গাস কেম্পিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাস কেম্পিস
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নামগুস্তাভ অ্যাডল্ফ কেম্পিস
জন্ম(১৮৬৫-০৮-০৪)৪ আগস্ট ১৮৬৫
পোর্ট এলিজাবেথ, কেপ উপনিবেশ
মৃত্যু১৯ মে ১৮৯০(1890-05-19) (বয়স ২৪)
চিলোন আইল্যান্ড, পর্তুগীজ মোজাম্বিক
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনবামহাতি মিডিয়াম
সম্পর্কজর্জ কেম্পিস (ভ্রাতা)
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
শেষ টেস্ট১২ মার্চ ১৮৮৯ বনাম ইংল্যান্ড
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট এফসি
ম্যাচ সংখ্যা
রানের সংখ্যা ৬০
ব্যাটিং গড় ০.০০ ৬.০০
১০০/৫০ ০/০ ০/০
সর্বোচ্চ রান ০* ২৪
বল করেছে ১৬৮ ১,২৪৮
উইকেট ৪৫
বোলিং গড় ১৯.০০ ১৩.০০
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট
সেরা বোলিং ৩/৫৩ ৭/৩৩
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/০ ২/০
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

গুস্তাভ অ্যাডল্ফ কেম্পিস (ইংরেজি: Gus Kempis; জন্ম: ৪ আগস্ট, ১৮৬৫ - মৃত্যু: ১৯ মে, ১৮৯০) কেপ উপনিবেশের পোর্ট এলিজাবেথ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা দক্ষিণ আফ্রিকান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮৯ সময়কালে সংক্ষিপ্তকালের জন্যে দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে নাটাল দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন গাস কেম্পিস। দলে তিনি মূলতঃ বামহাতি মিডিয়াম পেস বোলার হিসেবে খেলতেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণের সুযোগ লাভ করেছিলেন গাস কেম্পিস। ১২ মার্চ, ১৮৮৯ তারিখে সফরকারী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী টেস্টে অভিষেক ঘটে তার।

বামহাতি মিডিয়াম পেস বোলিং করতেন গাস কেম্পিস। পিচের উভয়দিকেই বলকে নিশানা বরাবর নিখুঁতভাবে নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বোলিং কার্য সম্পাদন করতেন তিনি। ১৮৮৮-৮৯ মৌসুমে আর. জি. ওয়ারটনের নেতৃত্বাধীন সফরকারী ইংরেজ একাদশের বিপক্ষে প্রথম-শ্রেণীবিহীন তিনটি খেলায় অংশগ্রহণ করে ১৩ উইকেট দখল করেন। এর স্বীকৃতিস্বরূপ পোর্ট এলিজাবেথে অনুষ্ঠিত উভয় দেশের মধ্যকার প্রথম টেস্টে খেলার জন্য মনোনয়ন লাভে সক্ষম হন। তবে ব্যাট হাতে নিদারুণভাবে ব্যর্থ হন। কিন্তু, বল হাতে ৩/৫৩ ও ১/২৩ পেলেও সফরকারী ইংল্যান্ড দল স্বাচ্ছন্দ্যে ৮ উইকেটের ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।[১]

ঘরোয়া ক্রিকেট[সম্পাদনা]

পরের মৌসুমে নাটালের পক্ষে ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর দক্ষিণ আফ্রিকান ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেন। ১২.৪২ গড়ে ৪১ উইকেট পান তিনি।[২] মাত্র পাঁচটি খেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে এ সাফল্য পান তিনি। তন্মধ্যে, চারবার ইনিংসে পাঁচ-উইকেট দখল করেন। দুইবার খেলায় ১০-উইকেট পান। পোর্ট এলিজাবেথের বিপক্ষে ৭/৩৫ ও ৪/২৯; কিম্বার্লীর বিপক্ষে ৭/৪৪; ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের বিপক্ষে ৭/৩৩ ও ৩/৭৬ এবং কেপ টাউন ক্লাবসের বিপক্ষে ৫/২০ বোলিং পরিসংখ্যান দাঁড় করিয়েছিলেন।[৩] এরফলে, খুব সহজেই ঐ মৌসুমের সফলতম বোলারের মর্যাদা লাভ করতে সক্ষম হন।[৪]

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

১৮৮৯-৯০ মৌসুম শেষ হবার স্বল্প কয়েকদিন পরই ১৯ মে, ১৮৯০ তারিখে মাত্র ২৪ বছর বয়সে পর্তুগীজ মোজাম্বিকের চিলোন আইল্যান্ড এলাকায় গাস কেম্পিসের দেহাবসান ঘটে। তার মৃত্যুর তারিখ রেকর্ডবিহীন অবস্থায় ছিল ও উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাকে গাস কেম্পিসের মৃত্যুর বিষয়ে কোন সংবাদ প্রকাশ করেনি।

তার ভাই জর্জ কেম্পিস ১৮৯৪ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের সাথে ইংল্যান্ড গমন করেছিলেন।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "South Africa v England, First Test 1888-89"Cricinfo। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭ 
  2. "First-class Bowling in Each Season by Gus Kempis"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  3. "First-class matches played by Gus Kempis"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 
  4. "First-class Bowling in South Africa for 1889-90"CricketArchive। সংগ্রহের তারিখ ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭(সদস্যতা নেয়া প্রয়োজন (সাহায্য)) 

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

গ্রন্থপঞ্জি[সম্পাদনা]

  • World Cricketers - A Biographical Dictionary by Christopher Martin-Jenkins published by Oxford University Press (1996)
  • The Wisden Book of Test Cricket, Volume 1 (1877-1977) compiled and edited by Bill Frindall published by Headline Book Publishing (1995)
  • Who's Who of Cricketers by Philip Bailey, Philip Thorn & Peter Wynne-Thomas published by Hamlyn (1993)

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]