গাড়োয়া জেলা

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাড়োয়া জেলা
ঝাড়খণ্ডের জেলা
ঝাড়খণ্ডে গাড়োয়ার অবস্থান
ঝাড়খণ্ডে গাড়োয়ার অবস্থান
দেশভারত
রাজ্যঝাড়খণ্ড
প্রশাসনিক বিভাগপালামৌ বিভাগ
সদরদপ্তরগাড়োয়া
তহশিল২০
সরকার
 • বিধানসভা আসন
আয়তন
 • মোট৪,০৯৩ বর্গকিমি (১,৫৮০ বর্গমাইল)
জনসংখ্যা (২০১১)
 • মোট১৩,২২,৭৮৪
 • জনঘনত্ব৩২০/বর্গকিমি (৮৪০/বর্গমাইল)
জনতাত্ত্বিক
 • সাক্ষরতা৬০.৩৩ শতাংশ
 • লিঙ্গানুপাত৯৩৫
ওয়েবসাইটদাপ্তরিক ওয়েবসাইট

গাড়োয়া জেলা পূর্ব ভারতের ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ২৪ টি জেলার মধ্যে একটি৷ এটি রাজ্যের উত্তর-পশ্চিমে (বায়ুকোণে) অবস্থিত পালামৌ বিভাগের অন্তর্গত একটি জেলা। ১৭ই চৈত্র ১৩৯৭ বঙ্গাব্দে (১লা এপ্রিল ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে) পালামৌ জেলা থেকে পশ্চিমের নতুন জেলাটি গঠন করা হয়। এই জেলার জেলাসদর গাড়োয়া শহরে অবস্থিত। জেলাটি গাড়োয়া মহকুমা, রঙ্কা মহকুমানগর উন্টারী মহকুমা নিয়ে গঠিত।

ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৯১ সালের ১ লা এপ্রিল, এই জেলাটি প্রাক্তন গাড়োয়া উপবিভাগকে পৃথক করে প্রাক্তন পালামৌ জেলা থেকে তৈরি করা হয়েছিল। ২০১১ সালের হিসাবে গাড়োয়া জেলা বর্তমানে রেড করিডরের একটি অংশ।

জেলাটির জেলাসদরের নিকটবর্তী পাহাড়ে পুরাতন গড়দেবীর মন্দির অবস্থিত[১]৷ অনুমান করা হয় গড়দেবীর নাম অনুসারে জায়গাটির নামকরণ করা হয় গাড়োয়া, যা স্থানীয় লিপিতে 'গঢ়বা' লেখা হয়ে থাকে৷

ভূগোল[সম্পাদনা]

গাড়োয়া জেলা ২৩° ৬০' থেকে ২৪° ৩৯' উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৩° ২২' এবং ৮৪° ০০' পূর্ব দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। এর উত্তরে সোন নদী, পূর্বে ঝাড়খণ্ড রাজ্যের পালামৌ জেলা, দক্ষিণে ছত্তিশগড় রাজ্যের বলরামপুর জেলা এবং পশ্চিমে উত্তর প্রদেশেসোনভদ্র জেলা অবস্থিত।[২]

অর্থনীতি[সম্পাদনা]

২০০৬ সালে ভারত সরকার গাড়োয়া জেলাকে মোট ৬৪০টির মধ্যে দেশের ২৫০টি সর্বাধিক অনগ্রসর জেলার মধ্যে একটি হিসেবে মনোনীত করে। এটি ঝাড়খণ্ড রাজ্যের ২১টি জেলার মধ্যে একটি যা বর্তমানে অনগ্রসর অঞ্চল অনুদান তহবিল কর্মসূচি (বিআরজিএফ) থেকে তহবিল গ্রহণ করছে।[৩]

জনমিতি[সম্পাদনা]

২০১১ সালের জনশুমারি অনুযায়ী, গাড়োয়া জেলার জনসংখ্যা ১৩,২২,৭৮৪ জন, যা মোটামুটিভাবে মরিশাস[৪] জাতি বা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ হ্যাম্পশায়ার[৫] রাজ্যের সমান। জনসংখ্যার দিক দিয়ে এটি ভারতে ৬৪০ টির জেলার মধ্যে ৩৬৮ তম। জেলায় জনসংখ্যা ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ৩২৭ জন (৮৫০/বর্গ মাইল)। ২০০১-২০১১ দশকে এর জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল ২৭.৭১%। জেলাটিতে লিঙ্গ অনুপাত হল প্রতি ১০০০ পুরুষের বিপরীতে ৯৩৩ জন নারী, এবং সাক্ষরতার হার ৬২.১৮%। জনসংখ্যার ২৪.২% তফসিলি জাতি থেকে এবং ১৫.৬% তফসিলি উপজাতির অন্তর্ভুক্ত।[৬]

২০১১ অনুযায়ী গাড়োয়া জেলার ভাষাসমূহ[৭]

  হিন্দী (৮৮.০৬%)
  নাগপুরি-সাদরি (৫.৩৯%)
  উর্দু (৫.২৯%)
  কুরুখ/ওরাওঁ (০.৮৭%)
  অন্যান্য (০.৩৯%)

ভারতের ২০১১ সালের জনশুমারির সময় জেলার জনসংখ্যার ৫৪.৫২% হিন্দি, ২৬.২৪% মাগধী, ৭.২৯% ভোজপুরি, ৫.৩৯% সাদরি এবং ৫.২৯% উর্দু ভাষায় কথা বলত। এছাড়াও ১১,০০০ ব্যক্তি কুরুখ ভাষায় কথা বলে।[৮]

রাজনীতি[সম্পাদনা]

গাড়োয়ার দুটি বিধানসভা কেন্দ্র রয়েছে, একটি হল গাড়োয়া এবং অন্যটি ভবনাথপুর। দুটিই পালামৌ লোকসভা কেন্দ্রের অংশ, যার সাংসদ বিজেপির বিষ্ণুদয়াল রাম। গাড়োয়ার বর্তমান বিধায়ক জেএমএমের মিথিলেশ কুমার ঠাকুর, অন্যদিকে ভবনাথপুরের বিধায়ক বিজেপির ভানুপ্রতাপ শাহি।

পরিবহন[সম্পাদনা]

গাড়োয়া সড়ক ও রেলপথের সাথে সুসংযুক্ত। রাঁচি এবং ঝাড়খণ্ড, বিহারছত্তিশগড়ের প্রধান জেলাগুলি থেকে দৈনিক বাস পরিষেবা পাওয়া যায়। এই জেলায় সড়ক যোগাযোগ রাজ্যের অন্যান্য জেলার মতো ভাল নয়। গাড়োয়া জেলা মধ্যপ্রদেশের রেওয়া এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচির সাথে ৩৯ নম্বর জাতীয় সড়ক দ্বারা সংযুক্ত। এখানে ২১০ কিলোমিটার রাজ্য মহাসড়ক, ৫৫ কিলোমিটার জাতীয় সড়ক (জাতীয় সড়ক-৩৯) এবং ৯৬.৯৫ কিলোমিটার জেলা সড়ক রয়েছে। সংযোগ সড়ক এবং করিডোর গুলি সম্পূর্ণভাবে ১৯০ কিলোমিটার।[৯]

নিকটতম বিমানবন্দরটি বারাণসীতে (১৪০ কিলোমিটার) অবস্থিত। গাড়োয়া রেলওয়ে স্টেশন পূর্ব রেল অঞ্চলের একটি প্রধান রেলহেড বা রেলপ্রান্ত(রেললাইনের শেষপ্রান্ত)। ৩৯ নম্বর জাতীয় সড়ক গাড়োয়া দিয়ে যায়।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "সংরক্ষণাগারভুক্ত অনুলিপি"। ১৯ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৯ 
  2. "Garhwa Tehsil Map"www.mapsofindia.com.। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৯-০৪ 
  3. Ministry of Panchayati Raj (সেপ্টেম্বর ৮, ২০০৯)। "A Note on the Backward Regions Grant Fund Programme" (পিডিএফ)। National Institute of Rural Development। এপ্রিল ৫, ২০১২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ সেপ্টেম্বর ২৭, ২০১১ 
  4. US Directorate of Intelligence। "Country Comparison:Population"। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-১০-০১Mauritius 1,303,717 July 2011 est. 
  5. "2010 Resident Population Data"। U. S. Census Bureau। ২০১১-০১-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০New Hampshire 1,316,470 
  6. "District Census 2011"। Census2011.co.in। ২০১১। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৯-৩০ 
  7. http://www.censusindia.gov.in/2011census/C-16.html
  8. "Census of India Website : Office of the Registrar General & Census Commissioner, India"www.censusindia.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৬-১৭ 
  9. "Archived copy"। ২০১২-০৪-২৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-২২ 

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]