গোমধর কোঁয়র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গোমধর কোঁয়র
ব্যক্তিগত বিবরণ
জন্মঅসম
জাতীয়তাভারতীয়
পিতাফেনা কোঁয়র
পেশাস্বাধীনতা সংগ্রামী, মুক্তি যুজাঁরু
জীবিকাআহোম রাজকোঁয়র
যে জন্য পরিচিতভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামী
ধর্মহিন্দু

গোমধর কোঁয়র (অসমীয়া: গোমধৰ কোঁৱৰ) অসম তথা ভারতের প্রথম স্বাধীনতা সংগ্রামীদের একজন। তাঁর পিতার নাম ছিল ফেনা কোঁয়র। ১৮২৮ সালে গোমধর কোঁয়রের নেতৃত্বে ধনঞ্জয় বরগোহাঁই ইত্যাদি অনেক আহোম কোঁয়র বৃটিশ শাসনের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল। [১]

ইয়াণ্ডাবু সন্ধির পর ১৮২৮ সালের শুরুতে বৃটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানী অসমের শাসন ভার নিজেদের হাতে আনতে সক্ষম হয়েছিল। প্রারম্ভে বৃটিশ শাসকরা কথা দিয়েছিল যে বর্মাকে অসম থেকে সরিয়ে শাসনভার আহোমদের দেওয়া হবে। কিন্তু এই প্ৰতিশ্রুতি না রাখার জন্য ১৮২৮ সালে গোমধর কোঁয়রের নেতৃত্বে বৃটিশদের বিরুদ্ধে এক বিদ্রোহের আগুন জ্বলে ওঠে। ভারত বুরঞ্জীতে এই বিদ্রোহ হচ্ছে বৃটিশদের বিরুদ্ধে শুরুর দিকের এক স্বাধীনতা সংগ্রাম।

বিদ্রোহীরা যোরহাটে আহোম রীতিমতে গোমধর কোঁয়রকে অসমের স্বর্গদেউ রূপে প্রতিষ্ঠা করেন যদিও বৃটিশরা ১৮২৮ সালের শেষভাগে এই বিদ্রোহ দমন করতে সক্ষম হয়। বিদ্ৰোহের শেষে গোমধর কোঁয়র নাগা পাহাড়ে পালিয়ে যান। কিন্তু বৃটিশরা তাঁকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। বৃটিশ শাসকরা তাঁকে রাজদ্রোহের অপরাধে ১৪ বছরের জন্য কারাদণ্ড দেয় এবং রংপুরের (বর্তমান বাংলাদেশে) জেলে প্রেরণ করে। গোমধর কোঁয়রের জীবনের বিষয়ে এই ঘটনার পর সবিশেষ জানা যায় না। বহু বুরঞ্জীবিদের মতে বৃটিশ শাসকরা তাঁকে একই অপরাধের নামে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল। [২]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Assam seeks national recognition for prince who fought british
  2. "Gomdhar Konwar...The unsung hero"। ১৮ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০২০