গুণ্ডুজগালা মসজিদ
Gunduzgala মসজিদ | |
---|---|
| |
![]() ২০২৪ সালের দৃশ্যে প্রাক্তন মসজিদ | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | ইসলাম (প্রাক্তন) |
যাজকীয় বা সাংগঠনিক অবস্থা |
|
অবস্থা | পরিত্যক্ত |
অবস্থান | |
অবস্থান | Gündüzqala, Qusar District |
দেশ | আজারবাইজান |
আজারবাইজান-এ প্রাক্তন মসজিদের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক | ৪১°৩১′৪৮″ উত্তর ৪৮°২৫′৪৬″ পূর্ব / ৪১.৫৩০০০° উত্তর ৪৮.৪২৯৪৪° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯১৬ |
বিনির্দেশ | |
দৈর্ঘ্য | ১১ মিটার (৩৬ ফুট) |
প্রস্থ | ১৩ মিটার (৪৩ ফুট) |
গম্বুজসমূহ | একটি |
গম্বুজের উচ্চতা (বাহিরে) | ১৫ মিটার (৪৯ ফুট) |
উপাদানসমূহ | পাথর; সাদা ধাতু; কাঠ; স্লেট |
গুণ্ডুজগালা মসজিদ (আজারবাইজানি: Gündüzqala Məscidi; আরবি: مسجد غوندوزقلا) হচ্ছে আজারবাইজানের কুসার জেলার গুণ্ডুজগালা গ্রামে অবস্থিত একটি সাবেক মসজিদ এবং ঐতিহাসিক স্থাপত্য নিদর্শন।
১৯১৬ সালে নির্মিত এই মসজিদটিকে ২০০১ সালের ২ আগস্ট আজারবাইজানের মন্ত্রিসভা কর্তৃক গৃহীত ১৩২ নম্বর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে স্থানীয় গুরুত্বের অস্থাবর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]গুণ্ডুজগালা মসজিদটি ১৯১৬ সালে কুসার জেলার গুণ্ডুজগালা গ্রামে নির্মাণ করা হয়।[১]
আজারবাইজানে সোভিয়েত শাসনের সূচনার পর ১৯২৮ সালে ধর্মবিরোধী একটি সরকারি প্রচারণা শুরু হয়।[২] সেই বছরের ডিসেম্বর মাসে, আজারবাইজান কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি অনেক মসজিদ, চার্চ এবং সিনাগগকে ক্লাবের শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য স্থানান্তর করে।[২]
১৯১৭ সালে আজারবাইজানে প্রায় ৩,০০০টি মসজিদ ছিল, যা ১৯২৭ সালে কমে দাঁড়ায় ১,৭০০-তে, ১৯২৮ সালে ১,৩৬৯-এ এবং ১৯৩৩ সালে এসে কেবলমাত্র ১৭টি অবশিষ্ট ছিল।[২][৩]
এই সময়ে, গুণ্ডুজগালা মসজিদটি নামাজের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। প্রথমে এটি একটি স্কুল হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং পরে একটি গুদামে রূপান্তরিত হয়।[২][৩]
১৯৮৫ সালে মসজিদটির সংস্কার কাজ শুরু হলেও অর্থের অভাবে কাজটি অসম্পূর্ণ থেকে যায়।[১]
আজারবাইজান স্বাধীনতা লাভের পর, ২০০১ সালের ২ আগস্ট তারিখে মন্ত্রিসভার ১৩২ নম্বর সিদ্ধান্তের মাধ্যমে মসজিদটি স্থানীয় গুরুত্বপূর্ণ অস্থাবর ঐতিহাসিক ও সাংস্কৃতিক স্মৃতিস্তম্ভ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।[৪]
মার্চ ২০২৪-এর হিসাব অনুযায়ী[হালনাগাদ], এই প্রাক্তন মসজিদটির পুনঃসংস্কার করা হয়নি এবং এটি কার্যকর নয়।
স্থাপত্য
[সম্পাদনা]আয়তাকার আকৃতির এই মসজিদটির অভ্যন্তরের পরিমাপ ১১ বাই ১৩ মিটার (৩৬ বাই ৪৩ ফুট)।[১] এর দেয়ালগুলি নদীর পাথর দিয়ে তৈরি। ছাদটি সাদা ধাতব চাদরে আবৃত। মেঝে কাঠ দিয়ে তৈরি এবং ছাদ কাঠ ও স্লেট দিয়ে সাজানো হয়েছে। ছাদটি দুইটি কাঠের স্তম্ভ দ্বারা সমর্থিত।
মসজিদটিতে সাতটি আয়তাকার জানালা রয়েছে। এর উচ্চতা ৫ মিটার (১৬ ফুট), এবং গম্বুজের চূড়া পর্যন্ত উচ্চতা ১৫ মিটার (৪৯ ফুট)।[১] মসজিদটির দুই পাশে খোলা বারান্দা রয়েছে, প্রতিটির মাপ ২৪ বাই ১.৬ মিটার (৭৮.৭ বাই ৫.২ ফুট)।[১]
গ্যালারি
[সম্পাদনা]আরো দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ Azərbaycan Respublikası Məscidlərinin Ensiklopediyası (পিডিএফ) (আজারবাইজানী ভাষায়)। বাকু: Beynəlxalq Əlhuda। ২০০১। পৃষ্ঠা 128। আইএসবিএন 964-8121-59-1। ২০২১-০৭-২৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ ক খ গ ঘ Yunusov, Arif (২০০৪)। Azərbaycanda İslam (পিডিএফ) (আজারবাইজানী ভাষায়)। বাকু: Zaman। পৃষ্ঠা 140–141। আইএসবিএন 9952-8052-2-5। ২০২৩-০৭-০৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২২-১২-১৪।
- ↑ ক খ Ələsgərova, Nəsrin (২০০৫-০১-১৫)। "Ислам в Азербайджане: история и современность | Heinrich Böll Stiftung" [Tbilisi - South Caucasus Region]। ge.boell.org (রুশ ভাষায়)। ২০১৯-০৯-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০৯-০৪।
- ↑ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;:0
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা] উইকিমিডিয়া কমন্সে গুণ্ডুজগালা মসজিদ সম্পর্কিত মিডিয়া দেখুন।