গোথেনবার্গ মসজিদ
| গোথেনবার্গ মসজিদ | |
|---|---|
গ্যোটেবোর্গস মস্কে | |
| ধর্ম | |
| অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম |
| শাখা/ঐতিহ্য | সুন্নি |
| পরিচালনা সংস্থা | সুইডেন ইসলামিক অ্যাসোসিয়েশন |
| অবস্থান | |
| অবস্থান | হিসিঙ্গেন, গোথেনবার্গ, সুইডেন |
| স্থানাঙ্ক | ৫৭°৪২′৫৩.৩৪″ উত্তর ১১°৫৬′৩৮.৯৪″ পূর্ব / ৫৭.৭১৪৮১৬৭° উত্তর ১১.৯৪৪১৫০০° পূর্ব |
| স্থাপত্য | |
| স্থপতি | বিয়র্ন সালকভিস্ট |
| ধরন | মসজিদ |
| অর্থায়নে | সৌদি আরব |
| প্রতিষ্ঠার তারিখ | ১৬ জুন ২০১১ |
| অভ্যন্তরীণ | ২,০০০ মি২ |
গোথেনবার্গ মসজিদ (সুইডীয়: Göteborgs moské) একটি মসজিদ যা হিসিঙ্গেন-এর রামবার্গেট পর্বতের পাদদেশে গোথেনবার্গ, সুইডেনে অবস্থিত। এই মসজিদ নির্মাণের সম্পূর্ণ অর্থায়ন করেছে সৌদি আরব এবং এটি পরিচালনা করে সুইডিশ মুসলিম ফাউন্ডেশন (এসএমএস)। এটি উদ্বোধন করা হয় ১৬ জুন ২০১১ তারিখে।[১]
মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয় ৬৭ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনা। এটি ২০০০ বর্গমিটার আয়তনের মসজিদ। মসজিদ নির্মাণের বিরোধিতায় ডানপন্থী কর্মীদের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সৌদি আরবের অর্থমন্ত্রী ড. আবু রাহমান আল সাঈদ বলেন, "আমরা এটি করি সদিচ্ছা থেকে — এবং কারণ আমরা এটি করতে সক্ষম"।[২] মসজিদের পরিচালনা পর্ষদ এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিরা উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সময় সুইডেনের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা টেলিভিশন অনুষ্ঠান উপদ্রাগ গ্রান্সকনিং-এর প্রতিবেদকদের সাক্ষাৎকার দিতে অস্বীকৃতি জানায়।[৩]
মসজিদের ইমাম শেখ আব্দুল রশিদ মোহাম্মদ সৌদি আরবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত। ২০১৩ সালে সুইডিশ টেলিভিশনের এক সাক্ষাৎকারে (যেখানে গোপন ক্যামেরা ব্যবহৃত হয়) তিনি বলেন যে নির্দিষ্ট শর্তে বহুবিবাহ অনুমোদিত এবং স্ত্রীগণ তাদের স্বামীদের সাথে সহবাস করতে অস্বীকার করতে পারেন না, যদি না তারা অসুস্থ হন।[৪] এরপর গ্যোটেবোর্গস-পোস্টেন-এ এক সাক্ষাৎকারে চেয়ারম্যান আহমেদ আল-মোফতি বলেন, রশিদ যা বলেছেন তা ইসলামী ঐতিহ্যের আলোকে উপদেশ এবং তা আইনি বাধ্যবাধকতা নয়।[৪]
এই ভবনটির নকশা করেছেন বিয়র্ন সালকভিস্ট, যিনি একটি স্ক্যান্ডিনেভীয় ছোঁয়া এবং প্রচুর আলো ও খোলা জায়গা সহ একটি মসজিদ ডিজাইন করতে চেয়েছিলেন। এখানে একটি বর্গাকৃতি মিনার, পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা নামাজের কক্ষ, সম্মেলন কক্ষ, অফিস, বক্তৃতা হল, রান্নাঘর এবং অজুর স্থান রয়েছে।
আইআইএফ
[সম্পাদনা]২০১৩ সালে সুইডিশ রেডিও কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ইসলামিস্কা ইনফরমাশনসফেরেনিঙ্গেন (IIF) (অনুবাদ: ইসলামিক ইনফরমেশন সোসাইটি) মসজিদের ভবন ব্যবহার করছিল এবং একই সময়ে গোথেনবার্গ পৌরসভা থেকে অর্থ সহায়তা পাচ্ছিল।[৫] ১৯৮৬ সালে আইআইএফ সালাম নামের একটি ম্যাগাজিন প্রকাশ শুরু করে। এই ম্যাগাজিনে মুসলিম ব্রাদারহুড-এর চিন্তাবিদ সাইয়েদ কুতুব এবং মুহাম্মদ কুতুব-এর লেখা সুইডিশ ভাষায় অনূদিত টেক্সট প্রকাশ করা হতো।[৬] এই ম্যাগাজিনের একটি বড় অংশ লিখেছেন ইসলাম ধর্মে ধর্মান্তরিত নারীরা। ১৯৯৫ সালে আইআইএফ ছিল ছাতাসংগঠন সুইডেন মুসলিম কাউন্সিল-এর একটি সদস্য সংগঠন।[৭] আইআইএফ সৌদি সংগঠন বিশ্ব মুসলিম যুব সংস্থা (WAMY)-এর সঙ্গে সহযোগিতায় আরবি টেক্সট সুইডিশ ভাষায় অনুবাদ করত এবং দ্য ইসলামিক ফাউন্ডেশন, আন্তর্জাতিক ইসলামিক ফেডারেশন অব স্টুডেন্ট অর্গানাইজেশন্স (IIFSO) এবং WAMY-এর প্রকাশিত সাহিত্য বিক্রি করত।[৮]
ছবি
[সম্পাদনা]- গোথেনবার্গ মসজিদের ভেতরের অংশ
- গোথেনবার্গ মসজিদ
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Yllner, Nadja; Hedberg, Kristina; Fegan, Ali; Amini, Djeiran (২ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। "Diktaturstaten Saudiarabien betalar Göteborgs nya moské"। SVT Nyheter (সুইডিশ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২১ নভেম্বর ২০২২।
- ↑ "Nya moskén invigd i Göteborg"।
- ↑ "(sv-SE) Diktaturstaten Saudiarabien betalar Göteborgs nya moské"। Uppdrag Granskning। Sveriges Television। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৭।
- 1 2 "Imamens uttalanden om kvinnor upprör"। Göteborgs-Posten (সুইডিশ ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮।
- ↑ Radio, Sveriges। "Imamen riskerar mista bidrag - P4 Göteborg"। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Jonas., Otterbeck (২০০০)। Islam på svenska : tidskriften Salaam och islams globalisering। Stockholm: Almqvist & Wiksell। পৃ. ১৭৪, ১৭৮। আইএসবিএন ৯১২২০১৯০২২। ওসিএলসি 163850814।
- ↑ "Muslimernas mångfald - DN.SE"। Dagens Nyheter (সুইডিশ ভাষায়)। ১২ মার্চ ১৯৯৫। ২০ এপ্রিল ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত। সংগ্রহের তারিখ ২৫ নভেম্বর ২০১৭।
- ↑ Jonas., Otterbeck (২০০০)। Islam på svenska : tidskriften Salaam och islams globalisering। Stockholm: Almqvist & Wiksell। পৃ. ২৩৬। আইএসবিএন ৯১২২০১৯০২২। ওসিএলসি 163850814।