বিষয়বস্তুতে চলুন

গালিব ইবনে মুসাইদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গালিব ইবনে মুসাইদ
غالب بن مساعد
মক্কার শরিফ ও আমির
রাজত্ব১৭৮৮ – এপ্রিল ১৮০৩
পূর্বসূরিআবদুল মুইন ইবনে মুসাইদ
উত্তরসূরিআবদুল মুইন ইবনে মুসাইদ
রাজত্বজুলাই ১৮০৩ – ১৮১৩
পূর্বসূরিআবদুল মুইন ইবনে মুসাইদ
উত্তরসূরিইয়াহিয়া ইবনে সুরুর
মৃত্যুসেলানিক, উসমানীয় সাম্রাজ্য
বংশধরআবদুল মুত্তালিব ইবনে গালিব
রাজবংশ
পিতামুসাইদ ইবনে সাইদ

গালিব ইবনে মুসাঈদ ইবনে সাঈদ ( আরবি: غالب بن مساعد بن سعيد ) ছিলেন একজন শরীফ। তিনি ১৭৮৮ থেকে ১৮১৩ সাল পর্যন্ত মক্কার শরীফ ও আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। []

আমিরাতের উত্তরাধিকার

[সম্পাদনা]

গালিব ছিলেন মক্কার আমির মুসাইদ ইবনে সাইদের (শাসনকাল ১৭৫২-১৭৭০) পুত্র। মুসাইদের মৃত্যুর পর আমিরাতের মালিকানা গালিবের চাচা আহমদ ইবনে সা'ইদ (রা. ১৭৭০-১৭৭৩), তারপর তার ভাই সুরুর ইবনে মুসা'ইদ (রা. ১৭৭৩-১৭৮৮) এর হাতে ছিল। ১৮ রবিউস সানি ১২০২ হিজরিতে (আনুমানিক ২৭ জানুয়ারী ১৭৮৮) সুরুরের মৃত্যুর পর, তার ভাই আব্দুল মুইন আমিরাতের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। কিন্তু তিনি মাত্র একদিন বা কয়েক দিন (কিছু সূত্র অনুসারে) শাসন করে গালিবের পক্ষে পদত্যাগ করেন। সুরুরের মৃত্যুর খবর ইস্তাম্বুলে শা'বানের মাঝামাঝি (মে ১৭৮৮) পৌঁছায় এবং সুলতান প্রথম আব্দুল হামিদ গালিবের নিয়োগ নিশ্চিত করেন। ২৯ জিলকদ ১২০২ হিজরিতে (প্রায় ১ সেপ্টেম্বর ১৭৮৮) রাজকীয় ফরমান (ঘোষণা) এবং খিলা'আ (সম্মানের পোশাক) মক্কায় পৌঁছে। [] [] [] []

ভাইদের সাথে বিরোধ

[সম্পাদনা]

১১ জিলহজ ১২০২ হিজরিতে (আনুমানিক ১২ সেপ্টেম্বর ১৭৮৮) গালিবের ভাই (বাদের) তার শাসনের বিরোধিতা করেন। তারা গালিবের উট চুরি করার সময় মক্কা ত্যাগ করে এবং হুদাইল গোত্র থেকে যোদ্ধাদের তাদের উদ্দেশ্যে নিয়োগ করে। ১৯ জিলহজ (আনুমানিক ২০ সেপ্টেম্বর ১৭৮৮) মক্কার কাছে উভয় পক্ষের মধ্যে যুদ্ধ হয় এবং গালিব বিজয়ী হন। এরপর বিদ্রোহীরা তাইফ দখলের চেষ্টা করে কিন্তু গালিবের উপপ্রতিনিধির কাছে পরাজিত হয়। ৮ রবিউল আউয়াল ১২০৩ হিজরিতে (আনুমানিক ৭ ডিসেম্বর ১৭৮৮) গালিবের সেনাবাহিনী মক্কার দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় তাদের আবার পরাজিত করে। জমাদিউল আউয়ালের মাঝামাঝি (ফেব্রুয়ারি ১৭৮৯) তারা থাকিফ গোত্রের সাথে জোট বাঁধে এবং গালিবের উপপ্রতিনিধি থেকে তাইফ দখল করে। গালিব যখন খবর পেলেন যে তার ভাইরা মক্কা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে, তখন তিনি বেদুইন উপজাতিদের কাছে সাহায্যের জন্য বার্তা পাঠান। ১৯ জমাদিউল আউয়াল (আনুমানিক ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৭৮৯) তিনি আল-মা'আবিদাতে তার সৈন্য সংগ্রহ করেন। তার সাথে যোগদানকারী প্রতিটি বেদুইনকে ৭ রিয়াল দেন। বিদ্রোহীরা গালিবের শক্তিশালী বাহিনীর কথা জানতে পেরে আক্রমণ বন্ধ করে তাইফে ফিরে যায়। ২৪ জমাদিউল আউয়ালে (আনুমানিক ২০ ফেব্রুয়ারি ১৭৮৯), গালিব এবং তার ভাইয়েরা সাইয়্যিদ নাসির ইবনে মাস্তুর এবং বেশ কয়েকজন নেতৃস্থানীয় উলামার মধ্যস্থতায় একটি শান্তি চুক্তিতে আলোচনা করেন। [] []

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

১২২৮ হিজরিতে (অক্টোবর/নভেম্বর ১৮১৩) তিনি মোহাম্মদ আলী পাশা কর্তৃক ক্ষমতাচ্যুত হন। [] মুহাম্মদ আলী গালিবকে মিশরে নির্বাসিত করেন। কিন্তু ১৮১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকার তাকে তার পরিবারের সাথে সেলানিকে (থেসালোনিকি) স্থানান্তরের ব্যবস্থা করে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. de Zambaur 1927, পৃ. 23।
  2. al-Ghāzī 2009a, পৃ. 681।
  3. al-Ghāzī 2009b, পৃ. 5।
  4. Uzunçarşılı 2003, পৃ. 192–193।
  5. Daḥlan 2007, পৃ. 295–296।
  6. al-Ghāzī 2009b, পৃ. 5–8।
  7. Daḥlan 2007, পৃ. 296।
  8. Uzunçarşılı 2003, পৃ. 198–199।

গ্রন্তপঞ্জি

[সম্পাদনা]
  • ডে জামবোর, ই. (১৯২৭)। ইসলামের ইতিহাসের বংশতালিকা ও কালানুক্রমিক বিবরণী। হানোভার: হেইঞ্জ লাফায়ার।
  • উজুনচর্শিলি, ইসমাইল হাক্কি (২০০৩)। মক্কার শরীফ ও উসমানীয় শাসনামলের শাসকগণ أشراف مكة المكرمة وأمرائها في العهد العثماني (আরবি ভাষায়)। মুরাদ, খালিল আলী কর্তৃক অনূদিত (১ম সংস্করণ)। বৈরুত: আল-দার আল-আরাবিয়া লিল-মাওসু‘আত।
  • আল-গাযী, আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (২০০৯a)। আব্দুল-মালিক ইবন আব্দুল্লাহ ইবন দুহাইশ (সম্পাদক)। ইফাদাত আল-আনাম إفادة الأنام (আরবি ভাষায়)। খণ্ড ৩ (১ম সংস্করণ)। মক্কা: মাকতাবাত আল-আসাদী।
  • আল-গাযী, আব্দুল্লাহ ইবন মুহাম্মদ (২০০৯b)। আব্দুল-মালিক ইবন আব্দুল্লাহ ইবন দুহাইশ (সম্পাদক)। ইফাদাত আল-আনাম إفادة الأنام (আরবি ভাষায়)। খণ্ড ৪ (১ম সংস্করণ)। মক্কা: মাকতাবাত আল-আসাদী।
  • দাহলান, আহমাদ জায়নী (২০০৭) [১৮৮৭/১৮৮৮]। খুলাসাতুল কালাম: মক্কার শাসকদের ইতিহাস خلاصة الكلام في بيان أمراء البلد الحرام (আরবি ভাষায়)। দার আরদ আল-হারামাইন।
  • আল-সিবাঈ, আহমাদ ইবন মুহাম্মদ আহমাদ (১৯৯৯)। মক্কার ইতিহাস: রাজনীতি, জ্ঞান, সমাজ ও নগরায়নের উপর গবেষণা تاريخ مكة: دراسات في السياسة والعلم والإجتماع والعمران (আরবি ভাষায়)। খণ্ড ২। রিয়াদ: আল-আমানাহ আল-‘আমাহ লিল-ইহতিফাল।