গোলাম সারওয়ার নাসের

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

গোলাম সারওয়ার নাসির (আরও: গোলাম সারওয়ার নাসের) (১৯২২–১৯৮৪) ছিলেন নাসের গোত্রের শেষ খান শাসক এবং কুন্দুজে স্পিনজার কটন কোম্পানীর সভাপতি, যা যুদ্ধ পূর্ববর্তী আফগানিস্তানের বৃহত্তম কোম্পানীগুলোর অন্যতম ছিল।

জীবন[সম্পাদনা]

নাসির আফগানিস্তানের কারাবায় এক পশতুন ঘিলজাই পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মোহাম্মাদ আলম খান নাসির এবং ভাই শের খান নাসির।

নাসির স্পিনজার কটন কোম্পানী পরিচালনা করতেন, যা বিদেশে তুলা রপ্তানি, তুলা বীজের তেল তৈরী, সাবান এবং চীনামাটির বাসন তৈরী করত। তিনি স্পিনজার ব্র্যান্ডের অধীনে কুন্দুজ, কাবুল এবং উত্তরের অন্যান্য শহরে হোটেল নির্মাণ করেছিলেন, যাতে ২০,০০০ লোকের কর্মসংস্থান হয়েছিল এবং এতে নারীরাও অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।[১] তিনি উত্তরে কারখানা স্থাপন করেছিলেন এবং এর কর্মীদের জন্য বিনামূল্যে বাসস্থান, হাসপাতাল, কুন্দুজ শহরের একমাত্র বালিকা বিদ্যালয়, এবং ক্রীড়া সংঘ নির্মাণ করেছিলেন। তিনি নাসির লাইব্রেরি অ্যান্ড মিউজিয়াম প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তার শাসনামলে কুন্দুজ যুদ্ধ পুর্ববর্তী সময়ে আফগানিস্তানের অন্যতম ধনী প্রদেশ ছিল। অক্সফোর্ডের অধ্যাপক পিটার লেভি তার শাসনকে "কল্যাণকর সৈরতন্ত্র" বলে আখ্যায়িত করেছেন।

নাসেরকে রাজা জহির শাহ "অর্ডার অব দ্য গোল্ডেন হাউস" এবং ১৯৭১ সালে জাপানের সম্রাট "দ্য অর্ডার অব দ্য সেক্রেড ট্রেজার" পুরস্কার প্রদান করেন।

রাজা জহির শাহের বন্ধু হওয়া ও দাউদ খানের সাথে বৈরিতার কারণে ১৯৭৩ সালে নতুন সরকার তাকে ছয় বছরের জন্য কারারুদ্ধ করে। জার্মানিতে নির্বাসিত অবস্থায় ১৯৮৪ সালে ৮৬ বছর বয়সে তিনি মারা যান। তার দুই স্ত্রী এবং নয়জন সন্তান ছিল।

অক্সাসের আলেক্সান্দ্রিয়া আবিষ্কার[সম্পাদনা]

শিকারে বেরিয়ে নাসির আই খানমের প্রাচীন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন আবিষ্কার করেন এবং প্রিন্সটনের প্রত্নত্ত্ববীদ ড্যানিয়েল স্ক্যাল্মবার্গার ও তার দলকে আই খানক নিরিক্ষার জন্য আমন্ত্রণ জানান।[২] শীঘ্রই জানা যায় যে এটি গ্রিকো-ব্যাকট্রিয়ান সাম্রাজ্যের অন্যতম প্রাথমিক শহর ঐতিহাসিক অক্সাসের আলেক্সান্দ্রিয়া (পরবর্তীতে আরও সম্ভাব্য নাম اروکرتیه অথবা ইউক্রাটিডিয়া)। ঐ নিদর্শনগুলোর কয়েকটি ২০০৪ সালে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রদর্শিত হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Reuter, Christoph: Power Plays in Afghanistan: Laying the Groundwork for Civil War, 49/2011 (Dec. 5, 2011) of DER SPIEGEL http://www.spiegel.de/international/world/power-plays-in-afghanistan-laying-the-groundwork-for-civil-war-a-801820-2.html
  2. Bernard, Paul: Aï Khanoum en Afghanistan hier (1964-1978) et aujourd'hui (2001), p. 971 www.persee.fr/web/revues/home/prescript/article/crai_0065-0536_2001_num_145_2_16315?_Prescripts_Search_tabs1=standard&

আরও পড়ুন[সম্পাদনা]

  • Dupree, Louis: Afghanistan
  • Emadi, Hafizullah: Dynamics of Political Development in Afghanistan. The British, Russian, and American Invasions
  • Meher, Jagmohan: Afghanistan: Dynamics of Survival
  • Runion, Meredith L.: The History of Afghanistan
  • Tanwir, Halim M.: AFGHANISTAN: History, Diplomacy and Journalism
  • An Introduction to the Commercial Law of Afghanistan, Second Edition, Afghanistan Legal Education Project (ALEP) at Stanford Law School
  • http://www.royalark.net/Afghanistan/telai.htm