনা জানান এবং ঘটনার যথাযথ কারণ উদঘাটনের সরকারি তদন্তের নির্দেশ দেন।[৪] এছাড়াও গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে গভীর দুঃখপ্রকাশ করেন ব্রিটেনের রানি এলিজাবেথ । তিনি সকলকে প্রার্থনার আহ্বান জানান।[৫]
এই অগ্নিকাণ্ডে সহায়তার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে ৫ মিলিয়ন পাউন্ডের জরুরি সহায়তা তহবিল ঘোষণা করা হয়। যাঁরা বাড়িঘর হারিয়েছেন, তাদের প্রত্যেকে ৫ হাজার ৫০০ পাউন্ড করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।[৬]
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ "গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুন লাগে ফ্রিজ থেকে"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-০২।
- ↑ ডেস্ক, খোলা কাগজ (২০১৭-০৬-১৯)। "গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ড : নিহত বেড়ে ৭৯"। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-০২।
- ↑ arthosuchak (২০১৭-০৬-২৩T১৮:০১:৪০+০০:০০)। "'লন্ডনের বহুতল ভবনের আগুন রেফ্রিজারেটর থেকে'"। ArthoSuchak (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ 2017-07-02। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ "গ্রেনফেল টাওয়ারের অগ্নিকাণ্ড তদন্তের নির্দেশ মের"। Risingbd.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-০২।
- ↑ Kantho, Kaler। "গ্রেনফেল টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডে রানির গভীর দুঃখপ্রকাশ | কালের কণ্ঠ"। Kalerkantho। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-০২।
- ↑ "গ্রেনফেল টাওয়ারে আগুনের কারণ 'অবহেলা'"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৭-০২।