গুয়াদলুপে ইসলাম
গুয়াদেলুপে ইসলাম একটি সংখ্যালঘু ও ক্রমবর্ধমান ধর্ম। পিউ রিসার্চ সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯ সালে গুয়াদলুপে প্রায় ২০০০ জন মুসলিম বাস করতেন, যা দেশের মোট জনসংখ্যার ০.৪%। ২০১৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, গুয়াদলুপের মোট জনসংখ্যা ছিল ৪৪৬,০০০ জন। গুয়াদেলুপের মুসলিম অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান জানিয়েছেন যে, এই অঞ্চলে কমপক্ষে ২,৫০০-৩,০০০ মুসলিম বাস করেন এবং মুসলিমদের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে। [১][২]
গুয়াদলুপ উত্তর আমেরিকার ক্যারিবীয় সাগরে অবস্থিত একটি ফরাসি প্রদেশ (ফ্রান্সের বিদেশী অঞ্চল)। গুয়াদলুপে মূলত খ্রিস্টানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ, যারা মোট জনসংখ্যার ৯৬% (যার মধ্যে ৮০% ক্যাথলিক এবং ১৬% প্রোটেস্ট্যান্ট), গঠন করে। এর বাইরে ২.৫% নাস্তিক এবং ১.৯৫% অন্যান্য ধর্মের (ইসলাম, ইহুদি, হিন্দু, রাস্তাফারি, ম্যারোনাইট ইত্যাদি) অনুসারী। [৩]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]১৯৬৫ সালে গুয়াদলুপে ফরাসি উপনিবেশ স্থাপন শুরু হয় ১৬৩৫ এবং ১৬৭৪ সালে গুয়াদলুপ ফ্রান্সের অংশ হয়ে ওঠে। ফরাসি উপনিবেশ কায়েম হওয়ার পর স্থানীয় জনগণকে খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত করা হয় এবং তখন থেকে এটি মূলত খ্রিস্টান অধ্যুষিত অঞ্চল হয়ে ওঠে। একটি সূত্র মতে, ১৯৪০-এর দশকে অভিবাসীদের মাধ্যমে গুয়াদলুপে ইসলামের প্রসার শুরু হয়। এর বেশিরভাগ অভিবাসী মূলত ক্যারিবীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল দেশ থেকে কৃষি খাতে কাজ করার জন্য এসেছিল। ১৯৯০-এর দশকের গোড়ার দিকে গুয়াদলুপে একটি মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব করা হয়েছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে মাঝপথে পরিকল্পনাটি স্থগিত করা হয়েছিল। [৪]
জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০০৯ সালের হিসাব অনুযায়ী, গুয়াদলুপে প্রায় ২০০০ জন মুসলিম ছিল, যা জনসংখ্যার প্রায় ০.৪%। [৪]
প্রতিষ্ঠান
[সম্পাদনা]গুয়াদেলুপে দুটি মুসলিম সংগঠন রয়েছে: গুয়াদলুপ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন, যা ২০১৫ সালে হাবিব এনডের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয় [৪] এবং গুয়াদলুপ আহমদীয়া কমিউনিটি (জামায়াত-ই-আহমদীয়া গুয়াদেলুপ), যা ২০১৬ সালে ৫ জন আহমদিয়া মতাদর্শী সদস্যের অংশগ্রহণে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। গুয়াদলুপে আহমদিয়া জামাতের প্রথম ধর্মপ্রচারক ছিলেন লুকমান আহমদ বাজওয়া। [৫][৬]
মসজিদ
[সম্পাদনা]নব্বইয়ের দশকের গোড়ার দিকে এই অঞ্চলে প্রথম মসজিদ নির্মাণের প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়েছিল এবং এর জন্য একটি প্রকল্পও তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু মাঝপথে কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর মুসলিমরা সেখানে ৬০ বর্গমিটার আয়তনের একটি জায়গা ক্রয় করে এবং একটি ঘর নির্মাণ করে নামাজঘর (মসজিদ) হিসেবে ব্যবহার শুরু করে। গুয়াদলুপ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক পরিচালিত এই মসজিদটি ৫০ জন মুসল্লির জন্য তৈরি করা হয়। তবে শুক্রবারে জুমার নামাজের জন্য আগত সকলের জন্য এটি উপযুক্ত নয় । ২০১৫ সালে প্রতিষ্ঠিত গুয়াদেলুপ মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন গুয়াদলুপে একটি মসজিদ ভবন নির্মাণ শুরু করার লক্ষ স্থির করে। কিন্তু গুয়াদলুপের মুসলিম সম্প্রদায়ের আকার ছোট হওয়ায় মসজিদ নির্মাণের ক্ষেত্রে তারা গুরুতর আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হয়। বর্তমানে গুয়াদলুপে দুটি মসজিদ রয়েছে; একটি রায়জেটে, অপরটি গ্র্যান্ড-ক্যাম্পে। [৭]
আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ RELIGIONS IN GUADELOUPE, ২৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভকৃত, সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২
{{citation}}: অজানা প্যারামিটার|dead-url=উপেক্ষা করা হয়েছে (|url-status=প্রস্তাবিত) (সাহায্য) - ↑ Ramadan : Le mois sacré de l'islam a débuté. Guadeloupe la 1èreটেমপ্লেট:Ref-fr
- ↑ "National Profiles | World Religion"। The Association of Religion Data Archives (the ARDA) (ব্রিটিশ ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০২৫।
- 1 2 3 Sasongko, Agung (১ জানুয়ারি ২০১৮)। "Muslim Guadalupe Sulap Apartemen Jadi Masjid" [Guadalupe Muslims Transformed an Apartment into a Mosque]। Khazanah (ইন্দোনেশীয় ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ Luqman Bajwa. Quran Exhibition Guadeloupe. alhakam.org, 07.06.2019টেমপ্লেট:Ref-en
- ↑ Bajwa, Luqman (৭ জুন ২০১৯)। "Quran Exhibition Guadeloupe"। Al Hakam। সংগ্রহের তারিখ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১।
- ↑ Muslim Guadalupe Sulap Apartemen Jadi Masjid. republika.co.id, 01.01.2018