গার্গী গুপ্ত
আলোচ্য বিষয়ের সাথে এ নিবন্ধের মূল অবদানকারীর গভীর সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে প্রতিয়মান হয়। (April 2019) |
গার্গী গুপ্ত | |
---|---|
জন্ম | গার্গী ১৯ জুলাই ১৯৬১ |
জাতীয়তা | ভারতীয় |
পেশা | সামাজিক কর্মী |
কর্মজীবন | ১৯৯২-বর্তমান |
পরিচিতির কারণ | ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ড (এনজিও) এর প্রতিষ্ঠাতা [১] |
পিতা-মাতা | প্রবীর গুপ্ত (পিতা)[২] প্রণতি গুপ্ত (মাতা) |
পুরস্কার | নারী শক্তি পুরস্কার[৩] |
গার্গী গুপ্ত ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ডের (এনজিও) প্রতিষ্ঠাতা ও সচিব। এটি পূর্ব ভারতের দৃষ্টিশক্তিহীন এবং বিশেষভাবে সমর্থ ও অনাথ শিশুদের জন্য একটি বহু-মাত্রিক অলাভজনক সংস্থা।[১] এটির সদর দপ্তর ভারতের কলকাতায় অবস্থিত। উত্তর কলকাতায় তার বাবার নেওয়া একটি ভাড়া বাড়িতে ছটি শিশুকে নিয়ে তিনি কাজ শুরু করেছিলেন এবং এখন এই সংস্থায় বসবাসকারী শিশুর সংখ্যা ৩০০।[৪] ব্যক্তিগত প্রচেষ্টায় চালানো এটিই একমাত্র এই রকম সংস্থা। [২] প্রবীর গুপ্তের আরেকটি বাড়িতে, ১৯৯৮ সালে, ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ডের দক্ষিণ কলকাতা কেন্দ্রের কাজ শুরু হয়। আবাসিক কিন্ডারগার্টেন স্কুল, ব্রেইল ছাপাখানা[২] এবং একটি গ্রন্থাগার এখানে অবস্থিত। সকল বিশেষভাবে সমর্থ বাসিন্দারা, হয় অনাথ, অথবা অতি দরিদ্র পরিবার থেকে এসেছে। বিনামূল্যে তাদের শিক্ষার পাশাপাশি, ছাত্র এবং শিক্ষকেরা পর্বতারোহণ এবং ট্রেকিং সহ বিভিন্ন খেলাধূলায় অংশ নিচ্ছেন।[৫] ২০১৮ সালে, বিশেষভাবে সমর্থ বাসিন্দাদের জন্য তিনি উপকূলীয় ট্রেকিং শুরু করেছিলেন।[১] আবাসিকদের শিক্ষা শেষ হওয়ার পর, তিনি এবং তার এনজিও, বিশেষ করে দৃষ্টিশক্তিহীন মেয়েদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করছেন।[৬][৭]
জীবন
[সম্পাদনা]ভারতের পশ্চিমবঙ্গে জন্মগ্রহণ করে, গুপ্ত কলকাতায় তার পড়াশুনা শেষ করেন এবং ভারতীয় রেলে চাকরিতে যোগ দেন। তার বাবা মায়ের মৃত্যুর পর, শহরের পথশিশুদের দেখে তিনি দরিদ্রদের অবস্থা অনুধাবন করেন।
তার সেবার স্বীকৃতি স্বরূপ, ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, ৮ই মার্চ ২০১৮ সালে, গার্গীকে নারী শক্তি (নারীর ক্ষমতা) পুরস্কারে ভূষিত করেন।
মুখ্য কাজসমূহ
[সম্পাদনা]- ১৯৯২ সালে, তিনি 'ভয়েস অফ ওয়ার্ল্ড' এনজিও প্রতিষ্ঠা করেন, যারা পূর্ব ভারতে দৃষ্টিশক্তিহীন ও বিশেষভাবে সমর্থ অনাথ শিশুদের জন্য কাজ করে।[৮]
- ১৯৯৭ সালে, ৩০০ জন আবাসিক এবং ৩০০০ জন অনাবাসিকদের সুবিধাকল্পে, আবাসিক সুবিধাদান শুরু করেন।[৮]
- ২০০১ সালে, বাংলায় লিখিত প্রামাণিক রচনা ব্রেইলে পরিবর্তনের জন্য ট্রান্সলিটারেশন সফটওয়্যারের উদ্ভাবন করেন।[৮]
- উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী দৃষ্টিশক্তিহীন মেয়েদের জন্য রিষরায় একটি বাড়ি প্রতিষ্ঠা করেন।[৮]
- তার এনজিও একটি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজ চালায় যেখানে বিশেষভাবে সমর্থ শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হয়[৮]
পুরস্কার এবং সম্মাননা
[সম্পাদনা]- ৮ই মার্চ ২০১৮: নারী শক্তি পুরস্কার (নারী শক্তি পুরস্কার), ভারতে মহিলাদের জন্য সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার।[৩][৯][১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ Mitra, Dipawali (২৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮)। "Walk by the sea, laughing all the way"। সংগ্রহের তারিখ ১২ নভেম্বর ২০১৮।
- ↑ ক খ গ "ইচ্ছেডানায় হাজার আলো জ্বালাচ্ছেন গার্গী"। ১ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ "Nari Shakti Puraskar"। TOI। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "নারীদিবসে বিরল সম্মান কলকাতার! আলো দেখালেন এই বাঙালি নারী"। ১২ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "পর্বতারোহন করছেন পশ্চিমবঙ্গের দৃষ্টিহীন শিক্ষার্থীরা"। ১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "Made in heaven: Two love stories deeper than what meets the eyes"। ১২ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮।
- ↑ "দৃষ্টিহীন দুই বন্ধুর বিয়ে দেখল কলকাতা"। ১২ মার্চ ২০১৮। ১৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Ministry of Women and Child Development Nari Shakti Awardees 2017" (পিডিএফ)। ২০১৮-০৩-১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১২।
- ↑ "Infographic: Nari Shakti Puraskar - Times of India"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০১৮-০৩-১১।
- ↑ "Maharashtra's Sindhutai Sapkal, Urmila Apte to be honoured with Naari Shakti 2017 awards"। ৭ মার্চ ২০১৮। সংগ্রহের তারিখ ১২ মার্চ ২০১৮।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- জীবিত ব্যক্তি
- ১৯৬১-এ জন্ম
- কলকাতার ব্যক্তি
- ভারতের জাতীয় পুরস্কার
- পশ্চিমবঙ্গের সমাজকর্মী
- ২১শ শতাব্দীর ভারতীয় নারী
- পশ্চিমবঙ্গের নারী শিক্ষাবিদ
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় নারী
- ২০শ শতাব্দীর ভারতীয় ব্যক্তি
- ভারতীয় মানবাধিকার কর্মী
- পশ্চিমবঙ্গের সক্রিয়কর্মী
- ভারতীয় নারী সক্রিয়কর্মী
- ২১শ শতাব্দীর ভারতীয় ব্যক্তি
- পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ