গ্রামীণ টেলিকম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

গ্রামীণ টেলিকম (GTC) হচ্ছে ড. মোহাম্মদ ইউনূসগ্রামীণফোন (জিপি 39%) এর অংশীদারত্বে প্রতিষ্ঠিত একটি বাংলাদেশি অ-লাভজনক প্রতিষ্ঠান। গ্রামীণ টেলিকম গ্রামীণফোনের প্রারম্ভিক "পল্লীফোন" কার্যক্রম পরিচালনা করে যা গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে একটি মুঠোফোনের মালিক করে তোলে এবং এটিকে তাদের মুনাফা অর্জনের উদ্যোগে পরিণত করে। পল্লীফোন কার্যক্রমের পিছনে দৃষ্টিভঙ্গিটি ইকবাল কাদির কর্তৃক প্রণয়ন করা হয়েছিল, যিনি ভেবেছিলেন একটি মোবাইল ফোন আয়ের উৎপাদনের উৎস হতে পারে। কার্যক্রমটি বাস্তবায়নের জন্য কাদির অধ্যাপক ইউনূস এবং নরওয়ের কোম্পানি টেলিনর এর সাথে কাজ করেছিলেন। গ্রামীণ টেলিকম তাদের এই আকর্ষণীয় কার্যক্রম, পল্লীফোন (ভিপি) চালু করে ২৬ শে মার্চ, ১৯৯৭-এ একটি দৃষ্টিভঙ্গী দিয়ে যাতে সাশ্রয়ী মূল্যের মোবাইল প্রযুক্তির মাধ্যমে শহুরে ও গ্রামীণ অঞ্চলে সেতুবন্ধনের মাধ্যমে প্রযুক্তির ব্যবহারের পার্থক্য কমানো যায়। বর্তমানে গ্রামীণ টেলিকম বাংলাদেশের গ্রামবাসীদের মধ্যে মোবাইল ফোন প্রদান করে।

কার্যক্রম[সম্পাদনা]

গ্রামীণ টেলিকমের গ্রামীণ জনগণকে তথ্য প্রযুক্তির জগতে সংযুক্ত করার জন্য বিভিন্ন প্রোগ্রাম রয়েছে। পল্লীফোন (গ্রামীণ ফোন; বানান পল্লী ফোন; উচ্চারণ pôl'li fôn) কার্যক্রম সেগুলোর মধ্যে সর্ববৃহৎ। পল্লীফোন কার্যক্রমটি বাণিজ্যিকভাবে উদ্বোধন করা হয় ১৯৯৭ সালের ২৬ মার্চ পাতিরা, দক্ষিণ খান, ঢাকা-এর "পল্লীফোন নারী" লাইলী বেগমের মাধ্যমে। গ্রামীণফোনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম একই দিনে চালু হয়।

পল্লীফোন[সম্পাদনা]

পল্লীফোন একটি অনন্য ধারণা যা বাংলাদেশের অন্তর্নিহিত লোকেদের আধুনিক টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদান করে। পল্লীফোনের একজন গ্রাহক হওয়ার জন্য প্রথমে অবশ্যই গ্রামীণ ব্যাংকের সদস্য হতে হয়।

এই মোবাইল ফোনে খুব সস্তা বিলিং রেট রয়েছে এবং গ্রামীণ ব্যাংকের সহজ ঋণে দেওয়া হয়। একবার একটি ফোন দেওয়া হলে, গ্রাহককে বহির্মুখী ও আগত কলগুলি ছাড়াও সংলগ্ন এলাকার লোকেদের পরিষেবা প্রদানের জন্য উৎসাহিত করা হয়। এইভাবে, তিনি তার ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে এবং মুনাফা অর্জন করার জন্য অর্থ উপার্জন করতে পারেন। বাংলাদেশের পল্লী এলাকার অনেক মানুষ, বিশেষ করে দরিদ্র নারীরা, পল্লীফোন এর সাহায্যে তাদের জীবন পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়েছে।

তথ্য কিয়স্ক[সম্পাদনা]

বিপ্লবী পল্লীফোন কার্যক্রম ছাড়াও গ্রামীণ টেলিকম তথ্য কেন্দ্রগুলিও প্রদান করে। প্রাথমিকভাবে, টাঙ্গাইল জেলায় তিনটি পরীক্ষামূলক কিয়স্ক স্থাপন করা হয়েছিল। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারে বাংলাদেশের গ্রামগুলিতে মানুষকে সুযোগ প্রদানের জন্য এই কিয়স্কগুলি স্থাপন করা হয়েছে।

অর্জন[সম্পাদনা]

এই কর্মসূচীটি ২০০০ সালে ‘‘জিএসএমএ ইন দ্য কমিউনিটি অ্যাওয়ার্ড’’, ২০০৩ সালে ‘‘কমনওয়েলথ ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড’’ এবং ২০০৫ সালে গেইটওয়ে ফাউন্ডেশনের তরফ থেকে ‘‘পিটার্সবার্গ প্রাইজ’’ লাভ করে।

উৎস[সম্পাদনা]