খয়েরি কাঠঠোকরা
খয়েরি কাঠঠোকরা Celeus brachyurus | |
---|---|
![]() | |
পুরুষ খয়েরি কাঠঠোকরা,দক্ষিণ ভারত | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণীজগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
শ্রেণী: | পক্ষী |
বর্গ: | পিসিফর্মিস |
পরিবার: | পিসিডি |
গণ: | Micropternus |
প্রজাতি: | brachyurus |
প্রতিশব্দ | |
|
খয়েরি কাঠঠোকরা বা লালচে কাঠঠোকরা পিসিডি বর্গের অন্তর্গত পাখি। এরা খয়েরি কাঠকুড়ালি নামেও পরিচিত।
বিবরণ[সম্পাদনা]
লালচে কাঠঠোকরার দেহের দৈর্ঘ্য ২৫ সেন্টিমিটার ও ওজন ১০৫ গ্রাম। এদের পুরো দেহের পালক লালচে-খয়েরি, তার ওপর রয়েছে কালচে ডোরা। কাঁধ-ঢাকনি, ডানা লেজ ও বগলে আড়াআড়ি ডোরা রয়েছে। গলার পালক আঁইশের মতো দেখায়। পিঠ ও পেটে হালকা কালচে টান, ছিট ও ছোপ রয়েছে। চোখের রঙ বাদামি লাল। চোখের নিচে অর্ধচন্দ্রাকৃতির উজ্জ্বল লাল পট্টি আছে। ঠোঁট ও নখ কালো। পা ও পায়ের পাতা নীলচে-সবুজ। স্ত্রী আকারে কিছুটা ছোট এবং স্ত্রীর কান-ঢাকনি হালকা পীত বর্ণের। অপ্রাপ্তবয়স্ক পাখির বুক ও তলপেটে স্পষ্ট আড়াআড়ি ডোরা ও অর্ধচন্দ্রাকৃতির দাগ থাকে।[২]
শ্রেণিবিন্যাস[সম্পাদনা]
- M. b. brachyurus (Vieillot, 1818) – জাভা[৩]
- M. b. humei Kloss, 1918 – পশ্চিম হিমালয়ের পাশাপাশি গলা, দাগযুক্ত মাথা এবং ফ্যাকাশে মুখ রয়েছে।
- M. b. jerdonii (Malherbe, 1849) - ভারত ও শ্রীলঙ্কা
- M. b. phaioceps (Blyth, 1845) – মধ্য নেপাল থেকে মিয়ানমার, ইউনান এবং দক্ষিণ থাইল্যান্ড পর্যন্ত পূর্ব হিমালয়।
- M. b. fokiensis (Swinhoe, 1863) – দক্ষিণ-পূর্ব চীন এবং উত্তর ভিয়েতনাম
- M. b. holroydi Swinhoe, 1870 – হাইনান।
- M. b. williamsoni Kloss, 1918 – দক্ষিণ থাইল্যান্ড
- M. b. annamensis Delacour & Jabouille, 1924 – লাওস, কম্বোডিয়া এবং দক্ষিণ ভিয়েতনাম।
- M. b. badius (Raffles, 1822) – সুমাত্রা দ্বীপ
- M. b. badiosus (Bonaparte, 1850) – বোর্নিও দ্বীপ
বাসস্থান ও খাদ্যাভাস[সম্পাদনা]
লালচে কাঠঠোকরা আর্দ্র পাতাঝরা বন, চিরসবুজ বনসহ বন-বাগান, এমনকি লোকালয়েও বাস করে। এরা একাকী বা জোড়ায় ঘুরে বেড়ায়। ছোট পোকামাকড়, পিঁপড়া, লার্ভা, উইপোকা, বুনো ডুমুর ও ডুমুরের রস প্রিয় খাবার। এরা চমৎকার ভঙ্গিমায় গাছে ঝুলে থেকে পিঁপড়া ও পোকামাকড়ের বাসায় ঠোঁট চালায়। টসটসে উইপোকা খাওয়ার জন্য উইঢিবিতে আক্রমণ চালাতেও ছাড়ে না।
প্রজনন[সম্পাদনা]
এপ্রিল-মে প্রজননকাল। এ সময় গাছের খোঁড়ল বা গর্তের মতো জায়গায় বাসা বানায়। কখনো কখনো গেছো পিঁপড়ার বাসার ভেতরে বা ওপরেও বাসা করতে পারে। ডিম পাড়ে ২-৩টি। ডিমের রং সাদা। ১৪-১৮ দিন তা দেওয়ার পর ডিম থেকে ছানা বেরোয়। ছানারা প্রায় ২৫-২৭ দিনে উড়তে পারে। লালচে কাঠঠোকরা প্রায় পাঁচ বছর বাঁচে।
তথ্যসূত্র[সম্পাদনা]
- ↑ BirdLife International (২০১২)। "Micropternus brachyurus"। বিপদগ্রস্ত প্রজাতির আইইউসিএন লাল তালিকা (ইংরেজি ভাষায়)। আইইউসিএন। 2012। সংগ্রহের তারিখ ২৬ নভেম্বর ২০১৩।
- ↑ প্রতিবেদক, নিজস্ব। "লালচে কাঠঠোকরা"। Prothomalo। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০১-০৩।
- ↑ Trotman-Dickenson, D.I. (১৯৮৩)। Public Sector Economics। Elsevier। পৃষ্ঠা 171–181। আইএসবিএন 978-0-434-98584-5।
বহিঃসংযোগ[সম্পাদনা]

