কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
 কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজ
ধরনসরকারি
স্থাপিত১৯৬৭; ৫৭ বছর আগে (1967)
অধ্যক্ষআজমল গণি
শিক্ষার্থী১৫৫০
অবস্থান
পিটিআই রোগ, কুষ্টিয়া
,
২৩°৫৩′৪১″ উত্তর ৮৯°০৭′২৪″ পূর্ব / ২৩.৮৯৪৬৩০৫° উত্তর ৮৯.১২৩২২৭১° পূর্ব / 23.8946305; 89.1232271
ওয়েবসাইটwww.kgcckushtia.edu.bd
120px
মানচিত্র

কুষ্টিয়া সরকারি সেন্ট্রাল কলেজ বাংলাদেশের একটি উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেটি কুষ্টিয়া জেলা সদরে অবস্থিত।[১] ব্যবসায় শিক্ষার ক্ষেত্রে বৃহত্তর কুষ্টিয়া অঞ্চলে সরকারি পর্যায়ে পরিচালিত একমাত্র এই প্রতিষ্ঠানটি ১৯৬৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৯৮৪ সাল থেকে গভ. কমার্শিয়াল ইনিস্ট্রিউট, কুষ্টিয়া নামে পরিচিতি লাভ করে। ২০১৮ সাল থেকে বর্তমান নামে পরিচিতি লাভ করে সেই বছর থেকেই ব্যাবসায় শিক্ষার পাশাপাশি বিজ্ঞান ও মানবিক বিভাগ চালু হয়। শিক্ষার মান বিবেচনায় কুষ্টিয়া তথা যশোর শিক্ষা বোর্ডের অন্যতম প্রতিষ্ঠান।

প্রতিষ্ঠার ইতিহাস[সম্পাদনা]

১৯৫৯ সালের জাতীয় শিক্ষা কমিশনের[২] নির্দেশনা অনুসারে তৎকালীন সরকার পূর্ব পাকিস্তানের ১৬টি[৩] জেলা সদরে 'গভ. কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট' স্থাপন করা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে[৪] এবং ফলশ্রুতিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্য সংস্থা 'এউএসএইড'-এর আর্থিক ও কারিগরী সহায়তায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, ফরিদপুর, চট্টগ্রাম, ফেনী, কুমিল্লা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর, বগুড়া, পাবনা, বরিশাল এবং সিলেট জেলা শহরে ১৯৬৫ হতে ১৯৬৭ সালের মধ্যে এই কমার্র্শিয়াল ইনস্টিটিউটসমূহ স্থাপিত হয়।[২] এই প্রতিষ্ঠানটিসহ অপরাপর ১৫টি গভঃ কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউটের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ এবং করণীয় ঠিক করার উদ্দেশ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর এবং শিক্ষা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন নীতিনির্ধারক ও প্রতিষ্ঠানের সম্মিলনে একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিশন গঠন করে তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে ২০১৬ সালের ১২ মে এক প্রজ্ঞাপন জারীর মাধ্যমে দেশ থেকে “ডিপ্লোমা-ইন-বিজনেস স্টাডিজ” শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণরূপে বিলুপ্ত ঘোষণা করে ও এই প্রতিষ্ঠানটিকে সাধারণ শিক্ষা কার্যক্রমভূক্ত করে[৫] এর নামকরণ “কুষ্টিয়া সরকারি সিটি কলেজ” করে এবং জেলাস্থ অন্যান্য সমমানের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ন্যায় এটিকেও যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ন্যস্ত করে।

শিক্ষা কার্যক্রম[সম্পাদনা]

এই প্রতিষ্ঠানটিতে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এর আধিনে দুই বছর মেয়াদী 'ডিপ্লোমা-ইন-বিজনেস ষ্টাডিজ' (ডিআইবিএস) নামে একটি কর্মমূখী শিক্ষা কোর্স পরিচালনা করা হয়।[৪][২] পরবর্তীতে ২০১৬ সাল থেকে এটি যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সাধারণ কলেজ হিসাবে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা শুরু করে এবং ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষ থেকে বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমতি লাভ করে।

আসন সংখ্যা[সম্পাদনা]

একাদশ শ্রেনীর আসন সংখ্যা যথাক্রমে বিজ্ঞান বিভাগে ২৭৫ টি,মানবিক বিভাগে ২৫০ টি,ব্যাবসায় শিক্ষাতে ২৫০ টি। বিগত কয়েক বছর বিজ্ঞান

বিভাগে ভর্তির যোগ্যতা ছিল নূন্যতম জিপিএ ৫।

মানবিক বিভাগ ও ব্যাবসায় শিক্ষাতে যথাক্রমে জিপিএ ৪ এবং জিপিএ ৩।

ফলাফল[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "বিলুপ্তির পথে গভ. কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৫ 
  2. যুগোপযোগী হচ্ছে সরকারি কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  3. "১৬ কমার্শিয়াল কলেজের ২০ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তির আবেদনের সুযোগ থেকে বঞ্চিত"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৫ 
  4. "বিলুপ্তির পথে গভ. কমার্শিয়াল ইনস্টিটিউট"। ৪ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ জুন ২০১৫ 

বহি:সংযোগ[সম্পাদনা]