গাব্রিয়েলা অ্যান্ডারসেন-শিস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাব্রিয়েলা অ্যান্ডারসেন-শিস
ব্যক্তিগত তথ্য
জন্ম (1945-05-20) ২০ মে ১৯৪৫ (বয়স ৭৮)
ক্রীড়া
দেশ  সুইজারল্যান্ড

গাব্রিয়েলা অ্যান্ডারসেন-শিস (জার্মান: Gabriela Andersen-Schiess) (জন্ম ২০ মে ১৯৪৫, জুরিখ) একজন প্রাক্তন সুইস দূরপাল্লার দৌড়বিদ যিনি ১৯৮৪ সালে মহিলাদের প্রথম অলিম্পিক ম্যারাথনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। যদিও তিনি ওই সময়ে আইডাহোতে একজন স্কি প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করছিলেন, তবু অলিম্পিকে উনি সুইজারল্যান্ডের পক্ষে অংশগ্রহণ করেন।

১৯৮৪ অলিম্পিক[সম্পাদনা]

১৯৮৪ অলিম্পিকে মেয়েদের ম্যারাথন শুরু হবার ১৪ মিনিটের মাথায় যোন বেনয়েট অন্যদের পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে থাকেন। উনি ২ ঘণ্টা ২৪ মিনিট ৫২ সেকেন্ড সময় নিয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেন। এর কুড়ি মিনিট পরে ৩৯ বছর বয়সী অ্যান্ডারসেন-শিস স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন। সেইদিনের তাপমাত্রা (৩০ ডিঃ সেঃ) পূর্ণ দৈর্ঘ ম্যারাথনের জন্য সহায়ক ছিল না। ওই সময়ে নিয়ম ছিল প্রতিযোগীরা পুরো দৌড়ে খালি ৫ টি জায়গাতেই জল পাবেন। এছারা আর কোথাও জল খাবার অনুমতি ছিল না। গাব্রিয়েলা অ্যান্ডারসেন-শিস পঞ্চম জলের জায়গাটি খেয়াল না করার দরুন নিরুদিত হয়ে পড়েন। উনি যখন স্টেডিয়ামে প্রবেশ করেন ওনার অবস্থা দেখে উপস্থিত সবাই অবাক হয়ে যান। ওনার শরীর বেঁকে গেছিল, বাঁ হাত নিস্তেজ হয়ে পড়েছিল, ডান পা প্রায় চলছিল না। চিকিৎসা কর্মীরা ওনার কাছে দৌড়ে এলে উনি হাত নেড়ে অদের চলে যেতে বলেন, কারণ উনি যানতেন ওরা ওনাকে ধরামাত্র উনি দৌড় থেকে বাতিল হয়ে যাবেন। ওনার অবস্থা খুবই খারাপ হলেও উপস্থিত চিকিৎসকেরা লক্ষ করেন উনি তখনও ঘামছেন, যার মানে ওনার শরীরে নিষ্পত্তিযোগ্য তরল বেঁচে আছে। এই কারণে ওনাকে দৌড় শেষ করতে দেওয়া হয়। সারা স্টেডিয়াম ওনাকে সরব সমর্থন করতে থাকেন ও শেষ ৪০০ মিটার উনি ৫ মিনিট ৪০ সেকেন্ডে অতিক্রম করেন। ৪৪ জনের মধ্যে ২ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪২ সেকেন্ড সময় করে উনি ৩৭ তম স্থান পান। চিকিৎসকেরা অবিলম্বে ওনার শুশ্রূষা শুরু করেন ও ২ ঘণ্টা পর ওনাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]