খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ সহস্রাব্দ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সহস্রাব্দ:
শতাব্দী:

খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দ বলতে ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ হতে ৩০০১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ সময়কালকে বুঝানো হয়। এই সময়ে মানব সংস্কৃতিতে কিছু বড় পরিবর্তনগুলোর মধ্যে রয়েছে ব্রোঞ্জ যুগের সূচনা এবং লেখার আবিষ্কার যা রেকর্ডকৃত বা লিখিত ইতিহাস শুরু করার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা পালন করেছিল।

মন্টে ডি'আকোডি, ইতালির উত্তর সার্ডিনিয়ার একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান যা পোর্তো টরেসের নিকটবর্তী সাসারি অঞ্চলে অবস্থিত। খ্রিষ্টপূর্ব চতুর্থ সহস্রাব্দের নিদর্শন এটি।

সুমের ও মিশরের শহর রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং প্রসিদ্ধি লাভ করেছিল। ইউরেশিয়া জুড়ে কৃষিকাজ ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছিলো এই সময়েই।

নব্যপ্রস্তরযুগীয় বিপ্লবের কারণে জনসংখ্যা বিস্ফোরণের পরে বিশ্ব জনসংখ্যা বৃদ্ধি শিথিল হয়েছিলো। বিশ্বের জনসংখ্যা প্রায় ৫০ মিলিয়নে স্থিতিশীল ছিলো, ধীরেধীরে গড় বৃদ্ধির হার ছিলো প্রায় ০.০৩%।[১]

ঘটনাপ্রবাহ[সম্পাদনা]

মেসোপটেমিয়া তখন উরুক সময়কালে, এসময় বিকশিত হয় "প্রত্ন-কিউনিফর্ম" লিখন, উদীয়মান সুমেরীয় আধিপত্য; ৬০-ভিত্তিক গণিত, জ্যোতির্বিজ্ঞান এবং জ্যোতিষশাস্ত্র, নাগরিক আইন, জটিল হাইড্রোলজি বা জলবিদ্যা, পালতোলা নৌকা, মৃৎশিল্পে কুমোরের চাকা এবং চাকা; তাম্র যুগ প্রাথমিক ব্রোঞ্জ যুগের দিকে এগিয়ে যায়। খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দে গ্রিসের থেরা (সান্টোরিনি) দ্বীপে প্রথম নব্যপ্রস্তরযুগীয় বসতি স্থাপনকারীরা সম্ভবত মিনোয়ান ক্রিট থেকে এসেছিলো। এসময়ের ইরানের সুসায় (আধুনিক শুসা, ইরান) তৈরি একটি বিকার (একরকম হাতলছাড়া পাত্র) পাওয়া গিয়েছে যা বর্তমানে প্যারিসের লুভ্‌র জাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।

খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০–২০০০ অব্দের দিকে "মানুষ এবং প্রাণী" নামে স্পেনের লেইডার কোগালে পাওয়া গিয়েছে শিলায় আঁকা একটি চিত্রকর্ম। এটি বর্তমানে বার্সেলোনার প্রত্নতাত্ত্বিক জাদুঘরে সংরক্ষিত করে রাখা হয়েছে। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৬০০ অব্দে মাল্টার গোজো দ্বীপে জ্গান্তিজা বহুপ্রস্তর (মেগালিথিক) মন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ হয় যা বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম মুক্ত-স্থিতি কাঠামো এবং বিশ্বের সবচেয়ে প্রাচীনতম ধর্মীয় কাঠামো।

খ্রিষ্টপূর্ব ৩৬০০–৩২০০ অব্দে মাল্টার নাজদ্রায় সৌর মন্দির কমপ্লেক্সের মধ্যে প্রথম এমন মন্দিরের নির্মাণ হয় যাতে পাথরের বেঞ্চ এবং পাথরের টেবিলের মতো আসবাব রয়েছে। পাথরের আসবাবই এটিকে অন্যান্য ইউরোপীয় বহুপ্রস্তর (মেগালিথ) নির্মাণ থেকে পৃথক করে রেখেছে।

খ্রিষ্টপূর্ব ৩৬০০–৩০০০ অব্দে মাল্টায় তা হারাত এবং কর্ডিন তৃতীয় মন্দির নির্মাণ করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে মহেঞ্জোদারো এলাকায় মেটালকাস্টিংয়ের সূচনা হয়েছিল। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দে আঁকা একজন পুরুষ এবং একজন মহিলার চিত্র পাওয়া গেছে রোমানিয়ার কার্নাভোডা থেকে। এগুলো বর্তমানে বুখারেস্টের জাতীয় রোমান ঐতিহাসিক যাদুঘরে রাখা আছে।খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০-৩৪০০ অব্দে পাত্রসহ নৌকো চিত্রকর্মটি করা হয়, যা হিয়েরাকনপোলিসে (বর্তমানে ব্রুকলিন জাদুঘরে) পাওয়া গিয়েছিলো।

খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০–২৩৪০ অব্দে দক্ষিণ মেসোপটেমিয়ায় প্রথম শহরাঞ্চলের বিকাশ হয়। এর বাসিন্দারা উত্তর থেকে পাড়ি জমিয়েছিলো। পরবর্তীকালে ৪র্থ সহস্রাব্দের চিত্রগ্রাফিক প্রত্ন-রচনা থেকে কিউনিফর্ম লিখনটি যথাযথভাবে উদ্ধার হয়েছিল। মেসোপটেমিয়ার "প্রত্ন-সাক্ষর" সময়টি ৩৫তম থেকে ৩২তম শতাব্দী পর্যন্ত বিস্তৃত ছিলো। জেমদেত নসর-এ ৩১ম শতাব্দীর সুমেরীয় ভাষায় দ্ব্যর্থহীনভাবে লেখা প্রথম দলিল পাওয়া যায়।

খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০–২৯০০ অব্দে আয়ারল্যান্ডে নিউগ্র্যাঞ্জ সৌর মানমন্দির/উত্তরণ সমাধির নির্মাণ হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০০ অব্দে সিন্ধু উপত্যকায় (হরপ্পা) ব্রোঞ্জ যুগের শুরু হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩৩০০ অব্দে ওত্জি দ্য আইসম্যান বর্তমান অস্ট্রিয়া এবং ইতালির সীমান্তের নিকটে মারা যান, ১৯৯১ সালে কেবল আবিষ্কার করা গিয়েছিল যে ওত্জ্তাল আল্পসের (Ötztal Alps) হিমবাহে তাকে সমাধিস্থ করা হয়েছিল। তার মৃত্যুর কারণটি হত্যাকাণ্ড বলে বিশ্বাস করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৫০–৩০০০ অব্দে মাল্টার তারকিয়নে তিনটি বহুপ্রস্তর (মেগালিথিক) মন্দির নির্মাণ করা হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩২০০–২৫০০ অব্দে মাল্টায় সৌর এবং চন্দ্র উভয় প্রান্তরেখা সমন্বিত আগার কিম বহুপ্রস্তর (মেগালিথিক) মন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ হয়েছিলো।

খ্রিষ্টপূর্ব ৩১৫০ অব্দে প্রাচীন মিশরে প্রাকরাজত্ব সময়কাল শেষ হয় ও প্রাথমিক রাজত্বকাল (প্রত্নতাত্ত্বিক) শুরু হয় (ফরাসি মিশরবিদ নিকোলাস গ্রিমালের মতে)। এই সময়কালের মধ্যে ১ম এবং ২য় রাজত্বও অন্তর্ভুক্ত। খ্রিষ্টপূর্ব ৩১১৪ অব্দে (১১ আগস্ট) মায়ান ক্যালেন্ডারের তারিখ শুরু হয়। খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ অব্দে কিংবদন্তি অনুসারে, মেনেস উচ্চ এবং নিম্ন মিশরকে এক করেন এবং মেম্ফিসে একটি নতুন রাজধানী স্থাপন করেন।

এছাড়াও এসময়ের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ঘটনাবলীর মধ্যে রয়েছে-

  • খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ অব্দ — নার্মার প্যালেট
  • খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ – ২৬০০ অব্দ — স্কটল্যান্ডের অর্ক্নি দ্বীপপুঞ্জের স্কারা ব্রিতে নব্যপ্রস্তরযুগীয় বসতিস্থাপন।
  • মেসোপটেমিয়ায় কিশের প্রথম থেকে চতুর্থ রাজবংশ।
  • রূপা আবিষ্কার।
  • ইবেরিয়ান সভ্যতার শুরু, খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ নাগাদ তা পূর্ব উপদ্বীপে পৌঁছায়।
  • খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দ — কলম্বিয়ার পুয়ের্তো হরমিগায় (ম্যাগডালেনা) প্রথম মৃৎশিল্প, যা নয়াবিশ্বের মৃৎশিল্পের প্রথম প্রচেষ্টা হিসাবে বিবেচিত। পুয়ের্তো বাডেলে (বলিভার) প্রথম বসতি স্থাপন।
  • এরিদুতে সুমেরীয় জান্না মন্দিরটি তৈরি করা হয়।
  • আল-উবাইদে মন্দির এবং চালদিয়ার উরের নিকটে মেস-কালাম-ডাগের টোম নির্মিত হয়।
  • খ্রিষ্টপূর্ব ২০০০ অব্দ— এশিয়ার ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে ব্যাবিলনীয় প্রভাব বিস্তৃত হয়।

গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব[সম্পাদনা]

উদ্ভাবন, আবিষ্কার, পরিচিতি[সম্পাদনা]

সুমেরীয় কিউনিফর্ম লিখন
  • খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ— সুমেরে মৃৎশিল্পে চাকার ব্যবহার।[২]
  • খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ— সুসা মৃৎশিল্প উত্পাদনের একটি কেন্দ্রে পরিণত হয়।
  • খ্রিষ্টপূর্ব ৪০০০ অব্দ— ইউক্রেনে গৃহপালিত হিসেবে ঘোড়া পালন।
  • খ্রিষ্টপূর্ব ৩৫০০ অব্দ-২৩৪০ অব্দ— সুমেরে চাকাযুক্ত গাড়ি, মৃৎশিল্প বা কুমোরের চাকা, সাদা মন্দির জিগুরাত (হোয়াইট টেম্পল জিগুরাট), ব্রোঞ্জের সরঞ্জাম এবং অস্ত্র ব্যবহার।[২]
  • খ্রিষ্টপূর্ব ৩২৫০ অব্দ— প্রাচীন নিকট প্রাচ্যের মৃৎশিল্পে চাকার উপস্থিতি।
  • খ্রিষ্টপূর্ব ৩০০০ অব্দ— এই সময়ের পরেই মেসোপটেমিয়ায় টিন ব্যবহৃত হয়।[৩][পৃষ্ঠা নম্বর প্রয়োজন]
  • মেসোপটেমিয়ায় সুমের এবং মিশরের নগরায়নের সূচনা।
  • উরুক এবং সুসা শহরে প্রথম লেখার সন্ধান (কিউনিফর্ম লিখন)। মিশরে হায়ারোগ্লিফিক্স।
  • বর্তমান দক্ষিণ রাশিয়া ও ইউক্রেনের কুর্গান সংস্কৃতি; সম্ভবত ঘোড়ার প্রথম গৃহপালিতকরণ।
  • নীল নদে পালের ব্যবহার।
  • ইংল্যান্ডে সুইট ট্র্যাকের নির্মাণ, বিশ্বের প্রথম পরিচিত প্রকৌশলগত সড়কপথ।
  • সিন্ধু সভ্যতায় পয়ঃনিষ্কাশন এবং নর্দমার বর্জ্য সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা সৃষ্টি।
  • সুমেরে আনত রেঁদা এবং লিভার ব্যবহার করে বাঁধ, খাল, পাথরের ভাস্কর্য তৈরি
  • সরঞ্জাম এবং অস্ত্র উভয় হিসাবে কপারের ব্যবহার শুরু।
  • ব্রোঞ্জ ব্যবহার শুরু, বিশেষত মায়কপ সংস্কৃতিতে।
  • মাস্তাবা, যেগুলো মিশরীয় পিরামিডের পূর্বসূরী
  • খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০০ অব্দ —স্টোনহেঞ্জ স্মৃতিসৌধের প্রথম পর্যায়।
  • আয়ারল্যান্ডের কেইড ফিল্ডসমূহ, যৌক্তিকভাবে বিশ্বের প্রাচীনতম বিকশিত ফিল্ড সিস্টেম।
  • মাটির ফলক বা চাকতিতে সুমেরীয় লিখন যা প্রায় ২,০০০ চিত্রগ্রাফিক চিহ্নসম্বলিত।
  • মিশর এবং দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপে সাদা রঙের মৃৎশিল্প তৈরি।
  • মিশরে বীণা এবং বাঁশি বাজানো হয়।
  • স্বর্ণ ও রূপার গন্ধ জানার জন্য মিশরীয় এবং সুমেরীয়দের কর্তৃক তামার খাদের ব্যবহার।
  • মিশরে লিরা এবং দ্বিত্ব সানাই বাজানো হয়।
  • মিশরের প্রাচীনতম সংখ্যাপদ্ধতি।
  • মধ্যপ্রাচ্যে লিনেন উৎপাদন।

ধর্ম[সম্পাদনা]

বর্ষপঞ্জি ও কালানুক্রম[সম্পাদনা]

  • ৪০০০ খ্রিষ্টপূর্ব – ম্যাসোনিক ক্যালেন্ডারের অ্যানো লুসিস যুগের সময়কাল।
  • ৩৯২৯ খ্রিষ্টপূর্ব – বাইবেলের ওল্ড টেস্টামেন্ট ভিত্তিক জন লাইটফুট অনুসারে সৃষ্টির সময় এবং প্রায়শই উশার কালানুক্রমের সাথে যুক্ত।
  • ৩৭৬১ খ্রিষ্টপূর্ব – মধ্যযুগ (দ্বাদশ শতাব্দী) থেকে হিব্রু ক্যালেন্ডারের নতুন যুগ শুরু। এই ক্যালেন্ডারটি ইহুদি সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় এবং অন্যান্য উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।[৮]
  • ৩১১৪ খ্রিষ্টপূর্ব – মায়ান ক্যালেন্ডারের একটি সংস্করণ যা মেসোমেরিকান লং কাউন্ট হিসাবে পরিচিত, খ্রিষ্টপূর্ব ৩১১৪ সালের ১১ বা ১৩ আগস্টে যুগের ব্যবহার করে। মায়া লং কাউন্ট ক্যালেন্ডারটি প্রথম খ্রিষ্টপূর্ব ২৩৬ সালে ব্যবহৃত হয়েছিল।
  • ৩১০২ খ্রিষ্টপূর্ব – আর্যভট্টের গণনা অনুসারে (৬ষ্ঠ শতাব্দী) খ্রিষ্টপূর্ব ১৮ ফেব্রুয়ারি ৩১০২ খ্রিষ্টাব্দের মধ্যরাতে হিন্দু কালীযুগ শুরু হয়েছিল।
  • ৩১০২ খ্রিষ্টপূর্ব – আর্যভট্ট মহাভারতের ঘটনাগুলির তারিখ নির্ণয় করেন খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০২ অব্দের কাছাকাছি। অন্যান্য অনুমানে সময়টি হলো খ্রিষ্টপূর্ব ৪র্থ সহস্রাব্দের শেষ থেকে ২য় সহস্রাব্দের মাঝামাঝি পর্যন্ত।

তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]

  1. Jean-Noël Biraben, "Essai sur l'évolution du nombre des hommes", Population 34-1 (1979), 13-25, estimates 40 million at 5000 BC and 100 million at 1600 BC, for an average growth rate of 0.027% p.a. over the Chalcolithic to Middle Bronze Age.
  2. Federico Lara Peinado, Universidad Complutense de Madrid: "La Civilización Sumeria". Historia 16, 1999.
  3. Roberts, J: History of the World. Penguin, 1994.
  4. See horoscope number 1 in Dr. B. V. Raman (১৯৯১)। Notable Horoscopes। Delhi, India: Motilal Banarsidass। আইএসবিএন 81-208-0901-7 
  5. Arun K. Bansal's research published in Outlook India, September 13, 2004. "Krishna (b. July 21, 3228 BC)"। এপ্রিল ২৬, ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৬, ২০২০ 
  6. Annals of the World, as well as the above sources
  7. IVP New Bible Commentary page 22 states the events of Genesis 1–11 took place before 2000 BC
  8. Dershowitz, Nachum; Reingold, Edward M. (১৯৯৭), Calendrical Calculations (1st সংস্করণ), Cambridge University Press, পৃষ্ঠা 11, আইএসবিএন 978-0-521-56474-8