গায়ত্রী জয়রামণ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গায়ত্রী জয়রামণ
অন্যান্য নামগায়ত্রী জয়রাম
পেশাঅভিনেত্রী, মডেল
দাম্পত্য সঙ্গীসামিত সোহনি (বি. ২০০৭)

গায়ত্রী জয়রামণ হলেন একজন ভারতীয় অভিনেত্রী। তিনি মূলত তামিল, কন্নড়, তেলুগু এবং মালয়ালম ভাষার ছবিতে অভিনয় করেছেন। তিনি তামিল টেলিভিশন ধারাবাহিকে কেন্দ্রীয় এবং পার্শ্ব উভয় চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন।

প্রারম্ভিক জীবন[সম্পাদনা]

গায়ত্রী জয়রামণ মুম্বাইয়ের আদর্শ বিদ্যালয় এবং চার্চ পার্ক থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেছেন। তিনি চার বছর বয়সের আগে পর্যন্ত তাঁর পরিবারের সাথে শাহাবাদে (গুলবর্গার কাছাকাছি একটি স্থান) তাঁর শৈশব অতিবাহিত করেছেন। অতঃপর তিনি এক বছর বেঙ্গালুরুতে কাটিয়েছেন। গায়ত্রী প্রথমে চিকিৎসা ক্ষেত্রে তার কর্মজীবন গড়ার ইচ্ছা পোষণ করেছিলেন। বোর্ড পরীক্ষায় ৯৪% অর্জন করেও তিনি ডাক্তারি কলেজে আসন পাননি এবং তাই আইজিএনওইউ-এ জীবন বিজ্ঞান বিভাগে বিএসসি পড়া শুরু করেছিলেন।[১] গায়ত্রী মডেলিং এবং শিক্ষার মধ্যে তাঁর সময়কে ভারসাম্যপূর্ণভাবে বিভাজন করেছিলেন এবং অতঃপর তিনি চেন্নাইয়ের এসআরএম কলেজে ফিজিওথেরাপিও নিয়ে পড়াশোনা করতে শুরু করেছিলেন। একসাথে পড়াশোনা ও মডেলিং বিষয়ে তাঁর সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন যে "পর্দার একজন অভিনেত্রী সাধারণত সর্বাধিক চার বছর অতিবাহিত করেন" এবং অভিনেত্রী হিসাবে জীবন শেষ হওয়ার পরে তিনি সর্বদা ফিজিওথেরাপিতে ফিরে আসতে চান।[২]

তিনি নাইলি সিল্কসের জন্য প্রথম মডেলিং শুরু করেছিলেন, তারপরে কুমারান সিল্কস, পোথিস এবং চেন্নাই সিল্কস-এর মতো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার পরে ১৯৯৭ সালের অক্টোবরে মিস তামিলনাড়ু খেতাব এবং ১৯৯৯ সালে মিস দক্ষিণ ভারতের খেতাব অর্জন করেছিলেন।[৩] তিনি ৮,০০০ প্রতিযোগীর মধ্যে শীর্ষ ২৬ চূড়ান্ত প্রতিযোগীর মধ্যে নির্বাচিত হয়ে শেষ পর্যন্ত চতুর্থ স্থান অর্জন করে ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া ২০০০-এর চূড়ান্ত পর্যায়ে প্রবেশ করেছিলেন। তিনি টেলিভিশনে একজন ভিডিও জকি হিসেবেও কাজ করেছিলেন; সান টিভিতে প্রচারিত ফান্টা "ইলাময় পুধুমাই" এবং বিজয় টিভিতে প্রচারিত "টেলিফোন মণিপল"-এ তিনি উপস্থিত হয়েছিলেন।[২]

কর্মজীবন[সম্পাদনা]

গায়ত্রী পরিচালনার পাশাপাশি একজন অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেছিলেন। কৈলাস বলচন্দের টেলিভিশন ধারাবাহিক আঝুক্কু বেশ্তি-তে কাজ করেছিলেন। পরবর্তীতে নাগাভারনার নীলা (যেটি ক্যান্সারে আক্রান্ত একজন উপজাতি গায়কের ওপর নির্মিত একটি কন্নড় ভাষার চলচ্চিত্র ছিল) নামক চলচ্চিত্রে কাজ করার পূর্বে তিনি অর্জুন সারজার মতো একজন বিশিষ্ট পরিচালকের সাথে কাজ করার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছিলেন।[৪] ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হওয়ার জন্য এটি ৩২টি ভারতীয় চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছিল। গায়ত্রী তাঁর অভিনয়ের জন্য সিনেমা এক্সপ্রেস পুরস্কার লাভ করেছিলেন, একজন সমালোচক এটিকে "পরিপক্ব অভিনয় হিসাবে অভিজ্ঞ অভিনেত্রী হওয়ার ছাপ দেয় বলে" বর্ণনা করেছিলেন।[৫] প্রভু দেবের বিপরীতে মানধাই তিরুদিভিটায় অভিনয় করার বিষয়ে প্রযোজক কেআরজি-র সাথে যোগাযোগ করার পরে তিনি তাঁর তামিল চলচ্চিত্রের সূচনা করেছিলেন। এই চলচ্চিত্রটি মুক্তি পাওয়ার পরে গায়ত্রী মন্তব্য করেছিলেন যে এই চলচ্চিত্রে তাঁর চরিত্রটি পাল্টে দেওয়া হয়েছিল, কৌশল্যা দ্বারা অভিনীত ইন্ধু (যেটি কেন্দ্রীয় চরিত্র ছিল) চরিত্রটি চিত্রায়নের জন্য তিনি স্বাক্ষর করেছিলেন।[২] এই চলচ্চিত্রটি বাণিজ্যিকভাবে এক ব্যর্থ চলচ্চিত্রে পরিণত হয়েছিল, যদিও "মনজাকাত্টু ময়না" গানে তাঁর উপস্থিতি সকলের নজর কেড়েছিল।

ব্যক্তিগত জীবন[সম্পাদনা]

২০০৭ সালের মে মাসে তিনি আন্দামান দ্বীপপুঞ্জের একটি ছোট এবং বেসরকারীভাবে আয়োজিত বিবাহ অনুষ্ঠানে একজন ভারতীয় উদ্যোক্তা এবং লেখক সামিত সাভনিকর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন।[৬]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]