বিষয়বস্তুতে চলুন

গাজী আজমল

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
গাজী এস. এম. আজমল
জন্ম( ১৯৪৮-১২-২৪)২৪ ডিসেম্বর ১৯৪৮
ঘাটাইল, ময়মনসিংহ
পেশাশিক্ষকতা, লেখক
জাতীয়তাবাংলাদেশী
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

গাজী আজমল (জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর ১৯৪৮) একজন বাংলাদেশী শিক্ষাবিদজীববিজ্ঞান বই লেখক।[] তিনি জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃক নির্বাচিত লেখক। তিনি ১৯৯৮ সালে জীববিজ্ঞান প্রথম পত্র এবং ব্যবহারিক জীববিজ্ঞান বইয়ের লেখক মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের জীববিজ্ঞান বিষয়ের পাঠ্যসূচী প্রণয়ন কমিটির সদস্য ছিলেন।[][]

ব্যক্তিগত জীবন

[সম্পাদনা]

গাজী আজমল ১৯৪৮ সালের ২৪ই ডিসেম্বর ময়মনসিংহ জেলার ঘাটাইলে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা গাজী আব্দুর রশীদ একজন সরকারী কর্মকর্তা ছিলেন এবং তাঁর চাকরিটা ছিলো বদলীর। ১৯৬০ সালে বাবা ঢাকায় তাঁকে তাঁর কাকার কাছে পাঠিয়ে দেন। কাকাও একজন সরকারি কর্মকর্তা ছিলেন এবং মতিঝিল কলোনীতে থাকতেন। কাকা তাঁকে মতিঝিল সেন্ট্রাল গভ: হাই স্কুলে ভর্তি করিয়ে দেন।

শিক্ষা জীবন

[সম্পাদনা]

মতিঝিল সেন্ট্রাল গভ: হাই স্কুল থেকে ১৯৬৫ সালে এস.এস.সি. পাশ করেন। এরপর জগন্নাথ কলেজে ভর্তি হন। সে সময় এ কলেজে পড়াতেন সব পন্ডিত ব্যক্তিবর্গ, যেমন- অজিত কুমার গুহ স্যার, শৈলেন ভদ্র স্যার, ইউনুস স্যার, কামিনি মোহন সাহা স্যার, কাসেম স্যার, মতিন স্যার, খোদাদদ খান স্যার এবং আরও অনেকে। খ্যাতিমান শিক্ষকবৃন্দের সান্নিধ্যে এসে তাঁর মনে পেশা হিসেবে শিক্ষকতাকেই বেছে নেয়ার প্রবল ইচ্ছা জাগে। জগন্নাথ কলেজ থেকে এইচ.এস.সি. পাশ করে ময়মনসিংহে তাঁর বাবা-মায়ের কাছে চলে যান এবং আনন্দমোহন কলেজে বি.এসসি. শ্রেণিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ হয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৭৩ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন।[]

কর্মজীবন

[সম্পাদনা]

অনেকগুলো চাকরির (পুলিশ, বিআরডিবি, ব্যাংক, মৎস্য বিভাগ) সুযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি ১৯৭৩ সালের শেষ দিকে নেত্রকোণা সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন। এক বছর পর সেখান থেকে চলে আসেন ঢাকার আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজে। শিক্ষকতা ছাড়াও তাঁকে বি.এন.সি.সি-র দায়িত্ব দেয়া হয়। ট্রেনিং নেয়ার পর কমান্ডিং অফিসার পদে নিয়োগ প্রাপ্ত হন। ১৯৭৫ সালের প্রথম দিকে নটর ডেম কলেজে জীববিজ্ঞানের খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। ১৯৮১ সালে ভিকারুননিসা নূন স্কুলে কলেজ শাখা খুললে অধ্যক্ষ হামিদা আলির অনুরোধে সেখানেও খন্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং প্রায় ৩৬ বছর এ কলেজের সাথে যুক্ত থাকেন। অর্থাৎ তিনি একই সাথে তিন কলেজে শিক্ষকতা চালিয়ে যান। ১৯৮৭ সালে আদমজী কলেজ ছেড়ে নটর ডেমে পূর্ণকালীন শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এখানে আসার সাথে সাথে কলেজের বাৎসরিক ম্যাগাজিন ব্লু এ্যান্ড গোল্ড-এর মডারেটর নিযুক্ত হন এবং অবসর গ্রহণের পূর্ব পর্যন্ত এর সাথে যুক্ত থাকেন। ১৯৯৭ সালে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলেও কলেজ শাখার উদ্বোধন করা হয়। অধ্যক্ষ ফয়জুর রহমানের অনুরোধে সেখানে কয়েক বছর শিক্ষকতা করেন। এভাবে তিনি বাংলাদেশের ৪টি স্বনামধন্য কলেজে শিক্ষকতা করার সুযোগ পান।[]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. জীববিজ্ঞান-দ্বিতীয় পত্র, একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণী। ঢাকা: গাজী পাবলিশার্স। ১৯৮০। পৃষ্ঠা iv। 
  2. "Gazi S. M. Azmol Books - গাজী এস. এম. আজমল এর বই | Rokomari.com"www.rokomari.com (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০১-৩১ 
  3. Diary, Engineer's (২০১৯-০৮-২০)। "জীববিজ্ঞান বই এর গাজী আজমল স্যার"Engineer's Diary (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২৪-০২-০৩