বিষয়বস্তুতে চলুন

গোয়া জাদুঘর

স্থানাঙ্ক: ১৫°৩১′৩২″ উত্তর ৭৩°৪৭′৪৩″ পূর্ব / ১৫.৫২৫৫° উত্তর ৭৩.৭৯৫৩° পূর্ব / 15.5255; 73.7953
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোয়া জাদুঘর
ধরনবেসরকারি
শিল্পসমকালীন শিল্পকলা গ্যালারি
প্রতিষ্ঠাকালনভেম্বর ২০১৫
প্রতিষ্ঠাতাসুবোধ কেরকার
সদরদপ্তর
পিলারনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেট, কালাঙ্গুট এর কাছে, গোয়া
,
ওয়েবসাইটmuseumofgoa.com

গোয়া জাদুঘর (এমওজি) হলো ভারতের গোয়ার কালাঙ্গুটের কাছে পিলারনে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এস্টেটে অবস্থিত একটি ব্যক্তিগত মালিকানাধীন সমকালীন শিল্পকলা গ্যালারি। এই জাদুঘরটি ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জাদুঘরের আয়তন ১,৫০০ বর্গমিটার।[] [] এর কোন স্থায়ী সংগ্রহ নেই।[] জাদুঘরটি সুবোধ কেরকার নামে এক গোয়ান শিল্পী প্রতিষ্ঠা করেন।[] জাদুঘরটি বিভিন্ন প্রদর্শনী, শিল্প কোর্স, নাটক, আবাসিক অনুষ্ঠান, কর্মশালা, বই পাঠ, বক্তৃতা এবং আলোচনাচক্রের আয়োজন করে।[]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

২০ বছরেরও বেশি সময় আগে যখন সরকার এই এলাকায় শিল্প স্থাপনের জন্য মানুষকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করছিল, তখন সুবোধ কেরকার এই জমিটি কেনেন। দীর্ঘদিন জমিটি অব্যবহাৃত থাকার জন্য তিনি গোয়া সরকারের কাছ থেকে একটি নোটিশ পান। এই নোটিশ পাওয়ার পর কেরকার জাদুঘরটি শুরু করার সিদ্ধান্ত নেন। এর জন্য, তিনি আরও একটি জমি বিক্রি করেন। মোট সংগৃহীত ৩.৫ কোটি টাকা জাদুঘর তৈরির জন্য ব্যয় করেন।[]

তিন তলা বিশিষ্ট গ্যালারি ভবনটি ২০১৫ সালে কেরকারের প্রাক্তন স্টুডিওর জায়গায় তৈরি করা হয়। ডিন ডি'ক্রুজ ভবনটির ডিজাইন করেন।[][] এই স্থানে একটি ভাস্কর্য উদ্যান রয়েছে। ভাস্কর্য উদ্যানটি জাদুঘরের শেষে অবস্থিত, এমওজি আর্ট ক্যাফে এবং শিশুদের আর্ট স্টুডিওর ঠিক পাশে। ভাস্কর্য উদ্যানটিতে বিভিন্ন ধরণের ভাস্কর্য রয়েছে।[] এমওজি অর্থাৎ মোগ, যা জাদুঘরের সংক্ষিপ্ত রূপ এবং একটি কোঙ্কানি শব্দ, এর অর্থ হলো "ভালোবাসা"।[]

৬ নভেম্বর ২০১৫ তারিখে 'গোপালপতনম' শিরোনামে একটি প্রদর্শনীর মাধ্যমে গ্যালারিটির উদ্বোধন করা হয়। এই প্রদর্শনীতে গোয়ান ইতিহাসের উপর কেরকার সহ ২০ জন ভারতীয় শিল্পীর কাজ ছিল।[][] শহরের স্কুল ও কলেজগুলিতে গোয়া জাদুঘর পরিদর্শনের জন্য আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়।

প্রদর্শনী

[সম্পাদনা]

ডাচ শিল্পী কারিন ভ্যান ডের মোলেনের কাজ "মাইন্ড বাবলস" গোয়া জাদুঘরে প্রদর্শিত হয়েছিল।[১০][১১]

জাদুঘরের সময় ও প্রবেশ মূল্য

[সম্পাদনা]

গোয়া জাদুঘর প্রতিদিন মঙ্গলবার থেকে রবিবার পর্যন্ত খোলা থাকে। জাদুঘরের সময় হলো সকাল ১০:০০ থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। জাদুঘরে প্রবেশের জন্য প্রতি প্রাপ্তবয়স্ক দর্শনার্থীকে ৩০০ টাকা করে প্রবেশ মূল্য দিতে হয়। শিশু ও শিক্ষার্থী দর্শনার্থীদের প্রবেশ মূল্য হলো ১৫০ টাকা। ৫ বছরের কম বয়সি শিশুদের প্রবেশ বিনামূল্যে। ১০ জনের গ্রুপ ট্যুরের প্রবেশ মূল্য হলো ১,০০০ টাকা।[১২]

চিত্রশালা

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "Museum of Goa (MOG)"Museums of India (ইংরেজি ভাষায়)। ৭ জুন ২০২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ৭ জুন ২০২১
  2. Ray, Kunal (১৫ অক্টোবর ২০১৫)। "Finding his muse in the museum"The Hindu (ভারতীয় ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জুলাই ২০২১
  3. 1 2 3 Ray, Kunal (১৫ অক্টোবর ২০১৫)। "Artist Subodh Kerkar's Museum of Goa aims to provide a cultural experience for the Goans"The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৭ জানুয়ারি ২০১৬
  4. "A Gallery With An Art Cafe?! All Art Enthusiasts Coming To Goa Need To Go Here | LBB"LBB, Goa (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২১
  5. Seetharaman, G.। "A creative oasis: The Museum of Goa is so much more than just a gallery"The Economic Times। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০২১
  6. 1 2 Pundir, Pallavi (৩০ সেপ্টেম্বর ২০১৫)। "Waves of Art"The Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২৪ ডিসেম্বর ২০১৫
  7. "Spaces"museumofgoa.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২৫
  8. "Museum of Goa: Celebration of Love"The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ডিসেম্বর ২০১৫
  9. "Inside Subodh Kerkar's Museum of Goa"Condé Nast Traveller India (মার্কিন ইংরেজি ভাষায়)। ৯ ডিসেম্বর ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৮
  10. "A mélange of art and nature"The Navhind Times। ২০ জানুয়ারি ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০১৬
  11. Das, Arti (২৬ নভেম্বর ২০১৫)। "Valued the world over forgotten at home Goa's most prized bardezkars"The Navhind Times। সংগ্রহের তারিখ ১৭ ডিসেম্বর ২০১৫
  12. "Visitor Info"museumofgoa.com। সংগ্রহের তারিখ ২৪ মে ২০২৫