গ্রাহাম রূপ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গ্রাহাম রূপ
১৯৮০ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে গ্রাহাম রূপ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগ্রাহাম রিচার্ড জেমস রূপ
জন্ম(১৯৪৬-০৭-১২)১২ জুলাই ১৯৪৬
ফেয়ারহাম, হ্যাম্পশায়ার, ইংল্যান্ড
মৃত্যু২৬ নভেম্বর ২০০৬(2006-11-26) (বয়স ৬০)
সেন্ট জর্জেস, গ্রেনাডা
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি মিডিয়াম
ভূমিকাব্যাটসম্যান, কোচ
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৪৫৭)
২৫ জানুয়ারি ১৯৭৩ বনাম ভারত
শেষ টেস্ট২৭ জুলাই ১৯৭৮ বনাম নিউজিল্যান্ড
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৯)
১৮ জুলাই ১৯৭৩ বনাম নিউজিল্যান্ড
শেষ ওডিআই১৫ জুলাই ১৯৭৮ বনাম নিউজিল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই
ম্যাচ সংখ্যা ২১
রানের সংখ্যা ৮৬০ ১৭৩
ব্যাটিং গড় ৩০.৭১ ২১.৬২
১০০/৫০ –/৭ –/–
সর্বোচ্চ রান ৭৭ ৪৪
বল করেছে ১৭২
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩৫/– ২/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১১ জুলাই ২০২০

গ্রাহাম রিচার্ড জেমস রূপ (ইংরেজি: Graham Roope; জন্ম: ১২ জুলাই, ১৯৪৬ - মৃত্যু: ২৬ নভেম্বর, ২০০৬) হ্যাম্পশায়ারের ফেয়ারহাম এলাকায় জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন।[১] ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৯৭০-এর দশকে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে বার্কশায়ার, মাইনর কাউন্টিজ ও সারে এবং দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্ট দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে মিডিয়াম বোলিংয়ে পারদর্শী ছিলেন গ্রাহাম রূপ

শৈশবকাল[সম্পাদনা]

হ্যাম্পশায়ারের ফেয়ারহাম এলাকায় গ্রাহাম রূপের জন্ম। পর্থকলভিত্তিক সেন্ট জোন্স স্কুলে থাকাকালীন স্বীয় ক্রিকেট প্রতিভা পাঁচ বছর ধরে মেলে ধরেন। এরপর, বার্কশায়ারের ব্রাডফোর্ড কলেজে অধ্যয়ন করেন। ১৯৬৩ ও ১৯৬৪ সালে লর্ডসে পাবলিক স্কুলসের সদস্যরূপে কম্বাইন্ড সার্ভিসেসের বিপক্ষে খেলেন।

১৯৬৩ সালে মাইনর কাউন্টিজে বার্কশায়ারের পক্ষে খেলেন। এরপর, ১৯৬৪ সালে সারে দলের পক্ষে প্রথমবারের মতো কাউন্টি ক্রিকেটে অংশ নেন। ১৯৬৯ সালে সারে দলের পক্ষ থেকে ক্যাপ লাভ করেন। বেশ লম্বাটে ও নমনীয় গঠনের অধিকারী ছিল তার দেহ। এছাড়াও ব্যতিক্রমধর্মী বাঁকানো চুল ছিল।[২]

অল-রাউন্ডারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। স্লিপ ফিল্ডার হিসেবে দূর্দান্ত ভূমিকা রাখতেন। প্রায়শঃই তাকে তার সময়কালের সেরা ফিল্ডারের মর্যাদা দেয়া হতো। এছাড়াও, মাঝারিসারিতে আক্রমণধর্মী ব্যাটিং উপস্থাপনায় সচেষ্ট ছিলেন ও মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন।

১৯৬৮ সালে পঞ্চাশটি প্রথম-শ্রেণীর উইকেট লাভ করেন। ১৯৬৯ সালে সফররত ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান একাদশের বিপক্ষে ৫/১৪ পান। তবে, পরবর্তীকালে নিজেকে আর মেলে ধরতে পারেননি। ১৯৭১ সালের কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা বিজয়ী সারে দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ১,৬৪১ রান তুলেন।

সবগুলো প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ৫৯ ক্যাচ পান। ১৯৭৪ সালে বেনসন এন্ড হেজেস কাপের শিরোপা জয়ে ভূমিকা রাখেন। ১৯৮২ সাল শেষে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৮৬ সালে সর্বশেষ প্রথম-শ্রেণীর খেলায় অংশ নেন। সর্বমোট ৪০৩টি প্রথম-শ্রেণীর খেলা থেকে ৩৬.৯০ গড়ে ১৯,১১৬ রান, ৩৭.৩৫ গড়ে ২২৫ উইকেট, ৫৯৯টি ক্যাচ ও অতিরিক্ত উইকেট-রক্ষকের ভূমিকায় থেকে দুইটি স্ট্যাম্পিং করেন। আট মৌসুমে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেন।

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট[সম্পাদনা]

ব্রাব্রাডফিল্ড কলেজে অধ্যয়ন করেছেন গ্রাহাম রূপ। ১৭ বছর বয়সে পাবলিক স্কুলস ও বার্কশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। ১৯৬৪ সাল থেকে ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত গ্রাহাম রূপের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। আট মৌসুমে সহস্র রানের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন।

১৯৬৪ থেকে ১৯৮৮ সময়কালে পূর্ণাঙ্গ খেলোয়াড়ী জীবনে সারে, বার্কশায়ার ও গ্রিকুয়াল্যান্ড ওয়েস্টের পক্ষে খেলেছেন। পরবর্তীতে ফারস্লে ক্রিকেট ক্লাবে খেলেন। এরপর, অ্যাম্পলফোর্থ কলেজ ও উডহাউজ গ্রোভ স্কুলে কোচিংয়ের দায়িত্বে ছিলেন। ২০০৬ সালে ৬০ বছর বয়সে মৃত্যুকালীনপ্রধান মাঠ কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন।[২]

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একুশটি টেস্ট ও আটটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন গ্রাহাম রূপ। ২৫ জানুয়ারি, ১৯৭৩ তারিখে কানপুরে স্বাগতিক ভারত দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ জুলাই, ১৯৭৮ তারিখে ওভালে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

১৯৭২-৭৩ মৌসুমে ইংল্যান্ড দলের সদস্যরূপে ভারত ও পাকিস্তান গমন করেন। তন্মধ্যে, কানপুরে সিরিজের চতুর্থ টেস্টে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয় তার। ১৯৭৩ সালে নিজ দেশে নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হন। দুইটি অর্ধ-শতরানের ইনিংস খেলেন। তবে, ১৯৭৫ সালে ওভালে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ ও চূড়ান্ত টেস্টে অংশগ্রহণের পূর্ব-পর্যন্ত আর তাকে খেলানো হয়নি। প্রথম ইনিংসে শূন্য রান করেন। তবে, দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৭ রান করেন। এটিই পরবর্তীকালে তার ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস হিসেবে চিত্রিত হয়ে যায়। ডেনিস লিলি, জেফ থমসনম্যাক্স ওয়াকারের ন্যায় তারকা বোলারদের রুখে ইংল্যান্ডকে ৪৩১ রানে পিছিয়ে থেকে রক্ষা করেন। আবারও তাকে দলের বাইরে রাখা হয়।

এরপর, ১৯৭৭ সালে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ ও পঞ্চম টেস্টে অংশ নেন। ১৯৭৭-৭৮ মৌসুমে পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড গমন করে আরও তিনটি অর্ধ-শতরান করেন। এছাড়াও, ১৯৭৮ সালে নিজ দেশে পাকিস্তানের বিপক্ষে এক টেস্টে অংশ নেন। ঐ বছরের শেষদিকে সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। এটিই তার সর্বশেষ টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল।[১] সবমিলিয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে ২১ টেস্ট ও আটটি একদিনের আন্তর্জাতিক খেলেন। কেবলমাত্র দুই টেস্ট ও একটি ওডিআইয়ে দলের পরাজয় প্রত্যক্ষ করেছিলেন তিনি।

প্রথম নয় টেস্টে তিনি ১৩৭ রান সংগ্রহ করেছিলেন। স্লিপ অঞ্চলে ফিল্ডিং করতেন। কলিন কাউড্রেইয়ান বোথামের পর কাউন্টি দলে ‘রূপি’ ও ফিল শার্প সমার্থক ছিলেন। যদি শার্প কিছুটা উন্নততর ফিল্ডিং করতেন তবে, হ্যাম্পশায়ারে জন্মগ্রহণকারী রূপ আরও ক্রীড়ানৈপুণ্য প্রদর্শনে সচেষ্ট হতেন।

১৯ টেস্টে প্রথম ৩৫টি ক্যাচ তালুবন্দী করেন। কেবলমাত্র জ্যাক গ্রিগরি, ডব্লিউজি গ্রেস, ববি সিম্পসনএকনাথ সোলকার তারচেয়ে কম ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। দুইবার এক পঞ্জিকাবর্ষে ১৭ ক্যাচ নেন। ইংরেজদের মধ্যে কেবলমাত্র মার্কাস ট্রেসকোথিক তারচেয়ে কম নিয়েছেন। ৩৬.৯০ গড়ে ১৯,১১৬ রান তুলেছেন।

মূল্যায়ন[সম্পাদনা]

৬০২টি ক্যাচ তালুবন্দী করেছেন। বিশ্বযুদ্ধের পর কেবলমাত্র গ্রেইম হিক (৬৬৮) ও কিথ ফ্লেচার (৬৪৪) তার তুলনায় এগিয়েছিলেন। তবে, সারে দলের পক্ষে ১৯৬৪ থেকে ১৯৮২ সময়কাল পর্যন্ত ১৯ মৌসুমের তুলনায় তারা অধিক মৌসুম খেলেছেন। জিওফ আর্নল্ড ছয়জন সেরা স্লিপ ফিল্ডারের অন্যতম হিসেবে তাকে বিবেচনায় আনেন।

তার স্বাভাবিক উজ্জীবিত খেলোয়াড়ীসুলভ মনোভাব অনেকাংশে অহমিকাপূর্ণ ছিল। সারের কোচ অ্যালেন বুচার এ প্রসঙ্গে মন্তব্য করেন যে, তিনি অনেক সময় বিরক্তির উদ্রেক ঘটিয়েছেন। যতোটা দেখা যায় আসলে তিনি ততোটা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না। ফলে স্বভাবতঃই তাকে সবসময় তাকে একই অবস্থানে রাখা হতো না।

বেশ দূর্ভাগ্যের শিকার হয়েছিলেন তিনি। বলকে পিচে আঘাত করার পর পুনরায় ফিরে তাকে বোল্ড করে। এছাড়াও, আর্থিক সুবিধা গ্রহণের খেলায় প্রতারকের কবলে পড়ে সবকিছু খোঁয়ান।

ক্রিকেট সংবাদদাতা কলিন বেটম্যান মন্তব্য করেছিলেন যে, গ্রাহাম রূপ দর্শকদের অন্যতম হৃদয়ের মণি ও দল নির্বাচকমণ্ডলীর হতাশার কারণ হয়ে দাড়িয়েছিলেন। বেশ লম্বাটে ও রূচিশীল ধাঁচের অধিকারী হিসেবে মাঝারিসারির ব্যাটিংয়ে নামতেন। বলকে মিডিয়াম পেস সহযোগে সুইং করাতেন ও করিন্থিয়ান ক্যাসুয়ালসে গোলরক্ষকের ন্যায় স্লিপ অঞ্চলে ফিল্ডিং করতেন। বেটম্যান আরও মন্তব্য করেন যে, সাবেক দল নির্বাচক বলেছিলেন যে, তিনি দলের অবশ্যম্ভাবী সদস্য ছিলেন কিন্তু, তিনি নিজেকে বিলিয়ে দিতেন না।[১]

সাবেক সতীর্থ খেলোয়াড় জিওফ আর্নল্ড তার সম্পর্কে মন্তব্য করেন যে, আবহাওয়া সম্পর্কে হতবুদ্ধিকর ভবিষ্যদ্বাণী প্রদানের ক্ষমতা রাখতেন। আকাশে মেঘ না থাকা স্বত্ত্বেও তিনি নিয়মিতভাবে বৃষ্টিপাতের কথা বলতে পারতেন।[৩]

প্রায়শঃই বলা হয়ে থাকে যে,[৪] ১৯৭৭ সালে জন এডরিচ ও পরবর্তীতে জিওফ বয়কটের প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তাদের শততম সেঞ্চুরিকালে স্ট্রাইকবিহীন অবস্থায় ছিলেন। তবে, দ্বিতীয় ঘটনাটি সন্দেহাতীতভাবে সঠিক ছিল। ১১ আগস্ট, হেডিংলিতে অ্যাশেজ সিরিজের চতুর্থ টেস্টের প্রথম দিন বিকেল ৫.৪৯ মিনিটে সম্পন্ন হয়। এ পর্যায়ে গ্রেগ চ্যাপেলের বল থেকে চার নিয়ে অবস্থান বজায় রাখেন।[৫] রেকর্ড বহি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে দেখা যায় যে, জিওফ হাওয়ার্থের সাথে গ্রাহাম রূপ জুটি গড়েছিলেন। ১২ জুলাই ওভালে ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত খেলায় এডরিচের সাথে হাওয়ার্থ ক্রিজে ছিলেন। অ্যালেন হিলের বলে প্রয়োজনীয় রান তুলে এডরিচ সেঞ্চুরি করেন। তৃতীয় ও চূড়ান্ত দিনের ৫.৩০ ঘটিকা পর্যন্ত খেলা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।[৬]

অবসর[সম্পাদনা]

সারে থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত আবারও বার্কশায়ারের পক্ষে খেলেন।[১] অবসর গ্রহণের পর ঝুঁকি নিয়ে উত্তরাঞ্চলে চলে যান। এরপর তিনি ইয়র্কশায়ারে চলে যান। সেখানে অ্যাম্পলফোর্থ কলেজ ও উডহাউজ গ্রোভে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।[২] ইয়র্কশায়ার লীগে ফারস্লে’র পক্ষে খেলেন। এছাড়াও, এয়ারডেল ও হোয়ারফেডেল লীগে হল পার্কের পক্ষে খেলতেন তিনি। পাশাপাশি, বিবিসি রেডিও লিডসের পক্ষে ক্রিকেট ধারাভাষ্যকারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন।[২] এছাড়াও, মৃত্যুকালীন প্রধান মাঠ কর্মকর্তা ছিলেন।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও তিনি দক্ষ ছিলেন। লীগবিহীন ফুটবলে গোলরক্ষক হিসেবে খেলতেন। করিন্থিয়ান ক্যাসুয়ালস, উইম্বলডন, হেয়েস, গিল্ডফোর্ড সিটি, রামসগেট, কিংস্টোনিয়ান, ওকিং ও মারগেট দলের পক্ষে খেলেছেন। এছাড়াও, ১৯৮৪ ও ১৯৮৫ সালে মিড সাসেক্স লীগে আর্ডিংলি ও কাকফিল্ড এবং মিড সাসেক্স লীগ প্রতিনিধিত্বকারী দলে শৌখিন খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিয়েছেন।

গ্রেনাডার সেন্ট জর্জেস এলাকায় আর্থিক তহবিল গঠনের সফরে থাকাকালীন আকস্মিকভাবে হৃদযন্ত্রক্রীয়ায় আক্রান্ত হন। অতঃপর, ২৬ নভেম্বর, ২০০৬ তারিখে ৬০ বছর বয়সে গ্রেনাডার সেন্ট জর্জেস এলাকায় গ্রাহাম রূপের দেহাবসান ঘটে।

ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত ছিলেন। সব মিলিয়ে তিনবার পাণিগ্রহণ করেন। মৃত্যুকালে রুথ নাম্নী এক রমণী এবং এক পুত্র ও দুই কন্যা সন্তানকে রেখে যান।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Bateman, Colin (১৯৯৩)। If The Cap Fits। Tony Williams Publications। পৃষ্ঠা 142আইএসবিএন 1-869833-21-X 
  2. "Graham Roope"। Espncricinfo.com। সংগ্রহের তারিখ ২৮ এপ্রিল ২০১১ 
  3. (London) Metro, 29 November 2006, p. 58.
  4. For example, in Wisden in 1977, and in his obituaries in The Times, and The Independent
  5. Stump The Bearded Wonder No 76, BBC, 3 June 2004; Scorecard from CricketArchive.
  6. Stump The Bearded Wonder No 82, BBC, 31 August 2004; Stump The Bearded Wonder No 83, BBC, 18 September 2004; Stump The Bearded Wonder No 84, BBC, 5 October 2004; Scorecard from CricketArchive.

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

পূর্বসূরী
নীল র‍্যাডফোর্ড
পেশাদার
নেলসন ক্রিকেট ক্লাব

১৯৮৩
উত্তরসূরী
ব্যারি উড