গোলাম মাওলা রনি
![]() | এই জীবিত ব্যক্তির জীবনীমূলক নিবন্ধটির তথ্য যাচাইয়ের জন্য অতিরিক্ত সূত্র থেকে উদ্ধৃতিদান করা প্রয়োজন। (আগস্ট ২০২৪) |
গোলাম মাওলা রনি | |
---|---|
পটুয়াখালী ৩ আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২৫ জানুয়ারি ২০০৯ – ২৪ জানুয়ারি ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন |
উত্তরসূরী | আ খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন |
নির্বাচনী এলাকা | পটুয়াখালী-৩ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৬৭, সদরপুর, ফরিদপুর |
জাতীয়তা | বাংলাদেশি |
রাজনৈতিক দল | বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ (২০১৮ সালের পূর্বে) |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় |
পেশা | রাজনীতিবিদ, কলাম লেখক |
গোলাম মাওলা রনি একজন বাংলাদেশি রাজনীতিবিদ ও সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।[১] পরবর্তীতে ২০১৮ সালের ২৬শে নভেম্বরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেন।[২][৩]
প্রারম্ভিক জীবন
[সম্পাদনা]রনি ফরিদপুর জেলার সদরপুর উপজেলার চরভদ্রাশন গ্রামে ১৯৬৭ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম সামসুদ্দীন মুন্সী ও মাতার নাম মনোয়ারা বেগম। ছোটবেলায় নিজ গ্রাম চর ভদ্রাশনে কাটালেও ১৯৭৪ সালে তার পরিবারের সাথে পটুয়াখালীতে চলে আসেন। ফরিদপুরে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে তিনি পটুয়াখালী থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। পরবর্তীতে আইন বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন করেন। এরপর আরও উচ্চ শিক্ষার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে পড়ালেখা করেন।
কর্ম ও রাজনৈতিক জীবন
[সম্পাদনা]গোলাম মাওলা রনি সাংবাদিকতা দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু করেন। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়নে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।[৪] পরবর্তীতে নিজের শিপিং, ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট ও টেক্সটাইলসহ বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন। তিনি সেবোল্ট গ্রুপের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এবং একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের মালিক। বিভিন্ন টেলিভিশন অনুষ্ঠানে তৎকালীন নিজ দল আওয়ামী লীগের সমালোচনা করায় ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে সংসদ নির্বাচনের মনোনয়ন পাননি বলে অভিযোগ রয়েছে।[৫]
২০১৫ সালে রনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন এবং পরাজিত হন। ২০১৮ সালের ২৬শে নভেম্বরে তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলে (বিএনপি) যোগদান করেন[২] এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের মনোনয়ন লাভ করেন এবং পরাজিত হন।[৬]
গ্রেপ্তার
[সম্পাদনা]২০১৩ সালে ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের দুজন সাংবাদিককে প্রহারের ঘটনায় ২৪শে জুলাই সংসদ সদস্য থাকাবস্থায় তিনি গ্রেফতার হন এবং তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।[৭] একই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর তিনি জামিনে মুক্তি পান।[৮]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "আ.লীগের সাবেক সাংসদ রনি বিএনপিতে"। প্রথম আলো। ২৬ নভে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮।
- ↑ ক খ "বিএনপিতে যোগ দিলেন গোলাম মাওলা রনি"। আরটিভি অনলাইন। ২৬ নভে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮।
- ↑ "বিএনপিতে যোগ দিয়েছেন গোলাম মাওলা রনি"। যুগান্তর। ২৬ নভে ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ "Constituency 113"। Bangladesh Parliament। ২০১৬-১১-২৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-১২-০৬।
- ↑ Chowdhury, Kamran Reza (৩০ নভেম্বর ২০১৩)। "AL names candidates for JS polls"। ঢাকা ট্রিবিউন। ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ৬ ডিসেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসেম্বর ২০১৮।
- ↑ ঢাকা (২২ জুলাই ২০১৩)। "রনি প্রশ্নে উত্তপ্ত বাংলাদেশের সাংবাদিক মহল"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮।
- ↑ প্রথম আলো (১৬ সেপ্টে ২০১৩)। "মুক্তি পেলেন সাংসদ গোলাম মাওলা রনি"। প্রথম আলো। সংগ্রহের তারিখ ৬ ডিসে ২০১৮।