বিষয়বস্তুতে চলুন

গুন্ডার্ট জাদুঘর

হারমান গুন্ডার্ট জাদুঘর
হারমান গুন্ডার্ট জাদুঘর
মানচিত্র
স্থাপিত৭ মে ২০২২
অবস্থানথ্যালাসেরিতে, কেরল
স্থানাঙ্ক১১°৪৬′০৪″ উত্তর ৭৫°২৮′৫১″ পূর্ব / ১১.৭৬৭৮° উত্তর ৭৫.৪৮০৭° পূর্ব / 11.7678; 75.4807
মালিককেরালা সরকার

গুন্ডার্ট জাদুঘর হলো কেরল রাজ্যের কান্নুর জেলার থ্যালাসেরিতে অবস্থিত একটি ঐতিহ্যবাহী জাদুঘর।[] জাদুঘরের ভবনটি মূলত জার্মান ধর্মপ্রচারক হারমান গুন্ডার্টের বাসভবন ছিল। যিনি মালায়ালাম ভাষায় তার অবদানের জন্য বিশেষভাবে স্মরণীয়।[] ভবনটি জাদুঘরে রূপান্তরিত হওয়ার আগে এটি গুন্ডার্ট বাংলো নামে পরিচিত ছিল। ভবনটি ১৮০০ সালের দিকে গুন্ডার্ট বাংলো নির্মাণ করা হয়।[] ২০২২ সালে কেরল সরকার গুন্ডার্টকে শ্রদ্ধা জানাতে তার বাসভবনটিকে একটি জাদুঘরে রূপান্তরিত করে।[] এই বাংলো থেকেই গুন্ডার্ট মালায়ালাম ভাষায় প্রথম ভাষার অভিধান রচনা করেন। [] তিনি মালায়ালাম দৈনিক রাজ্যসমচারম এবং পশ্চিমদোদয়ম প্রকাশ করেন।[] জাদুঘরে রয়েছে হারমান হেস লাইব্রেরি, বিরল বইয়ের সংগ্রহ, জুলি গুন্ডার্ট হল, গুন্ডার্ট মূর্তি এবং ডিজিটাল বই সংরক্ষণাগার।[]

বিবরণ

[সম্পাদনা]

গুন্ডার্ট বাংলো ছিল হারমান গুন্ডার্ট এর বাসস্থান। হারমান গুন্ডার্ট ছিলেন একজন জার্মান ধর্মপ্রচারক, পণ্ডিত এবং ভাষাবিদ। তিনি ১৮৩৯ সালে থ্যালাসেরিতে আসেন এবং ২০ বছর ধরে তার স্ত্রী জুলির সাথে সেখানে বসবাস এবং কাজ চালিয়ে যান। ১৮৫৯ সালে অসুস্থতার কারণে তিনি জার্মানিতে ফিরে যান।[]

গুন্ডার্ট বাংলো একটি ঐতিহ্যবাহী ভবন। এর নির্মাণকাজ প্রচলিত কেরল স্থাপত্যশৈলীতে করা হয়েছে। ভবনটির ছাদ টালিযুক্ত এবং চার পাশ ঘিরে বিস্তৃত বড় বারান্দা রয়েছে। ভবনে কাঠের দরজা এবং জানালা রয়েছে। কারিগররা এখানে ল্যাটেরাইট পাথর এবং লাল মাটির ছাদের টাইলস ব্যবহার করেছেন। কুইয়ালি নদী গুন্ডার্ট বাংলোর কাছে দিয়ে প্রবাহিত।[]

জাদুঘরে গুন্ডার্টের জীবন কাহিনী বর্ণনার মাধ্যমে বলা হয়েছে। ২.২১ কোটি টাকা ব্যয়ে এটিকে একটি জাদুঘরে সংস্কার করা হয়। ২০২২ সালের ৭ মে তারিখে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। এখানে থ্যালাসেরি হেরিটেজ ট্যুরিজম প্রকল্পের আওতায় সংস্কার কাজটি সম্পন্ন করা হয়।[১০]

এই জাদুঘরটি মালায়ালাম সাহিত্য এবং কেরালার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যে গুন্ডার্টের উল্লেখযোগ্য অবদান তুলে ধরে। দর্শনার্থীরা পাণ্ডুলিপি, চিঠিপত্র এবং তার ব্যক্তিগত জিনিসপত্রের সংগ্রহ এখানে দেখতে পায় যা গুন্ডার্ট-এর জীবন ও কর্ম সম্পর্কে অন্তর্দৃষ্টি প্রদান করে। জাদুঘরটি একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র হিসেবেও কাজ করে, শিক্ষামূলক সম্পদ প্রদান করে এবং কেরালায় হারমান গুন্ডার্ট-এর ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক প্রভাবের প্রতি গভীর উপলব্ধি জাগিয়ে তোলে।[১১]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. team, Now Age Storytelling (১৪ মে ২০২০)। ""Books for readers!" The purpose of the Gundert Museum and Study Centre in Thalassery"nowagestorytelling (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২
  2. Nazeer, Mohamed (১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৮)। "Gundert Bungalow to be museum"The Hindu (ভারতীয় ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২
  3. "Gundert Bungalow | Dr Hermann Gundert | Cultural Circuit | Thalassery Heritage Project | Kannur, Kerala"Thalassery Heritage Project (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২
  4. Staff Reporter (৮ মে ২০২২)। "Gundert Museum opened in Thalassery"The Hindu (ভারতীয় ইংরেজি ভাষায়)। আইএসএসএন 0971-751X। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২
  5. Gundert, Hermann (১৮৭২)। A Malayalam and English Dictionary (মালায়ালাম ভাষায়)। C. Stolz।
  6. Gajrani, S. (২০০৪)। History, Religion and Culture of India (ইংরেজি ভাষায়)। Gyan Publishing House। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৮২০৫-০৬১-৭
  7. "മലയാളികള്‍ക്ക് നിഘണ്ടു 'സമ്മാനിച്ച' ഗുണ്ടര്‍ട്ടിനായി തലശ്ശേരിയില്‍ മ്യൂസിയം തുറന്നു"Samayam Malayalam (মালায়ালাম ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২৬ অক্টোবর ২০২২
  8. Menon, A. Sreedhara (৪ মার্চ ২০১১)। Kerala History and its Makers (ইংরেজি ভাষায়)। D C Books। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-২৬৪-৩৭৮২-৫
  9. Tourist Guide to South India (ইংরেজি ভাষায়)। Sura Books। ২০০৩। আইএসবিএন ৯৭৮-৮১-৭৪৭৮-১৭৫-৮
  10. "മ്യൂസിയം ഒരുങ്ങി; അറിയാം ഗുണ്ടർട്ടിനെ"Samayam Malayalam (মালায়ালাম ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২২
  11. "Hermann Gundert Museum"www.dtpckannur.com। সংগ্রহের তারিখ ২২ মে ২০২৫