গণ্ডেরবাল জেলা
গণ্ডেরবাল | |
---|---|
জেলা | |
স্থানাঙ্ক: ৩৪°১৪′ উত্তর ৭৪°৪৭′ পূর্ব / ৩৪.২৩° উত্তর ৭৪.৭৮° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল | জম্মু ও কাশ্মীর |
সদর দপ্তর | গণ্ডেরবাল |
আয়তন | |
• মোট | ১,৯৭৯ বর্গকিমি (৭৬৪ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ২,৯৭,৪৪৬ |
• জনঘনত্ব | ১৫০/বর্গকিমি (৩৯০/বর্গমাইল) |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+০৫:৩০) |
পিনকোড | ১৯১২০১ |
এলাকা কোড | ১৯৪ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | ০১৯৪ |
ওয়েবসাইট | http://ganderbal.nic.in/ |
গণ্ডেরবাল (উর্দু: گاندربل ضلع) জম্মু ও কাশ্মীরের একটি নবগঠিত জেলা। এটিতে ৬টি তহশিল রয়েছে, সেগুলি হল - গন্ডেরবাল তহসিল, তুল্লামুল্লা, ওয়াকুরা, লার, কঙ্গন এবং গুন্ড।
ঐতিহাসিক স্থান এবং অবশেষ
[সম্পাদনা]নরনাগ মন্দির ছাড়া আর কোন উল্লেখযোগ্য প্রাচীন ভবন বা প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান এখানে আর পাওয়া যায় না - যেহেতু সুলতান সিকান্দার বুটশিকানের শাসনকালে এই অঞ্চলের বেশিরভাগ প্রাচীন স্থাপত্যগুলি ধ্বংস করা হয়েছিল।
ক্ষীর ভবানী
[সম্পাদনা]ক্ষীর ভবানী হল তুল্লামুল্লা গ্রামে একটি পবিত্র ঝরনার উপরে নির্মিত দেবী ভবানীর উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করা একটি মন্দির। ক্ষীর শব্দটি হল ভাত ও দুধ নির্মিত মিষ্টান্ন, যা দেবীকে প্রসন্ন করার জন্য ঝরনাকে দেওয়া হয়, এবং হিন্দু দেবদেবীদের রীতি অনুসারে সেটি মন্দিরের নামে অন্তর্ভুক্ত হয়ে গেছে।
নরনাগ মন্দির
[সম্পাদনা]নরনাগ মন্দির[১] দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান। হারমুখ পর্বতের কোলে নরনাগ মন্দির অবস্থিত, শ্রীনগর শহর থেকে প্রায় ৫০ কিলোমিটার (৩১ মা) দূরে। এই স্থানে একে অপরের মুখোমুখি অনেকগুলি মন্দির আছে, প্রায় ১০০ মিটার (৩৩০ ফু) দূরত্বে। ঐতিহাসিকরা বলেছেন যে, অষ্টম শতাব্দীতে শাসক ললিতদাতিয়া মুক্তাদিয়া মন্দিরটি ভগবান শিবকে উৎসর্গ করেন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে, রাজা অবন্তীবর্মন এই মন্দির দর্শন করেছিলেন এবং ভূতশেরে স্নানের জন্য একটি স্তম্ভমূল দান করেছিলেন। আজও এই মন্দিরটির নির্মাতাদের শিল্প এবং দক্ষতা দেখে অবাক হয়ে যেতে হয়। এর চিত্তাকর্ষক স্থাপত্যটি অষ্টম শতাব্দীর গৌরবময় অতীত এবং বিশাল শিল্পকে প্রকাশ করে। সরকার সম্প্রতি এটিকে দখলদারি থেকে রক্ষা করার জন্য প্রাচীর তৈরি করেছে এছাড়া আর অন্য কিছুই এর জন্য করা হয়নি। এটি এখন ধ্বংসস্তূপে পড়ে আছে যার মধ্যে কেবল ক্ষীণ কিছু চিহ্নই টিঁকে আছে।
ভূগোল
[সম্পাদনা]গন্ডেরবাল জেলাটির সদর দপ্তর গণ্ডেরবাল শহরের স্থানাংক ৩৩°৪৪′ উত্তর ৭৫°০৯′ পূর্ব / ৩৩.৭৩° উত্তর ৭৫.১৫° পূর্ব।[২] এর গড় উচ্চতা সমুদ্রতল থেকে ১,৯৫০ মিটার (৬,৪০০ ফু) উপরে, এবং এটি শ্রীনগর শহর থেকে প্রায় ২১ কিলোমিটার (১৩ মা) দূরে।
গন্ডেরবাল জেলাটি সিন্ধু নদ জুড়ে বিস্তৃত। নদীটি জেলার বেঁচে থাকার একমাত্র সাধন হিসাবে বিবেচিত হয়। এটি জম্মু ও কাশ্মীরের একমাত্র নদী, যেখানে তিনটি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র চালু রয়েছে; এ ছাড়া নদীটি সেচের জন্য জল সরবরাহ করে, জেলার জনসংখ্যার ৮০%[৩] কৃষিকাজের সাথে জড়িত। এই নদীর বালি (বাজরি)র উন্নত গুণমানের জন্য এই অঞ্চলের একটি অর্থকরী পণ্য হিসেবে বিবেচিত।
জলবায়ু
[সম্পাদনা]গণ্ডেরবাল জেলার জলবায়ু পুরো কাশ্মীর উপত্যকার আবহাওয়ার সমস্ত বৈশিষ্ট্যযুক্ত। জুলাইয়ের উত্তাপে, সিন্ধু নদের বাতাস আরামদায়ক। স্যার ওয়াল্টার লরেন্স তাঁর দ্য ভ্যালি অব কাশ্মীর বইটিতে লিখেছেন যে, অক্ষাংশের দিক দিয়ে কাশ্মীরের সঙ্গে এশিয়ার পেশোয়ার, বাগদাদ এবং দামাস্কাসের সঙ্গে: মরোক্কোতে ফেজ এর সঙ্গে: এবং আমেরিকা সাউথ ক্যারোলিনার সঙ্গে মিল রয়েছে, তবে এটি সেসব দেশের কোনও বৈশিষ্ট্যই উপস্থাপন করে না। জনগণ মে মাসের শেষ অবধি কাশ্মীরের জলবায়ুকে সুইজারল্যান্ডের মত, এবং জুলাই ও আগস্টে দক্ষিণ ফ্রান্সের মত মনে করে। তবে কাশ্মীরকে যে কোনও একটি জলবায়ু বা বৈশিষ্ট্যযুক্ত দলের বলে মনে করা অসম্ভব। প্রতি শত ফুট উচ্চতায় জলবায়ু এবং উদ্ভিদের কিছুটা নতুন পর্যায় দেখা যায়।
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Naranag temple in ruins"। kashmirmonitor.org। ৪ আগস্ট ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ "Falling Rain Genomics, Inc - Ganderbal"। fallingrain.com। অজানা প্যারামিটার
|1=
উপেক্ষা করা হয়েছে (সাহায্য)[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ] - ↑ "Agriculture directory of Ganderbal"। diragrikmr.nic। ২০১৩-০১-২১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১২-০৪-২৫।