গজনী (২০০৮-এর চলচ্চিত্র)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
(গজনী (২০০৮-এর ছায়াছবি) থেকে পুনর্নির্দেশিত)
গজনী
প্রেক্ষাগৃহে মুক্তিপ্রাপ্ত পোস্টার
পরিচালকএ. আর. মুরুগাডোস
প্রযোজকঠাকুর মধু
মধু মন্তীনা
রচয়িতাএ. আর. মুরুগাডোস
শ্রেষ্ঠাংশেআমির খান
অসিন
জিয়া খান
প্রদীপ রাওয়াত
রিয়াজ খান
সুরকারএ. আর. রহমান
চিত্রগ্রাহকরবি কে. চন্দ্রন
সম্পাদকএন্থনি গঞ্জালভেজ
পরিবেশকগীতা আর্টস (ভারত)
রিয়ালিয়েন্স এন্টারটেইনমেন্ট
শো মেন পিকচারস
মুক্তি
  • ২৫ ডিসেম্বর ২০০৮ (2008-12-25)
স্থিতিকাল১৯৩ মিনিট[১]
দেশভারত
ভাষাহিন্দি
নির্মাণব্যয় ৪৫ কোটি (US$ ৫.৫ মিলিয়ন)[২]
আয় ১৯০ কোটি (US$ ২৩.২২ মিলিয়ন)[৩]

গজনী হিন্দি: घजनी, গীথা আর্টস প্রযোজিত এ আর মুরুগাদস পরিচালিত, ২০০৮ -এর একটি বলিউড ছবি। এটি মুরুগাদসেরই পরিচালিত একই নামের একটি তামিল ছবির পুনর্নির্মাণ। গজনী, খ্রিস্টফার নোলান রচিত ও পরিচালিত হলিউড ছবি, 'মেমেন্টো'-এর কাহিনী-ভিত্তিক চলচ্চিত্র। এতে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করেন আমীর খানআসীন থত্তুম্কল এবং বিভিন্ন পার্শ চরিত্রে আছেন জিয়া খান, প্রদীপ রাওয়াত, রিয়াজ খান প্রমুখেরা।এই চরিত্রের প্রয়োজনে আমীর খান তার ব্যক্তিগত প্রশিক্ষকের সঙ্গে টানা এক বছর শরীর গঠনের প্রশিক্ষণ নেন।

ছবিটি, প্রেমিকা মডেল কল্পনার বিভৎস ভাবে খুন হওয়ায় ফলে সাময়িক স্মৃতিলোপের অসুখে আক্রান্ত এক ধনী ব্যবসায়ীর জীবনের মারদাঙ্গা রহস্য-রোমাঞ্চ ও গভীর প্রেমের উপাদানের সংমিশ্রণ।সে পোলারয়েড এর কিছু ছবি ও নিজের সারা শরীরে অঙ্কিত কিছু স্থায়ী উল্কির সাহায্যে এই খুনের প্রতিশোধ নিতে চেষ্টা করে. এই ছবিটিকেই ভিত্তি করে প্রস্তুত, গজনী দ্য গেম, নামে একটি থ্রী-ডি ভিডিও গেমেও আমীর খান অভিনীত চরিত্রটি বর্তমান.[৪]

সংক্ষিপ্তসার[সম্পাদনা]

সুনিতা, একটি মেডিকেল ছাত্রী ও তার কয়েকজন সহপাঠি, মনুষ্য মস্তিষ্কের ওপর একটি প্রকল্প নিয়ে কর্মরত, এই দৃশ্য দিয়ে ছবিটি শুরু হয়. সে, শহরের পূর্বতন একজন প্রথিতযশা ব্যবসায়ী, বর্তমানে 'সাময়িক স্মৃতিলোপের অসুখে আক্রান্ত, সঞ্জয় সিংহানিয়ার রহস্য-জনক ঘটনাটি নিয়ে কাজ করতে চায়. বর্তমানে ঘটনাটি ফৌজদারী তদন্তাধীন বলে তার শিক্ষক, সঞ্জয় সম্পর্কিত নথিপত্র তাকে দিতে অস্বীকার করে. তা স্বত্তেও সুনিতা নিজেই বিষয়টির ওপর অনুসন্ধান চালাবে বলে স্থির করে.

সঞ্জয়ের, ছবিতে নৃশংসভাবে দ্বিতীয় খুন টি করার সময়, আবির্ভাব ঘটে. সে লোকটির পোলারয়েড ছবি তোলে এবং 'হয়েছে' এই বলে ছাপ দেয়. ছবি থেকে জানা যায় যে সঞ্জয় এক অদ্ভুত ধরনের 'সাময়িক স্মৃতিলোপের' অসুখে আক্রান্ত যাতে প্রত্যেক ১৫ মিনিট অন্তর তার সম্পূর্ণ স্মৃতি বিলুপ্ত হয়. সঞ্জয় তার স্মৃতি ফিরিয়ে আনতে ছবি, চিরকুট এবং তার সারা শরীরে আঁকা উল্কি গুলি ব্যবহার করে. প্রতিদিন ভোরে সঞ্জয় যখন কল-ঘরে যায় তখন জলের নলের পাশে লাগানো একটি চিরকুটে 'জামা খোলো' এই কথাটি লেখা দেখতে পায়. সে যখন জামাটা খোলে তখন তার বুকে আঁকা অনেক উল্কি দেখতে পায়, যার মধ্যে, 'কল্পনাকে খুন করা হয়েছিল' এই কথাটিও দেখতে পায় এবং জানা যায় সে নিয়মিত ভাবে যারা কল্পনার মৃত্যুর জন্যে দায়ী তাদের হত্যা করে চলেছে. কতকগুলি চিরকুট ও উল্কি থেকে বোঝা যায় যে 'ঘজিনি' তার প্রধান লক্ষ. ঘটনাচক্রে, জানা যায় যে ঘজিনি সমাজের ও শহরের একজন গন্য-মান্য ব্যক্তি.

মুম্বাই পুলিশের ইন্সপেক্টর, অজয় যাদব, এই একটির পর একটি খুনের ঘটনার তদন্তের দায়িত্ব-প্রাপ্ত. সে সঞ্জয়ের খুঁজে বের করে তার বাড়িতে তাকে আক্রমণ করে ও কাবু কোরে ফেলে. প্রচুর পরিমাণে ছবি ও চিরকুট দেখে অজয় যাদব চমকিত হয়. সে দুটি ডায়েরি খুঁজে পায় যেখানে সঞ্জয় 2005 ও 2006 সালের ঘটনা গুলি ক্রমানুসারে লিখে রেখেছে. যাদব 2005 সালের ডায়রিটি পড়া শুরু করতেই ছবিতে 2005 সালের পূর্ব স্মৃতিচারণ শুরু হয়.সঞ্জয়, এয়ার ভয়েস টেলিফোন কোম্পানির মালিক, এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী পরিবারের বংশধর.সে বিদেশে পড়াশোনা শেষ করে তার পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনার জন্য দেশে ফিরেছে. ব্যবসায়ীক ঘটনা প্রবাহে, সঞ্জয় একজন উঠতি অভিনেত্রী/মডেল, কল্পনার বাড়ির ওপর এয়ার ভয়েস কোম্পানির একটি বিজ্ঞাপন লাগাবার জন্য কল্পনার কাছে তার লোক পাঠায়. এয়ার ডয়েজ কোম্পানির বিজ্ঞাপনী প্রচারের মতো লোভনীয় কাজ ও আরও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার আশায় কল্পনার মডেলিং/বিজ্ঞাপন সংস্থার মালিক এটিকে প্রণয়ের পূর্বাভাস বলে ভুল করে এবং কল্পনাকে এই প্রারম্ভিক আলাপচারিতায় উৎসাহিত করে.সে প্রধান মডেলের পদে কল্পনার পদোন্নতি ঘটায়.কল্পনা মিষ্টি ও দয়ালু স্বভাবের মেয়ে.সে এটাকে একটা নির্দোষ দুষ্টুমি বলে গন্য করে (যা তাকে আরও বেশি মডেলিং-এর কাজ পাওয়া যাবে এই আশায়)এবং সঞ্জয়ের বান্ধবী হিসেবে কৌতুকাভিনয় শুরু করে.

সঞ্জয়, ঘটনাক্রমে কল্পনার সঙ্গে দেখা করে কিন্তু সচিন নামে নিজের পরিচয় দেয় ও বলে সে কোনো একটি ছোট শহরের একজন সাধারণ ছেলে, এই বড় শহরে নতুন কাজের খোঁজে এসেছে.কল্পনা তাকে কিছু ছোট মডেলিং-এর কাজ যোগাড় করে দেয়. সে সচিনের আকর্ষণে অনুরক্ত হয়ে পড়ে এবং সচিনও কল্পনার দয়ালুতা ও মাধুর্যে মুগ্ধ হয়ে যায়(সে কল্পনার পঙ্গু, গরিব ও অসহায় মানুষদের সাহায্যের জন্য সদা-প্রস্তুত ভাব একাধিকবার লক্ষ্য করেছে). তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যায় এবং সঞ্জয় সাহস সঞ্চয় করে কল্পনাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়.তার প্রস্তাব ভেবে দেখার জন্য কল্পনা কিছু দিন সময় চায়. সঞ্জয় স্থির করে যদি কল্পনা তার প্রস্তাবে রাজি হয়, সে তখন তার আসল পরিচয় জানাবে, আর যদি না রাজি হয় তবে কারো কোনো ক্ষতি না করে নি:শ্বব্দে সরে যাবে.

যাদবের 2006 সালের ডায়েরি টি পড়া শুরু দিয়ে ছবি আবার বর্তমান সময় ফিরে আসে. সঞ্জয় ফিরে এসে যাদব কে আক্রমণ করে ও তাকে বেঁধে রাখে. সে ঘজিনি কে একটি কলেজের অনুষ্ঠানে খুঁজে পায় যেখানে ঘজিনি প্রধান অতিথি ছিল. সঞ্জয় ঘজিনির কতকগুলি ছবি তোলে এবং তাকে হত্যা করার সিদ্ধান্ত নেয় (যদিও সে তখন তার কারণ জানে না). তার ওই অনুষ্ঠানেই সুনিতার সঙ্গে দেখা হয়, সুনিতাও তার ফাইলের প্রচ্ছদ থেকেই সঞ্জয় কে চিনতে পারে এবং তার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার সিদ্ধান্ত নেয়. ওই সন্ধ্যাতেই, আরও পরে সঞ্জয় ঘজিনির এক গুন্ডা-সহচর কে গাড়ি রাখার জায়গায় আক্রমণ করে ও হত্যা করে. সে সেখানেই ঘজিনির জন্য অপেক্ষা করতে থাকে কিন্তু শেষ পর্যন্ত অন্য কোনো সময় চূড়ান্ত আক্রমণ করবে স্থির করে. মৃত-প্রায় গুন্ডাটি ঘজিনিকে দু-বছর আগের, কল্পনাকে হত্যা করার এবং সঞ্জয়ের অসুস্থ হয়ে পড়ার ঘটনাটি মনে করবার চেষ্টা করে. ঘজিনি এতে বিমুঢ় হয়ে পড়ে এবং পরিষ্কার ভাবে কিছু মনে করতে পারে না.

ইতিমধ্যে, সুনিতা সঞ্জয়ের বাড়িতে আসে এবং প্রহৃত ও বাঁধা অবস্থায় যাদবকে দেখতে পায়. সে এও জানতে পারে যে ঘজিনি সঞ্জয়ের লক্ষ. যাদব তাকে জানায় যে সঞ্জয় একজন ক্রমিক হত্যাকারী. সুনিতা ডায়েরি দুটি খুঁজে পায় এবং যাদবকে মুক্ত করে. হঠাত সেই সময় সঞ্জয় সেখান পৌছয় কিন্তু তাদের কাউকেই চিনতে পারে না ও তাদের তাড়া করে.ঘটনা-পরম্পরায় যাদব একটি বাসের ধাক্কা খায় এবং সুনিতা উন্মত্ত সঞ্জয়ের থেকে কোনমতে পালাতে সমর্থ হয়. ঘজিনির বিপদ আশঙ্কা করে সুনিতা তাকে একথা জানায় যে সঞ্জয় ঘজিনিকে হত্যা করতে চায়. এতে তার অভিষ্ঠ ঘজিনি তাকে খুনের অভিপ্রায়ে সঞ্জয়ের বাড়িতে আসে.সে সমস্ত ছবি ও চিরকুটগুলি নষ্ট করে দেয় এবং তার গুন্ডা-সহচরদের দ্বারা সঞ্জয়ের শরীরের বর্তমান উল্কিগুলো তুলে দিয়ে তার ওপর অন্য উল্কি এঁকে দেয়.সঞ্জয়ের তাকে খুঁজে পাবার আর কোনো সূত্র থাকলো না এই কথা ভেবে আসুস্থ হয়ে ঘজিনি সেই স্থান ত্যাগ করে.

ইতিমধ্যে, নিজের আস্তানায় ফিরে সুনিতা 2006 সালের ডায়রিটা পড়ে. ছবি আবার 2006-এর স্মৃতিচারণায় ফিরে যায়. তখন জানা যায়, কল্পনা সঞ্জয়ের প্রস্তাবে রাজি হয়েছিল. ডায়েরি লেখা হঠাত্ বন্ধ হয়ে যায়. সুনিতা অনুসন্ধান করে জানতে পারে যে 2006 সালের কোনো এক সময় কল্পনা অনিচ্ছাকৃত ভাবে একটি গোপন নারী-পাচারকারী চক্রের ব্যাপারে জড়িয়ে পড়ে. তার ট্রেনে 25 টি নিরপরাধ কিশোরীর সঙ্গে সাক্ষাত হয়, যাদের দেহপসারিনীর কাজ করানোর জন্য মুম্বাই নিয়ে যাওয়া হচ্ছিলো. সে ওই মেয়েদের উদ্ধার করে.কিন্তু ওই মেয়েরা ঘজিনির নাম সেই চক্রের পান্ডা বলে জানায়. ঘজিনি তার নিজস্ব পথে ও পন্থায় (দুর্নীতিপরায়ণ পুলিশ ও রাজনীতিকদের সহায়তায়) ওই মেয়েদের চুপ করিয়ে দেয় এবং নিজে কল্পনার খোঁজে যায়.ঘজিনি ও তার গুন্ডারা তালা ভেঙ্গে কল্পনার ঘরে ঢুকে তার ফেরার অপেক্ষা করতে থাকে.ঘটনার যোগাযোগে, সঞ্জয়ও সেই সময় কল্পনার সঙ্গে দেখা করতে সেখান আসে. তাকে বলা কল্পনার শেষ কথা ছিল, "ঘজিনি".গুন্ডারা কল্পনাকে আক্রমণ করে. সঞ্জয় যখন তাকে বাঁচাতে যাবে ঠিক সেই সময় ঘজিনি একটি লোহার ডান্ডা দিয়ে তার মাথায় আঘাত করে. এই সময় সঞ্জয়ের দেখা শেষ দৃশ্য ছিল একটি লোহার ডান্ডা দিয়ে ঘজিনির কল্পনাকে খুন করা.

এখন সুনিতা বেদনা-দায়ক সত্যটি জানতে পারে এবং সঞ্জয় কে খুঁজে তাকেও সত্যি কথাটা জানায়.সঞ্জয় ক্রোধে উন্মত্ত হয়ে পড়ে এবং ঘজিনির খোঁজে বেরিয়ে পড়ে.মুম্বাই-এর শহরতলিতে ঘজিনির আস্তানায় পৌঁছে সঞ্জয় নিষ্ঠুর ভাবে ঘজিনির সাকরেদদের হত্যা করে এবং ঘজিনির সঙ্গে এক বয়াবহ মারারিতে অবতীর্ণ হয়. সে ঘজিনিকে হত্যা করতে যাবে ঠিক সেই সময় সঞ্জয়ের স্মৃতি সম্পূর্ণ লোপ পায় এবং ঘজিনি ফিরে দাঁড়িয়ে তাকে ছুরি বিদ্ধ করে. এই সময় ঘজিনি সঞ্জয়কে অত্যন্ত বিভত্সো ভাবে তার কল্পনা কে হত্যার বিবরণ দিতে থাকে, সঞ্জয় তখন শেষ মুহুর্তের শক্তি সংগ্রহ করে ঘিজিনিকে আক্রমণ করে ধরাশায়ী করে. ঘজিনি যেভাবে কল্পনাকে হত্যা করেছিলো, সঞ্জয় ও ঠিক সেই ভাবে ঘজিনি কে হত্যা করে.

সঞ্জয় এখনো সেই রোগেই ভুগছে এবং একটি অনাথ-আশ্রমে সাহায্য করে এই ভাবে ছবি শেষ হয়.সুনিতা সেই সময় সঞ্জয় কে তার ও কল্পনার মধুর সঙ্গের কথা মনে করিয়ে দেবার জন্য, একটি ছোট উপহার দেয় যেটি হলো, কল্পনার নতুন ঘরে যাবার পর একটি প্লাস্টারের ওপর তোলা সঞ্জয় ও কল্পনার পায়ের ছাঁচ. সঞ্জয় তার পূর্ব স্মৃতি আর ফিরে পাবে কি পাবে না তা দর্শকদের সিদ্ধান্তের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে (যদিও শেষে, সঞ্জয়কে তার অতীতের মধ্যে হাতড়ে বেড়ানোর, দৃশ্য দেখানোর মধ্যে দিয়ে পূর্বের সম্ভাবনাটির ওপরই গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে).

অভিনেতা-অভিনেত্রী[সম্পাদনা]

  • সঞ্জয় সিংহানিয়ার চরিত্রে আমির খান (অভিনেতা), সঞ্জয় সিংহানিয়ার, একটি মোবাইল ফোন পরিষেবা প্রদানকারী কোম্পানির মালিক, একজন ধনী ব্যবসায়ী.সঞ্জয় কল্পনার প্রেমে পড়ে, যে পরে খুন হয়. ওই একই ঘটনাতে মাথায় লোহার রড দ্বারা আঘাতের ফলে সঞ্জয় একটি বিচিত্র স্মৃতিলোপের রোগে একান্ত হয় যাতে সঞ্জয় হঠাত্ 15 মিনিট আগের সব ঘটনা সম্পূর্ণ ভুলে যায়। চিকিত্সার পর সঞ্জয় তার বান্ধবীর হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার ও তার নিজের সারা শরীরে উল্কি এঁকে তার প্রতিবন্ধকতার সঙ্গে লড়াই করে তার বাসনাকে মনে করিয়ে দেওয়ার প্রচেষ্টার মধ্যে আচ্ছন্ন হয়ে যায়। চরিত্রের সঙ্গে মানানসই শরীর গঠনের জন্য আমির খান (অভিনেতা) তার বাড়ির জিমে নিজোস্ব প্রশিক্ষকের কাছে অত্যন্ত কঠিন শরীর শিক্ষা গ্রহণ করেন, যার ফলে 16 ইঞ্চি বাহু-পেশী ও 8 ভাঁজে পেটের পেশী সহ তার শরীর সম্পূর্ণ চরিত্রানুগ হয়ে ওঠে.[৫]
  • কল্পনার চরিত্রে অসিন, পেশাগত ভাবে কল্পনা টেলিভিশন বিজ্ঞাপনের একজন মডেল, কিন্তু সফল শিল্পপতি সঞ্জয় সিংহানিয়ার ভান্ধবি বলে দাবী করে খ্যাতি লাভ করে.সে পড়ে সঞ্জয় কে সচিন নামের একজন সাধারণ মানুষ মনে করে তার প্রেমে পড়ে যায়. কল্পনাকে একজন দয়ালু-প্রানের মানুষ বলে প্রদর্শিত করা হয়, মেয়েদের কিডনি বিক্রির চক্রান্ত ফাঁস করে দেওয়ার জন্য সে ঘজিনি এবং তার সাকরেদদের সঙ্গে গোলমালে জড়িয়ে পড়ে.কল্পনা সঞ্জয়ের সামনেই ঘজিনির হাতে খুন হয় যা পরে তীব্র প্রতিশোধের বাসনায় পর্জবসিত হয়, এবং এটাই কাহিনীর জটিলতম বিষয় হয়ে ওঠে।
  • সুনিতা র চরিত্রে জিয়া খান .সুনিতা একজন অনুসন্ধিত্সু ডাক্তারি কলেজ ছাত্রী, যদিও তাকে অনুমতি দেওয়া হয়নি তবু সে সঞ্জয় সিংহানিয়া ও তার স্মৃতিলোপের সমস্যা নিয়ে অনুসন্ধান চালাতে চায়। পুরো ছবিতেই সে বর্তমান কারণ সে সঞ্জয়ের রহস্য এবং তার পূর্ব জীবন উন্মোচন করতে চায় সে এই মানসিক রোগীর সঙ্গে সাক্ষাত্কারের ইচ্ছাতেই এবং তথ্য সংগ্রহের প্রয়োজনেই নানন স্থানে ঘুরে বেড়ায়.সঞ্জয়ের সঙ্গে তার প্রথমিক বিরোধ হলেও শেষ পর্যন্ত সে ঘজিনি কে খতম করতে সঞ্জয় কে সাহায্যই করে।
  • ঘজিনি ধর্মাত্মা -এর চরিত্রে প্রদীপ রাওয়াত .ঘজিনি প্রধান বিরোধী চরিত্র, যে তার পরিকল্পনা বানচাল করে দেওয়ার জন্য কল্পনাকে নৃসংশ ভাবে হত্যা করেছিল.সে একজন গুন্ডা-সর্দার ছিল যার বহু সাকরেদ ছিল। ছবিতে তাকে বহু বেআইনি কার্যকলাপ এবং অপরাধমূলক কাজের প্রধান উদ্যোগতা হিসেবে দেখানো হয়েছে।
  • ইন্সপেক্টর অর্জুন যাদবে র চরিত্রে রিয়াজ খান . অর্জুন একজন পুলিশ ইন্সপেক্টর যে সঞ্জয় সিংহানিয়া দ্বারা কৃত খুনগুলির তদন্ত করছে. যদিও সঞ্জয়ের অতীত জীবন সম্পর্কে কিছু তথ্য সে জানতে পারে তবু ছবির শেষ দিকে একটি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়।

মুক্তি[সম্পাদনা]

বক্স অফিস[সম্পাদনা]

2008 সালের 25 ডিসেম্বর প্রায় 1500 টি প্রিন্ট সংবলিত যার মধ্যে 213 টি বিদেশী বাজারের জন্য ছিল, ঘজিনি ছবিটি মুক্তি পায়.ছবিটির প্রায় 650 টি মূল্য-প্রাপ্ত প্রদর্শন হয়েছিল যার থেকে 70 মিলিয়ন ভারতীয় টাকা আয় হয়.গীথা আর্টস, ঘজিনি-র অন্তর্দেশীয় পরিবেশন স্বত্ব 530 মিলিয়ন, হোম-ভিডিও স্বত্ব, বৈদেশিক স্বত্ব এবং উপগ্রহ স্বত্ব আরও 690 মিলিয়ন ভারতীয় টাকা-এ এডল্যাব্স ফিল্মস লি.-এর নিকট বিক্রি করেছিলো.

বক্স অফিস মোজো -র হিসেবে 29 জানুয়ারি 2009 পর্যন্ত 37 দিন/5.3 সপ্তাহ[৬] প্রদর্শনের পরও ঘজিনি-র মোট বক্স অফিস আয় ছিল 280 কোটি টাকা ($54,316,564 USD), যা বলিউডের কোনো ছবির মধ্যে সর্ব্বোচ্চ আয় (মুদ্রা-স্ফীতির জন্য অনিয়ন্ত্রিত).

দুই-ডিস্ক বিশিষ্ট কলেকটরস এডিশন DVD টি বিগ হোম ভিডিও দ্বারা নির্মিত হয়েছিল এবং আন্তর্জাতিক পরিবেশক এডল্যাব্স ফিল্মস লি . MSRP 19.99 USD -এ মার্চ 13, 2009 তে আন্তর্জাতিক বাজারে পরিবেশিত হয়েছিল. ক্রমাগত ও অত্যধিক মারদাঙ্গার কারণে ছবিটি ব্রিটিশ বোর্ড অফ ফিল্ম ক্লাসিফিকাসন দ্বারা 15+ এই মান পেয়েছিলো.[৭]

ভিডিও গেম[সম্পাদনা]

ঘজিনি - দ্য গেম নামে PC -র জন্য এরস হোম এন্টারটেনমেন্ট -এর পরিবেশনায়, গীথা আর্টস -এর প্রযোজনায় এবং এফ এক্স ল্যাব্স স্টুডিও পি. লি.-এর দ্বারা প্রস্তুত একটি ভিডিও গেম বেরিয়েছিলো.

সারমর্ম - কখনো আমীর খান হবার স্বপ্ন দেখেছেন? এখন আপনার জন্যে রয়েছে ভারতে তৈরী প্রথম বলিউড ছবি 'ঘজিনি'-এর ওপর 3-ডি পিসি গেমে আমীর খান হবার সুযোগ. আমীর খানের দ্বারা প্রস্ফুটিত সঞ্জয়ের অনুপম গল্পটি উপভোগ করুন. তাঁর নিজের মুখে কথিত একটি ক্ষীন প্রামানিক তথ্যের ভিত্তিতে একটার পর একটা সুত্র অনুসরণ করে এগিয়ে চলুন. তাঁর নিজের লড়াইয়ের কৌশলগুলি ব্যবহার করে, যে সব গুন্ডাগুলি আপনাকে আড়াল থেকে আক্রমণ করার জন্য অপেক্ষা করছে তাদের সঙ্গে লড়াই করুন. ঘজিনি' ছবির আসল সেটের অনুকরণে কাল্পনিক দুনিয়ায় সৃষ্ট তার নিজের চোখ দিয়ে ঘজিনির পৃথিবী আবিষ্কার করুন. গল্পের ওপর আপনার কর্তৃত্ব বিস্তার করুন এবং আপনার পি সি তে ছবিটি নতুন করে সৃষ্টির অভিজ্ঞতা অর্জন করুন. .

এই গেম টি ব্যক্তি কেন্দ্রিক ছবিটির ওপর ভিত্তি করে, একটি পাঁচ স্তরের খেলা যেখানে খেলোয়াড় যোদ্ধা নায়ক সঞ্জয়কে, মার্শাল আর্ট, যুদ্ধাস্ত্র, বিমান(যেমন 'হিটম্যান' গেমে আছে)ইত্যাদি ব্যবহার করিয়ে তার উদ্দেশ্য সাধন করতে পারে.[৮] এটি প্রথম ভারতে তৈরী সত্যিকারের 3-ডি পিসি গেম যার দাম $14.99 USD, যদিও সরকারীভাবে এর কোনো মান নির্ধারিত হয়নি তবু পরিবেশকের সুপারিশ অনুযায়ী 15 বছরের অধিক বয়সের ব্যক্তি এই গেমে অংশ নিতে পারে.[৯]

সমালোচনা[সম্পাদনা]

ছবিটি চিত্র সমালোচকদের থেকে ইতিবাচক মন্তব্য লাভ করেছে. সিফি-র সোনিয়া চোপরা ছবিটিকে 4.5 টি স্টারে ভূষিত করেছেন এবং আমীর খান, আসীন, এ আর মুরুগাদস ও এ আর রহমান, এই চার A-র জন্য ছবিটি দেখার সুপারিশ করেছেন.[১০] {CNN IBN এর রাজীব মাসান্দ ছবিটিকে 3 টি স্টার দিয়েছেন এবং বলেছেন : "ঘজিনি কোনো একটি উন্নত মানের ছবি নয়, কিন্তু এতে উপভোগ্যতা প্রচুর আছে".[১১] বলিউড ট্রেড নিউস নেটওয়ার্কের মার্টিন ডি'সুজা ছবিটিকে 3.5 স্টার দিয়েছেন এবং 'একশন'গুলিকে বাহবা জানিয়েও মন্তব্য করেছেন যে এর চিত্রনাট্যে গলদ আছে.[১২] তরন আদর্শ ছবিটিকে "সব দিক থেকেই সফল" এই আখ্যা দিয়ে 4.5 স্টার প্রদান করেছেন.[১৩] দ্য টাইমস অফ ইন্ডিয়ার নিখাত কাজমী ছবিটিতে আমীর খানের কাজকেই সব থেকে বড়ো বিষয় বলে প্রশংসা করেছেন এবং 3.5 স্টার প্রদান করেন.[১৪] জী নিউস এই ছবিতে আমীর খানের আজ পর্যন্ত অভিনয় সর্বশ্রেষ্ঠ বলে বিবৃত করেছে.[১৫] Rediff এর সুকন্যা বর্মা ছবিটিকে 3.5 স্টার দিয়েছেন.[১৬] বলিউড মুভিস-এর মতব্য অনুযায়ী ভালো চিত্রনাট্য, পরিচালনা এবং আমীর খান ও আসীন থত্তুম্কল-এর সন্দুর অভিনয়ের জন্য ছবিটিকে ৪ স্টার প্রদান করেছে .[১৭] 'ঘজিনি' খুব বেশি দীর্ঘ, খুব বেশি মারামারি এবং জিয়া খানের অভিনয় ও নৃত্য দক্ষতার সমালোচনা করেন কিন্তু আমীর খান ও আসীন থত্তুম্কল-এর কাজের প্রসংসা করেন.[১৮]

যাইহোক, কিছু নেতিবাচক মন্তব্যও আছে. ইন্ডিয়াটাইমস-এর গৌরভ মালানি ছবির দৈর্ঘের সমালোচনা করে ও শিল্পীদের অভিনয়ের প্রসংসা করে 2 টি স্টার দিয়েছেন.[১৯] 'একশন' ও মারামারির দৃশ্যগুলি তামিল ঘরানার হওয়ার জন্য কিছু সমালোচক বিরূপ মন্তব্যও করেছেন. Rediff-এর রাজা সেন আসীন থত্তুম্কল অভিনয়ের সমালোচনা করেন এবং 'অত্যধিক যন্ত্রনাদায়ক' এই মন্তব্য দিয়ে শেষ করে 2.5/5 স্টার দেন.[২০] AOL India -র নয়ন জ্যোতি প্রসন্ন বলেন, "বেশিরভাগ দিকথেকে তুলনা করলে কোনো মন্তব্যের যৌক্তিকতা থাকে না. যাইহোক, একই পরিচালকের নির্দেশিত তামিল সংস্করনটির থেকে 'ঘজিনি' তুলনামূলক ভাবে সফল." [২১]

IMDB, বর্তমানে ঘজিনি দর্শকদের 6.9 রেটিং পেয়েছে.[২২]

প্রেরণা[সম্পাদনা]

' ঘজিনি এবং 2005-এর তামিল/তেলুগু সংস্করণ উভয়েই 'মেমেন্টো' দ্বারা অনুপ্রানিত. খ্রিস্টফার নোলান-এর মেমেন্টো ' তাঁর ভ্রাতা জনাথন নোলান-এর ছোট গল্প, মেমেন্টো মরি '-ভিত্তিক, লীয়নার্দ শেলবি (গ্য পিয়ার্স অভিনীত), একজন বীমা প্রতারণা তদন্তকারী, যে, কোনো একটি ডাকাতির সময় তার স্ত্রী কে বলাত্কার করে হত্যা করেছিলো যে ব্যক্তি, তাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে.লীয়নার্দ সাময়িক স্মৃতিলোপের অসুখে আক্রান্ত যেটা তার স্ত্রী-র ওপর আক্রমণের সময় তার মাথায় প্রচন্ড আঘাত থেকে প্রাপ্ত হয়েছিল. কিছু ধারণা, যেমন তাত্ক্ষণিক পোলারয়েড ছবির ওপর 'নোট' লেখা, শরীরে উল্কির মাধমে ঘটনাবলী অঙ্কিত করে রাখা, এই গল্প থেকেই অনুসৃত.

মোবাইল-এর বিষয়বস্তু[সম্পাদনা]

ইন্ডিয়াগেমস ঘজিনি ', এই ছবি ভিত্তিক একটি মোবাইল গেম এবং প্রয়োগ. ইন্ডিয়াগেমস এই ছবির নামের ওপর ভিত্তি করে মোবাইল-এ কর্মক্ষম 4 টি গেম ও 1 টি প্রয়োগ প্রস্তুত করেছে. এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের গেম, যেমন আলটিমেট ওয়ার্কআউট ', মেমরি রিভাইভাল ', ব্রেন ট্রেক ', এবং আরও কিছু ক্ষুদ্র গেম আছে.

গ্রহনীয়তা[সম্পাদনা]

গানের সংকলনটি সমালোচক ও ভক্তদের থেকে ইতিবাচক মন্তব্য পেয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকে মনে করেন এ আর রহমানের সঙ্গীতের মাপকাঠিতে এটি একটু নিম্নমানের.তবু, বলিউড হাঙ্গামা একটি চূড়ান্ত ইতিবাচক মন্তব্যে জানায়, "খ্রিস্টমাসের পর মুক্তি পাওয়ায় এর সঙ্গীত 2009 সালে একটি বিশেষ তরঙ্গধারার সৃষ্টি করতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত. বত্সরান্তে যখন শ্রেষ্ঠগুলির মধ্যে শ্রেষ্ঠ'-এর তালিকা প্রস্তুত হবে, তখন 'ঘজিনি' কে উপেক্ষা করা কঠিন হবে." [২৩] Rediff.comএর পরিদর্শক রহমানের প্রশংসা করে বলেন "এটি তাঁর সর্বকালের শ্রেষ্ঠ সংকলনগুলির একটি" এবং সম্ভাব্য সর্বোচ্চ 5 টি স্টার-এর রেটিং প্রদান করেন. সঙ্গীতগুলি যে শুধুই শ্রুতিমধুর তা নয়, একটি থেকে অন্যটিতে যাবার পূর্বে কোনোপ্রকার ভবিষ্যতবাণী করা সম্ভব হয়না." [২৪]

সঙ্গীত[সম্পাদনা]

Ghajini
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম
মুক্তির তারিখ২৪ নভেম্বর ২০০৮ (2008-11-24)
শব্দধারণের সময়Panchathan Record Inn and AM Studios
ঘরানাFeature film soundtrack
দৈর্ঘ্য২৮:২৩
সঙ্গীত প্রকাশনীT-Series
প্রযোজকA. R. Rahman
A. R. Rahman কালক্রম
Yuvvraaj
(2008)
Ghajini
(২০০৮)
Slumdog Millionaire
(2009)
পেশাদারী মূল্যায়ন
পর্যালোচনা স্কোর
উৎসমূল্যায়ন
Rediff৫/৫ তারকা[২৫]
Bollywood Hungama৪/৫ তারকা[২৬]

ছবিটিতে প্রসুন জোশীর লিখিত এ আর রহমানের সুরারোপিত ছ'টি গান আছে.যখন হরিষ জয়রাজ তামিল সংস্করণের গানগুলির সুরারোপ করেন তখন রহমান হিন্দী সংস্করনটির জন্য একেবারে প্রথম থেকেই কাজ করেছেন.

সঙ্গীত গায়ক/গায়িকা(বৃন্দ) দৈর্ঘ্য পাদটিকা
গুজারিশ জাভেদ আলীসনু নিগম ৫:২৯ আমীর খানআসীন-এর ওপর চিত্রায়িত
আয়ে বাচ্চু সুজান্ন ডি'মেলো ৩:৪৮ আসীন-এর ওপর চিত্রায়িত
ক্যাসে মুঝে বেনি দয়ালশ্রেয়া ঘোষাল ৫:৪৬ আমীর খানআসীন-এর ওপর চিত্রায়িত
ব্যাহকা কার্থিক ৫:১৩ আমীর খানআসীন-এর ওপর চিত্রায়িত
লাতু শ্রেয়া ঘোষাল ৪:৩০ জিয়া খানের ওপর চিত্রায়িত
ক্যাসে মুঝে (যন্ত্র-সঙ্গীত) যন্ত্র-সঙ্গীত ৪:০১

পুরস্কার[সম্পাদনা]

আরও দেখুন[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. "Ghajini rated 15 by the BBFC"। Bbfc.co.uk। ১৯ ডিসেম্বর ২০০৮। ১৩ জানুয়ারি ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ এপ্রিল ২০১৩ 
  2. "What is the budget of Ghajini?"Box Office India। ২৬ অক্টোবর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ অক্টোবর ২০১১ 
  3. "Top Worldwide Grossers ALL TIME: 37 Films Hit 100 Crore"। Boxofficeindia.com। ২ নভেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  4. "শীঘ্রই আসছে : ঘজিনি কম্প্যুটার গেম"। ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০০৯ 
  5. "আমীর খান তাঁর উষ্ণ শরীরের অন্তরালে অত্যাচারের কথা বিবৃত করেন!", Indianexpress.com
  6. "Ghajini's World-wide Gross"Box Office Mojo। ২০০৯-০৭-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-২৯ 
  7. "Ghajini's DVD MSRP"Amazon। ২০০৯-০৭-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-২৯ 
  8. "Ghajini - The Game"। ২০০৯-০৭-২৯। ২০০৯-০৪-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-২৯ 
  9. "Ghajini - The Game MSRP"Eros Entertainment। ২০০৯-০৭-২৯। ২০০৯-০২-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৭-২৯ 
  10. "নিরীক্ষণ: চতুশ-A -এর জন্য ঘজিনি দেখুন"। ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ আগস্ট ২০১৯ 
  11. "মাসান্দ-এর বিধান: ঘজিনি বোবা এবং সে এটি উদ্‌যাপন করে"। ১৫ ডিসেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০০৯ 
  12. "ঘজিনি চলচ্চিত্র নিরীক্ষণ"। ৩১ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০০৯ 
  13. "ঘজিনি নিরীক্ষণ"। ২২ অক্টোবর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০০৯ 
  14. ঘজিনি
  15. "ঘজিনি আমীর-এর কর্মজীবনের শ্রেষ্ঠ কাজ!"। ৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০০৯ 
  16. ঘজিনি : অন্ধকারময় স্মৃতির একটি সুক্ষ সংকলন
  17. "ঘজিনির জন্য বলিউড চলচ্চিত্র নিরীক্ষণ"। ২ জানুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০০৯ 
  18. "ঘজিনি নিরীক্ষণ"। ২৯ ডিসেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৪ অক্টোবর ২০০৯ 
  19. ঘজিনি : চলচ্চিত্র নিরীক্ষণ"
  20. হাম দো, হামারে (মেমেন)টো
  21. Noyon Jyoti Parasara (২০০৮-১২-২৯)। "Ghajini - Movie Review"। AOL India। সংগ্রহের তারিখ ২০০৯-০৩-২৩ 
  22. ইন্টারনেট চলচ্চিত্র তথ্যভান্ডার ঘজিনি (2008)-এর সারমর্ম
  23. Tuteja, Joginder (২০০৮-১১-২৪)। "Ghajini music review"Bollywood Hungama। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৪ 
  24. Sen, Raja (২০০৮-১১-২৫)। "Rahman goes gloriously wild with Ghajini"Rediff.com। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-১২-২৪ 
  25. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; RD নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  26. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; BH নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি

বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]